নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে না পড়তে ভালো লাগে, বলতে না শুনতে ভালোবাসি, সেমি-ইন্ট্রোভার্ট।
সারা দেশে দেড় হাজার ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভাঙচুর
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর স্বাভাবিকভাবেই অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে, সংখ্যালঘুর গৃহ আক্রান্ত হয়েছে, পুরোনো শত্রুতাবশত প্রতিহিংসামূলক ঘটনাও ঘটেছে। এসব অনভিপ্রেত হলেও অভাবিত নয়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থিতু হয়ে বসলে, আইনশৃঙ্খলা অবস্থা নিয়ন্ত্রণের ভেতরে চলে এলে অবস্থা পরিবর্তিত হবে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয়।
কিন্তু ভয় অন্যত্র। চলতি সরকার, হোক না তা অন্তর্বর্তীকালীন, তার গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ যদি দেশের-জাতির-মোদ্দা চরিত্রে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তা উদ্বেগের জন্ম দেবে। এই রকম একটি সিদ্ধান্ত, ১৫ আগস্টের জাতীয় শোক দিবসের ছুটি বাতিল। এ কথা ঠিক শোক দিবসের ছুটির সিদ্ধান্ত দলীয় ছিল, কিন্তু শোক দিবস পালন প্রশ্নে বাংলাদেশের মানুষ খুব যে দ্বিধাবিভক্তি ছিল, আমার তা মনে হয় না।
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের যে আন্দোলন, তা আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী ছিল, কিন্তু তা বঙ্গবন্ধু বা বৃহত্তর অর্থে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী, এ কথা ভাবার কোনো কারণ নেই। আর ঠিক সে কারণেই ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসাবে পালন না করা বা এই দিন সরকারি ছুটি বাতিল, উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
এ কথা ঠিক, বহিষ্কৃত হাসিনা সরকার বঙ্গবন্ধুকে জাতীয় শ্রদ্ধার পাত্র থেকে জাতীয় পরিহাসে পরিণত করে ফেলে। নতুন প্রায়-প্রতিটি উল্লেখযোগ্য স্থাপনা বঙ্গবন্ধুর নামে উৎসর্গ করা, অথবা টেলিভিশনে নিরন্তর বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করা আমরা যারা বিগত প্রজন্মের সদস্য তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হলেও নতুন প্রজন্মের, যাদের ‘জেন–জি’ নামে ডাকা হচ্ছে, তাদের কাছে বিদ্রূপে পরিণত হয়েছিল। অনুমান করি, ৫ আগস্টের পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর স্থাপত্যের ওপর হামলার ঘটনা মূলত এই সমীকরণ থেকেই উদ্ভূত।
অপরাধটা বঙ্গবন্ধুর নয়, যাঁরা জাতির পিতাকে নিজেদের রাজনৈতিক অদূরদর্শিতার জন্য এমন হাসির পাত্রে পরিণত করে ফেলেছিলেন, তাঁদের। কিন্তু অস্বীকার করি কী করে, তিনিই আমাদের জাতির পিতা, তিনিই আমাদের স্বাধীনতার ও সংগ্রামের প্রতীক।
১৫ আগস্টকে সরকারি ছুটি ঘোষণা হয়তো একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিল, কিন্তু এই দিবসটি জাতীয়ভাবে উদ্যাপনের মাধ্যমে বাঙালি কেবল তার জনককেই স্মরণ করে না, তার স্বাধীনতা ও মুক্তির আকাঙ্ক্ষার প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে। ঠিক সে কারণে, নির্বাহী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ১৫ আগস্টের ছুটি বাতিল ঘোষণা ও সরকারি আয়োজন ছাঁটাই আমার কাছে অসম্মানজনক মনে হয়েছে।
দ্বিতীয় উদ্বেগ, প্রতিবেশী ভারতের প্রতি অকূটনৈতিকসুলভ বক্তব্য। রাজনৈতিক বা নাগরিক পর্যায়ে এসব বক্তব্য সীমিত থাকলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু থাকত না, কিন্তু চলতি সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্তাব্যক্তিদের মুখেও সমালোচনামূলক বক্তব্য শোনা গেছে। এসব বক্তব্য ব্যবহার করে—কখনো কখনো তা বিকৃতভাবে পরিবেশন করে—ভারতীয় তথ্যমাধ্যমে খোলামেলাভাবেই বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা শুরু হয়েছে। ভারতের কোনো কোনো কেন্দ্রীয় নেতা সেসব সমালোচনা ও বিরুদ্ধ প্রচারে গলা মেলাচ্ছেন।
