![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে না পড়তে ভালো লাগে, বলতে না শুনতে ভালোবাসি, সেমি-ইন্ট্রোভার্ট।
উপরের ছবিগুলো ভারতে নানা সময়ে ঘটে যাওয়া মুসলিম নির্যাতনের কিছু চিত্র, এগুলো জাষ্ট উদাহরণ মাত্র; প্রায় বছর জুরেই ভারতের কোন না কোন রাজ্যে মুসলিম জনগোষ্ঠী নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে, যা আমরা সবাই জানি। এখন কথা হচ্ছে - বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কেন সংখ্যালঘুর উপর এমন নির্যাতন? তাহলে গণতন্ত্র কি ন্যক্কারজনক ভাবে শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠদেরই স্বার্থ রক্ষা করবে? আশা করছি বিজ্ঞ ব্লগার গণদের কাছ থেকে এর যথাযথ উত্তর পাবো।
যখনই গণতন্ত্রের কথা আসবে তখন অবধারিত ভাবেই ভারতের কথা আসবে, কারণ ভারত হচ্ছে বিশ্বের ১ নাম্বার; মানে সবচে বড় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। কতটা বড় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র? ওয়েল, ভারতের ১৪০ কোটিরও বেশি মানুষ ভোট দেওয়ার অধিকার রাখে, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার 17.6%। আর যদি শুধু গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জনসংখ্যার সঙ্গে তুলনা করি (মানে - চীন, সৌদি আরব, রাশিয়া, ইরান, তুরস্ক, আফগানিস্তান উত্তর কারিয়া ইত্যাদি রাষ্ট্রের জনসংখ্যা বাদ দিয়ে ) তাহলে তো পুরো লেজে গোবরে অবস্থা! সেক্ষেত্রে বিশ্বের সবগুলো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জনসংখ্যা মিলিয়েও এক ভারতের জনসংখ্যার সমান হয় না। তো বুঝা গেলো ভারত কত বড় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র? সো, ইন্ডিয়া ম্যাটারস হোয়েন ইট'স অ্যাবাউট সো কলড ডেমোক্র্যাসি সংখ্যালঘু যেখানে মরিমরি। আর তাই ডেমোক্র্যাসি'র উদাহারণ দিতে হলে সর্বাঘ্নে ইন্ডিয়ার উদাহরণ দিতে হবে কারণ এটাই হচ্ছে গণতান্ত্রিক উপায়, অন্য সব ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর দেশ কোন তন্ত্রে চলে তা এখানে যৌক্তিভাবেই ইনভ্যালিড।
বর্তমান বিশ্বে মোট গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সংখ্যা নির্দিষ্টভাবে বলা কঠিন, কারণ বিভিন্ন সংস্থা ভিন্ন ভিন্ন মানদণ্ডে গণতন্ত্র মাপায় যেমন- বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কাছে গণতন্ত্রের মানদণ্ড হচ্ছে- প্রতিপক্ষকে বেঁধে রেখে, ব্যালট বাক্স চুরি করে, রাতে ভোট প্রদানের মাধ্যমে গণতন্ত্র বজায় রাখা এটাই হচ্ছে তাদের কাছে গণতন্ত্রের মানদণ্ড, অবশ্য অনন্য সংস্থার কাছে গণতন্ত্রের মানদণ্ড ঠিক কি তা আমি জানি না, তবে Economist Intelligence Unit (EIU) Democracy Index 2024 এর তথ্য অনুসারে বিশ্বের মাত্র ২৫ টি দেশে Full Democracy ব্যবস্থা চালু রয়েছে যার বেশীরভাগই ইউরোপের ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর কিছু দেশ যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৬.৬% এবং এরাই একসময় বিশ্বজুড়ে চুরি ডাকাতি করে বেড়াতো।
এখন কনফ্লিক্ট হলো- ইউরোপের এসব ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর দেশেও গণতন্ত্র আবার ভারতের মত বৃহৎ জনগোষ্ঠীর দেশেও গণতন্ত্র ব্যবস্থা চালু থাকার পরেও কেন বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন? ভারতের দুর্নীতির খবর কি? ধনী গরীবের সম্পদের পার্থক্যই বা কেমন? সংখ্যালঘু নির্যাতনের দিক দিয়ে ভারত কি বিশ্বের এক নাম্বার? একই ব্যবস্থা চালু থাকার পরেও ভিন্ন মহাদেশের দুটি অঞ্চলের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন কেন? এই ভিন্নতার মূল কারণ কি হতে পারে?
