![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রঙের দুনিয়ায় আমি এখনও ছাত্র,তবে শখের বশে লেখক, সাংবাদিক, অনুবাদক আবার কখনো আরও অনেক কিছু।
সিরিয়ার অন্যান্য শহরের মতো হালাব শহরের বেশিরভাগ চিকিৎসকও শহর ছেড়ে চলে গেছেন। কেউ তুরস্কে, কেউ অন্য কোথাও। কিন্তু আড়াই লাখ মানুষের শহর হালাবে হাতেগোনা মাত্র কয়েকজন চিকিৎসক থেকে গেলেন। তারা কোথাও যাননি। এঁদেরই একজন ডাক্তার মুআজ। হালাব শহরের শ্রেষ্ঠ শিশু চিকিৎসকদের একজন তিনি। যে কোনও মুহূর্তে প্রাণহানির আশঙ্কার মধ্যেও তিনি তার কর্মস্থল আলকুদস হাসপাতাল ছেড়ে কোথাও যাননি। দিনভর শিশু বিভাগে আর রাতভর জরুরি বিভাগে চিকিৎসাসেবায় ব্যষ্ত থেকে বেশিরভাগ সময় হাসপাতালে কাটাতেন তিনি।
গত বুধবার সরকারি বাহিনীর নির্মম ও অমানবিক বিমান হামলায় এই হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় মারা যান তিনি এবং একজন দাঁতের চিকিৎসক, তিনজন নার্স, রোগীসহ একই হাসপাতালের মোট ২২জন। আক্রমণ শুরু হওয়ার মুহূর্তে সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরাতে ব্যষ্ত ছিলেন তিনি। নবজাতকদের জীবন বাঁচাতে নিজেকে উৎসর্গ করলেন এই মানুষটি। এমন মহৎপ্রাণ চিকিৎসক সুহৃদকে হারিয়ে হালাবাবাসী আজ শোকে স্তব্ধ। তার সহকর্মীরা বলছেন, সিরিয়া একজন শ্রেষ্ঠ শিশু চিকিৎসককে হারালো। আমরা হারালাম আমাদের একজন নিবেদিতপ্রাণ বন্ধু। পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে তুরস্কে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ডাক্তার মুআজ। সিরিয়া ছেড়ে চলে আসার জন্য স্ত্রীর অনুরোধে তিনি বলতেন, আমার এলাকার শিশুদের ছেড়ে আমি নিরাপদে ঘরে বসে থাকবো না।
২| ০১ লা মে, ২০১৬ দুপুর ২:১৯
বিজন রয় বলেছেন: একটি ভাল খবর।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মে, ২০১৬ দুপুর ১:২৪
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: এমন কিছু ভালো মানুষ না থাকলে পৃথিবীটা বসবাসের আর উপযোগী থাকতো না