![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইন্ডিয়াতে ১০ বছর পর রেলভাড়া বাড়ল। প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়লো ২ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১০ পয়সা। এর আগে গত বছরই তখনকার রেলমন্ত্রী দিনেশ ত্রিবেদি রেলভাড়া বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে খেপে যান ‘তাঁর দলে’র নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা রেলমন্ত্রীকে প্রত্যাহার করেন। ফলে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্তও আর বাস্তবায়ন হয়নি। বর্তমান রেলমন্ত্রী পবন কুমার বানশাল বলেন, ‘ভাড়া বাড়ানোয় দুর্ভোগের সৃষ্টি হলেও আমাদের বাস্তবতা উপলব্ধি করতে হবে। জনগণের কাছে আমাদের দাবি এটাই।’ তিনি জানান, ভাড়া বাড়ানোর ব্যাপারে জনগণের মতামত জানার জন্য দুই মাস ধরে তিনি দেশের বিভিন্ন স্থান ঘুরে বেড়িয়েছেন। এ সময় যাঁদের সঙ্গেই কথা হয়েছে, তাঁরা সবাই ভাড়া বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন।
সূত্রঃ প্রথম আলো, তারিখ: ১০-০১-২০১৩
আর আমাদের জনদরদী নেতারা ও মন্ত্রীরা রেলভাড়া বাড়ান ১০০ থেকে প্রায় ১৫০ শতাংশ। কারণঃ
সোনার বাংলাদেশে কোন দারিদ্র্য নেই – নেতা-নেত্রীরা এ রকমটাই মনে করেন।
বাংলাদেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা, মাথাপিছু আয় – সর্বোপরি আর্থিক সক্ষমতা বেড়েছে।
নির্বাচিত হবার পরে জনবিচ্ছিন্ন জনপ্রতিনিধিরা জনগণের প্রকৃত অবস্থা জানার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
উন্নয়নের জোয়ারে সব বাস্তবতা ও বিবেক ভেসে গেছে।
আমাদের আম জনতা শাসক ও বিরোধীদল এই দুই পক্ষের যাতাকলে সব সময়ই নিস্পেষিত – এ আর নতুন কী।
আমরা সহনশীলতার অনন্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছি – কোন কিছুই আমাদের আলোড়িত করে না। আমরা সর্বংসহা গন্ডারচর্ম বাংলাদেশী! একটা প্রতিবাদ পর্যন্ত করলাম না!
আরো অনেক কারণ আছে, কারো জানা থাকলে শেয়ার করেন প্লীজ।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫
জাহাজ ব্যাপারী বলেছেন: এই দেশে যে অনিয়মের নিয়ম চালু হয়েছে তা নিয়ে নতুন কিছু বলার নাই। আর দরিদ্র জনসাধারণের অভাব-অভিযোগ দেখা, বোঝা, শোনারও কেউ নাই – ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরের কথা। একদল ব্যস্ত ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে আর একদল মরিয়া ক্ষমতা ফিরে পেতে। এদিকে চাটুকারীতার সংস্কৃতি ক্ষমতাবানদের এমন এক ঘেরাটোপে বেষ্টন করে রেখেছে যার কারণে জনতার বাস্তবতা তাদের দৃষ্টিগোচর হয় না।
ইনহাস্ত ওয়াতানাম!
২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯
নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: ভাই ভাড়া বাড়লে প্রান্তিক মানুষের উপর চাপ পরে ঠিক।কিন্তু আপনাকে যৌক্তিক ভাড়া দেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। আমি একবার নরসংদী থেকে ঢাকায় আসার সময় দেখলাম মাত্র ২৫ টাকা টিকিট,কিন্তু অনেক লোক কে দেখলাম টিকিট না কেটে, পরে টিটি আসলে ১০/১৫ টাকা দিল, কেউবা হাংকি ডাংকি করে বিনে ভাড়ায় ঢাকায় চলে আসল।অথচ এই রাস্তাটুকু বাসে ভাড়া ৯০ টাকা। সো আপনি কি বলবেন ? সবাই যদি ২৫টাকার টিকেট এ ভাড়া দিত, তাহলে হয়তো এই হারে ভাড়া বৃদ্ধি হত না।
একই ভাবে বাসের ভাড়া , দেখেন আগে ঢাকায় সিটি সার্ভিসে তেল/গ্যাস এর দাম বাড়লে মোটামুটি সহনীয় হারে দুরত্ব ভেদে ২/৩ টাকা ভাড়া বাড়ত। কিন্তু ইদানীং খেয়াল করবেন কোন অজুহাতে ভাড়া বাড়লে প্রতি স্টপেজে ৫ টাকা বেড়ে যায়।আমি পরিচিত এক পরিবহন মালিককে জিগ্গেস করেছিলাম, সে বললো ভাই, মানুস খারাপ হয়ে গেছে, ১০টাকার টিকিট কেটে ২০ টাকার পথে চলে যায়, আবার ইদানিং স্টুডেন্ট বলে ভাড়া না দেয়া, কিংবা হাফ ভাড়া দেয়ার চলে আমরা অস্থির কে যে স্টুডেন্ট আর কে যে গার্মেন্টস শ্রমিক বোঝা মুসকিল, তারপর জ্যামের কারনে ট্রিপ কমে যা্চ্ছে ইত্যাদি।
