![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রঙের দুনিয়ায় আমি এখনও ছাত্র,তবে শখের বশে লেখক, সাংবাদিক, অনুবাদক আবার কখনো আরও অনেক কিছু।
বাদশাহ মুতাসিমের দরবার। চারপাশে উজীর এবং তার অন্ধ সমর্থকদের সমাবেশ। তাদের সবার সামনে একজন বয়স্ক প্রবীণ মানুষকে বেঁধে রাখা হয়েছে। শুধুই কি প্রবীণ! তিনি একজন ইমাম, একটি মাযহাবের প্রবক্তা, একজন হাদীস বিশারদ, একজন ফক্বীহ এবং সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। তৎকালের মুসলিম বিশ্বে তার পরিচয়, কৃতিত্ব, সম্মান ও মর্যাদা সবার কাছে অসাধারণ। তিনি ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল।
‘খালকে কুরআন’ ইস্যুতে ইমাম আহমদকে নিজের পক্ষে আনতে সব কৌশল ও প্রলোভন ব্যর্থ হওয়ার পর আজ তাকে বন্দী করে আনা হয়েছে। শেষবারের মতো তাকে তার মতামত ও অবস্থান পাল্টাতে বলা হল- কিন্তু তিনি একবিন্দু দমলেন না। মত বদলাতে রাজী হলেন না। সম্মানের সুযোগ শেষ, আজ থেকে আঘাতের পালা।
দরবারের শক্তিশালী জল্লাদদেরকে ডেকে আনা হলো। বাদশাহ মুতাসিম বসে আছেন। জল্লাদদেরকে হুঙ্কার ছেড়ে বললেন, ‘তাকে মারো। প্রচন্ড শক্তি দিয়ে তাকে আঘাত করো। চাবুক দিয়ে বেত্রাঘাত শুরু করো।’ হুকুমের গোলাম জল্লাদরা উম্মত্ত হয়ে উঠলো তার উপর। একজন জল্লাদ এগিয়ে এসে সর্বশক্তি দিয়ে দুবার আঘাত করছে তার পিঠে, তারপর সে সরে যায়। এবার আরেকজন। এভাবে একের পর এক। বাদশাহকে খুশী করতে শরীরের সবটুকু শক্তি দিয়ে চলছে বেত্রাঘাত। ভাবা যায়!
কিন্তু তিনি অটল, অবিচল। তার কাঁধ এবং পিঠের হাড্ডিগুলো ভেঙে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। বেতের আঘাতে গায়ের জামা খন্ড বিখন্ড হয়ে আছে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে শরীর এবং আঙিনা। তিনি তার সিদ্ধান্ত থেকে একচুল পরিমাণও সরছেন না।
এগিয়ে এলেন একজন দরবারী আলেম, তার নাম মারওয়াযী। এ নির্যাতিত আলেমকে তিনি খুব ভালো করেই জানেন। কাছে গিয়ে বললেন, কী দরকার ছিল আপনার এ কষ্ট নিজের উপর টেনে আনার! এ মাসআলায় আপনি বাদশাহর সাথে তাল মেলালেই বা কী হয়। আল্লাহ পাক কি বলেননি, তোমরা নিজেদেরকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিওনা।’
বেত্রাঘাতে জর্জরিত ব্যথিত চেহারায় ইমাম আহমদ তার দিকে তাকালেন। বললেন, ‘একটু বাইরে গিয়ে দেখে আসো।’ তিনি বাইরে বের হলেন। দেখলেন, বাদশাহর রাজপ্রাসাদ এবং দরবারের দেয়ালের বাইরে প্রশস্ত আঙিনায় যতদূর চোখ যায় শুধু মানুষের সমাবেশ। সবাই নিরব, নিশ্চুপ, নিস্তব্ধ। হাতে খাতা-কলম নিয়ে তারা লিখছেন। একজনকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনারা এখানে কী করছেন? এ কাগজে কলমে কী লিখছেন? ব্যস্ত একজন ফিসফিস করে তাকে জানালেন ‘এ মাসআলায় বাদশাহ এবং তার দরবারী আলেমদের বিপক্ষে আমাদের ইমাম আহমদ কী কী উত্তর দেন, তার বর্ণনা এবং দলীলগুলো আমরা লিখছি।’ বিস্ময়ে এবং লজ্জায় মারওয়াযী চুপ হয়ে গেলেন।
