| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জ্যাক স্মিথ
লিখতে না পড়তে ভালো লাগে, বলতে না শুনতে ভালোবাসি, সেমি-ইন্ট্রোভার্ট।
প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন- ধর্মভিত্তিক রাজনীতি আমার মোটেও পছন্দ নয় কিন্তু রাজনীতি তো কারো একার পছন্দের অপছন্দের বিষয় নয়, যেখানে কোটি মানুষের ইচ্ছা অনিচ্ছার বিষয় সেখানে আমার একার মতামতে কি'ইবা আসে যায়?
অনেকে জামাতকে পছন্দ না করার অন্যতম কারণ তারা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে সেই ১৯৭১ সালেই, অর্ধশতাব্দীর পুরোনো একটি বিষয় নিয়ে এত টানা হেঁচড়ার কি কোন মানে আছে? মুক্তিযুদ্ধ অবশ্যই বাংলাদেশের একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় কিন্তু তাই বলে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধ করে তো লাইফ শেষ করে দেয়া যায় না, আমাদের তো সামনে এগুতে হবে।
তাছাড়া- সেই সময়ে জমায়েতের যে সকল নেতাকর্মী পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করেছে তাদের বেশীরভাগই এখন আর জীবিত নেই এবং বর্তমানে যারা জমায়েতে ইসলামী রাজনীতির সাথে জাড়িত তারা সবাই মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করেই রাজনীতি করছে, তারা বাংলাদেশের রাজনীতিই করে; পাকিস্তানের নয়, আমি মনে করি না যে জমায়েতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে দেশ আবার পাকিস্তান নিয়ে যাবে, এগুলো মিথ্যে জুজু মাত্র।
অন্যদিকে বিএনপির উপরও সাধারণ মানুষ চরম বিরক্ত, তারা যদি ক্ষমতায় আসে প্রধানমন্ত্রী কে হবে তার'ই কোন হদিস নেই, 'আগামী মাসে তারেক জিয়া দেশে আইতিয়াসে' এই কথা আমি শুনতেছি গত দেড় বছর ধরে। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে- বিএনপিকে ক্ষমতায় বসিয়ে তারেক জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী করার পরেই কেবল সে দেশে আসবে তার আগে নয়, হায়রে আমার দেশপ্রমিক!!
সকল যুক্তি তর্ক বাদ দিয়ে যদি সহীহ গণতন্ত্রের কথায় আসি- দেশের জনগণ যদি জামাত'কে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনে তাহলে আমার বা আপনার সমস্যা কি? এখানে আমার বা আপনার সত্যি'ই কি কিছু করার আছে? তারা তো আর জোড় করে ক্ষমতা দখল করছে না, ভোটের মাধ্যমেই যদি তারা ক্ষমতায় আসে তাহলে সমস্যাডা কি হেইডাই আমি বুঝতে পারলাম না।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতের দিকে খেয়াল করুন- ভারতে হিন্দু জনগোষ্ঠী সংখ্যাগরিষ্ট হওয়ার সুবাদে ভারতে সবসময় হিন্দুত্ববাদ দলই সরকার গঠন করে, ইহাই গণতন্ত্রের সুফল। কাজেই বাংলাদেশে যেহেতু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট একটি দেশ সেখানে তো ইসলামীক দলগুলোই ক্ষমতায় আসার কথা, গণতন্ত্রের সরল অংক তো সে কথাই বলে। তাহলে জামাত ক্ষমতায় আসতে পারে ভেবে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি করে লাভ কি? চিল্লায়া কি মর্কেট পাওন যায়?
