![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই বিশেষ দিনটি প্রথমে চালু হয় মুঘল সম্রাট আকবরের সময়ে (১৫৫৬-১৬০৯)। তখন অর্থনীতি মূলত কৃষি উৎপাদনের উপরেই নির্ভরশীল ছিল। বাংলায়, কৃষি অর্থনীতি ছয়টি মাসের ভিত্তিতেই আবর্তিত হতো। মুঘল শাসনামলে কৃষকদের খাজনা দিতে হতো হিজরী দিনপঞ্জি অনুসরণ করে। কিন্তু এটি ফসল উৎপাদন সময়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না। কারণ, যখন খাজনা আদায়ের সময় হতো তখন প্রজাদের ফসল ফলার অপেক্ষায় থাকতে হতো। যার ফলে খাজনা পরিশোধ করতে উভয়পক্ষকেই বেশ সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো। সম্রাট আকবর এই সমস্যা দূর করার জন্য তার কোর্টের বা রাজসভার পন্ডিতদেরকে দায়িত্ব দেন এবং এর প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন ফতেউল্লাহ সিরাজী। তখন নতুন দিনপঞ্জি তৈরী করা হয় কৃষি অর্থনীতির ছয় মাসের আবর্তনকে মাথায় রেখে। সেইসময়ে কিছু কিছু পন্ডিত চৈত্র মাসের শেষদিনের মধ্যে এবং পহেলা বৈশাখের আগে প্রজাদের কাছ থেকে খাজনা আদায়ের উৎসবের কথা উত্থাপন করেন। আসলে তখন থেকেই এটি খাজনা আদায় উৎসব হিসেবে উৎযাপিত হয়ে আসছিল। সেই উৎসবে চৈত্র মাসের শেষ দিন ছিল খাজনা পরিশোধের মাধ্যেম বর্ষবিদায় এবং পহেলা বৈশাখ ছিল ঘরে নতুন ফসল নিয়ে বর্ষবরণ।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বে ১৯৬৫ সালে বাঙ্গালী সংস্কৃতি ধারণ করে ছায়ানট প্রথম এটি পালন করা শুরু করে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত গান- “এসো হে বৈশাখ, এসো এসো” দিয়ে শুরু হয় বৈশাখ কে স্বাগত জানানোর পালা। কিন্তু তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বাংলা সংস্কৃতি চর্চা বন্ধ করার জন্য রবীন্দ্রনাথের গান ও কবিতার উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। পরবর্তীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের মাধ্যেম তথা বাঙ্গালী সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে বৈশাখ ররণের দাবীতে ছায়ানট আন্দোলন করতে থাকে। পূর্ব পাকিস্তানে এইদিনটি উদযাপন করা হতো বাঙ্গালী সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে চিন্তা করে। তবে ১৯৭২ সাল থেকে এটি জাতীয় উৎসব হিসেবে আমাদের মাতৃভূমিতে উৎযাপিত হয়ে আসছে।
©somewhere in net ltd.