নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Ambivert, Swimmer Against The Stream, But I\'m Not Anti-Social I\'m Anti-Idiots.

জ্যাক স্মিথ

লিখতে না পড়তে ভালো লাগে, বলতে না শুনতে ভালোবাসি, সেমি-ইন্ট্রোভার্ট।

জ্যাক স্মিথ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকা শহরকে কেন পরিত্যক্ত নগরী ঘোষণা করা হবে না?

০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:১১



মূহুর্তেই হাত-পা সব অবশ হয়ে এলো, মনে হলো এখুনি হয়তো মারা যাবো

ঢাকা কি একদিন আবর্জনার স্তূপের নিচে চাপা পড়ে যাবে?

দাবী একটাই ঢাকা শহরকে পরিত্যক্ত নগরী ঘোষণা করা হউক, কোন সুস্থ মানুষের পক্ষে এই শহরে বসবাস সম্ভব নয় ( ঠিক যেন বাঙালীদের শহর ) এই শহরের সবাই অসুস্থ, চারিদিকে অসুস্থ প্রতিযোগিতা। ঢাকার বিশ্রী অবস্থা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই তবুও কিছু কথা না বললেই নয়- ক্রাইমের শহর, ধুলোবালির শহর, শব্দ দূষণের শহর, যানজটের শহর, মশা-মাছির শহর, ময়লা-আবর্জনার শহর, পেশাব-পায়খানার শহর, মসজিদের শহর, আগুনের শহর এই ঢাকা শহর আজ যেন এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে! পুরো শহরটাই যেন মস্ত বড় এক ডাস্টবিন। এই শহরের প্রতিটি অলিতে গলিতে মৃত্যু যেন ওত পেতে রয়েছে; আপনি বাসা থেকে বের হবেন কিন্তু জীবিত অবস্থায় বাসায় ফিরতে পারবেন কি না তার কোন নিশ্চয়তা নেই। :||



এত খিস্তি-খেউর করার কারণ হচ্ছে- বেইলি রোডের যে ভবনটিতে আগুন লাগিয়ে ৪৬ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হলো ( আমি এটাকে হত্যাই বলবো, এটি ইচ্ছাকৃত খুন বই কিছু নয় ) তাদের মৃত্যুর সময়কার দৃশ্যপট চিন্তা করে আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি, গতরাতেও ঠিক মতো ঘুমোতে পারিনি, দিনেও ঘুম হয় নি। আজ দুপুরে সবেমাত্র ঘুম ঘুম ভাব হচ্ছে.... হঠাৎ মনে হলো পুরো ভবন যেন থরথর করে কাঁপছে!! এই বুঝি তুরস্কের মত আরেকটি ধ্বংসযজ্ঞ ( ভূমিকম্প ) শুরু হবে..... মূহুর্তেই হাত-পা সব অবশ হয়ে এলো, মনে হলো এখুনি হয়তো মারা যাবো, একটু ধাতস্থ হতেই ভাবলাম 'এটা কি আসলেই ভূমিকম্প না আমার ঘোর?'
-এ কথা ভেবেই ফ্যানের দিকে তাকালাম যে ফ্যান দুলছে কি না?
-কিন্তু না, ফ্যান দুলছে না।
-কিন্তু তাহলে আমার এমন কেন মনে হলো?
-দৌঁড়ে গেলাম বাথরুমে, বাথরুমের বালতিতে যে পানি রাখা আছে তা নড়ছে কি না তা দেখতে।
-কিন্তু নাহ, বালতির পানিও একদম শান্ত আছে, এবার একটু আশ্বস্ত হলাম যে আসলে ভূমিকম্প হয়নি, এটা আমার মনের ভুল ছিল।