আমাদের কোনো বক্তব্য বা সিদ্ধান্ত যাতে সে প্রচারে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত না হয়, সে বিষয়ে সচেতন থাকা অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশ এই মুহূর্তে টিকে থাকার এক লড়াইতে লিপ্ত। হাসিনা সরকার পরাস্ত হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো চেষ্টা সে করবে না, তার নিশ্চয়তা নেই। তারা যদি প্রতিবিপ্লবের কোনো গোপন চক্রান্ত ফাঁদতে চায়, তা যে ভারতের মাটিতে ও তার সমর্থনপুষ্ট হয়েই হবে, তা ভাবা একদম অযৌক্তিক নয়। এ কারণে ভারতের প্রশ্নে আমাদের সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
ভয়ের আরেক কারণ, হাসিনা সরকারের পতন হতে না হতেই ধর্মীয় রাজনীতিকদের মঞ্চে পুনরাবির্ভাব। ধর্মকে পুঁজি করে যেসব দল রাজনীতি করে, তারা ঠিক কখনোই মাঠ ছেড়ে চলে যায়নি, শুধু সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। সে সুযোগ এখন দ্বারপ্রান্তে, ফলে তাদের প্রকাশ্যে আসার আর কোনো বাধা নেই।
স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িকতার কথা মুখে যত বলা হয়েছে, কাজে-কলমে তা করে দেখানো ততটা নয়। বস্তুত ঘটেছে উল্টো। ধর্মীয় রাজনীতিকদের স্পষ্ট চাপে পাঠ্যপুস্তকের ধর্মীয়করণ ঘটেছে। মাদ্রাসা শিক্ষার বিস্তার ঘটেছে এবং এমনকি সে শিক্ষাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমমানের বলে স্বীকৃতিও দেওয়া হয়েছে। এই সাংস্কৃতিক আবহ লালিত নতুন প্রজন্মের অনেকেই এখন বোলচালে ধর্মীয় সংস্কৃতিতে অত্যন্ত পারদর্শী।
চলতি আন্দোলনের সমন্বয়কদের কেউ কেউ খোলামেলাভাবেই রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ইসলামিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক রীতিনীতি চালুর পক্ষে। কেউ নারী স্বাধীনতাবিরোধী, পর্দাপ্রথার সমর্থক এবং তৃতীয় লিঙ্গের কোনো অধিকার আমলে আনতে নারাজ।
এই ধর্মবিশ্বাস যদি ব্যক্তিগত পর্যায়ে সীমাবদ্ধ থাকে, তাতে কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। এই ব্যক্তিগত বিশ্বাস ও ধর্মাচার রাষ্ট্রীয় নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত হলে বিপদ ঘটবে। লক্ষ করেছি, কেউ কেউ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করার দাবি তুলেছেন। কারণ, তাঁদের দাবি বেগম রোকেয়ার অনেক লেখায় ইসলামবিরুদ্ধ বক্তব্য রয়েছে।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা আ ফ ম খালিদ হোসেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে তিনি বিভিন্ন বক্তব্যে চলতি শিক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর পক্ষপাতী বলে মত দিয়েছেন। ধর্মীয় শিক্ষা, তাঁর বিবেচনায় একটি সাংবিধানিক অধিকার। তিনি প্রাথমিক থেকে এমএ পর্যন্ত ‘ইসলামি তালিম’ অন্তর্ভুক্ত করতে চান। বিভিন্ন ভিডিওতে তিনি আরও এমন অনেক বক্তব্য দিয়েছেন, যা আমার কাছে উদ্বেগজনক মনে হয়েছে। তাঁর এ অবস্থান সরকারের ওপর কতটা প্রভাব ফেলে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
বিপ্লব ভালো। আরও ভালো বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন। কিন্তু এই অর্জনের মূল্য যদি হয় ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় নীতির প্রবর্তন ও ব্যক্তিগত অধিকার হরণ, তাহলে সে বিপ্লবের যৌক্তিকতা আমাদের ভেবে দেখতে হবে।
● হাসান ফেরদৌস প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক
মূল লেখা এখানে।
২১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:১৫
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সৌদি আরব- এমনকি ইরাণের মত দেশও আজ ইসলামের দম বন্ধ করা নিয়মনীতি থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছে আর আমরা সেখানে উল্টো পথে হাঁঠছি।
২| ২১ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৩:৫৯
কামাল১৮ বলেছেন: আপনার বক্তব্যের দ্বিমত করার উপায় নাই।
২১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:২১
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এটা অবশ্য আমার লেখা নয়, প্রাবন্ধিক হাসান ফেরদৌস প্রথম আলোতে গতকাল লেখাটি লিখেছিলেন আমি শেয়ার করেছি শুধু।
আগামি ২৭ তারিখে জাফর ইকবালের বই পোড়ানোর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে এরা।
৩| ২১ শে আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৪:০৯