তিনি ভেতরে চলে গেলেন। ইমাম আহমদ তার বিমর্ষ চেহারা দেখে বললেন, ‘আমি এ মাসআলায় সামান্য কিছু ভুল করলেই কিংবা এ যন্ত্রণা থেকে বাঁচার জন্য মত পাল্টালে এ অগণন ছাত্র ও শাগরিদের কাফেলার সবাই ভ্রান্ত হবে, তাদের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছে যাবে। আমি নিজে নিঃশেষ হয়ে যাবো তবুও এই এত এত মানুষকে বিভ্রান্ত করবো না। এ আমার দ্বারা সম্ভব নয়।’
পরিণত বয়সে শারীরিক শাস্তি ও অত্যাচারের অসহনীয় এমন দূর্দশায় তিনি তার উপর অর্পিত দায়িত্ব এবং তার দিকে তাকিয়ে থাকা উম্মাহর অজস্র প্রজন্মের কথা ভুলতে পারেননি। নিজেকে নিঃশেষ করে দিয়ে হলেও দ্বীনের মশাল প্রজ্জ্বলিত রাখার শপথে তিনি ছিলেন বলীয়ান।
প্রচন্ড মারের আঘাতে যখন তারা পাজামার ফিতা খুলে যাচ্ছিল, তিনি ঠোঁট নেড়ে কী যেন বললেন, অমনি তার পরনে পাজামা কোমরে আটকে গেল। তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আপনি তখন কী পড়ছিলেন বিড়বিড় করে? তিনি বললেন, আমি আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেছিলাম, ‘হে মাবুদ! আমি যদি তোমার সত্যপথে থেকে থাকি তবে আমাকে তুমি অপমান ও লজ্জিত করো না।’ এরপর দেখি, আমার পাজামা আপন জায়গায় স্থির রইল।
মুসলিম ইতিহাসের এ চৌদ্দশ বছর ধরে যুগ যুগান্তরে যারা এ দ্বীন ও উম্মাহর অপার্থিব কল্যাণ ও মুক্তির স্বার্থে এভাবে অত্যাচারী শাসকদের চোখ রাঙানী, প্রলোভন, হুমকি কিংবা প্রচন্ড নির্যাতন সহ্য করেছেন, ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহ. এবং তার করুণ দূর্দশা এ রক্তাক্ত দীর্ঘ অধ্যায়ের সামান্য অংশ মাত্র।
হাজ্জাজ থেকে আজকের বর্তমান সময় পর্যন্ত মুসলিম-অমুসলিম খলীফা-রাজা-বাদশাহ-স্বৈরশাসক-শাসকদলসহ সমাজপতিদের নানা লাঞ্চনা, অবমূল্যায়ন, অপমান, অবমাননা এবং অত্যাচার সয়েও এক আল্লাহ এবং তার রাসূলের ভালোবাসার শপথে যারা বুকটান করে অসত্যের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন, মুখ খুলে সত্য তুলে ধরেছেন, গলা ছেড়ে হক ও তাওহীদের আওয়াজ তুলেছেন, তারাই ‘উলামায়ে কেরাম’। শেষনবী মুহাম্মাদ সা. এর গর্বিত উত্তরাধিকারী সুযোগ্য সন্তান।
দিনের আলোয় যখন মানুষ শারীরিক জীবিকার সন্ধানে ব্যস্ত- তখন উলামায়ে কেরাম তাদেরকে আত্মিক আহারের যোগান দিচ্ছেন। রাতের অন্ধকারে যখন ক্লান্ত নগরবাসী ঘুমের বিছানায় সমর্পিত, তখনও উলামায়ে কেরাম দু হাত তুলে দেশ, জাতি ও উম্মাহর চিরকল্যাণ এবং দিশা কামনায় পরম শক্তিমানের কাছে প্রার্থনারত। সূর্যের আলোয় আলেকিত দিন-রাত শুধু নয়, উলামায়ে কেরাম আল্লাহ পাকের দেয়া দ্বীন এবং নবীর সুমহান আদর্শের সজাগ প্রহরী হয়ে আছেন দিবারাত্রির প্রতিটি প্রহর।
চারিদিকে লোভ-লালসা এবং ভোগ-বিলাসের প্রতিযোগিতার পৃথিবীতে আজকের এমন ব্যস্ত ও আধুনিক সময়েও একদল মানুষ সামান্য বেতনের বিনিময়ে গ্রাম-শহরের মসজিদ-মক্তবে আলিফ-বা-তা শেখাচ্ছেন, সময়মতো প্রতিদিন পাঁচবার মানুষকে নামাজের দিকে ডাকছেন, তাদেরকে সাথে নিয়ে মহান রবের সিজদায় অবনত হচ্ছেন- সন্ধ্যার অন্ধকারে সুযোগ হলে সমবেত মানুষগুলোকে দ্বীন-আখেরাতে কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন- স্বার্থপরতা এবং সংকীর্ণ মানসিকতার এ সমাজে মানুষের কল্যাণে জীবন উৎসর্গকারী এমন একটি শ্রেণীর সহজ উপস্থিতি সত্যিই বিস্ময়কর।
