![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রঙের দুনিয়ায় আমি এখনও ছাত্র,তবে শখের বশে লেখক, সাংবাদিক, অনুবাদক আবার কখনো আরও অনেক কিছু।
উমাইয়া বংশের সবচেয়ে প্রতাপশালী খলিফা আব্দুল মালেক বিন মারওয়ান। তার শাসনামলে হজ্বের মৌসুমে মক্কার কাবা শরীফে সমবেত মুসলমানদেরকে জানিয়ে দেয়া হতো - আতা ইবনে আবি রাবাহ ছাড়া এ মক্কায় অন্য কারো ফতওয়া দেয়ার অধিকার নেই। যে কোন মাসআলা কিংবা প্রয়োজনে কেবল তাকেই জিজ্ঞেস করা যাবে।
কারণ আতা ইবনে আবি রাবাহ মক্কাবাসীর মধ্যে সবচেয়ে যোগ্য আলেম, ফক্বীহ এবং শ্রেষ্ঠতম জ্ঞানী।
এতবড় একজন ইমাম এবং আলেম- স্বয়ং মুসলিম জাহানের খলিফার পক্ষ থেকে যাকে যোগ্যতম হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে- কেমন দেখাতো তাকে?
গায়ের রং কুচকুচে কালো-
হাঁটাচলায় খোঁড়া,-
চেহারায় এক চোখ কানা
খাঁদা নাক-
শরীরের কিছু অংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত,
মাথায় কোঁকড়ানো ঘনচুল-
এতসব অক্ষমতায় জর্জরিত মানুষটির দিকে তাকিয়ে থাকার মতো মোটেও কিছু নেই।
তার সামনে যখন পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসা ছাত্ররা সাদা কাপড় পরে বসে থাকতো, তিনি যখন তাদেরকে পড়াতেন, তখন ঐ মজলিসের দিকে তাকালে মনে হতো- যেন সাদা ধবধবে তুলার স্তুপে একটি কালো কাক বসে আছে।
মানুষ দূর থেকে তাকিয়ে দেখতো, অবাক হয়ে তারা ভাবতো, এমন একজন মানুষ এতবড় আলেম-যার সামনে স্বয়ং খলীফা এসেও মাঝে মাঝে বসে থাকেন!!
কিন্তু কোন সে ধর্ম! কোন সে যোগ্যতা- যা তার মতো এমন ক্ষুদ্রঅবয়বের মানুষটিকে মক্কার শ্রেষ্ঠতম আলেম ও ফক্বীহ হওয়ার গৌরব দিয়ে ভূষিত করেছে! ইসলাম এবং ইলম। আর কিছু নয়।
বর্ণবৈষম্য, জাতি ও রাষ্ট্রের বিভক্তি, গোষ্ঠিগত দ্বন্দ আর স্বজনপ্রীতিতে ভরা আজকের কলুষিত সভ্যতার সামনে ইসলামের উদারতা এবং মানবিকতার সামান্য একটি নমুনা আতা ইবনে আবি রাবাহ।
২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:০১
Enam বলেছেন: দোষ টা আমার নিজের কারন -
আমি হুমায়ুন আহমেদের হিমু সমগ্র পড়তে রাজি আছি কোরআন না।
আমি শেক্সপিয়ারের লেখা বুঝতে পারি কোরআন বুঝতে চেষ্টা ই করি না।
আমি শার্লোক হোমস এর রহস্য উদঘাটন করতে পারি, হাদিস পড়ার সময় নাই।
কাউকে ভন্ড বল্েলই কি আমি আমার দায় এড়াতে পারি?????
@ঝটিকা
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩০
ঝটিকা বলেছেন: ইসলামের সেই স্বর্ন যুগও নেই সেই আদর্শও আজ নেই। তাই ইসলাম সম্পর্কে যে যা খুশি সহজেই কটুক্তি করতে পারে।