নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কথা সর্বস্ব

নিঃস্ব হবো জেনেও, দর্শনার্থী আমি।

বাবু পাগলা

আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্য মারা যাবো ছোট ঘাসফুলের জন্যে ... একটি টলোমলো শিশিরবিন্দুর জন্যে .. আমি হয়তো মারা যাবো চৈত্রের বাতাসে উড়ে যাওয়া একটি পাঁপড়ির জন্যে ! একফোঁটা বৃষ্টির জন্যে ...

বাবু পাগলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সময়কে নির্ধারণ করতে দিন কারা কালজয়ী লেখক কারা নয়

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১৩

হুমায়ূন আহমেদের লেখা নিয়ে আনিসুল হকের সমালোচনাঃ



১.

"তিনি সর্বদা যুক্তাক্ষর ব্যবহার করেন না। করলে খুবই কম করেন কিংবা মজা করার জন্য করেন। যেমন : "ইনি একজন ভদ্রলোক। বিশিষ্ট ভদ্রলোক।" এ্ই বিশিষ্ট শব্দটি তিনি ব্যবহার করেন মজার জন্যেই।"

২.

"তাঁর বাক্য কখনোই পাঁচ শব্দের বেশী হয় না । "একজন সুন্দর, লম্বা, চিকন, ফর্সা, লম্বাচুল,দীর্ঘকর্ণ, তিলবিশিষ্ট নারী আসছে।"_এই বাক্যটি হুমায়ূন আহমেদ কখনোই এরকম লম্বা করে লিখবেন না। তিনি লিখবেন : "একটা মেয়ে আসছে। লম্বা ধরণের মেয়ে। দেহটা চিকন। কানদুটো লম্বা। ধবধবে ফরসা। লম্বা চুল। কান বড়। মুখে তিল। মায়াবতী। বড়ই মায়াবতী।" বুঝতেই পারছেন, ক্লাস ওয়ানের সবুজ সাথী বইতে এরকম বাক্য আমরা পড়েছি। ''মা। কলম । কলা। আমার মা । লাল কলম। লাল কলম ভাল। ইহা কলা। ইহা পাকা কলা। আমি কলা খাব।" ফলে তাঁর বাক্য পড়তে অসুবিধা হয় না। আমাদের দেশে ক্লাস ওয়ান পাস লোকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশী। ক্লাস টুতে বাকি অর্ধেক ছাত্র ঝরে যায়। ক্লাস ওয়ান পাস লোকজন বই পড়ে না, পড়ে এসএসসি এইচএসসির লোকজন_এরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। কেউ জনপ্রিয় হতে চাইলে লিখতে হবে এদের টার্গেট করে। হুমায়ূন আহমেদও তাই করেন। সেক্স রাখেন কম, এক লাইনে। ছোটবোন বড়বোনকে জিজ্ঞাসা করবে- "আপা , চুমু খেলে নাকি বাচ্চা হয়।'' ব্যাস, এই পর্যন্তই।"



আমার কথাঃ



মাধ্যমিক পর্যায়ে আমাদের শ্রী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি প্রবন্ধ পড়তে হয়েছিল। নামটা খুব সম্ভবত "রচনার শিল্পগুণ"। প্রবন্ধটিতে উনি এত প্রাঞ্জলতার কথা বলছেন, অর্থব্যক্তির কথা বলছেন অথচ এই প্রবন্ধটাই আমার কাছে এই রচনার শিল্পগুণ সম্পন্ন মনে হ্য় নি। এর শব্দ চয়ন যেমন কঠিন মনে হয়েছে, ভাষার ব্যাবহারও মনে হয়েছে, তেমনি জটিল । এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। ১৮৩৮-১৮৯৪ সালে লেখা একটা প্রবন্ধ এ সময়ে এসে আমার কাছে প্রাঞ্জলতাহীন মনে হতেই পারে। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় চেয়েছিলেন তার সমসাময়িক বা তার পুর্ববরতী লেখকদের বলয় ভেংগে নতুন একটা স্টাইল তৈরি করতে। তিনি করেছেন। হুমায়ুন আহমেদও প্রচলিত নিয়ম ভেংগে নিজের স্টাইল তৈরি করে নিয়েছেন। এবং তিনি সফল।



আমার ধারণা, এই সকল কালজয়ী লেখকদের (যারা দাবী করেন হুমায়ুন আহমেদের লেখা হারিয়ে যাবে আর ওনাদের লেখা হাজার বছর বাংলা সাহিত্যে, ম্যাজিক টুত পাউডারে মাজা দাতের মত জ্বলজ্বল করবে) গাত্রদাহের কারণ ওনাদের বই এর কম কাটতি।



বলি, মামা ভালো বই লিখুন মানুষ কিনবে। অন্যের পিছনে লাগা ছাড়ুন। সময়কে নির্ধারণ করতে দিন কারা কালজয়ী লেখক কারা নয়।



আপনার 'মা','ক্ষুধা এবং ভালোবাসার গল্প','বীর প্রতীকের খোঁজে' বই গুলো ভালো লিখেছেন। আমি দোকান থেকে নগদ টাকা খরচ করে কিনেছি।



জানি না কালজয়ী লেখকদের কেন পয়সা পাওয়ার লালসা হয় !!