মানুষ হিসেবে আমরা প্রত্যেকেই দুটি অংশ নিয়ে তৈরী। আমাদের বাহ্যিক শরীর এবং ভেতরের আত্মা। আত্মাবিহীন এ বিশালবপুর কোনোই যে দাম নেই- তা আমাদের কাছে স্পষ্ট। শরীরের যেমন ক্ষুধা-পিপাসা লাগে ঠিক তেমনিভাবে আত্মারও তা জাগে। বিশ্বমাতানো সব ব্যবসা-বাণিজ্য এ শরীরের ক্ষুধা ও ভোগ-বিলাসের চাহিদা পূরণে সদাব্যস্ত- এ ব্যস্ততার চাকচিক্যে আমরা ভুলে আছি আত্মার চাওয়া-পাওয়ার অপার্থিব বিষয়গুলো। মাটি থেকে সৃষ্ট এ শরীরের চাহিদা পূরণে মাটির পৃথিবীতে যেমন তৈরী হচ্ছে খাদ্য ও নানা সরঞ্জাম- তেমনিভাবেই আত্মার ক্ষুধা-পিপাসা মেটাতে আসমান থেকে এসেছে এ দ্বীন ও পবিত্র কুরআন। এ আসমানী উপহারে যার আত্মা যত বেশি তৃপ্ত এ পৃথিবীতে সে ততবেশি সুখী ও সমৃদ্ধ।
মানুষের আত্মার জন্য আল্লাহর দেয়া এ খোরাক থেকে যে যতবেশি বঞ্চিত- এ জীবনসংসারে সে ততই ব্যর্থ ও পরাজিত। এ ব্যর্থতা ও পরাজয়ের সামান্য উদাহরণ পশ্চিমা ও ইউরোপের নৈতিকতাশূন্য পাপাচারপূর্ণ জীবনধারা। বস্তুসভ্যতার এমন অবনথি ও অধঃপতন থেকে বাঁচাতে প্রতিনিয়ত নব নব বিজ্ঞান ও আবিস্কারের এ উত্তপ্ত সময়ে জাতি ও উম্মাহর হৃদয়ে তাদের সঠিক খোরাকটুকু পৌঁছে দেয়ার কান্ডারী আজকের উলামায়ে কেরাম। ক্ষমতাসীন শাসকের হুকুমে মানুষের বাহ্যিক আনুগত্য অর্জিত হয়, কিন্তু তাদের হৃদয়রাজ্যের শাসক হিসেবে আলেম সমাজের অবস্থান ও গুরুত্ব মোটেও অস্বীকারের নয়। অদল-বদলের মঞ্চে সমাসীন শাসক-রাজা-মহারাজাদের সাথে হৃদয়রাজ্যের চিরস্থায়ী সিংহাসনের আলেমসমাজের অবস্থান এখানেই তফাত হয়।
যুগে যুগে ক্ষমতার মোহে শাসকরা অন্ধ হয়, তারা কখনও বিবেকশূন্যও হয়। পৃথিবীর সুদীর্ঘ ইতিহাসে এসব নতুন কিছু নয়। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নানা স্বার্থে অন্ধ ও বিবেকশুন্য বিভ্রান্ত হয়ে অতীত এবং নিকট অতীতেও অনেক শাসক চড়াও হয়েছেন উলামায়ে কেরামের উপর। হিংস্রতা এবং অত্যাচারের কালো চশমায় ঘেরা চোখে উলামায়ে কেরামকে প্রতিপক্ষ ভেবে তাদেরকে ধুলোয় মিশিয়ে দিতে উদ্যত হওয়া অনেক বর্বর শাসকের নাম ইতিহাসে লেখা রয়েছে আজও। কালের বিবর্তনে তারা হারিয়ে গেছে, তাদের গর্জন থেমে গেছে, কিন্তু সগৌরবে স্বমহিমায় ভাস্বর হয়ে বেঁচে আছেন আল্লাহর নবীর উত্তরাধিকারীরা। যেভাবে বেঁচে আছেন ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল এবং তাঁর মতো সত্যের সৈনিকেরা। হারিয়ে গেছেন মুতাসিমসহ আব্বাসী যুগের অনেক অত্যাচারী শাসকেরা।
