![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বারবারা এসো, রবিশঙ্করের সুরে সুরে মুমূর্ষু মানবতাকে গাই বিবেকের জংধরা দরোজায় প্রবল করাঘাত করি অন্যায়ের বিপুল হিমালয় দেখে এসে ক্রুদ্ধ হই, সংগঠিত হই জল্লাদের শাণিত অস্ত্র সভ্যতার নির্মল পুষ্পকে আহত করার পূর্বে, দর্শন ও সাহিত্যকে হত্যা করার পূর্বে এসো বারবারা বজ্র হয়ে বিদ্ধ করি তাকে।
Telekinesis অথবা Psychokinesis এর কথা আমরা হয়তবা অনেকেই জানি। গ্রীক ভাসায় "psyche" অর্থ mind, আর "kinesis" অর্থ motion বা movement। অর্থাৎ Psychokinesis অর্থ দাঁড়াচ্ছে "mind-movement"। অন্যদিকে telekinesis অর্থ "distant-movement"। অর্থাৎ মন বা হৃদয় দ্বারা কোন solid অথবা liquid বস্তুর নড়াচড়া নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতাকেই telekinesis বলে। যদিও এই ক্ষমতা আসলেই exist করে কিনা তা এখনো কোন বৈজ্ঞানিক উপায়ে প্রতিপাদন করা সম্ভব হয়নি। তবে অনেক বিজ্ঞানিই বিশ্বাস করে সব মানুষএর ভিতরেই কিছু না কিছু (মানুষ ভেদে কম বেশি) এই ক্ষমতা আছে।
ইদানিং হলিউড মুভিগুলোতেও দেখা যাচ্ছে এই ব্যাপারটা খুব বেশি আসছে। আসলে telekinesis যে এই বিংশ শতাব্দীর idea তা কিন্তু না। বহু আগে থেকেই মানুষ এই জিনিশে বিশ্বাস করে এসেছে। Telekinesis শব্দটা প্রথম ব্যাবহার করা হয় ১৮৯০ সালে। Alexander N. Aksakof নামক একজন বিজ্ঞানি প্রথম এই ধারনা প্রচার করে। আমরা যারা star wars দেখেছি তারা জানি যে জেডাইরা telekinetsis পারতো। ৬ নাম্বার পর্বে আমরা দেখেছি লুক স্কাইওকার কে Yoda telekinetic শেখাচ্ছিল। ইদানিং কালের কথা যদি বলি তাহলে আমরা যারা Avatar: The Legend of Aang দেখি তারা জানি বিভিন্ন রকম bender এর কথা যারা মাটি, পানি বা আগুন কে control করতে পারে। তাছাড়া অতিসম্প্রতি Looper, Red Lights, Chronicle নামক sci-fi মুভিগুলো এই telekinesis এর থিম এর উপরেই বানানো হয়েছে। এগুলোতে মূলত বস্তুর উপরে মানুষের vast ক্ষমতা দেখানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে মানুষের এই ক্ষমতা এত প্রবল হয় না বলেই বিজ্ঞানিদের বিশ্বাস।
বাস্তব উদাহরণ দিতে গেলে খুব সহজ একটা উদাহরণ এইভাবে দেয়া যায়। লাইফ এ কখনও লুডু খেলেনি এমন লোক মনেহয় আমাদের মাঝে খুব কমই আছে। আমার জানি লুডু খেলার সময় এমন কিছু লোক পাওয়া যায় যাদের সবসময়ই ৬ অনেক বেশি পরে। আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন এমন কেন হয়? বিজ্ঞানিদের বিশ্বাস ছক্কার গুটির উপর আমাদের মনের একটা প্রভাব কাজ করে যা কিনা কিছুটা হলেও ওই ছক্কার গুটির movement কে নিয়ন্ত্রন করে। আমাদের মনে লুডু খেলার সময় একটা ইচ্ছা কাজ করে যেন ছয় পরে। যার এই ইচ্ছাশক্তি যত বেশি প্রবল হয় ছক্কার উপর তার প্রভাবও তত বেশি হয়। যেহেতু সবার এই ক্ষমতা সমান না তাই কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রেই শুধু এটা দৃষ্টিগোচর হয়। বাকিদের ক্ষমতা ওইভাবে বোঝা যায় না। বাইরের দেশে casino গুলোতে এই জিনিস খুব বেশি দেখা যায়। casino গুলোতে দেখা যায় কারো কারো এই ক্ষমতা এতই প্রবল থাকে যে প্রতি ক্ষেত্রেই তারা দান জিতে যায়। এই কারনে অনেককেই casino গুলোতে একসময় আর খেলতে দেয়া হয় না বা কোন প্রতিপক্ষই তাদের সাথে আর খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করে না। এই telekinesis এর উপরে Pamela Rae Heath এর লেখা "Mind-Matter Interaction" নামে একটা বেশ বিখ্যাত বই আছে যেখানে কিনা তিনি এই ব্যাপারগুলোর বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যাখ্যা দেবার চেষ্টা করেছে। ২০০৬ সালে একবার ৩৮০ জন ছাত্রের উপর একটা meta-analysis চালানো হয় telekinesis পরীক্ষা করার জন্য। সেখানে পরিক্ষার ফলাফল খুব একটা positive ছিল না। খুব সামান্য পরিমানে telekinesis ক্ষমতা পাওয়া গিয়েছিল যেটা কিনা অনেকের মতেই একটা "publication bias"। publication bias কি এটা জানা না থাকলে এইখান থেকে জেনে নিতে পারেন।
http://en.wikipedia.org/wiki/Publication_bias
ইতিহাসে কিন্তু এমন অনেকেই আছেন যাদের এই ক্ষমতা আছে বলে figure out করা গেছে বলে claim করা হয়। যেমন The Six Million Dollar Man এর বিখ্যাত লেখক Martin Caidin claim করতেন তার এই ক্ষমতা আছে। তিনি একবার এক অনুষ্ঠানে live টেবিল এ থাকা একটা psi wheel (এক ধরনের pyramid shaped device) ঘুরিয়ে দেখিয়েছিলেন বলে জানা যায়। একইভাবে, Matthew Manning, Chizuko Mifune, Eddy Brothers, Paul Twitchell, A. W. Underwood প্রমুখ বাক্তিবর্গ এই claim করতো। এছারা PK party নামে একটা পার্টি আছে যারা কিনা telekinesis চর্চা করে।
এখন একটু বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যাপারটাকে চিন্তা করা যাক। যেহেতু ব্যাপারটা theoretically prove করা সম্ভব হয় নি তাই এইটা নিয়ে কোন experiment করতে বা পয়সা খরচ করতে কেউই রাজি না। তাই এইটা নিয়ে খুব বেশি experiment করা হয় নি। Martin Gardner ও Thomas Gilovich দাবি করেছেন, যদি এই ক্ষমতা exist করে তাহলে পদার্থবিদ্যার অনেক basic law কে সেটা violate করবে। যেমন, বিপরীত বর্গ সুত্র, তাপ গতিবিদ্যার দ্বিতীয় সুত্র ও শক্তির নিত্যতা সুত্র ইত্যাদি। কিন্তু ১৯৯০ সালে লিখিত Biological Utilization of Quantum Nonlocality নামক একটা research paper এ coauthor Fotini উল্লেখ করেন যে quantum physics থেকে এর প্রমান পাওয়া সম্ভব। Gerald Feinberg, Tachyon কণা দ্বারা telekinesis এর একটা মডেল দাড়াও করিয়েছেন। তিনি দেখান যে এই কণার ধর্ম থেকেই খুব সহজে psychokinesis ব্যাখ্যা করা সম্ভব। Haakon Forwald নামক একজন ইঞ্জিনিয়ার দাবি করেন যে মানুষের মানুষের মানসিক মিথস্ক্রিয়ার ফলে atomic level এ নিউট্রন প্রোটন এর action এর ফলে gravitational field তৈরি হয় তার দ্বারা psychokinesis ব্যাখ্যা করা সম্ভব। অবশ্য general relativity দিয়ে এই hypothesis আবার ভুল প্রমান করা সম্ভব। অবশ্য United States National Academy of Sciences বাদি করে তারা নাকি classified কিছু experiment এর মাধ্যমে micro level telekinesis এর প্রমান পেয়েছে।
Parapsychology: The Controversial Science (1991) নামক বই এ ব্রিটিশ parapsychologist Richard S. Broughton, Ph.D লিখেছেন Princeton Engineering Anomalies Research Lab এ নাকি telekinesis এর উপরে বহু experiment হয়েছে যা কখনও publicly publish করা হয় নি। কেন হয়নি তার পেছনে অনেক conspiracy theory আছে। সেদিকে আমি আর এখন যাবো না।
Telekinesis প্রমানের জন্য সবথেকে বেশি বাবহৃত হয় cognitive bias theory.