একটু ভেবে দেখেন ওনাড় অভিযোগ কিন্তু অমুলক না, ইদানীং স্টুডেন্ট বলে ভাড়া কম দেয়া বা না দেয়া একটা ফ্যাশন হয়ে গেছে। আমরাও কিছুদিন বছর আগে স্টুডেন্ট ছিলাম, কিন্তু এরকম কখনও করিনি, তখন দেখতাম ঢাকা কলেজ এর ছেলেরা ৭ নম্বর বাসে ভাড়া কম দিত।কিন্তু এখন দেখি প্রাইভেট ভার্সিটির ছেলেরাও এই কাজ করে, অথচ তারা ২০/৩০ হাজার টাকা দামের মোবাইল ইউজ করে, গার্লফ্রেন্ডের পেছনে হাজার টাকা উড়ায়।
দেখুন আপনার পরিবারে ১ জন স্টুডেন্ট ভাড়া কম দিচ্ছে অথচ বাড়তি ভাড়ার চাপ পরছে সেই পরিবারেরই বাকি ৫ জনের উপর।
সুতারং আমাদের নিজেদেরও কিছু ভুমিকা আছে এসব অপততপরতা প্রতিরোধ করার জণ্য।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬
জাহাজ ব্যাপারী বলেছেন: ভাড়া বাড়লে শুধু প্রান্তিক মানুষের উপর চাপ পরে তা ঠিক নয়। সীমিত বা নির্ধারিত আয়ের মানুষেরও চাপে পড়তে হয়। মাস শেষে যাদের গোণা টাকা তারাই ভালো জানে ভাড়া বাড়া বা দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি তাদের কতটা ভোগায়। রেলের দেড়-দুইগুণ বাড়তি ভাড়া বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের আয় ও সামর্থের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। রেলের আয় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে আর বিনা টিকেটে ভ্রমণের আর কোন সুযোগ নেই। পহেলা অক্টোবর থেকে বাড়তি ভাড়া কার্যকর হলেও রেলের সেবা ও নিয়মানুবর্তিতার কোন উন্নতি হয়নি। রেলের ভাড়া বাড়ানোর পেছনে বাস মালিক সমিতির যোগসাজশ আছে বলে অনেকে দাবী করেন।
আপনি ঠিকই বলেছেন যে যৌক্তিক ভাড়া দেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। ইদানিং বাস ভাড়া কমানোর জন্য মিথ্যা বলছেন অনেকেই। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি – অনেকে স্টুডেন্ট না হয়েও স্টুডেন্ট ভাড়ার দাবী করে। রাত ৮ - ৯ টার পরেও অনেকে স্টুডেন্ট ভাড়ার দাবী নিয়ে বিবাদ করে এবং কন্ডাকটরের গায়ে হাতও তোলে। গায়ের জোরে ভাড়া না দিয়ে নেমে পড়তে দেখেছি অনেককেই। মাঝ পথে চেকিং হয় বলে নির্ধারিত দূরত্বের চেয়ে বেশী ভ্রমণ সিটি সার্ভিস গুলোতে কমই হয়, যা হয় তা লোকাল বাসগুলোতে। কিছু ভদ্রবেশী যাত্রী ২ – ৫ টাকার জন্য বাসের কন্ডাকটরের সাথে এমন অসভ্য আচরণ করে যা বলার মতো না।
“ইদানীং স্টুডেন্ট বলে ভাড়া কম দেয়া বা না দেয়া একটা ফ্যাশন হয়ে গেছে। আমরাও কিছুদিন বছর আগে স্টুডেন্ট ছিলাম, কিন্তু এরকম কখনও করিনি, তখন দেখতাম ঢাকা কলেজ এর ছেলেরা ৭ নম্বর বাসে ভাড়া কম দিত।কিন্তু এখন দেখি প্রাইভেট ভার্সিটির ছেলেরাও এই কাজ করে, অথচ তারা ২০/৩০ হাজার টাকা দামের মোবাইল ইউজ করে, গার্লফ্রেন্ডের পেছনে হাজার টাকা উড়ায়। দেখুন আপনার পরিবারে ১ জন স্টুডেন্ট ভাড়া কম দিচ্ছে অথচ বাড়তি ভাড়ার চাপ পরছে সেই পরিবারেরই বাকি ৫ জনের উপর। সুতারং আমাদের নিজেদেরও কিছু ভুমিকা আছে এসব অপতৎপরতা প্রতিরোধ করার জন্য”। - দারুন বলেছেন।
ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯
ধৈঞ্চা বলেছেন: অনেক অনেক নিয়মের মাঝে হঠাৎ একটা অনিয়ম হলে সারা পড়ে যায়, জনগন প্রতিবাদ করে। আর সর্বক্ষন অনিয়মেন উপর চলতে থাকলে জনগন কোনটা রেখে কোনটার প্রতিবাদ করবে, তখন দেখা যাবে বছরব্যাপী প্রতিবাদের উপরই থাকতে হবে, সাথে পুলিশের পিটুনী, গ্রেফতার-মামলা তো আছেই।
স্বাভাবিক কারনেই অনিয়মের উপর আমাদের রেজিষ্ট্যান্স চলে এসেছে।