নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি হৃদয়ে বাংলাদেশ, প্রবাসেও বাংলাদেশ!

বহু বছর ধরে প্রবাসে দিন কাটাচ্ছি

চাটগাইয়া জাবেদ

প্রবাসী মন!

চাটগাইয়া জাবেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের রাজধানী ভারতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বিবিপিএল এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠা!

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৯

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শতমত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে "বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ বিপিএল" এ বছর বঙ্গবন্ধুর নামেই করা হয়েছে, "বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ-বিবিপিএল। খুবই ভালো কথা, কিন্তু তা ওপেনিং করা হলো কিভাবে বা কি বুঝে?

তাহলে কি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল নাকি যে; বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে হিন্দি গান আর ইন্ডিয়ান শিল্পী দিয়ে দেশীয় ক্রিকেট লীগ উদ্ভোধন করা? এমনটায় তো বুঝা যাচ্ছে...
এই জন্যই বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলাদেশ করেছেন? এটা কি বঙ্গবন্ধুকে হেয় করা হলো না?

আমি খুব ভয়ে ভয়ে ছিলাম, না জানি কখন আবেগে উতলায়া বাংলা গান গাইয়া উঠে! তখন তো আবার মান সম্মান চলে যাবে!

কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা-ই হলো! ভূলভাল উচ্চারণে 'ধন্য ধান্য পুষ্পে ভরা' গানটি রেপ করে ফেলেছে!

বাংলাদেশে শিল্পীর অভাব। দেশে যারো কিছু শিল্পী আছে তা অল্প টাকার শিল্পী, আর অল্প টাকার শিল্পী ও মুর্খ বাঙালি শিল্পী দিয়ে এসব হবে না। তাইতো কুড়ি লাখ টাকা দিয়ে ইন্ডিয়া থেকে সনু নিগামকে আনা হয়েছে। তাছাড়া আমাদের বাংলাদেশের মানুষ বাংলা কম বুঝে তাই হিন্দি গানের জন্যই ভারত থেকে আনা হয়েছে...

৫২ আর ৭১ শেষ, ডিসেম্বরে হিন্দি গান আর নাচে চেতনার বাংলাদেশ!

আমাদের দেশের এন্ডু কিশোরের মত কিংবদন্তি শিল্পী টাকার অভাবে হাত পাতছেন। আর বিপিএলে বিদেশী শিল্পীরা কোটি টাকার বিনিময়ে নেচে-গেয়ে গেছে।

বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে বিপিএলে হিন্দি গানে হেলেদুলে নিজেকে ভুলে মাতোয়ারা। আর এক সপ্তাহ পরে বিজয়ের চেতনা জেগে উঠবে আমাদের!

পুরো অনুষ্ঠানে কত মানুষ হবে জানি না। যাইহোক, প্রধানমন্ত্রীসহ সবাই মোটামুটি শিক্ষিত বাঙালী ছিল, সে অনুষ্ঠানে আমাদের মত মুর্খ-অশিক্ষিত মানুষের ঠাই ছিলনা তা নিশ্চিত। তো দেখেছিলাম সনু নিগাম গানের ফাঁকে ফাঁকে বলেছে মাস্তি হোগা, অমনিতেই সবাই দেহ দোলাই দোলাই তার আগেই হিন্দি গান গাওয়া শুরু করে দিছে। খুব আনন্দে ও মাস্তিতে ছিল খোদ প্রধানমন্ত্রীও!

হিন্দি গানের তালে তালে দেহ দোলানো অই হাজার হাজার তরুণ-তরুণীরাই ফেসবুকে এসে আবার চেতনার বানী ছুড়ে মারবে। "বাংলা আমার গর্ব, বিজয় আমার অহংকার, ডিসেম্বর আমার চেতনা"! কিন্তু অই সময় যে বাংলা এবং বিজয়কে মাস্তি হোগা মেরে গর্ভ করে দিয়েছে তা ভুলে যাবে!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: সমালোচনা করা বাদ দেন।
যাই হইছে ভালৈ হইছে।

২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৬

রাশিয়া বলেছেন: বিজয়ের চেতনা ভারতের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। ৭১ এর বিজয় উৎসব ভারতীয় আর বাংলাদেশিরা মিলেমিশেই করেছিল। ভারতের প্রতি সীমাহীন আনুগত্যের কারণে সরকার ১০ বছরের বেশি সময় একটানা ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছে। তাই হিন্দির শিল্পী এনে বাংলা গানকে রেপ না করলে কি আর মাস্তি হয়? আমি মনে করি আপনার এই লেখাও চেতনা বিরোধি। ইন্ডিয়া সাহায্য করেছিল বলেই আমরা স্বাধীন হতে পেরেছিলাম। ইন্ডিয়া প্রটেকশন দিয়েছে বলেই চেতনার সরকারকে এতদিন ক্ষমতায় পেয়েছেন। ইন্ডীয়াকে তাই সৌভাগ্যের রক্ষাকবচ বিবেচনা করেই চলা উচিত।

৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কৃষ্ণ করলে লীলা
আমরা করলে পাপ- এতো বাণী চিরন্তনি!

আহা আপনি দেখেন নি- সাল্লু যখন মাননীয়ার চোখ নিয়ে বলছিল- হাসিন আঁখেেআহা তিনি লজ্জ্বায় চোখ ঢেকে ফেলেছিলেন!
আহা ! কি অনুভূতিপ্রবণ আবেগের প্রকাশ!

যা কিছু সবেই তোমরাই দান
হেরিছে সকাশে তারই প্রতিদান
বিজয়! সেতো মুক্তিযোদ্ধার অর্জন নয়,
যেন কারো করুনার দান!

হায় চেতনা!
হায় বিজয়!
বিজয়রে মাসেই
কলংকিত হয়!

আবার দেখবেন ফ্রেব্রুয়ারীতে তারা আসবে!
নটিনি নাচবে, গাইবে কোটি কোটি টাকা নিয়ে যাবে!
একুশের চেতনাতো কেবল ২০ তারিখ মধ্যরাতেই!
পিলখানা ট্র্যাজিডিকে ভুলিয়ে দিতেই দেখেন নি পরের বছরই
কি মহাসমারোহে হয়েছে মাস্তি উৎসব!

হায়! মুক্তিযুদ্ধের শহীদ আত্মারা গুমড়ে কেঁদে ফেরেেআর কেউ গায় না -

সব কটা জানালা খুলে দাওনা
আমি গাইব গাইব বিজয়েরই গান - - - -





৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১২

রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: কিচ্ছু বলার নাই। ইহাই বাংলাদেশ!
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ!
আও মেরে ভাই মাস্তি হোগা, মাস্তি করেগা.....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.