![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রঙের দুনিয়ায় আমি এখনও ছাত্র,তবে শখের বশে লেখক, সাংবাদিক, অনুবাদক আবার কখনো আরও অনেক কিছু।
অসুস্থ হয়ে বিছানায় শুয়ে আছেন কায়েস বিন উবাদাহ। তিনি রাসূলের একজন সাহাবী। মদীনার ধনী এবং দানশীল সুধীজনদের মধ্যে তিনি অন্যতম একজন। এমন মানুষ অসুস্থ অথচ কেউ তাকে দেখতে আসছে না। তার আপন ভাই-বন্ধুরাও না।
মনে মনে মনক্ষুণœ এ সাহাবী তার পরিবারের কাছে জানতে চাইলেন এর রহস্য। কী ব্যাপার! আমি অসুস্থ হয়ে পড়ে আছি! আমার স্বজনদের কেউ আমাকে দেখতে আসছে না যে!’
পরিবারের লোকজন জানালেন, তারা সবাই আপনার খোঁজ নিচ্ছে। তবে গোপনে গোপনে। আপনার চোখের আড়ালে। এরা আপনার সামনে আসতে লজ্জা পাচ্ছে। এদের প্রায় সবাই আপনার কাছে দেনা। সেই ঋণ শোধ না করে কিভাবে তারা আপনার কাছে আসবে!
মলিনমুখে কায়েস বললেন, যে সম্পদ মানুষকে এমন দূরে সরিয়ে রাখে- তা মোটেও কল্যাণকর নয়। এক কাজ করো, বাইরে গিয়ে উঁচু গলায় সবাইকে জানিয়ে দাও, যার যার কাছে কায়েসের ঋণ আছে- সবাইকে তিনি মাফ করে দিয়েছেন। এসব আর ফেরত দিতে হবে না।’
কিছুক্ষণ পর। এমন ঘোষণা শুনে সাড়া পড়ে গেল মদীনায়। ভাই-বেরাদার, আত্মীয়-স্বজন, চেনা-অচেনা সবাই ছুটে আসছে কায়েসের ঘরের দিকে। তারা তো আগে থেকেই জানতো, এমন সজ্জন মানুষটি অসুখ হয়ে বিছানায় শায়িত, তাকে দেখতে না গেলে বিবেকের কাছে লজ্জিত হতে হচ্ছে।
সেই যে মানুষ আসছে, যাচ্ছে। অসংখ্য অগণন। এরা সবাই কায়েসের কাছ থেকে ধার-কর্জ নিয়েছিলেন। সাধ্যের অভাবে ফেরত দিতে দেরী হচ্ছিল তাদের। এরা সবাই ছিল লজ্জায় সংকুচিত। আজ তারা প্রাণখোলা ভালোবাসায় দেখতে আসছেন তাদের চিরউপকারী কায়েসকে।
মানুষের প্রচন্ড ভীড়ে চাপ সইতে না পেরে সেদিন কায়েসের ঘরের প্রধান দরজাটি ভেঙে পড়েছিল। ভাবা যায়! কত মানুষ এসেছিল সেদিন!!
ভাল লাগলে এমন্ই আরো কিছু ঘটনা পড়ে নিতে পারেন-
ইতিহাসের হাসি কান্না- কিছু প্রশ্ন কিছু ঘটনা
মৃত্যুর পরও মায়ের জন্য সান্তনা
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪
মূসা আলকাজেম বলেছেন: সাহাবীদের চিন্তা চেতনা যে আসলে কত ঊর্ধ্বের তা বুঝার ও ব্যক্ত করার সাধ্য আমাদের নেই। তাই শুধু বলি সুবহানাল্লহ। পোষ্টে +++।
এখানে আছে নবী সাহাবীদের উপর উত্থাপিত অনেক প্রশ্নের জবাব।