যেহেতু ভারত বিশ্বের বৃহৎ গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্র; তত্ব অনুসারে তো ভারত থেকেই সারা বিশ্বে শান্তি এক্সপোর্ট হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু তা কি হয়? বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সাথে আমাদের নিজেদেরই বা কেন এত দ্বন্দ্ব? ইতিহাস, ঐতিহ্য, ভৌগলিক অবস্থান, আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশকে ভারতের কার্বন কপি বলা যেতে পারে কিন্তু তবুও কেন এত দ্বন্দ্ব? অবশ্য এই দ্বন্দ্বটা আমি দেখি শুধু আম সাধারণের মাঝেই, দুটি দেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে আমি বরং দ্বন্দ্ব নয় সখ্যতাই দেখতে পাই বেশি। টং দোকানের আম সাধারণ যেখানে ভারতকে গালাগালি করে তুলোধুনো করছে, রাজনীতিবিদেরা সেখানে ভারতের সাথে মোলাকাত করছে, হাজার হাজার কোটি টাকার চুক্তি/বাণিজ্য করছে। আম সাধারণের মত করে যদি রাজনীতিবিদেরা চিন্তা করতো, তাহলে দেশ দুটিতে আজ রক্তগঙ্গা বইয়ে যেতো।
মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন হচ্ছে- আমরা গণতন্ত্র ইম্পোর্ট করবো কোথা থেকে? বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারত থেকে নাকি ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর অঞ্চল ইউরোপ থেকে? এতকাল আমরা কোন গণতন্ত্র ব্যবহার করে আসছি? ইউরোপের না ভারতের? রেজাল্ট জানি কি ছিলো?
আমরা যদি ভারতের গণতন্ত্র ফলো করি তাহলে আমাদের অবশ্যই ধর্মীয় রাজনীতি আঁকড়ে ধরতে হবে, যে দল যতবেশী সস্তা ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট নির্ভর রাজনীতি করবে তারা ততোবেশী ক্ষমতাবান হবে বা ক্ষমতার কাছাকাছি যাবে, ভারতে যেমন হিন্দুত্ববাদ সরকার আমাদের এখানেও হতে হবে এক ইসলামবাজ সরকার। বেশী বেশী ভোট ভিক্ষা পাওয়ার সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি হচ্ছে ধর্মীয় রাজনীতি। গ্যাস্ট্রিকে আক্রান্ত হাবলু জনগোষ্ঠীকে ধর্মীয় বাণী সমেত দুই চারটা তন্তর মন্তর পড়ে শুনালেই গণহারে সম্মোহীত হয়ে যাবে আপনার বা আপনার দলের প্রতি, লক্ষ লক্ষ ভোট পরবে আপনার দান বাক্সে (ভোট বাক্সে)। বিশিষ্ট গণতান্ত্রিক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেভাবে হিন্দুত্ববাদ বিক্রি করে রাজনীতিতে টিকে আছে আমাদের এখানেও ইসলাম বিক্রি করে রাজনীতি করতে হবে, তাহলে গণতন্ত্র রক্ষা হবে।
বাস্তবে আপনি যতই ধরিবাজ ব্যক্তি হন না কেন, ভোট পাওয়ার সহিহ উপায় হচ্ছে পাবলিক প্লেসে ভালো ভালো কথার ফুলঝুড়ি ফোঁটাতে হবে তাহলেই দেখেন. হুর হুর করে আপনার সাগরেদদের সংখ্যা বাড়তেছে।
অপরদিকে- আমারা যদি ইউরোপের ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর গণতন্ত্র ইম্পোর্ট করি তাহলে তা কি এদেশের জনগণ মেনে নিবে? হাজার হলেও গণতন্ত্র বলে কথা! জনগণ যদি ইউরোপের সেক্যুলার রাজনীতি গ্রহণ না করে তাহলে আমার বা আপনার কি করার আছে? ইউরোপের সাথে আমাদের নেই কোন কিছুতেই মিল: ইতিহাস, ঐতিহ্য, কালচার, ভাবধারা, ইমোশন, প্রাকৃতিক পরিবেশ, ভৌগলিক অবস্থান, আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট, জনসংখ্যা ইত্যাদির কোন কিছুতেই ইউরোপের সাথে আমাদের নেই বিন্দুমাত্র কোন মিল, ওরা গবেষণা করে সাইকোলজি নিয়ে আর আমরা করি ফিলোসফি নিয়ে, ওদের কাছে যা নরমাল বা নিখাদ বাস্তবতা আমাদের কাছে তা অতিপ্রাকৃতিক বিষয়; তো এখন কথা হচ্ছে এত এত ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও সেই ইউরোপের গণতান্ত্রিক থেরাপিতে কি আমাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থার রোগ নিরাময় করা সম্ভব? হাজার মাইল দূরের ইউরোপের ক্ষুদ্র কিছু জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক কনটেক্সট দ্বারা কখনোই দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক অবস্থা বিচার বিশ্লেষণ করা ঠিক হবে না। দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি বুঝতে হলে সবার আগে এই অঞ্চলের ভাবধারা বুঝতে হবে, ইউরোপের নয়। ইউরোপের কনটেক্সটে এই দেশের রজানীতি বিশ্লেষণ করা আর শেখ হাসিনার কাছ থেকে গণতন্ত্রের ছবক নেয়া হবে সমান কথা। আমার মনে হয় প্রতিটি দেশ এবং জাতির'ই রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপট, একই এন্টিবায়োটিকে সমস্ত রোগের অসুখ নির্মূল করার চেষ্টা বিপজ্জনক হতে পারে। ইউরোপিয় থেরাপিতে আজ আফ্রিকার দেশগুলোর যে অবস্থা আর কি। যেখানে তৃতীয় পক্ষ সবসময় ফায়দা লুটে।
ছবি- ইউরোপ আফ্রিকাতে গণতন্ত্র এক্সপোর্ট করে আফ্রিকাকে উদ্ধার করে দিচ্ছে। যতবেশি অজ্ঞদের প্রতিনিধী ক্ষমতায় থাকবে ততই যেন ইউরোপের পোয়াবারো। আমাদের বাংলাদেশের ভালোর জন্য ইউরোপের কত্ত কত্ত চিন্তা! ইউরোপের নেতাদের রাতে ঠিকমত ঘুমই হয় না, এরা সারারাত চিন্তা-ফিকির করে কিভাবে বাংলাদেশকে আফ্রিকার মত একটি উন্নত জাতিতে পরিণত করা যায়, কত্ত ভালু এরা, বিশ্ব নিয়ে তাদের কত্ত চিন্তা! যেন তাহাদের অতীত আমরা কিছুই জানি না
The British Psychological Society এর মত অনুসারে তাদের দেশের গণতন্ত্র নাকি আজ ধ্বংসের পথে। Democracy in danger ! ছ্যা! ছ্যা! ছ্যা!
10 Reasons why democracy fails
এদিকে আমেরিকানরাও দেখি তাদের ডেমোক্র্যাসি নিয়ে চিন্তিত If American democracy fails, it will collapse everywher? কি একটা অবস্থা!
গণতন্ত্রের এমন নাজেহাল অবস্থা দেখে আমার কান্না করতে ইচ্ছে করছে ।
তাছাড়া আমাদের দেশের ইসলাম পন্থীরাও গণতন্ত্রকে দু-চোখে দেখতে পারে না, যার কিছু উদাহারণ দিচ্ছি নিচে।
গণতন্ত্র সু স্পষ্ট হারাম মুফতি রেজাউল করিম আবরার।
এদিকে গণতন্ত্রকে পুরোপুরি বাদ দেয়ার পক্ষে আমাদের আল্লামা ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী।
ইসলামে গণতন্ত্র হারাম: মাউলানা ড.আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব
আল্লামা Professor Dr Abubakar Muhammad Zakaria এর মতে গণতন্ত্র হচ্ছে পরিষ্কার এক হারাম মতবাদ।
বিশিষ্ট এক আলেম গণতন্ত্রকে কুফরি মতবাদ হলে আখ্যা দিয়েছেন
হুজুরদের কথা বাদই দিলাম, এটা তাদের ধর্মীয় বিষয়, আমি সাধারণ জনগণের মনোভাবের কথাই বলছি- যে দেশের ৯৯% জনগণের মধ্যেই সুপ্তভাবে লুকিয়ে থাকে স্বৈরতন্ত্র-- বিরুদ্ধ মতবাদ, বিরুদ্ধ চিন্তাধারা যারা শুনা মাত্রই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে, প্রতিপক্ষকে পারলে নিমিষেই দুমড়ে, মুচরে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়ে নিজের মতবাদ চাপিয়ে দেয়, একটু নতুনত্ব, একটু ভিন্ন কিছু শুনলেই তাদের গাত্র দাহ শুরু হয়, ভয়ঙ্কর ভাবে রিয়্যাক্টবাজি, ব্যক্তি আক্রমণ শুরু করে, এমন ভয়াবহ প্রতিক্রিয়াশীল ও জাজমেন্টাল জনগোষ্ঠীর দেশে গণতন্ত্র আসলে কতটা ফলপ্রসূ? যে দেশে ছেলে ধরা সন্দেহে (পদ্মা ব্রিজ তৈরি করতে বাচ্চাদের মথার প্রয়োজন হয় এই গুজবের জেরে ) সরা দেশে শত শত নারীদের পিটিয়ে হত্যা করা হয় (খোদ ঢাকার বাড্ডাতে এক মা তার বাচ্চাকে আনতে স্কুলে গিয়েছিলো, তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে ছেলে ধরা সন্দেহে, যে ঘটনা সারাজীবনেও আমার পক্ষে ভুলা সম্ভব নয় ) সেই দেশে গণতন্ত্র শান্তির সুবাস বয়ে নিয়ে আসবে? সি-রি-য়া-স-লি?? আর ইউ ফাকিন কিডিং মি???
