নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রবাসী মন!
Lionel Messi: Argentina forward retires from international football
আরও একবার চোখের জলে মাঠ ছাড়তে হলো মেসি বাহিনীকে। পর পর তিন বছরে তিনবার ফাইনালের মঞ্চে স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় পুড়তে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে। টানা তৃতীয়বার ফাইনালে উঠেও শিরোপা অধরাই রয়ে গেল দিয়েগো ম্যারাডোনার উত্তরসূরিদের। ফাইনালের পর নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের অবসরের ঘোষণা দেন দেশের জার্সি গায়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা লিওনেল মেসি।
ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ের গোলে হার, ২০১৫’র কোপা আমেরিকার ফাইনালে স্বাগতিক চিলির বিপক্ষে টাইব্রেকারে হার আর কোপার শতবর্ষী আসরে আমেরিকার মাটিতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে সেই চিলির কাছে আবারো টাইব্রেকারে হার সঙ্গী আকাশী-নীল জার্সিধারীদের।
২৩ বছর ধরে শিরোপা না জেতা আর্জেন্টিনার প্রতীক্ষার প্রহর শেষ হবে এমন প্রত্যাশায় ছিল আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। তবে, গত বছরের ইতিহাস আবার ফিরে এলো কোপার শতবর্ষী আসরের ফাইনালে। আর্জেন্টিনাকে টাইব্রেকারে হারিয়ে আবারো চ্যাম্পিয়ন চিলি।
নিজেদের ইতিহাস বদলাতে না পেরে ম্যাচ শেষে মাঠের মধ্যে হতাশ হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকেন ডি মারিয়া, হিগুয়েন, আগুয়েরো, মাশচেরানোরা। আর মেসি তখন একা বসে রিজার্ভ বেঞ্চের এক কোণায়। ফুটবলের এই খুদে জাদুকরকে টানা তৃতীয়বার দেশের জার্সি গায়ে হতাশা লুকাতে হলো।
টাইব্রেকারের ভাগ্য পরীক্ষায় দলের হয়ে প্রথম পেনাল্টি নিতে এসেছিলেন মেসি। গোলবারের উপর দিয়ে বল বাইরে পাঠিয়ে দিয়ে গোলের সুযোগ মিস করেন বার্সেলোনার প্রাণভোমরা। যে মেসি সেমিফাইনালে ২৫গজ দূর থেকে সরাসরি ফ্রি-কিকে স্বপ্নের মতো গোল করেছিলেন, সেই মেসিকেই দেশের জার্সি গায়ে শেষ শটটিতে গোলবঞ্চিত থাকতে হয়।
ফুটবলের রাজপুত্র খ্যাত মেসির আত্মবিশ্বাস সেখানেই ঠুনকো কাঁচের মতো ভেঙে যায়।
চোটের জন্য ফাইনালের মঞ্চে আর্জেন্টিনা পায়নি লাভেজ্জিকে। চোট সেরে ফেরা ডি মারিয়ায় যেন নিজেকে খুঁজে ফেরেন। দ্বিতীয়ার্ধে তাকে তুলে নিয়ে আর্জেন্টাইন কোচ জেরার্ডো মার্টিনো মাঠে নামান মাতিয়াসকে। সেমিফাইনালের জোড়া গোলদাতা হিগুয়েনকে তুলে মাঠে নামান সার্জিও আগুয়েরোকে।
কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ৮৪ মিনিটের মাথায় স্টেডিয়ামে উপস্থিত ৮২ হাজারের বেশি দর্শককে অবাক করে দেন ইংলিশ প্রিমিয়ারের সেরা স্ট্রাইকার আগুয়েরো। ম্যানসিটির আর্জেন্টাইন এই তারকা চিলির ডি-বক্সে বল পেয়ে যে শটটি নেন সেটি গোলবারের অনেক বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। আগুয়েরোর সামনে শুধুই বার্সেলোনার চিলিয়ান গোলরক্ষক ব্রাভো ছিলেন।
মেসির বিদায়ের এই ধাক্কা সামলে আলবিসেলেস্তেরা আবার কবে মেজর কোনো শিরোপা জিততে পারবে, সেই আশায় ভবিষ্যতের দিকে চেয়ে থাকবে কোটি কোটি হতবাক দৃষ্টি।
১৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:২০
চাটগাইয়া জাবেদ বলেছেন: হায় আর্জেন্টিনা!
আপনার সাথে পুরোপুরি সহমত
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:০৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এখানেই মেসি ও ম্যারাডোনার পার্থক্য। ম্যারাডোনা যেমন নিজের দেশের জাতীয় দলে দুর্দান্ত খেলে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন ( ১৯৮৬), তেমনি ইতালীর নেপোলি এবং আর্জেন্টিনার বোকা জুনিয়রস ক্লাবের হয়ে খেলে এই দুটি ক্লাবের বহু জয়ের পেছনে রেখেছিলেন বিস্ময়কর অবদান। কিন্তু মেসি কেবল স্পেনের বার্সেলোনা ক্লাবের হয়ে খেলে প্রচুর গোল করেছেন। অনেক বার সুযোগ পেয়েও বিশ্বকাপ বা কোপা আমেরিকার মতো আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টে তিনি কিছুই করতে পারেননি। এই জন্যই মেসির সম্পর্কে বলা হয়, তিনি যত না তার দেশের জাতীয় দলের, তার চেয়ে অনেক বেশি স্পেনের বার্সেলোনার।
আজকের কোপা আমেরিকার ফাইনালে নির্ধারিত সময়সহ অতিরিক্ত সময়ের খেলায় তিনি কিছুই করতে পারলেন না। অহেতুক রেফারির সাথে তর্ক করে হলুদ কার্ড দেখলেন। সব শেষে পেনাল্টি শুট আউটের ( টাইব্রেকার ) সময় একেবারে আনাড়ির মতো বল পাঠিয়ে দিলেন চিলির গোল বারের ওপর দিয়ে। হায় আর্জেন্টিনা!