নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ নয়

জাহাজ ব্যাপারী

জাহাজ ব্যাপারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রথম আলু’র ভৌগলিক জ্ঞান ও অবহেলিত বাংলাদেশীরা।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২

প্রথম আলু পত্রিকাটাই যেন কোন এক নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে। এরা মধ্যযুগীয় ভৌগলিক মানসিকতার আবর্তে হাবুডুবু খাচ্ছে। নাকি কোন অশুভ শক্তি এদের চোখে ‘বাংলা’ ঠুলি লাগিয়ে দিয়েছে কেউ কী বলতে পারেন। এরা এখনও শিরোনাম করে –

জয় বাঙালীর জয়

সাবাস বাংলার দামাল ছেলেরা

বাংলার বিজ্ঞানীর বিশ্ব জয়।


উপরে উল্লেখিত অর্জনগুলো বাংলাদেশী নাগরিকদের। কিন্তু তা সত্বেও প্রথম আলুর ধ্যানজ্ঞানের বিচারে এরা ঢালাওভাবে বাঙ্গালী বা বাংলার পাবলিক হয়ে যায়। বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া এই সব প্রতিভা কোন এক অজানা কারণে প্রথম আলু বাংলাদেশী পরিচয়ে পরিচয় দিয়ে চায় না।

বিজ্ঞ ব্লগারদের কাছে আমারে জানতে ইচ্ছে করে, বাংলা বলে এখন কী কোন ভৌগলিক সত্বা আছে। এক সময় ছিল, এখন আর নেই। অবিভক্ত বাংলার কলকাতার বাবুরা মুসলিম অধ্যুসিত পূর্ব বাংলাকে ইতরতর ভেবেছে সব সময়। পূর্ব বাংলার অর্থনৈতিক, শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়ন ব্যহত করা তাদের অন্যতম ব্রত ছিল। পূর্ণ স্বাধীনতা পেলেও বাংলাদেশকে ইন্ডিয়ার পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যের মানুষেরা ‘জয় বাংলা’ বলে ডাকে, যা তাদের মানসিক দৈন্যের পরিচায়ক। বাংলাদেশের প্রতি বিদ্বেষ প্রকাশ করতে জ্যোতি বসু একবার বলেছিলেন, ‘আগামী পাঁচশ বছরেও দুই বাংলা এক হবে না’। উনি বাংলাদেশকে ‘বাংলা’ বলে নিশ্চয়ই বাংলাদেশকে অবজ্ঞা করেছেন। আগামী পাঁচশ কেন, কিয়ামতের আগ পর্যন্ত জ্যোতি বসুর পশ্চিম বঙ্গ রাজ্য আর স্বাধীন বাংলাদেশ এক হবে না। (ভাদার মন খারাপ কইরেন না)।



এমন কি ইন্ডিয়ার সংবাদপত্রেও বাংলাদেশের যে কোন খবর তা যতই গুরুত্বপুর্ণ হোক না কেন ইচ্ছে করে এড়িয়ে যাওয়া হয়। অথচ, প্রথম আলু, প্রতিবেশী রাজ্যের রাজ্যসভার খবরেও এমন কাভারেজ দেয় যে মনে হয় এটা আমাদের জাতীয় নির্বাচন। ইন্ডিয়াতে থাকলে বাংলাদেশকে সুদূর একটা দেশ বলে মনে হবে যার সাথে কোন ধরনের সম্পর্ক আছে বলে মনে হয় না। ইন্ডিয়ান স্যাটেলাইট চ্যানেল গুলোও বাংলাদেশেকে কোন পাত্তাই দেয় না। আন্তঃদেশীয় বানিজ্যের বড় বাঁধা হলো ইন্ডিয়ার ব্যবসায়ীদের নাক-উঁচু মানসিকতা। এদের অসহযোগিতার কারণে বানিজ্য নীতি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়ে ওঠে না।

