নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভরসার গান

তরুণ নামের জয়মুকুট শুধু তাহার, বিপুল যাহার আশা, অটল যাহার সাধনা

মানব ও মানবতা

রঙের দুনিয়ায় আমি এখনও ছাত্র,তবে শখের বশে লেখক, সাংবাদিক, অনুবাদক আবার কখনো আরও অনেক কিছু।

মানব ও মানবতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মোল্লাকে বুঝো, মোল্লাকে খুঁজো.........

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭

শিক্ষিত গরুদের নিকট এক মাদ্রাসা ছাত্রের

কিছু অপ্রিয় কথা

- মুহিব খান



জানো কি বন্ধু ! এদেশের কিছু শিক্ষিত গরু আছে

বাঁচার জন্য খায় না তাহারা খাওয়ার জন্য বাঁচে।

নিজেদের ভাবে মহাপণ্ডিত জ্ঞানী ও বুদ্ধিজীবি

আসলে মাথায় কিছু নেই, শুধু পচা গোবরের ডিবি।

মৌলভী দেখলে নাক সিটকায়,

মোল্লা দেখলে জ্বলে।

বানরের মতো মুখ ভেংচায়, নানা কটু কথা বলে।

ভাবে হায় হায় ! হবে কি উপায় ! এই মোল্লাদের

দলে-

প্রগতির যুগে টেনে নিল হায় দেশটাকে রসাতলে।

মোল্লারা নাকি অপয়া, অধম, সমাজের

নাকি বোঝা।

হাল জামানার বোঝেনা কিছুই, কেবলি নামাজ,

রোজা।

আমি বলি- 'বাছা, সবুর সবুর এতোটা তো নয়

সোজা'!

কে কতোটা ভালো-মন্দ বা দোষী এসো শুরু

করি খোঁজা।

প্রথমেই দেখ শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস করে কারা?

আমরা তো দেখি তোমরাই করো,

করে নাতো মোল্লারা ।

পার্কে-বাগানে, এখানে-সেখানে ভাঙ্গা বস্তির

ফাঁকে

গাঁজার আসরে দেখেছো কি বলো কভু

কোনো মোল্লাকে?

কোনোখানে কোনো মদের

আড্ডা কিংবা জুয়া খেলাতে-

তোমাদের কভু দেখা হয়েছে কি কোনো মোল্লার

সাথে?

হাঁটে বা বাজারে অলিতে গলিতে কি-বা রাস্তার

মোড়ে-

দেখেছ কি কোনো মোল্লা কখনো চুরি-

রাহাজানী করে?

সাথে বে-শরম, বেহায়া, বে-লাজ, উদ্ভট

নারী নিয়ে-

কোনো মোল্লা কি তোমাদের মতো বেড়ায়

রিক্সা দিয়ে?

রাস্তার পরে মাস্তানী বল মোল্লারা করে কভু?

অযথাই কেন মোল্লাদেরকে দোষারোপ

করো তবু?

তোমরাই বলো- কোনোদিন

কোনো অফিসে বা আদালতে-

কোনো মোল্লাকে পেয়েছ

কখনো কারো কাছে ঘুষ খেতে?

যত দুর্নীতি, কালোবাজারি বা মাদক চোরাচালানে

ক'জন মোল্লা পেয়েছ

বলতো হাতে আঙ্গুলে গুণে !

মাদ্রাসা পড়া শেষ শেষ করে তারা কিছু না কিছু

তো করে।

বেকারত্বের অভিশাপ

নিয়ে বসে তো থাকে না ঘরে।

কোন যুক্তিতে করো বাহাদুরি, কিসের

গরীমা এতো?

তোমরা তো করো দাঁড়িয়ে পেশাব নেড়ী কুত্তার

মতো।

মুখে বলো শুধু- আমরা বাঙালি, আমরা স্বাধীন

জাতি।

ইংরেজদের গোলামী ছাড়োনী আজো বাপ-দাদা-

নাতি,

প্যান্টের নিচে শার্ট ইন করে দেখাও পাছার মাপ

দাঁড়ি গোঁফ

চেঁছে কচি খোকা সাজো এগারো ছেলের বাপ।

বাংলার সাথে ইংরেজি মারো দেখাও আধুনিকতা।

বৈশাখ এলে ঢালো বটমূলে হৃদয়ের আকুলতা !

পাঞ্জাবী পড়ে বাঙালী সাজো মাটির

সানকী হাতে।

নারী-মদ নিয়ে নাচো ইংরেজি নববর্ষের রাতে।

ব্রেকফার্স্ট, লাঞ্চ, ডিনার কত কি শিখেছ নতুন

ভাষা !