গত জুলাই আন্দোলনে যে গণতন্ত্রের জন্য শত শত তরুণের প্রাণ গেলো, রক্ত ঝড়ালো, হাত-পা, চোখ, হারালো তাদের আত্নত্যাগের কি কোনই মূল্য নেই আপনার কাছে? তাহলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ফুঁসলিয়ে তাদের রাস্তায় নামিয়েছিলেন কেন? হাত, পা, চোখ হারানো এমন শত শত তরুণের জীবনের দায়ভার কে নেবে? আম জনতার রক্ত ঝড়িয়ে কি শুধু নিজেদের ফায়দা লুটতে চান? জুলাই আন্দোলনে রাজনৈতিক দলগুলোর বড় কোন নেতা মারা গেলো না কেন? কেন শুধু আবেগী আম জনতার রক্তের উপরেই রাজনীতি করে এই দেশের রাজনৈতিক দলগুলো?
এখন কি তাহলে জামাত হঁটাও নামে আরেক দলকে রাস্তায় নামিয়ে তাদেরও রক্ত ঝড়াতে চান? প্রতি বছর বছর কি তাহলে আন্দোলন চলতেই থাকবে? আর এভাবেই কি রক্তের আবর্তে ঘুরতে থাকবে বাংলাদেশের রাজনীতি?
এসবের শেষ হওয়া প্রয়োজন।
------------------------------------
আরও পড়ুন: বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতে কেন মুসলিম জনগোষ্ঠী নির্যাতনের শিকার?
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:০৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি দুইবার করে এসেছে,
যাকগে- বাংলাদেশ কারো একার সম্পত্তি না। - কথা ঠিক, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মানুষ যখন দেশ নিয়ে কথা বলে তখন মনে হয় দেশটি যেন শুধুই তার একার আর অন্য সবাই ভেসে এসেছে, এমনভাবে বুলি আউড়ায় যেন দেশের ভালো মন্দ দেখার সমস্ত দায় দায়িত্ব তার নিজের; যার ফলাফল যা হবার তাই হয়েছে চারিদিকে হা-য-ব-র-ল অবস্থা। দেশ একটি কিন্তু দাবিদার ১৮ কোটি, সবাই বলে দেশ আমার, কেউ বলেনা আমাদের দেশ, এই দেশের সবাই নেতা- সবাই এক একজন মস্ত বড় দেশপ্রেমিক।
একটি বিষয়কে যখন সবাই দাবী করে তখন উক্ত বিষয়ে আমার ইন্টারেস্ট হরায় আর তাই বাংলাদেশের ভালো মন্দ বিষয়ে আমার খুব বেশি মাথাব্যাধা নেই।
প্রথম মন্তব্যের জন্য আপনাকে অন্তরিক অভিনন্দন।
২|
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৩২
শ্রাবণধারা বলেছেন: কেয়ামত তো হবেই - দুইদিন আগে বা পরে! জামাত ক্ষমতায় এসে তাড়াতাড়ি কেয়ামত হাসিল করে দিক, দেরি করে লাভ কি? কব্বরের অন্ধকারে কোন অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি থাকবেনা।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৫৮
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: জামাত ভালো কি খারাপ তা প্রমাণ হওয়ার জন্য হলেও তাদের একবার ক্ষমতায় আসা উচিৎ, যদি ভালো হয় ভালো আর যদি খারাপ হয় তাহলে পরের নির্বাচনে দেশের জনগণই ব্যলট বাক্সে তাদের জবাব দিয়ে দিবে।
৩|
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৫৪
বাজ ৩ বলেছেন: বাংলাদেশে এই মুহুর্তে ভারো কোনো রাজনৈতিক দল নাই।জামাত এখনো ক্ষমতায় আসেনি,জামাতকে একবার দেখে নেওয়ার প্রয়োজন আছে,সুতরাং জামাত এবার ক্ষমতায় আসুক দেখি কি করে।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:০১
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: পার্ফেক্ট; বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে আমিও ঠিক একই অভিমত পোষণ করে থাকি।
ধন্যবাদ বাজ পাখি'কে।
৪|
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মৌলবাদী মোদির ভারতে বিহারের সিএম নিতিশ কুমার ২০ বছর ধরে পাওয়ারে আছেন । এবারো জয় লাভ করেছেন। উহা এবার কি করেছেন শুনবেন ? উইমেনদের দশ হাজার রুপি করে বিজনেস করতে দিয়েছেন। ভালো করলে দুই লাখ আরো পাবেন । লাখ খানেক উইমেন টাকা পেয়েছেন। নিতিশ কুমার মদের ঠেক রদ করেছেন , মেয়েদের ইশকুলে যেতে সাইকেল দিয়ে দিয়েছেন । আবার করণাটকে ওয়ারকিংহ উইমেনদের পিরিউড কালীন প্রতি মাসে একদিন ছুটি ঘোষনা করেছে । যারা মাইনরিটি তাদের উপর যে জুলুম চলছে না তা নয় তবুও এগিয়ে যাইতেসে ভারত কিনতু জামাত ?