স্বাধীন বাংলার পরাধীনতা বলেছেন: আমি এই ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হিসেবে যারা পরচিতি লাভ করেছেন, এদের মধ্য থেকে দুজনকে ইউনুস সাহেবের নেতৃত্বের সরকারের উপদেষ্টা ও করা হয়েছে, যাদের বক্তব্য শোনার সুযোগ হয়েছে, এদের সবাই একেবারেই তরুন। এই তরুরা তাদের যে উদ্দোম দিয়ে সফল একটি গন অভ্যুত্থান এর সাফল্য লাভ করেছেন, পরবর্তী সময়ে এখন তাদের বক্তব্য শুনে ওটা বোঝা যাচ্ছে কন্ঠস্বর জোরালো হলেও বক্তব্যের সেই দৃঢ়তা কিন্তু নেই। আমার মতে নেতৃত্ব দিয়ে নেতা হওয়া আর পরিচিত মুখ হিসেবে নেতা বনে যাওয়া দুটো অনেক আলাদা বিষয়। আর ইদানিং তাদের বক্ত্যব্য শুনলে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের অযাচিত ও অপরিপক্ক মন্তব্য গুলো দেশ ব্যাপী কিশোর ও তরুন সমাজের কাছে তাদের নিয়ে যে সেপার হিউম্যান ইমেজ তৈরী হয়েছিল তার মোড়ক খুলে গিয়ে "প্যান্টের উপরে জাংগিয়া পরেই যে সুপারম্যান হওয়া যায় না" তাই বুঝিয়ে দিচ্ছে।
২১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:২৮
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ওদের বয়স কম ওদের আরও অনেক কিছু শিখতে হবে, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যাদের কাছ থেকে শিখবে তারা নিজেরাই বিপদগ্রস্থ।
বাংলাদেশকে আজকে এই বিপদের মধ্যে ঠেলে দেওয়ার মূল কারিগর হাসিনা সরকার জোড়-জুলুম করে ক্ষমতা ধরে রাখার কোন দরকার ছিলো না ফলাফল যা হওয়ার তাই হয়েছে।
৪| ২১ শে আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৫:১৫
প্রহররাজা বলেছেন: সুশিল আর আর্মির অধীনে এমন একটা সরকার হবে যেখানে মৌলবাদের অবাধ স্বাধীনতা থাকবে।
২১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৩০
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমি উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে আশাবাদী তবে আরও কিছু তরুণ মুখ থাকলে ভালো হতো।
৫| ২১ শে আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৬:১২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
নষ্ট জেনারেশন।
২১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৩২
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এই আন্দোলনটা দরকার ছিলো, কিন্তু আমি শংকিত ছাত্রদের এই অর্জন বেহাত না হয়ে যায় তা ভেবে।
৬| ২১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:১৩
অগ্নিবেশ বলেছেন: বাংলাদেশে ইসলাম কায়েম হয়েছে, আলহাদুলিল্লাহ। এইবার আসেন কাশ্মীর উদ্ধার করি।
২১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৩৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ইসলামিস্টরা হয়তো সাময়িক উত্তেজনা ছাড়াচ্ছে, কিন্তু তারা বেশিদিন টিকতে পারবে না।
৭| ২১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:২৩
এক্সম্যান বলেছেন: লীগ নির্বাচনের আগে প্রচার করত যদি সরকার বদল হয় তাহলে লাখ লাখ মানুষ মরবে (লীগ কর্মি), রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। ছাত্ররা তাদের মিথ্যা প্রমানীত করেছে। লীগের দাবী হিসেবেই যা হয়েছে এটা স্বাভাবিক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার হাতবদল হলে হয়ত আরো বেশি অঘটন ঘটত।
যারা এদের কাজের সমালোচনা করছে তাদের যুক্তিগুলো হাস্যকর। ১৬ বছরের আবর্জনা তারা এক-দুই দিনেই পরিস্কারের দাবী করতেছে। তারা নতুন সুতরাং ভুল হবেই, ১৬ বছর অনাচার-অত্যাচার সহ্য করতে পারল আর ১০ দিনে ছোট-খাট ভুলে তাদের এলার্জী শুরু হয়েছে।
৭১ এর পরে এই জেনারেশনটাই বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ জেনারেশন।
২১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৪১
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ছাত্রদের সবচেয়ে বড় অর্জন তারা শ্বৈরাচার বিদায় করেছে প্রথম ধাপে তারা শতভাগ সাফল, এখন দ্বিতীয় ধাপ বা দেশ পরিচালনার মত কঠিন ধাপ তারা কিভাবে সামাল দেয় তা দেখার বিষয়।
আমি শংকিত ছাত্রদের এই অর্জন বেহাত না হয়ে যায় তা ভেবে।
৮| ২১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৮:৫৮