বাড়ীতে গরীব মায়েরা কিষাণী, বাপেরা গরীব চাষা।

মাম্মি-ড্যাডি তো হয়েছে মা বাপ, আংকেল

হলো চাচা।

হিসাবে তো দেখি তোমরাই বাপু সমাজের

পরগাছা।

তোমরাই বাপু চরম বাচাল বেয়াদব, বেপরোয়া।

বাস ট্রেনে বসে সিগারেট টানো, বাতাসে ছড়াও

ধোঁয়া।

পথে ঘাঁটে কোনো সুন্দরী পেলে তোমরাই

মারো শীষ।

তোমরাই ডেকে এনেছ জাতির কপালের গরদিশ।

তোমারাই আনো বখাটে ফ্যাশন, বানরের বেশ

ধরে।

জোড়াতালি মারা প্যান্টের সাথে স্কীন টাইট

জামা পরে।

চুলের বাহারে বুঝিনা আহারে- কে পুরুষ, কে মহিলা!

কিছু লাল, কিছু বাদামী আবার কিছু আছে, কিছু

ছিলা।

ব্যান্ডের তালে ভণ্ডের মতো মাতাল নৃত্য নেচে

দেশী সংস্কৃতি সভ্যতাটুকু তোমরাই দিলে বেঁচে।

তোমরাই করো বস্ত্রহরণ টিএসসি চত্বরে।

খুন ধর্ষণে সেঞ্চুরি করে জানাও গর্বভরে।

তোমরাই হলে সমাজের কীট, সমাজের নর্দমা।

দেশ জনতার গন-আদালতে তোমাদের নাই ক্ষমা।

মোল্লারা আজো নম্র ভদ্র, এখনো শান্ত ধীর।

তোমরাই হলে পাপে কলুষিত কলঙ্ক এ জাতির।

নীতি-শৃঙ্খলা, শ্রদ্ধা-ভক্তি এখনো তাদের

আছে।

দেশ জাতি যাহা করে না আশাই আজ তোমাদের

কাছে।

হয়তো তাহারা কিছুটা সরল চুপচাপ, সাদা-সিধা।

এদের কারণে সমাজের হলো কি এমন অসুবিধা?

ঈমান-আমল দেশপ্রেম সব আছে তাহাদের মাঝে।

জেনে বুঝে সব চুপচাপ তারা আছে তাহাদের কাজে।

তাই বলি- বাছা, অযথাই শুধু খুঁচিওনা তাহাদেরে।

বলা তো যায় না, আরামের ঘুম

নিতে পারে তারা কেড়ে !

আঁতুড় ঘরে তো বাচ্চার কানে আজান দেবার তরে-

দিনে কি বা রাতে হাঁপাতে হাঁপাতে ছুট মোল্লার

ঘরে।

মোল্লা ছাড়া তো চলে না খতম,

থেমে থাকে শাদী বিয়ে।

মরার পরে তো কবরে নামায় মোল্লাই কাঁধে নিয়ে।

তবে কেন এতো মোল্লা বিরোধী, মোল্লার

প্রতি ঘৃণা?

তার চেয়ে দেখো কিছুটা মোল্লা,

নিজে হতে পারো কি না !

যৌবনে সোজা না হয়ে তোমরা জীবন কাটাও

বেঁকে-

বুড়ো হয়ে পরে মসজিদে আস টুপী আর

দাঁড়ি রেখে।

বিজাতীয় রীতি, অপসংস্কৃতি নীতিহীনতার ফাঁদে-

মোল্লারা ছাড়া গোল্লায় সব, যাবে কিছুদিন

বাদে।

হাজার পাপের বোঝা নিয়ে কাঁধে চুপচাপ

বসে থাকো।

সত্যের হাড়ি ভেঙ্গে দিলে আর নিস্তার পাবে না-

কো।

গর্তে ঢোকার সময়

জানো তো সোজা হয়ে ঢুকে সাপ!