মৌলবাদী আমীর(এক্স জাসদ) পাওয়ারে যাওয়ার আগেই উইমেনদের ঘরে ঢুকানোর পায়তারা করছেন । জা-শির মতো slut shaming বাংলাদেশে কেউ করে না । উহারা ইকোনমি বুঝে না । কেবল বুঝে দাঙা এবং হাঙগামা ।
২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৫
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: নিতিশ কুমার একজন ঝানু রাজনীতিবিদ ভোট পাওয়ার জন্য সে বিলিয়নস রুপি খরচ করছে, টাকার জোরে সে তার রাজনৈতিক ইকো সিস্টেম ঠিকভাবে সাজিয়ে নিয়েছে, তাকে হারানো দুষ্কর।
জামাতকে একবার সুযােগ দেয়া হলে তারাও জনকল্যাণমূলক কাজ করবে বলে আমার ধরণা।
আর যে দেশের নারীরা পুরুষকে খুশি করতে নিজেরাই বস্তাবন্দি থাকতে চায়, দাসী হিসেবে ঘরে বসে পুরুষের সেবা করতে চায় সেই দেশের নারীদের জন্য জামায়েতে ইসলামী'ই যোগ্যতম দল। চিল্লায়া কন ঠিক কি না?
৫|
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জামাত পাওয়ারে আসলে ইসলামের নামে ইলেকশন দিবে না । মিলিটারি লাগবে তাদের সরাতে । উপরে যারা জামাতের সাফাই গাইতেসে তখন উহারা সবাই জামাত যা করছে সব সঠিক বলবেন । Democracy'র সুযোগ নিয়ে পাওয়ারে গিয়ে একদলীয় শাসন কায়েম করবে।
সবচেয়ে ভালো হতো কেজরিওয়ালের মতো দাড়িয়ে গেলে । এনসিপি তো পারলো না ।
২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৯
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ইসলামের নামে এই দেশের জনগণ কোন হাঙ্কি পাঙ্কি মেনে নিবে না, আর যাই হোক কোন রাজনৈতিক দল জোড় করে ক্ষমতায় থাকার খায়েশ করবে না। একদলীয় শাসন অসম্ভব এই দেশে।
এনসিপিকে নিয়ে আমার অনেক আশা ছিলো, কিন্তু লোভে পরে তারা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে গেছে, তাই বাধ্য হয়ে জামাতের পক্ষেই ব্যাট চালাচ্ছি।
৬|
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৪২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশের জামাতের সমর্থন কতটুকু?