গতরাতেও ঘুমের মাঝে আঁতকে উঠেছি বেশ কয়েকবার- মানুষের চিৎকার, মনে হতো মানুষগুলো; আগুন.. আগুন.. বাঁচাও.. বাঁচাও বলে চিৎকার করছে! কেউ হয়তো বাঁচার জন্য জানালা দিয়ে লাফ দিচ্ছে, কারো গায়ে আগুন লাগার কারণে চিৎকার করতে করতে হয়তো ফ্লোরে গড়াগড়ি খাচ্ছে, কেউ কেউ জানালা দিয়ে বাইরে হা করে অক্সিজেন নেয়ার চেষ্টা করছে, কেউ হয়তো ফোনে প্রিয়জনের কাছ থেকে শেষ বিদায় নিচ্ছে, কেউ হয়তো পানি পানি বলে চিৎকার করছে, কারো চোখের সামনেই হয়তো আপনজন জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে কিন্তু কোন সাহায্য করতে পারছে না.....ইত্যাদি সব হৃদয়বিদারক দৃশ্য কিছুক্ষণ পরপর মনস্পটে ভেসে উঠতেই ঘুম থেকে আঁতকে উঠতাম, আজ রাতেও ঘুমোতে পারবো কি না ঠিক নেই। :(



আসলে আমার এ সমস্যার কারণ হচ্ছে- কোথাও কোন দুর্ঘটনা ঘটলে আমি সাধারণত সে সব নিউজগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ি, দুর্ঘটনার বিভিন্ন ফুটেজ দেখি, স্টোরিস শুনি এরপরের কয়েকদিন পর্যন্ত আমি ঠিকমত ঘুমোতে পারি না; একটু ঘুমের ঘোর শুরু হলেই আমার মাথায় ভিতর এসব মর্মান্তিক দৃশ্য চিত্রায়িত হতে থাকে এবং আমি অস্থির হয়ে যাই, যে কারণে বেইলি রোডে আগুন লাগার খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমি দেশীয় সব ধরনের নিউজ দেখা বন্ধ করে দেই, যাতে এসব মর্মান্তিক ঘটনা আমাকে না শুনতে হয়, না দেখতে হয়। কিন্তু গতকাল কিভাবে যেনো আগুন রিলেটেড একটা নিউজ দেখে ফেলি আর ওটা দেখতে গিয়েই একে একে আগুনের সব নিউজ, সব ঘটনাই আমার দেখা হয়ে যায় আর তারপর থেকেই শুরু হয় আমার অস্থিরতা। :((

ঠিক কেন যেন 'মানুষের মৃত্যু' বিষয়টা আমার ব্রেইন ঠিকমত নিতে পারে না- মানুষকে মরতে হবে কেন? এত বছর জীবিত থেকে এত কষ্ট করে এতকিছু করে শেষ পর্যন্ত মরতে হবে কেন? মরে কি লাভ? না মরলে সমস্যা কি? মৃত্যুর সময় মানুষ কি ভাবে?..... ইত্যাদি সব বিষয় আমার মাথায় ঘুরঘুর করে, বিশেষ করে ঘুমের সময়। :||



বেইলি রোডের আগুনে এখন পর্যন্ত যে ৪৬ জনের মৃত্যুর হয়েছে, যার মধ্যে একই পরিবারের বেশ কয়েকজন মারা গিয়েছে, প্রতিটি মৃত্যুর পিছনে রয়েছে আলাদা আলাদা স্টোরি, আলাদা আলাদা কষ্ট, তবে মৃত্যুর যে ঘটনাটি আমাকে সবচেয়ে বেশি নাড়া দিয়েছে তা হচ্ছে- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইতালি প্রবাসীর পুরো পরিবারের এক সাথে ৫ জনের মৃত্যু!!! ভাবা যায়? মা, বাবা, সন্তান, ভাই, বোন একই পরিবারে সবাই একটি কক্ষে আটকা পরেছে, আগুনের কালো ধোঁয়া তাদের দিকে এগিয়ে আসছে.... লেলিহান আগুনে চোখের সামনে প্রিয়জন জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে.... কেউ কাউকে সাহায্য করতে পারছে না.... উফ!! আর ভাবতে পারছি না.... ভয়ঙ্কর এ ঘটনা একেবারে সহ্যের বাইরে!! এর চেয়ে বেশি মর্মান্তিক দৃশ্য পৃথিবীতে আর কোন কিছুই হতে পারে না!! ভয়াবহ এ দৃশ্যটি যতবার আমার মনোস্পটে ভেসে উঠে ততবারই আমি অস্থির হয়ে যাই!!! ঘটনাটি বেশিক্ষণ চিন্তাই করতে পারি না। :( :-< :((



