নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রবাসী মন!
বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে/ গেছে। পরিবর্তিত হচ্ছে সমাজ কাঠামো, বিকশিত হচ্ছে সভ্যতা। পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে মানুষের জীবনযাত্রায়। কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্য, বন্ধ হয়নি নারী নির্যাতন। 'নারী’ এই শব্দটি প্রাচীন কাল থেকে প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণ নানাভাবে নির্যাতিত ও শোষিত হচ্ছে।
বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী এবং সমাজের উন্নয়নে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু তারপরও সাধারণভাবে তারা শান্তি, নিরাপত্তা ও অধিকারের দিক দিয়ে এখনো পুরুষের সমকক্ষ নয়। অথচ এই নারীর কারণেই একটি সন্তান পৃথিবীর আলো দেখতে পায়, একটি সুন্দর জীবনের শুভ সুচনা হয়।
অথচ নারীদের জীবন আমাদের এই সমাজে শুধুই একজন সামান্য নারী হিসাবে চিহ্নিত, যার কোনো অস্তিত্ব নেই। আমাদের সমাজে নারী পুরুষ উভয়ই সমান অধিকারী। কিন্তু এই অধিকার নারীরা কতটুকু পায়? তারা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অধিকার থেকে বঞ্চিত। আইয়্যামে জাহেলিয়াত যুগে কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণ করা ছিলো লজ্জার বিষয়। ফলে লজ্জা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য কন্যা সন্তানকে জীবিত কবর দিতে লজ্জাবোধ করতো না।
হিন্দু ধর্মে যত তাড়াতাড়ি অর্থাৎ ১৬ বছরের পূর্বে বিয়ে দেওয়াকে বলা হতো ‘গৌরী দান’। আমাদের দেশে নারী নির্যাতন ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ক্ষুধা, দারিদ্র, অপুষ্ঠি, অশিক্ষা, বেকার সমস্যা এই সকল সাধারণ সমস্যার পাশাপাশি নারীদের আরো কিছু মারাত্মক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় শুধুমাত্র তারা নারী বলে।
এ নির্যাতনের কোনো শেষ নেই। এসিড সন্ত্রাস, ইভটিজিং,পারিবারিক সন্ত্রাস, যৌতুক, ধর্ষণ, ফতোয়া, গৃহ পরিচারিকা নির্যাতন এরকম আরো অনেক নির্যাতনের কথা উল্লেখ করা যাবে।
আধুনিক কালে নারীর ক্ষমতায়ন ঘটলেও নারী নির্যাতন বন্ধ হয় নি। অথচ দেশে আইনের সঠিক ব্যবহার নেই বললেই চলে। তাই নারী নির্যাতন কমছে না, বরং বাড়ছে। তবে সবচেয়ে বিবেক অপমানিত হয় তখন যখন আমরা দেখি নারী দ্বারা নারী নির্যাতিত হচ্ছে/হয়
মানবসভ্যতা গড়ে ওঠার পেছনে নারীর অবদানকে ছোট করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। লাখ লাখ বছর আগে গুহাবাসী নারী-পুরুষ যৌথ প্রচেষ্টায় যে জীবন শুরু করেছিল, তা ক্রমেই বিকশিত হয়ে আজকের সভ্যতার সৃষ্টি। নারী-পুরুষের স্বার্থ এক ও অভিন্ন।
তাই নারীকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে না দেখে তার সঠিক মর্যাদা তাকে দিতে হবে।সকল অভিশাপ থেকে নারীকে মুক্ত করতে হবে। নারীরা প্রতিনিয়ত কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার হন।নির্যাতিত নারীদের অধিকাংশই নীরবে নির্যাতন সহ্য করেন। এই নির্যাতন নারীর অগ্রগতির পথে একটি মারাত্মক হুমকি বা বাধা।
নারীর ওপর নির্যাতনের প্রভাব সমাজের সব ক্ষেত্রে পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। তাই নারীর প্রতি সব ধরনের নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধ করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে। আসুন একসাথে হাতে হাত রেখে সামাজিক এই দুষ্ট ক্ষতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই।
[সুত্রঃ কিছু খণ্ড খণ্ড ভাবে বিভিন্ন সাইট থেকে নেওয়া]
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০১
চাটগাইয়া জাবেদ বলেছেন: শুনেছি ইতিহাস থেকে। তবে আমারও আপনার মত একই কথা, মেয়েকে কবর দিলে, পুরুষরা বিয়ে করছে কাকে? আর পুরুষ জন্ম নিল কিভাবে!
২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫২
আমিই মিসির আলী বলেছেন: আসলে এখনকার সমাজ স্বার্থান্বেষী সমাজ। যেখানে সার্থ নাই সেখানে লোক দেখানো ভালো মানুষি নাই।
হোকনা সেটা নারী আর নারীর ভিতরে কিংবা পুরুষ সমাজে। উচুঁ আর নীচুর বিভেদ! স্বার্থ চিন্তা থাকবেই।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১০
চাটগাইয়া জাবেদ বলেছেন: অতি বাস্তব কথা বর্তমান সমাজের এটাই রূপ! অতি বাস্তব কথা! সেকজানে স্বার্থ ডুকে পড়ে সেখানে ভালো মানুষীর বাহিক রূপ ছাড়া কিছুই নেই!!
৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৯
হোসেন মালিক বলেছেন: নারী নির্যাতন করলে পাপ হবে
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬
চাটগাইয়া জাবেদ বলেছেন: সেটা তো আমরা বুঝছি না! আর এ দুনিয়াবির জন্য মানুষ আজকাল পাপকেও সাফ করে দিচ্ছে জগন্য কাজে লিপ্ত হয়ে!!
৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০০
ধমনী বলেছেন: সমমেরু বিকর্ষণ করবে এটাই স্বাভাবিক।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫
চাটগাইয়া জাবেদ বলেছেন: হুম! এটাই স্বাভাবিক কিন্তু অতিরিক্ত হচ্ছে ইদানীং!
৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: প্র.মন্ত্রী, স্পীকা.., বি.দ.নেত্রী, আরেকটা বড় দলনেত্রী, ভার্সিটির ভিসি সব মহিলাতো তাই মহিলারাই অত্যাচারিত বেশী!
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০২
চাটগাইয়া জাবেদ বলেছেন: হুম! আর তাদের মুখে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা থাকলেও, কাজে দেশে আইনের সঠিক ব্যবহার নেই বললেই চলে। তাই নারী নির্যাতন কমছে না, বরং বাড়ছে।
৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৪
স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ লিঙ্কটির জন্য। নারীকে মানুষ হিসেবে ভাবতে শিখতে হবে। নারী পুরুষ কারও প্রতিই সহিংসতা কাম্য নয়।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০০
চাটগাইয়া জাবেদ বলেছেন: হুম "নারী পুরুষ কারও প্রতিই সহিংসতা কাম্য নয়" চিন্তাধারা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আপনাকেও ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
" আইয়্যামে জাহেলিয়াত যুগে কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণ করা ছিলো লজ্জার বিষয়। ফলে লজ্জা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য কন্যা সন্তানকে জীবিত কবর দিতে লজ্জাবোধ করতো না। "
-কথাটা সঠিক নয়, দেখা গেছে তখনও আরবেরা একাধিক বিয়ে করেছে; মেয়েকে কবর দিলে, মেয়ে কি গাছে ধরেছে?