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২১

কালোপরী বলেছেন: :)

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১৭

বাবু পাগলা বলেছেন: :) :D :)

২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: :)

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১৭

বাবু পাগলা বলেছেন: :) :) :)

৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৫

আলুমিয়া বলেছেন: আপনার অভিমত সুন্দর করে আপনার লেখায় এসেছে। ভাল হয়েছে সমালোচনা।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৪

বাবু পাগলা বলেছেন: ধন্যবাদ। :) :) :)

৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

এম.এল.এইচ বলেছেন: প্রত্যেক লেখকের লেখার ভিন্নতা আছে।
একজন লেখক কখনোই পরিপূর্ন নয়।
তাই সমালোচনা থাকতেই পারে, এটাও সাহিত্য চর্চার মধ্যে পরে।
আমি মনে করি আনিসুল হক এর সমালোচনাও ভাল হয়েছে আপনার মত।

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮

বাবু পাগলা বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

সবই বুঝলাম। তবে একটা কথা হচ্ছে, আনিসুল হক তিনি বিজ্ঞ মানুষ, তিনি সমালোচনা করতে পারেন। এ ব্যাপারে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু সমালোচনায় ভালো-মন্দ উভয় দিকটাই তো উঠে আসা উচিত, ন্য় কি ? এত রং এর ত্যানা প্যাচাইলেন কিন্ত এটুকু স্বীকার করতে ওনাদের সমস্যা যে একটা গোটা প্রজন্মের মাথায় বই এর পোকা ঢুকানোর কৃতিত্ব এই মানুষটার।

৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

রফিক মাহমুদ বলেছেন:
রেফারেন্স দেবেন? পুরোটা পড়ে দেখতে চাই।
এটা কি সেই আনিসুল হক, যিনি স্থাপত্যে ডিগ্রীধারী (হুমায়ূনও রসায়নে), এবং বাংলা ক্রিয়াপদ নিয়ে এত সমস্যায় থাকেন যে , "খাইসি, করসি" এই সব রূপ ব্যবহার করেন?

৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৩

গর্বিত বাঙালী বলেছেন: আনিসুল হক স্যার আপনিও ভাল বই লিখুন। আমরা পড়ব। হুমায়ুন আহমেদ স্যারের বিকল্প পেতে আমাদের কত অপেক্ষা করতে হয় দেখুন। এক হুমায়ুন আহমেদ স্যার যত পাঠক তৈরী করে দিয়ে গেছেন আর বাদবাকী সবাই মিলে ততটা তৈরী করতে পেরেছে কিনা দেখুন দয়া করে ? পাঠকের মন বুঝতে পারাটাই লেখকের সার্থকতা, কঠিন কঠিন বাক্য দিয়ে পাঠকের পড়ার আনন্দ নষ্ট করার মধ্যে না।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৬

বাবু পাগলা বলেছেন: সহমত :) :) :)

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫২

বাবু পাগলা বলেছেন: "পাঠকের মন বুঝতে পারাটাই লেখকের সার্থকতা, কঠিন কঠিন বাক্য দিয়ে পাঠকের পড়ার আনন্দ নষ্ট করার মধ্যে না। "

কলিজার কথাটা কইলেন ভায়া । :) :) :)

৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৮

গ্রামের মানুষ বলেছেন:
চটকনায় ভালু আওয়াজ হইছে। দূরে বইসাও শব্দ শুনতে পাইছি ;);)

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২১

বাবু পাগলা বলেছেন: চটকনা মানে প্রথমে কি বাইর হইসিলো আহেন আপনেরে কানে কানে কই -

"আরে, আনিস মামা, তোমারে তো এতদিন বালা পাইতাম, তুমিও গেলা গা কালজয়ীদের দলে, শুরু করলা ত্যানা প্যাচানি ? আরে বাংলারে বাংলায় লিখবো নাতো কি চাইনিজে লিখব নাকি !! আজিব কথা। আইসে আমার মহান লেখক। তেনারা বই লেখেন স্নাতক উত্তীর্ণ পুলাপাইনের জইন্য।"

X( X( /:) ;) ;) X( :-P :-P =p~ =p~ =p~

৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



:) :) :)

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

বাবু পাগলা বলেছেন: :D B-) :D

৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩

পড়শী বলেছেন: উনারা বই লেখেন পি এইচ ডি ধারী বিশেষজ্ঞদের জন্য। জ্ঞানী লোকের লেখা বইগুলি জ্ঞানী লোকেরাই পড়ুক।

আমাদের মেট্রিক পাশ আম পাবলিকের জন্য আরো একজন হুমায়ূন থাকলে খুব ভালো হতো। কি জানি আবার কবে আর একজন হুমায়ূন আসবেন?

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০০

বাবু পাগলা বলেছেন: খাটি কথা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.