এযাবৎ বাংলাদেশে বর্তমানে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে কোন নির্বাচনে জামাত ৪ - ৫% এর বেশি ভোট পায়নি।
একবার শুধু বিএনপির সহযোগিতায় ১৪% ভোট পেয়েছিল।
কথিত জুলাই আন্দোলনেও অফিসিয়ালি জামাত ছিল না। আন্দোলনের মাঝে বারবার শিবির জামাতের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করা হয়েছিল। ছিল মেডিকুলাস ডিজাইনে গুপ্তভাবে। গুপ্তভাবে ছাত্রলীগের সাথে বিএনপির ছাত্রদলের সাথে।
৪% পার্সেন্ট ভোটের মালিক হয়ে জামাত চক্রান্ত করে বিশ্বাসঘাতক সেনাপ্রধান কে হাত করে এক নোবেল লরেট ইউনুসকে ভাড়া করে ক্ষমতা দখল করেছে।
এখন এই ৪% পার্সেন্ট ভোটের মালিক জামাত ডাকসু নির্বাচনের মত নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপিয়ে কারচুপি করে নির্বাচনে জেতার মত স্বপ্ন দেখছে।
জামাত তো বাংলাদেশের কিছু না। জামাতের হেডকোয়ার্টার হচ্ছে পাকিস্তান।
জামাত নির্বাচন দিয়ে কি করবে? জামাততো নির্বাচন মানে না গণতন্ত্র মানে না।
জামাতের ম্যানফেস্টোতে গণতন্ত্রের কথা বলা নেই একদলীয় ওহাবি ইসলামতন্ত্রের কথা বলা আছে।
২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৩
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ ধার্মিক হলেও এ যাবৎ কাল পর্যন্ত ভোটের মাঠে তারা আওয়ামীলীগ এবং বিএনপির উপরেই ভরসা রেখেছে। এখন যেহেতু আওয়ামীলীগ নেই আবার বিএনপির কর্মকান্ডেও মানুষ ব্যপক বিরক্ত তাই আমি মনে করি এবার জামাতের ভালো সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
ভোট কারচুপি করে যদি কোন দল ক্ষমতায় আসে তাহলে এই জাতির জন্য এর চেয়ে বড় দূর্ভোগ আর কিছুই হতে পারে না, যে ভোটের জন্য এত এত মানুষ প্রাণ হারালো, হাত-পা বিসর্জন দিলো সেই ভোট'ই যদি কূলষিত হয়ে যায় তাহলে জাতি আর কখনোই ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না।
ইসলামে গণতন্ত্র হচ্ছে একটি হারাম মতবাদ তা আমি জানি তবে এইসব হালাল হারামের মারপ্যাঁচে কোন দল যদি ভোট ব্যবস্থাকে তুলে দেয় তাহলে তা এই দেশের জনগণ মেনে নিবে না।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩৩
সুলাইমান হোসেন বলেছেন: বাংলাদেশ কারো একার সম্পত্তি না,
এই দেশ,এইদেশে জন্মগ্রহণ কারি প্রতিটি নাগরিকর,কারো একার সম্পত্তি না। কোনো সরকারেরও না।জনগন সরকার নির্বাচন করে সুধুমাত্র জনগনের কল্যান এবং নিরাপত্তার জন্য।সুতরাং কোনো সরকার যদি মনে করে এই পুরো দেশ আমার,তাহলে ভুল হবে,মারাত্মক ভুল হবে।জনগন তাদেরই মধ্য থেকে একজনকে বাছাই করে, একজনকে সরকার প্রধান নির্বাচন করে,জনগনেরই কল্যান এবং নানাবিধ উপকারের জন্য,নিরাপত্তার জন্য।বারবার আমাদের বাংলাদেশের সরকার প্রধানরা অযোগ্য প্রমানিত হয়েছে,যদি আপনি জনগনের কল্যান, নিরাপত্তা,এবং চাহিদা সমূুহ পূর্ণ করতে না পারেন তাহলে আগ বারিয়ে সরকার প্রধান হতে যান কেন?
