![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রনবের সফরঃ আমাদের পূর্ব-নির্ধারিত প্রাপ্তিযোগ।
ওইযে, বড় দাদা আসছেন নাড়ীর টানে,
ভরতে ঝুড়ি কৃপা ও দানে,
চেয়ে আছেন দিদির পানে,
সেবা পাবেন ভক্তিজ্ঞানে।
ওরে, দিল্লীশ্বর মহামহিম দাদার শাণে,
জ্বালাবি না কেউ প্রশ্নবাণে,
দেশটা মরুক খরা-বানে,
ফরিয়াদটা যায় না কানে,
অশ্ব-ডিম্ব ভাগ্য মোদের – সবাই জানে।
চেলাচামুণ্ডারা এলেও ঢের বেশি পায় বাংলাদেশ থেকে। দাদা নিশ্চয়ই সবচেয়ে বেশি প্রাপ্তি নিয়ে ফিরবেন। আন্ধা পাবলিকে জানতেও পারবে না কী হলো। দাদা আসবেন, তার চেলাচামুণ্ডারাও আসবেন – আর আমরা সবাই উজার করে দেব। অনেকে তো সীমানাটাই দিয়ে দেওয়ার স্বপ্ন দেখে! দাদার প্রাপ্তিযোগের হিসেব সাধারণের মাথায় না আটলেও আমাদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হবে না।
উজানে নদীর পানি ছিনতাই চলবেই,
সীমান্ত হত্যা চলবেই – হত্যা না করার প্রতিশ্রুতি দেবেই,
অনুপ্রবেশের নাম ভাঙিয়ে ইন্ডিয়ার অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক কূটনীতি চলবেই,
বঙ্গভূমি আন্দোলনের হোতারা ও বঙ্গসেনারা কলকাতায় বসে ষড়যন্ত্র বন্ধ করবে না,
বাংলাদেশ-বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অব্যাহতভাবে কলকাতায় আশ্রয় ও প্রশ্রয় পাবে,
বাংলাদেশে আটককৃত উলফা ও অন্যান্য স্বাধীনতাকামীদের ইন্ডিয়ার হাতে তুলে দেওয়া হবে,
চোরাচালান বন্ধ হবে না,
আন্ত-সীমান্ত বানিজ্যের বড় বাঁধা হয়ে সক্রিয় হয়ে থাকবে কলকাতার ব্যবসায়ীরা,
বানিজ্য ঘাটতি আমাদের বিপরীতে থাকবে ও তা বাড়তেই থাকবে,
আমাদের নিজস্ব ও দেশীয় পণ্য আগেভাগেই ওরা পেটেন্ট করতে থাকবে,
সীমানার ওপার থেকে আসা মাদকের বন্যায় ভেসে যাবে আমাদের যুবসমাজ,
বাংলাদেশের চামড়া, জ্বালানী তেল সহ অন্যান্য কাঁচামাল ইন্ডিয়ার শিল্পকারখানায় রসদ যোগানো অব্যাহত থাকবে,
ছিটমহলগুলোর ওপর আগ্রাসন অযাচিত নিয়ন্ত্রণ বন্ধ হবে না,
কশ্মিনকালেও বাংলাদেশী চ্যানেল ওখানে দেখতে দেওয়া হবে না,
পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহারীদের অশান্ত ও উত্তেজিত করার প্ররোচনা চলবেই,
নৌ ও স্থল পথের ট্রানজিট চুক্তিগুলো এখনই বাস্তবায়ন হবেই – এ সরকার থাকতেই,
ন্যূনতম ট্রানজিট মাশুল চাওয়া হবে বাংলাদেশের পক্ষে – কিছু মাশুল দেওয়া হয় নি এমনটা যেন কাউ না বলতে পারে,
দ্বি-পাক্ষীক চুক্তির খুঁটিনাটি দিকগুলো ভালোভাবে বিশ্লেষণ না করেই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে – আমাদের সরল-মন বোদ্ধারা অতো প্যাঁচ বোঝে না। আরা বন্ধু-প্রতিম দাদাদের অবিশ্বাস করার সাহসও কারো হবে না,
ইন্ডিয়ান গণমাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি অপজাত দেশ হিসেবে তুলে ধরা হতে থাকবে।
(চলবেই . . . . . . .)
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৪০
বাকাট্টা বলেছেন: সবই হাসিনা দিদির কৃপা!