পৃথিবীর এ ইতিহাসের আকাশে উলামায়ে কেরামের অবস্থান তাই সুদূর আকাশের ঘন-উজ্জল নক্ষত্র-তারার মতো। পাপ-পঙ্কিলতার আঁধারে নিমজ্জিত দিশেহারা মানবসমাজ এ তারাগুলো দেখে খুঁজে পায় পথের দিশা। পার্থিব পৃথিবীর সব চাওয়া-পাওয়া ও ভোগসমাজের দেনা-পাওনার উর্ধ্বে থেকে আলেমসমাজ অনবরত আলোময় করে রেখেছেন দেশ ও বিশ্ববাসীর বিশ্বাসের আকাশে বিস্তৃত সীমানা। আজ থেকে চৌদ্দশ বছর আগে পিয়ারা নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাই বলে গেছেন, পৃথিবীর বুকে আলেমগণের উদাহরণ আকাশের তারাগুলোর মতো। (মুসনাদে আহমদে আনাস রা. এর বর্ণনা)
আমাবশ্যার গাঢ় অন্ধকার কখনো রাতের উজ্জ্বল আকাশকে গ্রাস করে নেয়, অথবা কখনো ঝড়ের ঝড়ো মেঘের ঘোলাটে আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্রবীথি আমাদের কাছে অদৃশ্য মনে হয়, কিন্তু আবার যখন আকাশ পরিস্কার হয়, ঝড় থেমে গিয়ে চারদিক আলোকিত হয়- আকাশের বুকে তখন ভেসে উঠে অজস্র নক্ষত্রের আলোকিত কারুকাজ। আকাশের বুকে এমন দেখা-অদেখার খেলা এ পৃথিবীতেও চলে। রাজনীতির কূটচাল কিংবা ক্ষমতার মসনদে সমাসীন মগদের অন্যায় বাড়াবাড়ির অন্ধকারে কখনো হয়তো চাপা পড়ে যায় আলেমসমাজের শ্বাশ্বত মহিমা ও সমুন্নত অবস্থান- ক্ষণিকের এ উম্মত্ত আচরণে তাদের খানিকসময়ের নীরবতা বা অদেখা অবস্থার মানেই উলামায়ে কেরামের হারিয়ে যাওয়া নয়। ধুলোবালি ও কাদা-মাটির এ উড়োউড়ি থেমে গেলে আমাদের বিশ্বাস ও আদর্শের ফকফকা আকাশে আবারও উজ্জ্বল হয়ে উঠেন এ দেশ ও সমাজের ঈমান ও আখলাকের আপোষহীন ও আমানতদার কান্ডারী- এ ভূখন্ডের উলামায়ে কেরাম।
আরশে আযীম থেকে প্রাপ্ত শক্তিতে মদীনার সবুজ গম্বুজের ভালোবাসায় উজ্জীবিত হয়ে এ দেশ ও সমাজের জন্য যারা আলো বিলিয়ে যাচ্ছেন প্রতিক্ষণ- তারা কখনো হারিয়ে যাওয়ার কিংবা হতাশ হওয়ার অথবা দমে যাওয়ার পাত্র নন। পৃথিবীর কিংবা চৌদ্দশ বছরেরও নয়, গত এক শতাব্দীর ইতিহাসও যদি কেউ পড়ে দেখেন- তবে তিনি এ সত্য স্বীকার করবেন- যদি তার থাকে সুস্থ বিবেক, শুদ্ধ মন।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭
মানব ও মানবতা বলেছেন: আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ।
২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭
আলী খান বলেছেন: ধন্যবাদ জানাই এই সুন্দর লেখার জন্য। তবে ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল সম্পর্কে আপনি একটি ভুল তথ্য দিয়েছন, আর তা হল উনি কোন মাযহাব প্রতিষ্ঠা করেননি, উনি কেন কোন ইমামই তাদের জীবিত অবস্হায় মাযহাব চালু করেন নাই। মাযহাবের রেওয়ায চালু হয় হিজরী চতুর্থ শতাব্দী পরে, ইমাম হাম্বল এর জন্ম- ১৬৪ হিজরী মৃত্যু- ২৪১ হিজরী।
৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩২
রিয়ান৯১১ বলেছেন: দারুণ লিখেছেন ভাই। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৪
খেয়া ঘাট বলেছেন: ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
একগুচ্ছ প্লাস।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬
আমি ভালোমানুষ বলেছেন: অসাধারন লেখা............, আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দেন।
আমার পক্ষ থেকে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।