অবাক করা ঘটনা হলো, গণপিটুনির এই এসব ইডিয়টিক ঘটনাগুলোকে কেউ কেউ-- দেশকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে ভারতের চাল, আমেরিকার ম্যাটিকুলাস ডিজাইন, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার জন্য শেখ হাসিনার কারসাজি, বিএনপি-জামাতের দুরভিসন্ধি ইত্যাদি বিশেষণে বিশেষায়িত করছিলো, যা দেখে আমি শুধু ভাবছিলাম-- যেমন এই দেশ, তেমন হচ্ছে এই দেশের জনগণ, তেমনই হচ্ছে এই দেশের সরকার, আর ঠিক তেমনই হচ্ছে এই দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষক যাদের বচন শুনলে গা একদম রিরি করে উঠে। আসলে দেশে একটা শ্রেণী রয়েছে যাদের মাথায় সবসময় এমন কন্সপায়রেসি থিওরি ঘুরঘুর করে, যে কোন ঘটনার পিছনে এরা আন্তর্জাতিক চক্রান্ত খুঁজে পায়। আর কিছুদিন পর হয়ত এরা স্বামী স্ত্রীর ঝগড়ার মধ্যেও ভারত আমেরিকার ম্যাটিকুলাস ডিজাইনের গন্ধ পাবে। বিশাল জনগোষ্ঠীর এক সমাজে অনেক ঘটনাই প্রতিনিয়ত ঘটে, বটারফ্লাই ইফেক্টের মত একটা সমাজে অতি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেক বড় অস্থিতিশীল অবস্থার তৈরি হতে পারে, যার প্রতিটি ঘটনার পিছনে আন্তর্জাতিক চক্র বা সরকারের নিপুণ ডিজাইন থাকে না, এগুলো স্রেফ একটা সমাজের/জনগোষ্ঠীর ঘটনাপ্রবাহ মাত্র এই সাধারণ বিষয়টুকু এসব তথাকথিত রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বুঝতে চায় না। সবকিছুতেই এরা কন্সপাইরেসি থিওরি খুঁজে পায়। এদের কথাবার্তা শুনলে মনে হয় এরা এই মাত্র ট্রাম্প, মোদি, পুতিনদের সাথে মিটিং করে আসলো, বা প্রতিদিন তাদের সাথে ফোনে কথা হয়। আসলে মূল কথা হচ্ছে- এরাই দেশে নানা প্রোপাগন্ডা ছাড়ানোর মূল কারিগর, এরাই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী এদের ইমেডিয়েট ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন এরা শুধু নিজেদেরই ক্ষতি করছে না, এরা পুরো সমাজে অস্থিতিশীল অবস্থার তৈরি করেছে। The Psychology of Conspiracy Theorists: More Than Just Paranoia
পোস্ট'টি লিখতে চেয়েছিলাম সংখ্যালঘু নির্যাতন, কারণ ও প্রতিকার বিষয়ে কিন্তু শুরুতেই লেখার ব্রেক ফেল করে ভিন্ন দিকে চলে গেলো তাই এখন আর এ বিষয়ে লিখে পোস্ট লম্বা করে পাঠকদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটাতে চাই না। এখন হচ্ছে শর্টস, রিলসের যুগ, বড় পোস্ট পড়ার সময় মানুষের নেই।
বিবিধ বিষয় পর্যালোচনা করে আমার মনে হয়েছে-- দিল্লী নয়, লন্ডন নয়, নয় ইউরোপ, নয় ওয়াশিংটন এই দ্যাশের রাজনৈতিক কালচার ইম্পোর্ট হবে কাবুল, ইসলামাবাদ এবং তেহরান থেকে এটাই হবে আমাদের জন্য একদম যুতসই রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, চিল্লায়া কন ঠিক কি না? ঠিক ঠিক...। ঠিক বেঠিক যাই হোক, মানুন আর না মানুন আমরা সে পথেই হাঁটছি। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ লিডারগণ ইতিমধ্যে আফগানিস্তানে পৌঁছিয়েছে- ইসলামাবাদ, তেহরান হয়ে তবেই তারা দেশে ফিরবেন। আল্লামা মামুনুল হকই হবেন বাংলার ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী, তিনিই হচ্ছেন আমার পছন্দের নাম্বার ওয়ান প্রধানমন্ত্রী যার এক হুংকারে ভারত-ইন্ডিয়া সব এক ঘাটের জল খাবে।