The last supper: All five of a family die :(( :((

এমন মর্মান্তিক ঘটনার শিকার যেন কেউ না হয় সে প্রত্যাশাই করি।
যে যেখানেই থাকুন সুস্থ থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন।


মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১:৫৭

কামাল১৮ বলেছেন: প্রকৃতি অনেক কিছু নিয়ন্ত্রন করে।জন্ম না থাকলে মৃত্যু থাকতো না।সকল মৃত্যুই দুঃখজনক।সেটা যেই হোক।

০৩ রা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৪৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: তবে, মানুষ একদিন ঠিকই মৃত্যুকে জয় করবে।

২| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ২:১৮

রানার ব্লগ বলেছেন: না হবে না, কারন ঢাকার মালিকানা রাক্ষসদের হাতে।

০৩ রা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৪৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আসলে সমস্যার অন্ত নেই।

৩| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৩:১০

সোনাগাজী বলেছেন:



সরকারকে বাদ দিয়ে, বাসিন্দা কোন পদক্ষেপ নিতে পারে?

৪| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৩:১১

সোনাগাজী বলেছেন:



সরকারকে বাদ দিয়ে, *বাসিন্দারা কোন পদক্ষেপ নিতে পারে?

০৩ রা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ৬৪ হাজার গ্রাম্য লোকজনের বসবাস এই শহরে, সরকারের পাশাপাশি বাসিন্দাদেরও অনেক দায়িত্ব
রয়েছে।

০৩ রা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:১২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: পুরো ঢাকাকে ঢেলে সাজাতে হবে, ঢাকার উপর চাপ কমাতে হবে আর এজন্য ঢাকার আশেপাশের কয়েকটি জেলা যেমন- গাজীপুর, নারায়নগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নবাবগঞ্জ এই সবটা জেলা নিয়ে বৃহত্তর ঢাকা ঘোষণা করার মধ্যমে নতুন নতুন অবোকাঠোমা, প্রতিষ্ঠান, রাস্তা-ঘাট নির্মাণ করতে হবে কাজটি মোটেও সহজ হবে না, এ হবে এক বিশাল মাহাযজ্ঞ, ট্রিলিয়ন, ট্রিলয়ন ডলার দরকার এবং মাহাপরিকল্পনা করতে হবে এসব করতে যা এই দেশের সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়।

৫| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:০০

আহমেদ জী এস বলেছেন: জ্যাক স্মিথ,




ঢাকা শহরকে পরিত্যক্ত নগরী ঘোষণা করা বা আল্লাহর হাতে ছেড়ে দেয়া উচিৎ এই কারনে যে, ঢাকা দীর্ঘদিন থেকেই একটি ক্রাইমের শহর, ধুলোবালির শহর, শব্দ দূষণের শহর, যানজটের শহর, মশা-মাছির শহর, ময়লা-আবর্জনার শহর, পেশাব-পায়খানার শহর, আগুনের শহর। সব মিলিয়ে পুরো শহরটাই যেন মস্ত বড় এক ডাস্টবিন। ঢাকা যেন আজ একটি মৃত্যুকূপ। এই শহরের প্রতিটি অলিতে গলিতে মৃত্যু যেন ওৎ পেতে রয়েছে।