ধরা খেলে সোজা তোমরা না শুধু, হবে তোমাদের

বাপ।

তারচেয়ে এসো একসাথে মেশো ঘৃণা-বিদ্বেষ

ছাড়ো।

ইসলাম শিখো, চোখ মেলে দেখো বহু কিছু

আছে আরও।

কভু যা দেখোনি, কভু যা বুঝনি, কভু

যা শুননি কানে

খাঁটি মোল্লার দরবার

ছাড়া তা পাবে না কোনখানে।

মোল্লাকে বুঝো, মোল্লাকে খুঁজো,

মোল্লাকে মানো সবে

তাহারাই হবে কামিয়াব যারা মোল্লার সাথে রবে।

সহজ ভাষায় জানালাম কিছু অপ্রিয় সত্য কথা।

মানো বা না মানো আসলে এটাই চরম বাস্তবতা

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২

বাংলার হাসান বলেছেন: দারুন।

২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২০

মুহসিন বলেছেন: প্যান্টের নিচে শার্ট ইন করে দেখাও পাছার মাপ
দাঁড়ি গোঁফ
চেঁছে কচি খোকা সাজো এগারো ছেলের বাপ।

৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫

রাকি২০১১ বলেছেন: জাজাকাল্লাহ

৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫১

মিটন আলম বলেছেন: চরম হৈচে

৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

রাকি২০১১ বলেছেন: স্বরণ রাখিও জীবনের বাজেটের তরে
অনেক প্রশ্ন আছে তোমার অপেক্ষা করে

আসন্ন এই বিপদের কথা বলবেনা কেউ মোল্লা ছাড়া।
তবু কেন কর ঘ্বণা মোল্লাকে তোমরা!

তুমি কী জান- তোমার পরিচয় কী?
গতকাল ছিলে শুক্র- আর শবদেহ দুদিন পরই।
ছোট্ট এই জীবনে করছ সীমা লংঘন যত
বলেছে কি কেউ- মোল্লা ছাড়া তোমায় হতে সংযত?

বাচ্চাকে তুমি বুঝাও ছাত্রজীবন
অথচ! নিজের জীবনের করতেছ ছন্দপতন।
বাচ্চা না বুঝলে তাকে শাসাও তুমি-
অথচ নিজে- বেপরোয়া জীবনে মত্ত আছ তুমি!!

স্বরণ রাখিও- খোদার ধরা, শক্ত ধরা।
ধরা খেলে বুঝবে কী বলেছিল মোল্লারা!!

নিজের খেয়ে নিজের পরে ডেকেছিল তোমায় ভালপথে।
তাদের সাথে তামাশা করে নিজেই পড়বে বিপদে।

বুঝিও বাছা, নিজের উপর করোনা অত্যাচার।
খোদার দেয়া রিজিক খেয়ে- করোনা তার না শোকর।

বুঝে নাও তুমি ওয়াদাবদ্ধ খোদার সাথে।
যা কিছু তোমায় দেওয়া হচ্ছে এই দুনিয়াতে।

তাবত দুনিয়া সৃজিছেন খোদা তোমার জন্য
তোমাকে খোদা সৃজিছেন খোদা তার ইবাদাতের জন্য

ইহুদি নাসারা ও শয়তান পাতিয়াছে ফাদ তোমার ইমান হরিতে।
অন্ধকার দোজখে তোমায় তাদের সাথি করিতে।

এরাই হল মোল্লারা যারা তোময় দেখা আলো-
যাতে তুমি ভুল এড়িয়ে জান্নাতের পথে চলো।

৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫০

মোহাম্মদ আলমগীর খান বলেছেন: মাশাআল্লাহ সিরাম কবিতা।

মুহসিন বলেছেন: প্যান্টের নিচে শার্ট ইন করে দেখাও পাছার মাপ
দাঁড়ি গোঁফ
চেঁছে কচি খোকা সাজো এগারো ছেলের বাপ।

৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:০৫

মেলবোর্ন বলেছেন: মোল্লা ছাড়া তো চলে না খতম,
থেমে থাকে শাদী বিয়ে।
মরার পরে তো কবরে নামায় মোল্লাই কাঁধে নিয়ে।

-----জাজাকাল্লাহ

৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৪৭

মোমের মানুষ বলেছেন: ভাই চরম হয়েছে।

৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৫০

ইসকে পাল বলেছেন: দারুন হইসে,জাজাকাল্লাহ,শেয়ার করতে চাই,প্রিয়তে।

১০| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: আমি যদি সত্যি কথা বলি তবে বলতে হবে আমিও মোল্লাদের একটু নিচু চোখে দেখতাম। :( :( :( তারা বিজ্ঞান জানে না, ইন্টারনেট জানে না।
কিন্তু হেফাজতের পর থেকে তাদের সন্মান করি, আমার সামান্য নিক ব্যান হবার ভয়ে আমি প্রতিবাদ করি নাই আর তারা জীবনের মায়া ভুলে, রাজাকার ট্যাগ খেয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন। তাদের বিশ্বাস্টাই তাদের বড় সম্পদ। বিপদ দেখলে মুক্তমনাদের মত বলে না যে আমরা এটা করি নাই।

আমিও তো কোরানের তাফসির পারি না, জানাজার দোয়া পারি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.