![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এটা কী অনিচ্ছাকৃত, নাকি ইচ্ছাকৃত ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত?
তিনজন প্রতিবেদকের করা এই প্রতিবেদনে এ ধরণের ভুল প্রথম আলো’কে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
দিন = দিবা কাল
দ্বীন = মনোনীত ধর্ম
এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য জানা বাংলাভাষার একটি পত্রিকার প্রতিবেদকের থাকা উচিৎ।
এখানে প্রতিবেদনটির কপি (টেক্সট অনলি) দেওয়া হলো।
“শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমা
দিন ও দাওয়াতকে জীবনের সঙ্গী করার আহ্বান
তানভীর সোহেল, মাসুদ রানা ও মোহাম্মদ আলম | তারিখ: ২১-০১-২০১৩
পাপমোচন ও আল্লাহর নৈকট্য পেতে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের শেষ দিনে গতকাল আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন লাখো মুসল্লি
দিন ও দাওয়াতের কাজকে জীবনের সঙ্গী করার আহ্বানের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমা। শেষ দিনে আখেরি মোনাজাতে নিজের যাবতীয় পাপমোচনে ও আল্লাহর নৈকট্য পেতে প্রার্থনা করেন দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লি।
১১ জানুয়ারি টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে শুরু হয় ৪৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। শেষ হয় ১৩ জানুয়ারি। এরপর ১৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। শেষ হয় গতকাল রোববার। মুসল্লিদের সুবিধার্থে ২০১১ সাল থেকে দুই পর্বে হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা।
গতকাল আখেরি মোনাজাত শুরু হয় বেলা পৌনে একটায়। শেষ হয় একটা তিন মিনিটে। মোনাজাত পরিচালনা করেন ভারতের দিল্লির নিজামুদ্দিন মসজিদের খতিব ও তাবলিগ জামাতের জ্যেষ্ঠ মুরব্বি মাওলানা জোবায়েরুল হাসান। ১৮ মিনিটের এই মোনাজাতে তিনি বিশ্বমানবতার শান্তি ও কল্যাণে আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় প্রার্থনা করেন। অশ্রুসিক্ত হয়ে তিনি আল্লাহর প্রতি দোয়া কবুল ও ভুল-ত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে তাঁর সঙ্গে মোনাজাতে শরিক হন লাখো মুসল্লি।
আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে গত শনিবার মধ্যরাত থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস থেকে নিকুঞ্জ-১ এলাকায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। মোনাজাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে ইজতেমা মাঠ অভিমুখে মানুষের ঢল নামে। সকাল আটটার মধ্যে ইজতেমার মাঠ ভরে যায়। এরপর আগত মুসল্লিরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, টঙ্গী-কামারপাড়া সড়ক, উত্তরা-আশুলিয়া সড়ক, তুরাগ নদে ভিড়ে থাকা নৌকায় বসে, বাসের ছাদে, আশপাশের ভবনের ছাদ ও কলকারখানায় অবস্থান নিয়ে হেদায়েতি বয়ান শোনেন।
ময়মনসিংহের ভালুকার আলতাফ হোসেন (৪০) গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত বাসে আসেন। পরে তিনি ১২-১৩ কিলোমিটার পথ হেঁটে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে আসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘টাকার অভাবে হজে যেতে পারি না। মোনাজাতে শরিক হলে সওয়াব হবে, এই আশায় কষ্ট করে এসেছি।’
মোনাজাতের আগে বয়ান: গতকাল ফজরের নামাজের পর থেকে মোনাজাতের আগ পর্যন্ত ভারতের মাওলানা সা’দ হেদায়েতি বয়ান করেন। বয়ান বাংলায় অনুবাদ করে শোনান ঢাকার কাকরাইল মসজিদের খতিব মাওলানা জোবায়ের। তিনি নামাজ, বিশেষ করে গভীর রাতে তাহাজ্জতের নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে কাঁদতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বয়ানে আধুনিক প্রচারমাধ্যম ব্যবহার করে দিন ও ইমান-আমলের দাওয়াত প্রচার না করে দলবদ্ধভাবে নবী-রাসুল-সাহাবিদের তরিকামতো মুসলমানদের ঘরে ঘরে গিয়ে দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান। দিন ও দাওয়াতকে জীবনের সঙ্গী করে নেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি। হেদায়তি বয়ানের আগে বাদ ফজর বয়ান করেন বাংলাদেশের মাওলানা মো. রবিউল ইসলাম।
গতকাল আখেরি মোনাজাতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ অংশ নেন। প্রথম পর্বে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রী। দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমায় শরিক হওয়া ২৪ জন মুসল্লি মারা গেছেন। গতকাল মারা গেছেন একজন। তিনি হলেন ময়মনসিংহের সদর উপজেলার দাপুলিয়া এলাকার হোসেন আলী (৭০)।”
প্রতিবেদনটা পাবেন এখানেঃ Click This Link
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩০
জাহাজ ব্যাপারী বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। বানান ভুল তো তাদের মানায় না। তা হলে কী ‘বদলে দিলাম, বদলে গেলাম’ এ রকম কিছু?!
২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯
আল মামুনুর রশিদ বলেছেন: ichchha kore, dween ke tachchillo kore, gurutto na dia, faltu bapar vebe, esob korece, dhikkar janai
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৮
জাহাজ ব্যাপারী বলেছেন: ইচ্ছাকৃত তো বটেই। সম্পাদকের নজর এড়িয়ে তো এই প্রতিবেদন প্রকাশ হয়নি।
৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬
অনিমেষ হৃদয় বলেছেন: এখানে ইচ্ছা-অনিচ্ছার কিছু নেই। বাংলা একাডেমির নিয়ম অনুযায়ী বিদেশী শব্দের বানানে দীর্ঘ ই-কার, ব-ফলা ইত্যাদি বসে না। দ্বীন বিদেশী শব্দ, তাই প্রমিত রীতিতে এর বাংলা বানান দিন। (ঠিক যেমন আলহাজ্ব নয়, আলহাজ; ক্বারী নয়, কারি)।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭
জাহাজ ব্যাপারী বলেছেন: অবশ্যই ইচ্ছা-অনিচ্ছার বিষয় আছে। যে শব্দ যে বানানে যথার্থ মানে বোঝায় সেটাকে সেই বানানে রাখা প্রয়োজন। তা ছাড়া রেওয়াজ বা প্রচলনগত দিকটিও বিবেচ্য। দ্ব্যর্থবোধকতা এড়াতেও বানান ঠিক রাখা জরুরী। প্রথম আলো বিগত দিনে ইসলাম ধর্মকে বোঝাতে দ্বীন শব্দটাই ব্যবহার করেছে। তাই ইসলাম ধর্মকে বোঝাতে ‘দিন’ (!) শব্দের ব্যবহার অবশ্যই ইচ্ছাকৃত – মানতে হবে।
আলহাজ্ব, ক্বারী এ সব শব্দ লেখার পেছনে আরবী মূলগত বিষয় রয়েছে, বিদেশী শব্দ হলেও সঙ্গত কারণে বানানরীতির জেনারেলাইজেশন আরোপ কাঙ্খিত নয়।
আর ইন্ডিয়ার পশ্চিমবঙ্গের ভুত বাংলাদেশের বাংলা একাডেমীর ঘাড়ে - যার কু-প্রভাব শুধু বিভ্রান্তি ও বিতর্কই বাড়িয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৬
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আমিও এই হেডলাইন দেখে ধাক্কা খেয়েছি। বানান ভুল তো তাদের মানায় না।