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
লেনিনের মত মুজিবের সংরক্ষিত বডি নেই বলে বেঁচে গেছেন।
২১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপাদত আগামী ২০/৩০ বছর মুজিব, ৭১ মুক্তিযুদ্ধ এসব বিষয় ভুলেও মুখে আনবেন না বিপদে পরবেন।
৯| ২১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:২৩
জুন বলেছেন: আজকাল প্রায় পরিবারেই একটা দুটো বাচ্চা থাকে। আগের মত ১০/১৫ টা না। যখন সেই একমাত্র সন্তান সরকারের এমন নিষ্ঠুর অকল্পনীয় ফ্যাসিবাদী আচরণে মৃত্যু বরন করে তখন সেই বাবা মায়ের বেচে থাকার আর কিছু থাকে না। আপনারা সেই অকালে ঝরে পরা কচিকাচাদের কথা একবারও মুখে উচ্চারণ করেছেন কি না জানি না। কিন্তু দিন ভর বিভিন্ন পোস্টে ম্যুরাল ভাংগা নিয়ে আহাজারি সত্যি বলতে ভালো লাগে না। দয়া করে আমাকে মৌলবাদী ট্যাগ দেয়ার চেষ্টা করবেন না।
২১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৫৫
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ছাত্রদের এই আত্নত্যাগ অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই, আমি শংকিত এই ভেবে যে তাদের এত বড় অর্জন বেহাত না হয়ে যায়। শত শত ছাত্রের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই নতুন বাংলাদেশ কোন হায়েনার দখলে চলে যাক তা আমরা চাই না।
একটা স্বৈরাচার পতনের পর দেশ ক্ষত বিক্ষত হবে তা অনুমিতই ছিলো, কিন্তু এই ক্ষত বিক্ষতের মধ্যেই এরা স্পষ্ট কিছু চিহ্ন রেখে গেছে যা ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দেয়।
আপনি মৌলবাদী হতে যাবেন কেন, মৌলবাদি ভিন্ন বিষয়।
১০| ২১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:২৫
বিমুঙ বলেছেন: আমার কাছে তাই মনে হয় এটা জামাত-শিবির এর কাজ যে আন্দোলন পরিচালিত করেছে। কোটা সংস্কার একটা লোক দেখানো বা আন্দোলনে সমর্থন পাওয়ার কৌশল মাত্র।
২১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৫৯
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ঘটনা যা ঘটার ঘটে গিয়েছে এখন দেখার বিষয় কতটা দক্ষতার সহীত এরা দেশ পরিচালনা করে, বর্তমান উপদেষ্ট পরিষদ নিয়ে আমি আশাবাদী।
১১| ২১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৪৩
এক্সম্যান বলেছেন: বিমুঙ বলেছেন: আমার কাছে তাই মনে হয় এটা জামাত-শিবির এর কাজ যে আন্দোলন পরিচালিত করেছে। কোটা সংস্কার একটা লোক দেখানো বা আন্দোলনে সমর্থন পাওয়ার কৌশল মাত্র।
যদি সত্যিই জামাত-শিবিরই আন্দোলন পরিচালিত করে থেকে থাকে তাহলেতো তাদেরকেও কিছুটা ক্রেডিট দেয়া উচিৎ।
যদিও কোটা আন্দোলনকে ১ দফায় আনতে সবচাইতে বড় ভুমিকা ছিল সরকারের।
২১ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:০৫
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: দেশের এই পরিস্থিতির জন্য একমাত্র দায়ী সরকার, তাদের অপকর্মের বোঝা এতটাই ভারী হয়ে গিয়েছিলো যে, ৫ বছরের বাচ্চারাও যদি সরকারের বিরুদ্ধ আন্দোলনের ডাক দিতো তাহলেও হাজার হাজার মানুষ তাদের সাথে রাজপথে নেমে পড়তো।
১২| ২২ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:০০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ছাত্রদের আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলন ছিল না।
সরকার বিরোধীরা ছাত্রদেরকে ব্যবহার করেছে।
অবশ্যই তারা বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করেছে।
নীতিগতভাবে বলা যায় ছাত্রদের আন্দোলন সৎ উদ্দেশ্যে ছিল না।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:০৮
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: পিছনের বিষয় নিয়ে আর কথা না বলি, সামনে ভালো কিছু হউক সে প্রত্যাশাাই করি।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৩:৪৫
কামাল১৮ বলেছেন: গাজী সাহেবের বিশ্লেষণ ঠিক আছে।জামাত শিবিরই ছিলো আন্দোলনের মূলে।সাধাররণ ছাত্ররা প্রতারিত হয়েছে।যত দিন যাবে বিষয়টা পরিস্কার হবে দিনের আলোর মতো।
বিশ্ব রাজনীতির খেল শুরু হয়ে যাবে কিছু দিনের মধ্যেই।তখন অবস্থা কঠিন হবে।কে টিকে থাকে কে হারিয়ে যায় তখন বোঝাযাবে।