অত্যান্ত দুঃখজনক ব্যাপার হলো আমাদের বাংরাদেশে ৭১ এর স্বাধীনতার পর থেকে আজ ২৫ পর্যন্ত অল্পকয়েকজনই যোগ্যতা,দক্ষতাসম্পন্ন ব্যাক্তি সরকারপ্রধান নির্বাচিত হয়েছে, এবং তারা পুরুষ ছিলো।কোনো মহিলা সরকার যোগ্যতা দক্ষতা দেখাতে পারেনি।
সুতরাং,বাংলাদেশের উন্নতি নির্ভর করে একজন সৎ যোগ্য পুরুষ সরকার প্রধানের উপর,এর বিকল নেই,পূর্বের ইতিহাস থেকে আমরা তার প্রমান পেয়েছি।
আমার জানা মতে এরকম সৎ যোগ্য একজন পুরুষ একটিমাত্র দলে রয়েছে,সেটা হলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। জামাতের সাথে ধর্মীয় ব্যপারে আমাদের মতভদ থাকলেও,অন্যান্য দলের থেকে এই দলটা অনেক ভালো।আমি ধর্মীয় জীবনে দেওবন্দের অনুসারী।সুতরাং ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে জামায়াতের সাথে আমাদের মতভেদ রয়েছে,তারপরও আমি,অন্যকোনো ভালো দল না পাওয়ার কারনে রাজনৈতিক দিক থেকে এই দলটাকে সাপোর্ট করি।
আশা করি বাংদেশের মানুষের চোখ কান খোলা রয়েছে, এবং তারা জামায়াতকে বেছে নিবে জামায়াত ইনশাআল্লাহ এইবার ক্ষমতায় যাবে,ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশ কারো একার সম্পত্তি নয়।
এই দেশ—এ দেশের মাটি, আকাশ, নদী, বাতাস—সবই জন্মসূত্রে প্রতিটি নাগরিকের অধিকার।
কোনো ব্যক্তি, কোনো গোষ্ঠী, এমনকি কোনো সরকারও এই দেশের মালিক হতে পারে না।
জনগণ সরকারের মালিক; সরকার জনগণের নয়।
সরকার গঠিত হয় শুধু জনগণের কল্যাণ, নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষার জন্য।
সুতরাং যদি কোনো সরকার মনে করে এই দেশ তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি—
তবে সেটি হবে ভয়ংকর ভুল।
জনগণ তাদেরই মধ্য থেকে একজনকে নির্বাচন করে
একজন সরকারপ্রধানকে দায়িত্ব দেয়—
যেন তিনি দেশের কল্যাণ করেন, সঠিক সিদ্ধান্ত নেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন,
এবং জনগণের চাহিদা পূরণ করেন।
কিন্তু দুঃখের বিষয়, স্বাধীনতার পর থেকে আজ ২০২৫ সাল পর্যন্ত
বাংলাদেশে খুব অল্প কয়েকজন সরকারপ্রধানই
যোগ্যতা, সততা ও দক্ষতার পরিচয় দিতে পেরেছেন।
আমাদের ইতিহাসে দেখা যায়—
যে কয়জন যোগ্য, দূরদর্শী ও দক্ষ নেতা এসেছেন,
তারা সবাই পুরুষ ছিলেন।
দুঃখজনকভাবে, কোনো নারী নেতৃত্ব সে মানের যোগ্যতা ও সাফল্য দেখাতে পারেননি।
সুতরাং বাংলাদেশের উন্নতি নির্ভর করে একজন সৎ, যোগ্য ও ন্যায়পরায়ণ পুরুষ নেতার উপর—
এটাই ইতিহাসের শিক্ষা।
আমার জানা মতে বর্তমানে এমন যোগ্যতার অধিকারী
শুধুমাত্র একটিমাত্র দলেই আছেন,
সেটি হলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আমি নিজে দেওবন্দের অনুসারী হওয়ায়
জামায়াতের সাথে কিছু মতভেদ থাকলেও,
রাজনৈতিকভাবে তাদেরকে আমি অন্যান্য দলের তুলনায়
বেশি সৎ, বেশি শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং বেশি যোগ্য মনে করি।
আশা করি বাংলাদেশের মানুষ
এবার তাদের চোখ-কান খোলা রেখে সিদ্ধান্ত নেবে,
এবং ইনশাআল্লাহ, জামায়াতকে সুযোগ দেবে—
ইনশাআল্লাহ, তারা ক্ষমতায় যাবে।