নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রবাসী মন!
ঠিক আজ থেকে পনের-ষোল বছর আগের এক শবে বরাতের রাতে এলাকার এক ছেলে আমার গায়ে হিসু করে দিছিলো। রাস্তার পাশে দাড়িয়ে হিসু করতেছিল, আমি ক্রস করার সময় জল কামানটা ৯০ ডিগ্রী ঘুরিয়ে দিছিলো আমার দিকে জাস্ট। রেগে গিয়ে ধুমধাম ৪/৫ টা ঘুসি মেরেছিলাম। ব্যাস আর যাই কোথায়? সবাই ওই ছেলের ফাটা নাক আর দুই ভাগ হওয়া ঠোঁট দেখলো কিন্তু আমার ভেজা প্যান্ট নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যথা নেই! ঘরোয়া মামলায় হেরে গেলাম :/ শাস্তি স্বরূপ আমার হিটলার বাবা সাহেব আমার পাছার উপর কাঁচা গাবের ডাল দিয়ে সপাং সপাং করে শূন্য কাটাকাটি খেলার ছক আঁকলেন। লুকিয়ে আয়নায় পাছা দেখেছিলাম =D =P
প্রতিশোধ তো নিতেই হবে কিন্তু উপায় খুঁজে পাচ্ছিলাম না, পরের শবে কদরের রাতেই উপায় মিলে গেল। রাত ১১ টার দিকে দেখলাম জল কামানওয়ালা ইবাদতের বদলে নাক ডেকে মসজিদের ফ্লোরে ঘুমাচ্ছে =D সাথে সাথে মাথায় বুদ্ধির ঝিলিক খেলে গেলো আস্তে করে কামানওয়ালার পরন থেকে লুঙ্গীটা খুলে নিয়ে দিগম্বর করে ফেললাম। ওকে মসজিদের বারান্দায় ঘুমন্ত রেখে আমরা বন্ধুরা ওদের বাড়ীতে গিয়ে লুঙ্গীটা রেখে মসজিদে ফিরে এলাম মজা দেখার জন্য একটু পরেই ইমাম সাহেব চীনা বেত দিয়া খালি পাছায় সেকি মাইর মাইর খাইয়া জল কামান ওয়ালা শুধু দৌড়ায় আর লুঙ্গী খোঁজে :v লুঙ্গী তো আমরা ওদের বাড়ীতে কাপড় শুকানোর দড়ির উপর রেখে আসছি অন্ধকারে!
ছোট বেলার শবে-বরাত / শবে-কদর ইত্যাদি ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো ছিল এমন। ইবাদত তো কিছুই করতাম না, শুধু জিলাপি খাওয়ার জন্য এই মসজিদ ওই মসজিদ ঘুরতাম দল বেধে =D রাস্তায় হেঁটে হেঁটে মিলাদের জিলাপি খাওয়ার অন্য রকম একটা মজাই ছিল। এখনকার টিনেজ গ্রামের পোলাপান গুলাও ডিজিটাল হয়ে গেছে। আমাদের মত জিলাপির পাগল না, তাছাড়া এখনকার পোলাপাইন আমাদের মত মজা করে দেখতে পাই না।
-আজ বড্ড মনে পড়ে সেই ফেলে আসা দিনগুলিকে
২| ২২ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২
ডার্ক ম্যান বলেছেন: আগে শবে বরাত আর কল রেল রাতে বায়তুশ শরফ যেতাম। এখন আর কোথাও যাওয়া হয় না।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৫
বর্ষন হোমস বলেছেন:
দলবেঁধে এক মসজিদ থেকে অন্য মসজিদে জিলাপির জন্য যাওয়াত মাঝে অন্যরকম মজা আছে।যা এখন আর করা হয় না।