তালেবানের আমন্ত্রণে আফগানিস্তান সফরে মামুনুল হকসহ সাত আলেম।
তাছাড়া আমার দ্বিতীয় চয়েজ হচ্ছে মওলানা মাদানী, তিনিও বাংলাদেশের জন্য একজন যুতসই প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন, ক্ষুরধার বক্তব্য পেশকারী এই পিচ্চি হুজুরের রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা, রয়েছে লক্ষ লক্ষ চ্যালা প্যালা সুতরাং মওলানা মাদানী হতে পারেন বাংলাদেশের জন্য একজন যোগ্যতম প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে আমার তৃতীয় পছন্দ হচ্ছেন জনাব হিরু আলাম, উনাকে বাংলাদেশের ১ নাম্বার জনপ্রিয় ব্যক্তি বললে ভুল হবে না, টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে যার অসংখ্য ভক্তকুল, তাছাড়া তিনি ভালো নাচা গানা করতে পারেন, তিনি বাঙালীদের বিনোদনে মাতিয়ে রাখেন আর তাই যারা ইসলামী ভাবধারার রাজনীতি কিছুটা অপছন্দ করেন, তাদের জন্য এই হিরু আলামই হতে পারে বেস্ট চয়েজ।
এছাড়াও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদের দৌড়ে; মোশারফ করিম, শাকিব খান, অন্তত জলিল, পরিমনি, বুবলি এদেরও যথেষ্ট সম্ভাবনা রহিয়াছে এদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত বড় কোন দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়নি সুতরাং গণতান্ত্রিক উপায়ে এরাও হতে পারেন আমাদের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী।
শেষ কথা- বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে শিবিরের জয়জয়কারে যারা হায় হায় গেলো গেলো রব তুলছেন তাদের জন্য আমার এক বস্তা সমবেদনা, শিবির কি ভোট চুরি করে জয়লাভ করেছে না ভোট ডাকাতি করেছে? তারা ছাত্রদের ভোটে'ই নির্বাচিত হয়েছে তাহলে এখন কেন মিছে চিৎকার চেঁচামেচি করছেন? চিল্লায়া কি মার্কেট পাওন যায়? মিয়া, মুখে গণতন্ত্রের বুলি আওড়ান আর প্রতিপক্ষ ভোটে জিতলে কান্নাকাটি করেন, এগুলো কি হিপোক্রেসি নয়? ওহ! হিপোক্রেসি যে রাজনীতির অবিচ্ছেদ্য এক অংশ তা আমি ভুলেই গিয়েছিলাম। তাছাড়া দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো যে মাদ্রাসায় পরিণতে হচ্ছে এ কথা আমি এবং কিছু ব্লগার সেই করোনাকালীন সময় থেকেই বলে আসছি সুতরাং ইহা মোটেও নতুন কিছু নয় আর তাই শিবিরের এই বিজয়ে অহেতুক ভূত দেখার মত চমকে উঠার কিছু নেই, দেশ একদম সঠিক পথেই ধাবিত হচ্ছে।
ইনকিলাব জিন্দাবাদ
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৪৭
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা এই অঞ্চলের এক চিরকালিন সমস্যা, তবে আগের মত হয়তো এখন সরাসরি দাঙ্গা বাঁধে না, তবে দ্বন্দ থেমে নেই, বর্তমান সময়ে এখন শুধু এই দ্বন্দের রুপ পাল্টিয়েছে।
কথা হচ্ছে- গণতান্ত্রিক দেশে এমন দাঙ্গা হবে কেন? গণতন্ত্র কি তাহলে শুধু সংখাগরিষ্ঠদেরই স্বার্থ রক্ষা করে?
আমাদের দেশে গণতন্ত্রের সুফল কেমন হতে যাচ্ছে?
ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি- ঐতিহ্যগত ভাবেই হিন্দু-মুসলিম পরস্পর শান্তিপুর্ণভাবে বসবাস সম্ভব নয় যদি না তারা সেক্যুলার ভাবধার হয়। পরিপুর্ণ ধার্মিক দুটি জনগোষ্ঠীর সহঅবস্থানে সংঘাত অনিবার্য, কারণ দুটি ধর্মের রীতিনিতি সম্পুর্ণ বিপরীত তথা সাংঘর্ষিক।
আচ্ছা- ইউরোপে যদি বাংলাদেশের মত ছোট, গরীব একটি রাষ্ট্র থাকে যে রাষ্ট্রে থাকবে মুর্খ জনসংখ্যায় ভরপুর যার ৮০% মুসলিম বাকি ২০% অন্যন্য ধর্মের, উক্ত রাষ্ট্রে গণতন্ত্র কেমন পারফর্ম করবে?
২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০৩
আলামিন১০৪ বলেছেন: নবী (সঃ) ওফাতের আগে খলিফা নির্বাচন করে যান নি। খলিফা নির্বাচনে প্রভাবশালী সাহাবী যারা নেতাও বটে/ তাদের বাইয়াত/ সমর্থন নেওয়া হয়েছিল। সে সময়ে কেউ কেউ মনে করেছিল, নবী (সঃ) উত্তরাধিকার হিসেবে আলী (রঃ) বেশি হকদার যা সেকালের প্রচলিত রাজতন্ত্রের মন-মানসিকতা থেকে উদ্ভব হতে পারে। তবে হাদিসে শাসকের আনুগত্য করতে বলা হয়েছে, বিশৃঙ্খলা পরিহারের উদ্দেশ্যে বোধ হয়। এর সাথে গণতন্ত্রের সংঘর্ষ কোথায়?
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৭
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এ বিষয়ে অবশ্য আমার তেমন কিছু জানা নেই, বিজ্ঞ আলেমগণ এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।
এখানে বিশিষ্ট একজন আলেম জনাব আব্দুর রাজ্জাক বিন আকবর আবেদ, ইসলামের আলোকে গণতন্ত্রকে চমৎকারভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। এটা দেখতে পারেন।
ধন্যবাদ।
৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:২০
শ্রাবণধারা বলেছেন: খুব ভালো একটা লেখা। তবে শিরোনামটা ঠিক প্রাসঙ্গিক হয়নি বলে মনে করি।
"সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র", আমার মতে এই কথাটা কোনো অর্থই বহন করে না। গণতন্ত্র নিয়ে আমরা যখন কথা বলি বা যে উদ্দেশ্য বলি, সেটা সংখ্যা নয়, গুণের বিচারে।
সংখ্যার বিচারে বিচার করতে গেলে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নয়, জামাত-মমিনুলদের কেয়ামততন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হয়, যেটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৭
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ঠিক ধরেছেন, পোস্ট'টি মূলত শুরু করতে চেয়েছিলাম, সংখ্যালঘু নির্যাতন, কারণ ও প্রতিকার বিষয়ে কিন্তু শুরুতেই ব্রেক ফেল করে লেখা ভিন্ন দিকে চলে গেলো পরে আর বেশি কিছু লিখে পোস্ট বড় করতে চাইনি। এ বিষয়ে পরে কোন এক দিন হয়তো লিখবো।
আপনি যতবড় জ্ঞানী বা বুদ্ধিমান ব্যক্তিই হোন না কেন, মমিনুলের দুইজন সাগরেদের মতামাতের কাছে আপনার মতামত মুল্যহীন, এটাই হচ্ছে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য, এটাই হচ্ছে গণতন্ত্রের আসল মাজেজা।
গনতন্ত্রে মূলত হেড কাউন্ট করা হয়, কোয়লিটি নয়। আর তাই নন কোয়ালিটি জনগোষ্ঠীর মাঝে গণতন্ত্রে রেজাল্টও খুব বাজে ১০ এ ১ দিতে পারেন।
তাছাড়া বর্তমান বিশ্বে হাতে গোণা ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর দুই একটি দেশ ছাড়া মুক্ত গণতন্ত্রের অস্তিত্ব নেই, দেশ ও জাতি ভেদে গনতন্ত্রকে খুব ভালোভাবেই ম্যানিপুলেটেড করা হয়। এই যেমন আপনি জামাত-মমিনুলদের কেয়ামততন্ত্র পছন্দ করে না আর তাই কোন না কোভাবে ফন্দি ফিকির করে তাদের আটকে দেয়ার চেষ্টা করবেন, এটাও এক ধরণের ম্যানিপুলেশন। আর শেখ হাছিনা যা করেছিলো তা হলো ডাইরেক্ট ম্যানিপুলেশন যে কারণে ধরা খেয়ে গিয়েছে।
