![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শাহবাগ আন্দোলনে আছি, বার্তা দিল এ পার বাংলা
- সীমান্ত মৈত্র • পেট্রাপোল
রাজাকারদের বিরুদ্ধে ও পার বাংলার আন্দোলনে তারাও শরিক, রবিবার এ পার বাংলার তরফে সেই বার্তাই পৌঁছে দিলেন কয়েকশো মানুষ। ও পার বাংলার ভাইদের উদ্দেশ্যে ছুড়ে দেওয়া হল বার্তা, “শাহবাগের মহাজাগরণে, আমরাও আছি পাশে।”
রবিবার দুপুরে কিছু ক্ষণের জন্য পেট্রাপোল সীমান্ত হয়ে উঠেছিল এক টুকরো শাহবাগ। জড়ো হয়েছিলেন কয়েকশো কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষক, নাট্যকার, লিটল ম্যাগাজিনের কর্মীরা। প্রথমে বনগাঁ স্টেশন থেকে সাত কিলোমিটার পথ মিছিলে হাঁটেন তাঁরা। দুপুর পৌনে ৩টে নাগাদ মিছিল পৌঁছয় সীমান্তে। কিছু দিন ধরেই যার প্রস্তুতি চলছিল ফেসবুক, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে।
শাহবাগ আন্দোলনে রবিবার বেনাপোল এবং পেট্রাপোলে দুই বাংলা। ছবি: পার্থসারথি নন্দী।
মিছিলের সামনে বাইকে জাতীয় পতাকা হাতে কয়েক জন। পিছনে ম্যাটাডোরে ট্যাবলো। মধ্যে অসংখ্য পোস্টার-ব্যানার। প্রত্যেকের মাথায় টুপি। তাতে লেখা, “শাহবাগ, এ পার আমরা তোমার পাশে আছি।” গান-কবিতা-বক্তৃতায় চলে মিছিল। মিছিল থেকে পোস্টারে দাবি তোলা হয়, “রাজাকারহীন বাংলা চাই।” সঙ্গে পথচলতি মানুষের প্রতি তাঁদের আহ্বান, “বাঙালির আওয়াজ রক্ষা করতে চাই। আসুন তাদের পাশে দাঁড়াই।” পেট্রাপোল বন্দরে ঢোকার মুখে তাদের আটকে দেয় বিএসএফ-পুলিশ। রাস্তায় বসেই শুরু হয় শাহবাগ আন্দোলনের উপর লেখা গান, পথনাটক।
দূরে নো-ম্যানস ল্যান্ডে দীর্ঘ ক্ষণ ধরেই অপেক্ষা করছিলেন বাংলাদেশি বন্ধুরা। সেখানে যাওয়ার দাবিতে জওয়ানদের সঙ্গে বচসা বাধে এ পারের মিছিলের। একটা সময় জওয়ানরা দাবি মেনেও নেন। নো-ম্যানস ল্যান্ডের একটু দূর পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। প্রতিনিধিমূলক কয়েক জন অবশ্য গেটের কাছে যাওয়ারও অনুমতি পান। গেটের মধ্যে থেকেই মিলিত হন সকলে। উড়তে থাকে দু’দেশের পতাকা।
বাংলাদেশ থেকে যারা এসেছিলেন, তাঁদের নেতৃত্ব দেন বেনাপোলের মেয়র আশরাফুল আলম লিটন। তিনি বলেন, “ফের একবার আমরা ভারতীয়দের কাছে ঋণী হলাম। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়েও এ ভাবেই ভারতকে পাশে পেয়েছিলাম আমরা। এ বারের লড়াইতেও ওরা পাশে থাকায় আমরা কৃতজ্ঞ।” দুই বাংলার মানুষ শপথ নিলেন, একে অপরের পাশে থাকবার। একটু দূরে তখন অনেকে মিলে গাইছেন, ‘ধনধান্যে পুষ্পে ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা।’ অসুস্থ শরীরে এসেছিলেন এ পার বাংলার কবি দীপশিখা ঘোষ ভৌমিক। তিনি বলেন, “এ আন্দোলন সব বাঙালির। তাই ছুটে এলাম।” শেষ কবে ও পার বাংলা এ ভাবে এ পার বাংলার বাঙালিদের পাশে পেয়েছেন, তা মনে করতে পারলেন না অনেকেই। স্থানীয় এক যুবকের কথায়, “বাঙালির একটাই জাতিসত্ত্বা। তা কাটাতাঁর দিয়ে মুছে ফেলা যাবে না। আজকে তা ফের একবার প্রমাণিত হল।”
সূত্র এইখানে।
২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫০
গেস্টাপো বলেছেন: ইয়া ইয়া ব্রো সেই কাজটা ফেসবুক এর এই দুটা পেজও করতাছে
আমরা বাংলাদেশের সবাই চাই বাংলাদেশ ভারতের অঙ্গরাজ্য হোক
UCK bangladesh
৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫১
কে বা কারা বলেছেন: আহলান, আজো এক বাংলাদেশীকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ। Click This Link
৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪
আশিকুর রহমান ১ বলেছেন: আহা!! পিরিতি কাঁঠালের আঠা!! বাঙালির একটাই জাতিসত্ত্বা। তা কাটাতাঁর দিয়ে মুছে ফেলা যাবে না। কিন্তু যখন ঐ কাঁটাতারে আমার বোন ফেলানীর লাশ ঝুলে তখন কোথায় থাকে আপনাদের এই জাতিসত্ত্বা??
৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০২
শাহাদাত হোসেন বলেছেন: বাঙালি যেহেতু একই জাতি সত্ত্বা সুতরাং কলকতা বাংলাদেশের মানচিত্রে যোগ করা হোক, কারণ কলকাতা বাঙালি।
৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৬
ভালোরনি বলেছেন: আহ হা রে পেরেম, কততো পেরেম। একদম ইলিষের ঝোল।
৭১ এর পর বাংলাদেশের সবচেয়ে বর শত্রু এই দাদারা। মুখে মধু অন্তরে বিষ।
ফাকিস্তান ইজ নো মোর গ্রেট থ্রেট লাইক ইন্ডিয়া নাউ। দা নিয়ারেস্ট এন্ড ডেডলিয়েস্ট আন্ডার কাভার এনিমি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪২
আহলান বলেছেন: সেই কাঁটা তারের বেড়ায় যখন ফেলানীর লাশ ঝুলে, তখন মনটা খুশিতে নেচে ওঠে ..... কেয়া বাত কেয়া বাত .... বাংলাদেশী বাজিমাৎ ... কুপোকাৎ ....