০৩ রা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন।

৬| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:০৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমার ভাই রোডস অ্যান্ড হাইওয়েতে আছে। ৩ কোটি টাকা দিয়ে আমাদের গ্রামের বাড়িতে বাড়ি করছে!
আমি বললাম, আপনার ভাইয়ের বেতন কত?
গর্বে ভরা চেহারাটা মুহূর্তে ছাই হয়ে গেলো।
দোস্তো বলিস না, এই শালা ট্রাফিক পুলিশ, শালারা দুই টাকারও ঘুষ খায়!
দোস্তো, তোদের ফ্লাটে কত খরচ পড়েছে?
-এই সব মিলে ৯৭ লাখ।
তোর বাবা তো ট্যাক্সে আছে, বেতন কত? চেহারা আবারও ছাই।
ওদিকে লায়লা তার বয়ফ্রেন্ডকে বলছে, কাবিন কিন্তু ৩০ লাখ টাকা হতে হবে। (বয়ফ্রেন্ড ২৮ হাজার টাকার বেতনের চাকুরি করে!) না হলে আমার প্রেস্টিজ পাংকচার! ফেবুতে পোস্ট দিয়েছে, "যে ছেলে যৌতুক চায়, তাদের না বলুন!"
এদিকে মেয়ের জন্য বিয়ের প্রস্তাব এসেছে। ছেলে কলেজের টিচার, আরেকজন পিডাব্লিউতে চাকুরি করে। মেয়ের বাবা পরেরজনে মত দেয়ায় মেয়ে বলছে, " বাবা তোমার পছন্দ সেরা"!
এক আত্মীয়ের বাসায় গেলাম। সারা জীবন সততার বুলি আউড়িয়েছেন। মেয়ের জামাই চাকুরি করেন সিটি কর্পোরেশনে। খুব গর্ব করে বলছেন, তার মেয়ে ঘরের ফার্নিচার ৪/৫ বছর পরেই পাল্টায়। মেয়ে খুব সৌখিন। ৮০ লাখ টাকায় ফ্লাট কিনে আরও ৫০ লাখ টাকা খরচ করছে ইন্টেরিয়র কাজে!
জিজ্ঞেস করলাম, ভাইজান, জামাইয়ের বেতন কতো?
অফিসে বসে আছি। একটা ছেলে সালাম দিয়ে ট্রেনের সময় জানতে চাইল। কথায় কথায় বলল তার ভাইও রেলওয়েতে জব করে।
-জিগ্যেস করলাম কোন পোস্ট?
ও বলল ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা। তার ভাই নাকি ৬/৭বছরে অনেক কিছু করেছে।
জিগ্যেস করলাম,তোমার ভাইয়ের বেতন কত?
আর কোন উত্তর নাই...।
আমরা এত নষ্ট হয়েছি, এত নষ্ট হয়েছি যে, আমাদের কোন লজ্জা নেই। ঘুষ আমার অধিকার, কিন্তু কন্ডাকটর ১৫ টাকার ভাড়া ১৫ টাকা চাইলেই, "এগুলা মানুষ না। এই টাকা খেয়ে এরা কিছুই করতে পারে না। মানুষের টাকা মেরে কিছুই করতে পারে না।" অথচ একটু আগেই বাসে মোবাইলে আলাপ করছিল, একটা বেসরকারি ব্যাংকে চাকুরির জন্য ৯ লাখ আর ১০ লাখের ঘুষের আলাপ!!
কন্ডাকটর গলা কাটছে। গলা কাটছে শিক্ষিত দুর্বৃত্তরাও। শিক্ষিতদের গলাকাটা বড় নির্মম, দেশটাকে এফোঁড় ওফোঁড় করে দেয়।
কন্ডাকটররা একটা নিদারুণ সত্যি কথা বলে,
"আফনেরা যে কলমের খোচায় কুটি কুটি টাকা মাইরা খান, হেই হিসাব তো আমরা নেই না!"
কথা সত্যি এবং নিদারুণ সত্যি।
কিছু অসভ্য শ্রমিকদের দেখলাম অ্যাম্বুলেন্সেও কালি দিচ্ছে, আটকাচ্ছে।
সেই অ্যাম্বুলেন্স দেখে মনে পড়ে গেলো এর চেয়ে ভয়াবহ অসভ্য গোষ্ঠীর কথা। বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির দালালদের কথা, যারা অতি উচ্চ শিক্ষিত ডাক্তার এবং যাদের পেছনে রাষ্ট্রের কোটি টাকা খরচ হয়। মেয়াদউত্তীর্ণ ঔষধ, আইসিইউতে রেখে গলা কাটার সেই সব অমানুষদের কথা।
মানুষ হয়তো আছে। সংখ্যাটা কম।
মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে।
তা কোথায় হলো, ছেলে কী করে?
যদি ঘুষের ডিপার্টমেন্টের হয়,
দেখবেন মেয়ের বাবা মা, ভাই বোন আর মেয়ের চেহারা খুশিতে কেমন চকচক করে!!
অথচ এই যে অরাজকতা, এই যে ভেজাল জিনিস, এই যে উচ্চমূল্য, এই যে গলাকাটা সেবা, এই যে পেনশনের টাকা তুলতে ফাইলের পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে জুতার তলা ক্ষয় হয়ে যাওয়া, এই যে পরীক্ষায় ভালো করলেও চাকুরি না হওয়া, এই সবের মূলে তো ওই যে যেখান থেকে বিয়ের প্রস্তাব এলে জিহবা চকচক করে, চেহারায় (নোংরা) খুশির ঢেউ উঠে, সেই দুর্নীতিবাজ শুয়োরদের কারণে।
বিখ্যাত এক অর্থনীতিবিদ বলেছিলেন, "শুয়োরের বাচ্চাদের অর্থনীতি"! এই শুয়োরের বাচ্চারা কারা?
এই লেখা পড়ে পরে যাদের চেহারায় চপেটাঘাত পড়বে, ছাই হয়ে যাবে, তারা৷"
( ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