আজকের খবরে প্রথম আলু লিখেছে, ‘আমেরিকার নামী প্রকৌশলী আরশাদ’। আমেরিকায় তো অনেক নামি প্রকৌশলী আছে! বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে আমেরিকাই বিশ্বের সেরা। তাতে কী! উনি যে বাংলাদেশী তা বলতে অনেক কষ্ট হয়েছে প্রথম আলুর। বাংলাদেশের কোথায় উনি জন্মেছেন কোথাও বলা না হলেও আরশাদকে কোট করেছে ‘বাংলাদেশের কাছে আমার জন্মঋণ, দেশে বহু কিছু শিখেছি, বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে আছে অনেক মহান উপাদান, তেমনি আমেরিকায়ও অনেক কিছু শিখেছি।’ এই খবরটার সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এই লাইনটা, “বাবার ডিএনএ ১৯৮৪ সালে ছেলেকে নিয়ে এল বুয়েটে।“ বাবার DNA-এতে কী লেখা থাকে যে ছেলে কী হবে! পরিবারতান্ত্রিক রজনীতির খবর ছাপতে ছাপতে প্রথম আলু’র সবাই দেখি বংশগতিবিদ বা জীবপ্রযুক্তিবিদ হয়ে গেছে! উত্তরাধীকারসূত্রে পাওয়া DNA-ই যদি মানুষের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে তা হলে প্রথম আলূ’কে বলব, সাংবাদিকতা বাদ দিয়ে DNA নিয়ে গবেষনা করেন, দেশের উন্নতি হবে!



বাংলাদেশের নাগরিকদের বাংলাদেশী বলতে কোথায় বাঁধে এই পত্রিকাটির জানতে চাই



আর একটি বিষয়ের উল্লেখ করতে চাই। জনপ্রিয় সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের অকাল প্রয়ানের খবর ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি পশ্চিম বঙ্গের পত্রিকাগুলো দৃশ্যতঃ অকথিত বয়কট করেছিল। আর ওদের কারো কিছু হলে প্রথম আলু’সহ আমাদের পত্রিকাগুলো বাঙ্গালী বাঙ্গালী বলে মায়াকান্না জুড়ে দেয়। মানসিক দেউলিয়াপনা আর কাকে বলে!

এই লেখাটা বাঙ্গালী জাতি বা জাতীয়তাবাদ নিয়ে বিতর্ক করতে নয়। এর উদ্দেশ্য হলো স্বাধীন দেশের মানুষ হিসেবে পরিচয়টা তুলে ধরার দাবী। স্রেফ বাঙ্গালী বললে তো কেঊ বুঝবে না যে একজন ব্যক্তি বাংলাদেশ নামক স্বাধীন দেশের প্রতিনিধি নাকি পশ্চিম বঙ্গ নামক ইন্ডিয়ার এক অঙ্গরাজ্যের কেউ।



আর 'বাংলা' বলে কোন স্থান আধুনিক ভূগোলে নেই – যদি থাকে তা হলে আছে ঐ প্রথম আলু’র মাথায় আর প্রথম আলু’র চারিদিকে ধুম্রজাল তৈরী করেছে এমন কিছু অজানা সত্বা।



পুনশ্চঃ মজার বিষয় হলো এই প্রথম প্রথম আলু “আমিই বাংলাদেশ” শীর্ষক লেবেল লাগিয়েছে!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৭

` ` বলেছেন: জাহাজ ব্যাপারী হইয়া আদার খবর লনকেলা? কিছু বুঝেন ? :-B

২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪

জাহাজ ব্যাপারী বলেছেন: @ ‘ ‘ আপনার কী খবর দরকার সেইটা খোজেন। সবার আগে নিজের পরিচয়টা খুইজেন। আর আপনি তো সব বোঝেন! তাই না? কীসের পোষ্টে কী মন্তব্য দিতে হবে সেইটা বোঝেন না? আশা করি প্রাসংগিক মন্তব্য দিবেন।

৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২১

তা্নভীর মোরশেদ বলেছেন: :(
বাংলাদেশের জন্য এটা প্রথম অন্ধকার ।
এখনও যারা বুঝেন নাই.....
বুঝবেন, আপছেই বুঝবেন ।

৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫

জাহাজ ব্যাপারী বলেছেন: অবস্থাদৃষ্টে তো তাই মনে হয়। তাইতো বলি, ইন্ডিয়া-বাংলাদেশের একতরফা ও অধীনতামূলক মৈত্রীর জন্য প্রথম আলু’র এতো মায়াকান্না কেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.