নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রবাসী মন!
চাপাতি ওয়ালা, বন্দুক ওয়ালা, মেশিন গান ওয়ালারা আরামে ঘরে বসে বিবি বাচ্চা নিয়ে চিকেন বিরয়ানী খাচ্ছে। আর দিন মজুর, কর্মজীবী, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষরা যৌথ বাহিনীর অভিযানে তল্লাশি খাচ্ছে!
বাহ ভালো তো, ভালো না?
যারা দিন দুপুরে প্রকাশে চাপাতি শান দেই, চাপাতি নিয়ে মারামারি করে, পুলিশ তাদের তখন দুলাভাই রুপে আপ্যায়ন করে মাথা ফাটায়, তখন কই থাকে এ অভিযান? তখন কই থাকে নিরাপত্তা?
গতকাল সন্ধ্যা থেকে পাঁচটি বাহিনীর অভিযান শুরু হয় চট্টগ্রাম নগরীতে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাব, কোস্ট গার্ড, পুলিশ, এপিবিএন ও জেলা প্রশাসন এক যোগে এই অভিযান শুরু করছে। চট্টগ্রাম মহানগরীতে সিএমপি এই অভিযানের সমন্বয় করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর সিঅারবি এলাকায় অভিযানের মধ্য দিয়ে মাঠে নেমেছে যৌথবাহিনী, শুক্রবার বেলা এগারোটা থেকে আন্দরকিল্লা এলাকায় তল্লাশী শুরু হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের নির্দেশে নাকি চট্টগ্রামে এক যোগে ৫ যৌথ বাহিনীকে মাঠে নামনো হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে শুনলাম। আর এতে সাধারণ পথচারী, দিন মজুর, রিক্সা ওয়ালা, শ্রমিক ছাত্র এবং মুসল্লীসহ সবাইকে লাইনে দাড় করিয়ে তল্লাশী নিচ্ছে, শরীরের একটা অংশও তল্লাশি থেকে বাদ পরছে না! এতে সাধারণ মানুষই হয়রানীর স্বীকার হচ্ছে বেশী, অফিস অয়ালাদের ঠিক সময়ে অফিসে যেতে পাচ্ছে না, রিক্সা চালক যাত্রী নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাড়িয়ে থাকতে হচ্ছে, এদিক থেকে ছাড়া পেলে আবার অন্য দিকে! এভাবে করে কোন মানুষেই তাদের কাজ সময় মত করতে পাচ্ছে না, এ যৌথ বাহিনীর অভিযানে! আজকে জুম্মার নামাজ পড়ে মুসল্লিরা বের হলে সবাইকে ঘণ্টাব্যাপী তল্লাশি করে।
যাই হোক, এসব অভিযান শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় কি গ্যারান্টি দিতে পারবে নাকি যে, এ অভিযানের পর থেকে আর একটাও খুন বা মারামারি হবে না? আশা করি জীবনেও পারবে না। কারণ যারা খুনি, চাপাতি ওয়ালা, মেশিন গান ওয়ালা তারা এ অভিযানে পড়েনা। তারা সঠিক সময়ে এসেই ঠিকেই তাদের কাজটা করে যায়!
না! আমি অভিযানের বিপক্ষে যাচ্ছি না, আমি বলতে চাচ্ছি সঠিক সময়ে সঠিক কাজটা করুন। চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে কেন!
তবে এক কথায়, এটা সাধারণ মানুষকে হয়রানী ছাড়া আর কিছুই নয়! এসব ভাউতাবাজি করে সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেওয়ার কোন মানে আছে?!
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৪
চাটগাইয়া জাবেদ বলেছেন: সত্য যতই কঠিন হোক প্রকাশ হবেই/করবো।
২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪২
kazimasudrana বলেছেন: ভাই আপনি সুন্দর বলছেন তারা নাকি ভার্সিটি তে পড়ে তবে এ জিনিস গুলি টিক না
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৭
চাটগাইয়া জাবেদ বলেছেন: যে দলেরই হোক না, ঐ ধরনের ছাত্ররা ভার্সিটি পড়তে আসে না, মা-বাবার টাকা দিয়ে রাজনৈতিক দলের সন্ত্রাসী করতে আসে!
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৩
কিরমানী লিটন বলেছেন: এটা সাধারণ মানুষকে হয়রানী ছাড়া আর কিছুই নয়! এসব ভাউতাবাজি করে সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেওয়ার কোন মানে আছে?!
ডিজিটাল মুলো ...
শুভকামনা- সত্য প্রকাশে ...