০৩ রা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এক কমেন্টেই পুরো দেশের চিত্র তুলে ধরেছেন, ইহাই আমাদের সোনার বাংলাদেশ।

যারা বাস হেল্পারদের গালিগালাজ করে ওই লোকগুলো খুব একটা ভালো মানসিকতার হয় না, গতকালই একজন পাঁচটাকা ভাড়া বেশির জন্য হেল্পারকে অনেক নীতি বাক্য শুনাচ্ছিল, যা পুরো বাসের লোকজন শুনতে পাচ্ছিল, লোকটা নিজেকে নীতিবান প্রমাণ করার জন্য বেশ উচ্চস্বরে পুরো বাসের লোকদের শুনিয়ে শুনিয়ে খুউব ভালো ভালো কথা বলতেছিলো, বাস ড্রাইভার, হেল্পার, বাস মালিক, সরকার সবার চৌদ্দ গুষ্ঠী উদ্ধার করছিলো, আমার খুব করে ইচ্ছে করছিল ওই লোকটাকে কান ধরে বাস থেকে নামিয়ে দিতে, তাহলে শান্তি পেতাম।

০৩ রা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ঘুষ, দুর্ণীতি, চাঁদাবাজিকে আমাদের দেশে যোগ্যতা হিসেবে গণ্য করা হয়, দেশের অন্তত ৯৫% জনগোষ্ঠী কোন না কোন ভাবে দূর্ণীতি, ক্রাইম করার সুযোগ খোঁজে আর ফেসবুকে এসে নীতিবাক্যের নহর ছুটায়। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে; যে বা যারাই খুব বেশি নীতিবাক্য আউড়ায় ওই লোকগুলোই খারাপ।

৭| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:


এতটা হতাস হওয়ার কিছু নেই।
গত দশ বছরে অগ্নি নিরাপত্তায় অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। বিশেষ করে শিল্প সেক্টরে।
ভয়াবহ তাজরিন ও রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর বাংলাদেশের পোশাক কারখানার ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। মানে করতে বাধ্য হয়েছে।
বর্তমানে অধিকাংশ পোশাক কারখানাই এখন আন্তর্জাতিক মানে কমপ্লায়েন্স। নতুন নির্মিত সিমেন্ট, রড় ও ইস্পাত শিল্প কারখানাও কমপ্লায়েন্স ভাবে নির্মিত হচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা ও পরিবেশবান্ধব গ্রিন বা সবুজ পোশাক কারখানা এখন বাংলাদেশে। ফলে বিশ্বের গ্রিন পোশাক কারখানার আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। । এছাড়া আরও প্রায় ৫০০টি কারখানা গ্রিন ফ্যাক্টরি স্বীকৃতির অপেক্ষায় আছে। সেটা শিগগিরই পাওয়া যাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টরে নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে পারলে শহরের আবাসিক ও বানিজ্জিক ভবনগুলো করতে পারা যাবে না কেন?
এখুনি কাজ শুরু করে দেয়া উচিত।

বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভি্সও উন্নত যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ হয়ে অনেক দক্ষ হয়েছে।
এই বেলি রোডের আগুনে ফায়ার সার্ভিস ছয় মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছিল। এবং ১ঘন্টা ৫০ মিনিটের ভিতর আগুন নিভিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়।
আর ছিল নতুন কেনা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ল্যাডার। যা দিয়ে দ্রুততম সময়ে প্রায় শতাধিক লোককে অক্ষতভাবে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