আমি আসলে সবিকিছু এটকু বুঝার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
শুভ কামনা থাকবে সবসময়।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৩১
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ইসলামের আলোকে গণতন্ত্র বুঝতে হলে উপরের কমেন্টের ভিডিওটা দেখুন, মজা না পেলে পয়সা ফেরৎ।
৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৫৯
মাথা পাগলা বলেছেন: উগ্র মাদেসার শিক্ষকদের ছবি দেখে ভাবলাম - সাইদি, আজহারিদের ফ্যান, আবার সেই দলকানা চিন্তা-ভাবনা হবে। ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে মানুষ সবার ঊর্ধ্বে। ধর্ম রক্ষার নামে এসব হত্যাকান্ড কখনই সমর্থন করি না। ছোট বেলায় শুনতাম সৎভাবে চললে ধর্ম আমাদের রক্ষা করবে, বড় হয়ে বুঝলাম মারামারি-পিডাপিডি করে ধর্মকে আমাদেরই রক্ষা করতে হবে।
লেখা ভালো হয়েছে তবে টাইটেলটা পুরোপুরি মানানসই হয়নি সাথে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট যুক্ত করলে ভালো হতো। আশা করি আরও বেশী বেশী লিখবেন ধন্যবাদ।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৫৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ছোট বেলায় শুনতাম সৎভাবে চললে ধর্ম আমাদের রক্ষা করবে, বড় হয়ে বুঝলাম মারামারি-পিডাপিডি করে ধর্মকে আমাদেরই রক্ষা করতে হবে। - তা যা বলেছেন ভ্রতা।
আসলে আমি সংখ্যালঘু নির্যাতন, কারণ ও প্রতিকার বিষয়ে লিখতে গিয়েছিলাম কিন্তু শুরুতেই ব্রেক ফেল করে লেখা ভিন্ন দিকে চলে গেলো পরে আর বেশি কিছু লিখে পোস্ট বড় করতে চাইনি। এ বিষয়ে পরে কোন এক দিন হয়তো লিখবো।
তবে শিরোনামটা এখনো রিলেভেন্ট কারণ পোস্টে আমি বুঝাতে চেয়েছি গণতন্ত্র শুধু সংখ্যগরীষ্ঠদেরই স্বার্থ রক্ষা করে, ভারতকে এখানে জাস্ট উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ছে। এখানে যদি বাংলাদেশ ব্যবহার করতাম তাহলে মুসলিম নির্যাতনের জায়গায় শুধু হিন্দু নির্যাতনের কথা লিখে দিলেই হতো।
৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৪৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পুরো লেখা পড়া পসিবল না ।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:০০
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনি হলেন একজন ব্যস্ত লুক আমি জানি । তবে এটা কিন্তু মোটও খুব বড় লেখা নয়, ছবি আর ভিডিওর কারণে অনেক বড় পোস্ট মনে হয়েছে আপনার কাছে কিন্তু লেখা কিন্তু খুব বেশি নয়।
৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি বলেছেন বা কি বলতে চাইছেন, সেটা বুঝতে পেরেছি।
আমি আপনারা সাথে একমত নই।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: যাক বাঁচালেন, আমি ভাবছিলাম আপনি মন্তব্য করবেন "আসলে আপনি কি বলতে চাচ্ছেন?"
সত্যি কথা বলতে এই পোস্টে আসলে আমি তেমন কিছুই বলিনি, তবে অনেক কিছুই বলার চেষ্টা করেছি প্রশ্নে উত্থাপনের মাধ্যমে।
আপনি আমার সাথে একমত না হলে কোনই সমস্যা নেই, তবে এই নির্বাচনে আমি হিরু আলমকে ভোট দিবো আমার বিশ্বাস হিরো আলমের দল বিপুল ভোটে জয় লাভ করবে?