এখন বলি telekinesis নিয়া কিছু মজার ব্যাপার। পৃথিবীতে অনেক organization আছে যারা telekinetic ability এর প্রুভ দিতে পারলে বিশাল অংকের prize money এর ঘোষণা দিয়েছে। এমনি কিছু organization এর লিস্ট এখান থেকে দেখে নিতে পারেন। হয়তো আপনিও পেয়ে যেতে পারেন বিপুল সংখক টাকা।
Click This Link
জেনে হয়তো অবাক হবেন বিদেশে অনেক জায়গাতেই telekinesis বাড়ানোর training দেয়া হয়। এছারা আপনি কিন্তু অনলাইনএও শিখতে পারবেন কীভাবে আপনি নিজের ক্ষমতা বাড়াবেন। তার মধ্যে এই সাইট টা খুবই আকর্ষণীয়। তারা step by step একদম অডিও ভিডিও tutorial এর মাধ্যমে এটা শিখাচ্ছে।
http://learn-telekinesis-training.com/
যদিও এটা বারানো কিন্তু খুব সহজ না। সবার প্রথমে নাকি আপনাকে নিজের mind কে control করতে শিখতে হবে। কোন একটা জিনিস এ গভিরভাবে মনোনিবেশ করতে শিখতে হবে। এটা করার প্রথম step হল mind কে একদম vacant করে ফেলা যেটা কিনা সবথেকে কঠিন। অর্থাৎ সকল চিন্তা ভাবনা থেকে মুক্তি দিয়ে আগে mind কে পুরোপুরি free করতে হবে। তারপরই কোন একটা জিনিস এর উপর আপনার পূর্ণ মনোযোগ ধাবিত করা সম্ভব হবে। চেষ্টা করে যান। হয়তো আপনিই বদলে দিতে পারবেন পৃথিবী।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৮
তেপান্তর মন বলেছেন: কোন পার্ট টা ধরতে পারেন নাই? বুঝায় দেয়ার আরেকটা ট্রাই নিতাম
২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩২
নাজনীন১ বলেছেন: ইন্টারেস্টিং পোস্ট!
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪০
তেপান্তর মন বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনাদের এই প্রেরণাই আমায় ভবিষ্যতে আরো ভালো কিছু লেখার উদ্দীপনা যোগাবে।
৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৪
আধখানা চাঁদ বলেছেন: নাজনীন১ বলেছেন: ইন্টারেস্টিং পোস্ট!
সহমত।
টেলিকাইনেসিস থাকলে আমার সব পোস্ট নির্বাচিত পাতায় নিয়ে যেতাম।
পোস্টে প্লাস।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৭
তেপান্তর মন বলেছেন: telekinesis দিয়া মনে হয় ওইটা পারবেন না। প্লাস এর জন্য ধন্যবাদ।
৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪১
কান্টি টুটুল বলেছেন:
আচ্ছা আপনার কি মনে হয় ধর্মগুরুরা এসবের চর্চা করতেন?
চোর-ডাকাত বা যারা ভোগবিলাসে মত্ত থাকেন তাদের দ্বারা মন নিয়ন্ত্রণ মনে হয় সম্ভব না।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৯
তেপান্তর মন বলেছেন: হতে পারে। যেহেতু প্রায় সব ধরমেই শোনা যায় যে ধর্মগুরুরা লোকালয় থেকে দূরে গিয়ে ধ্যান করতেন হয়তো এইটা mind কে concentrate করার জন্যই। এখনো তো meditation করেন অনেকেই যেন mind কে concentrate করা যায়। আমিও মাঝে কিছুদিন quantum method এ meditation কোর্স নিছিলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩২
কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: এন্টিনার উপ্রে দিয়া গ্যাছে গা, সিগন্যাল ধর্তে পারি নাই।