নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রবাসী মন!
১৯৮৪ সালে সোয়া লাখ টাকা বেতনের চাকুরী, কেমব্রিজ ভার্সিটির অধ্যাপক, সম্মানের লেভেলটা বুঝতে পারছেন তো ?
এই চাকুরী অবলীলায় পেছনে রেখে দিয়ে এইদেশে চলে এসেছিলেন। যোগ দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়য়ে, মাত্র সাড়ে তিন হাজার টাকার চাকুরীতে। ভাবতে পারছেন? আপনি কিংবা আমি হলে এই লোভনীয় সুযোগ হাতছাড়া করতে পারতাম?
কেন ফিরে এসেছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন- আমার বাড়ি চট্টগ্রামে, এ জন্য এখানে জয়েন করি। আমি আমার দেশকে ভালোবাসি, আমি এখান থেকে নিতে আসিনি আমি দিতে এসেছি’।
স্টিফেন হকিংস এর নাম শুনেছেন তো? বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে নামকরা জীবিত বিজ্ঞানী। যার চরিত্রের উপর তৈরি করা সিনেমা থিওরি অব এভ্রিথিং সমগ্র বিশ্বে সাড়া ফেলেছে। এই মানুষটা ছিলেন ছাত্র জীবনে স্টিফেন হকিংস এর বন্ধু আর রুমমেট। লেভেলটা বুঝতে পারছেন তো ?
১৯৮৩ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস থেকে প্রকাশ করেন আল্টিমেট ফেইট অব দা ইউনিভার্স। তাবৎ দুনিয়ার রথি মহারথীদের দৃষ্টি একদিকে নিয়ে আসতে পেরেছিলেন এক বই দিয়ে।
তার গবেষণার উপর ভিত্তি করেই পদার্থবিজ্ঞানের নতুন অধ্যায়ের সুচনা হয়। তার অবদানের কথা অকপটে স্বীকার করেন নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী ওয়েইনবারগ। তিনি বলেন, ‘‘we are particularly indebted to Jamal Islam, a physicist colleague now living in Bangladesh. For an early draft of his 1977 paper which started us thinking about the remote future” ভাবতে পারছেন? কি বড় মাপের মানুষ ছিলেন তিনি?
নোবেল জয়ী বিজ্ঞানী আব্দুস সালাম বলেছিলেন, এশিয়ার মধ্যে আমার পরে যদি দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তি নোবেল পুরস্কার পায়, তবে সে হবে প্রফেসর জামাল নজরুল ইসলাম’
এই মানুষটার মৃত্যুবার্ষিকী ছিলো আজ। অথচ নেই কোন স্মরণ, নেই তার কাজের উপর আলোচনা! আমরা পারিও বটে :/ যে জাতি জ্ঞানীদের সম্মান দিতে জানে না, সেই জাতি খুব দ্রুতই নিশ্চিহ হয়ে যায়!
ও হ্যাঁ, এই মানুষটাই কিন্তু সর্বপ্রথম ১৯৭১ সালে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে বাংলাদেশে পাকিস্তানী বাহিনীর আক্রমণ বন্ধের উদ্যোগ নিতে বলেছিলেন। আর ওনার জীবনী সম্পর্কে বলতে গেলে তো বলে শেষ করা যাবে না!
ভালো থাকবেন স্যার, পারলে আমাদের ক্ষমা করে দিবেন!
বিঃদ্রঃ ছবি গুগল থেকে ও সুত্র গুলো উইকিপিডিয়া, ব্লগ, ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন পত্রিকা থেকে সংগ্রহীত ও সম্পাদিত।
২| ১৭ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:০৬
এপোলো বলেছেন: প্রফেসর জামাল নজরুল ইসলাম আমাদের কনভোকেশনের প্রধান বক্তা ছিলেন। ঊনার সাথে করমর্দন করতে পারাটা একটা সৌভাগ্যের ব্যাপার। ডঃ ইসলাম বৈজ্ঞানিক মহলে যত বড় একটা ব্যাক্তিত্ব ছিলেন, দেশের মধ্যে সে পরিমান সমাদর পান নি বলেই মনে করি।
আমাদের দুর্ভাগ্য! উনি জান্নাতবাসী হোক, সেই কামনা করি।
৩| ১৭ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: এই মানুষটা শেখ মুজিব কে নিয়ে কিছু লিখেছেন? আওয়ামীলীগ এঁর সাপোর্টে কিছু বলেছে? শেখ হাসিনার বন্দনা করেছে?
৪| ১৭ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:১৭
রিফাত হোসেন বলেছেন: ডঃ ইসলাম বৈজ্ঞানিক মহলে যত বড় একটা ব্যাক্তিত্ব ছিলেন, দেশের মধ্যে সে পরিমান সমাদর পান নি বলেই মনে করি।
পূর্ণ সহমত।
তবে এর সাথে এটাও যোগ করতে চাই যে, উনার থেকে দেশ আদায় করতে পারে নি। দেশের ব্যর্থতা, আমাদের ব্যর্থতা। হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ হয় যেখান থেকে টাকা মারা যায়। কিন্তু শিক্ষা-জ্ঞান-গবেষণায় কতটুকু হয় আমাদের দেশে?
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই মার্চ, ২০২২ ভোর ৪:০৫
গরল বলেছেন: অনেক বছর আগে, কলেজের ছাত্র থাকাকালীন উনার বক্তৃতা শুনতে গিয়েছিলাম বিজ্ঞান জাদুঘরে। অসম্ভব ভালো লেগেছিল উনার কথাগুলো। ফিরে না এসে ওখানেই থেকে গেলে হয়ত উনিও গবেষণা করে নোবেল পেয়ে যেতেন। আফসোস যে উনার মত বিজ্ঞানীকে আমরা কোন কাজেই লাগাতে পারলাম না।