আপনি কি মামানুল হকের দলকে ভোট দিবেন এবার? আমার ধারণা এবারের নির্বাচনে হিরু আলমের দল আর মামুনুল হকের দলের মধ্যে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে, শেষ পর্যন্ত যে দল বেশি ভোট পাবে সেই দল সংসদে যাবে।
৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩
বিজন রয় বলেছেন: কারন ভারত এখন নামে গণতান্ত্রিক। অবশ্য পাশের দেশসমূহ এটার জন্য কিছুটা দায়ী।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৩৯
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ভারতের মত বৃহৎ জনসংখ্যার দেশে সঠিক গণতন্ত্র নেই, চীনের মত বিশাল জনগোষ্ঠীর দেশে গণতন্ত্র নেই, রাশিয়াতে নেই, উত্তর কোরিয়াতে নেই, বেশীরভাগ মুসলিম দেশগুলোতেই নেই, আমেরিকা, বৃটেনের মত শক্তিশালী দেশের গনতন্ত্র নাকি আজ হুমকির মুখে, ম্যানুপুলেটেড। তাছাড়া স্বয়ং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ হর্তা কর্তা যারা মানে হুজুর সমাজ ১৮ কোটি জনগনের প্রতিনিধীত্বকারী তারা নিজেরাও পরিস্কারভাবে গনতন্ত্রের বিরুদ্ধে যার প্রমাণ আমি এই পোস্টে দিয়েছি। গণতন্ত্রের এমন হ-য-ব-র-ল অবস্থা দেখে আমার ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কান্না করতে ইচ্ছে করছে।
৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:১৩
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
সত্যি কথা বলতে, পিচ্চি হুজুর মাদানী না কি জানি নাম একটি ছবি দেখে খুব মায়া লাগছিল। হাতে-পায়ে শিকলের বেড়ি পড়িয়ে কোর্ট নিয়ে যাচ্ছে কিন্তু সে কোন ফৌজদারী অপরাধের আসামি না! ৫ তারিখের পর এদের উৎপাত, বাচনভঙ্গি, অহংকার দেইখা মনে হচ্ছে এগুলোর জন্যে হাসিনাই ঠিক ছিল। বেটা ঠিক মতো মাহফিলে কথা বলতে পারতি না, এখন এমন ভাব মনে হয় তোদের দোয়ায় আল্লাহ ফেরেশতা পাঠাইয়া হাসিনারে খেদাইছে।
শুনেন শালার পুতে কি কয়? পিচ্চি হুজুর
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ২:১২
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: মাইর খাওয়ার ভয়ে সে একসময় বঙ্গবন্ধুর মিছে ভক্ত সেজেছিলো, ২০২১ থেকে ২৩ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু নিয়ে তার অনেক বয়ান আছে ইউটিউবে খুঁজে দেখতে পারেন। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ২:১৭
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: মানুষের উপর অহেতুক নির্যাতন আওয়ামী সরকারের পতনের অন্যতম কারণ, এই মাদনীর উপরেও অমানবিক আচারণ করা হয়েছে, এসবের মোটেও প্রয়োজন ছিলো না।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ২:৩২
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনি আপনার অধিনস্ত কাউকে, বছরের পর বছর খাবার দাবারে কষ্ট দিতে পারেন, অর্থ কষ্টে রাখতে পারেন, এমনকি মাঝে মাঝে শারিরিক নির্যাতনও করতে পারেন, এত কিছু করার পরেও আপনি যতি তার সাথে শুধু মুখে ভালো ব্যবহার করেন, তাহলে দেখবেন সে তার সমস্ত কষ্টে ভুলে আপনার অধিস্ত'ই থাকবে।
কিন্তু যদি তাকে ভালো ভালো খাবার, বেশি বেশি অর্থ প্রদাণ করেন আবার নিয়মিত তাকে বকাঝকা করেন, অপমান অপদস্থ করেন, মানসিক নির্যাতন করেন, অমানবিক আচরণ করেন... তাহলে দেখবেন একদিন না একদিন সে আপনার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠবে আপনার জানের শত্রু হয়ে দাঁড়াবে। আওয়ামীলীগের অবস্থাও হয়েছে ঠিক তেমনই। আত্নসম্মানে আঘাত মানুষ সাধারণত ভুলে না যে কোন মূল্যে সে তার প্রতিশোধ নিতে চায়।
৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:৫৯
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমিও অনেকদিন পর ব্লগে আসলাম, আশা করি ভালো আছেন।
১০| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: কিছুটা সার্কাজম, কিছুটা অকপটে নিজস্ব দৃষ্টি্ভঙ্গীর ব্যাখ্যা এবং কিছুটা সুস্পষ্ট বক্তব্য, সব মিলিয়ে মন্দ হয়নি।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:১২
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: কষ্ট করে যে পুরো পোস্ট পড়েছেন এজন্য আমি আনন্দিত, আপনার যথাযথ মন্তব্য দেখেই আমি বুঝতে পেরেছি আপনি পুরো পোস্ট পড়েছেন।
আমি আসলে আগের মত ব্লগে নিয়মিত আসি না তাই যথাসময়ে উত্তর দিতে না পারার জন্য দুঃখিত, আশা করি আপনি এবং আপনার পরিবারের সবাই ভালো আছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩১
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের জন্য মুলত: দায়ী পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তািন; এসব দেশ থেকে হিন্দুদের বিতাড়নের ফলে, মুসলামানদের সম্পর্কে ভয়ংকর খারাপ ধারণা গড়ে উঠেছে।