০৩ রা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: গত ১০ বছরে ঢাকায় প্রচুর কাজ হয়েছে, ১০ বছর আগের ঢাকা আর বর্তমানের ঢাকার মধ্যে অনেক পার্থক্য, সমানে অনেক বড় বড় পরিকল্পনা রয়েছে, ঢাকার এই অগ্রগতিকে যারা অস্বীকার করবে তারা হচ্ছে সত্যিকারের অন্ধ।

ঢাকার এসব অগ্রগতিকে আমি অস্বীকার করছি না, কিন্তু কথা হচ্ছে দুই কোটি নাদান জনগোষ্ঠীতে ভরপুর এই শহরে এসব অগ্রগতি কতটা ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে আমি যথেষ্ট সন্দিহান। আধুনিক ঢাকা গড়ে তুলতে হলে মহাপরিক্ল্পনা দরকার, গাজী দা'র কমেন্টের উত্তরে যা লিখিছি আর কি।

৮| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: ব্লগার কালবৈশিখি , নিমোরা কখনও এইসব হত্যাকান্ডের শিকার হবেন না। কারন তারা ঢাকা শহরের ভিআইপি। তাদের ঢাকায় যেসব জায়গায় যাতায়ত সেসব জায়গায় শতভাগ সুরক্ষার ব্যবস্থা নেয়া হয়ে থাকে। তাইতো জীবন্ত পুড়ে কয়লা হওয়া মানুষদের নিয়ে রসিকতা করতে তাদের এতটুকু বাধে না , মৃত্যূকুপ হয়ে যাওয়া এই শহরকে নিয়ে রুপকথার গালগপ্প করা যায়।

০৩ রা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এই শহর আসলে কারো জন্যই নিরাপদ নয়, সবসময় যদি প্রটকোল নিয়ে চলাফেলা করতে হয় তাহলে ওই শহর নিরাপদ হয় কি করে? আর এ তো ব্যক্তি স্বাধীনতার চরম লঙ্ঘন। যানজট, বায়ুদূষণ, শব্দ দূষন, ডেংগু মশার কামড় এসব সবার ক্ষেত্রেই সমান।

৯| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:০০

করুণাধারা বলেছেন: এই শহরে বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প নেয়া হয়, সেটা থেকে অনেকের অর্থ উপার্জন হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। তাই পরিত্যক্ত শহর আবার কোন সম্ভাবনা দেখিনা!

০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: দূর্ণীতি করার পর যে টাকা অবশিষ্ট থাকে তা দিয়ে উন্নয়ন করা হয়।

১০| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এত এত ভবন, এত এত ঘনবসতি। খুব সহজে মুক্তি মিলছে না। ঢাকার চাপ কমিয়ে অন্যান্য জেলা শহরমুখী করতে হবে লোকজনকে।

০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৪২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: হ্যাঁ এ ধরণেরই কিছু একটা করতে হবে যেমনটা উদাহরণ দিয়েছি গাজী সাহেবের কমেন্টের উত্তরে।

১১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৫২

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই লেখাটি ফোন থেকে আগে পড়েছিলাম। আপনার আতংকগ্রস্থতা সত্যি ভাবিয়ে তোলার মত একটা বিষয়।
ঢাকা অতি দ্রুত বসবাসের অযোগ্য একটি শহরে পরিণত হয়েছে। এ শহর আবার কোনদিন বাসযোগ্য হয়ে উঠবে এমনটা বিশ্বাস করা দুরূহ মনে হয়।

যতদিন না বিকেন্দ্রীকরণ (decentralization) কে একটি জাতীয় নীতি হিসেবে প্রণয়ণ করে সবকিছু ঢাকার বাইরে না নিয়ে যাওয়া হয়, ততদিন পর্যন্ত এই মৃত্যু-বিভীষিকা থেকে আমাদের মুক্তি নেই।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: অনেকদিন ধরেই ঢাকা শহরকে বিকেন্দ্রীকরণের কথা শুনতেছি কিন্তু ইহা আদৌ কোনদিন সম্ভব হবে কি না সেটাই দেখার বিষয়।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

১২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের গজব অবস্থা।
এর মাঝেই আমরা বেচে আছি।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আল্লাহর কুদরতে বেঁচে আছি, এছাড়া আর কি-ই বা বলার থাকতে পারে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.