![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বন্ধুবেশী লুটেরা, আধিপত্যকামী ও বশ্যতা আরোপকারী ব্রাহ্মণ্যবাদী ইন্ডিয়া বাংলাদেশকে নিয়ে যা করছে তাতে সেদিন আর বেশী দূরে নয় যখন দেখা যাবে বেনিয়া ব্রিটিশরা উপনিবেশিক ইন্ডিয়ার যতোটা ক্ষতি করেনি তার চেয়েও বেশী ক্ষতির শিকার হয়েছে বাংলাদেশ। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা আজ আগ্রাসী ইন্ডিয়ার পদলেহীদের স্পর্ধায় ম্রিয়মান। স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছর না পেরুতেই মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা ও জাতীয় স্বাতন্ত্র্যবোধ কীভাবে যেন ছিনতাই হয়ে গেল! তৈরী হলো বিদেশী প্রভূদের সেবাদাস SHOE-SEALED শ্রেণী, ফরমায়েশখাটা অধিকার কর্মীদের দল, বাগাড়ম্বর-স্তাবক-স্বার্থান্বষী নেতৃবৃন্দ ও পারিতোষিক গণমাধ্যম। সর্বগ্রাসী দূর্ণীতি আমাদের অস্থিমজ্জা ও দেহকোষে যেন ম্যালিগন্যান্ট ক্যান্সারের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। নামসর্বস্ব চেতনাধারী দেশপ্রেমিকদের মেকি আস্ফালন সর্বত্র। এই বিশৃঙ্খলার সুযোগে সাম্রাজ্যবাদী শকুনের শ্যেনদৃষ্টি ও শাণিত নখর আমাদের সার্বভৌমত্বকে ক্ষত বিক্ষত করছে তা কারো বিবেককে ছুঁয়ে যায় না – প্রতিবাদ তো অকল্পনীয় ব্যাপার। আর আমাদের বিভেদ, অবিশ্বাস ও ভাতৃঘাতী মনোভাবের সুযোগে দানবরূপী বিদেশী শত্রুরা আজ ক্রুর হাসি হাসে আর আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন এই বাংলাদেশকে নিয়ে চক্রান্তের খেলায় মেতে ওঠে।
এই ব্লগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ান রাষ্ট্রীয় দুশ্চরিত্রের কিছু দিক তুলে ধরা হলো। এটা সামান্য একটা প্রয়াস মাত্র। নিঃসন্দেহে ওদের ষড়যন্ত্রের পরিধি এতো ব্যাপক যে, তা ব্যক্তি তো দূরের কথা আমাদের সরকার ও রাষ্ট্র ব্যবস্থাও তা অনুধাবন করতে বরাবরের মতোই ব্যর্থ। ঠিক আমরা যে সময়ে এই ব্লগটি পড়ছি, ঠিক এই সময়ে জানি না ওরা বাংলাদেশকে নিয়ে কোন চক্রান্তের নীলনকশা আঁকছে।
বাংলাদেশ নামক এই ভূখণ্ডটির প্রতি যাদের এতোটুকু ভালোবাসা বা মনের টান রয়েছে তাদের প্রতি আমার অনুরোধ, আধিপত্যকামী ওই দেশটির স্বরূপ উম্মোচনে কষ্ট করে হলেও একটু অবদান রাখবেন।
“হুব্বুল ওয়াতান মিনাল ঈমান” অথবা “জননী জন্মভুমিশ্চ স্বর্গাদপী গরিয়সী” – এ কথা গুলো যাদের জন্য প্রযোজ্য তারা দয়া করে একবার ভেবে দেখবেন যে বলদর্পী ইন্ডিয়া পর্যায়ক্রমে আমাদের কোথায় ঠেলে দিচ্ছে। পরিশেষে এই আশাবাদ জানাতে চাই, যারা এই মাটির প্রকৃত সন্তান তারা শেষ রক্ত বিন্দু থাকা পর্যন্ত দেশবিরোধী যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দেবে। বাংলা ও বাংলাদেশের ইতিহাস তো তেমনটাই বলে!
বন্ধুত্ব ও মৈত্রীর মুখোশে ইন্ডিয়ান ঔদ্ধত্য ও দুর্বৃত্তপনার খণ্ডচিত্র -
1. ৪৭-এর মানচিত্রে ফেরার স্বপ্নে বিভোর সম্পাদক ও SHOE-SEALED দালাল।
2. RAW-এর এজেন্টদের মাসোহারা ও বহুবিধ পারিতোষিক।
3. অখণ্ড মহাভারতের ধারণা - যার ব্যাপ্তি আফগানিস্তান থেকে কম্বোডিয়া পর্যন্ত।
4. অধীনতামূলক মিত্রতা।
5. অপহরণ – বাংলাদেশের ভূখণ্ডে এসে।
6. অব্যহতভাবে অনুপ্রবেশের অপবাদ।
7. অবৈধ অস্ত্র।
8. অবজ্ঞাসূলভ মনোভাব।
9. অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও নীতি নির্ধারণে হস্তক্ষেপ।
10. অসম্প্রদায়িকতার প্রেসক্রিপশন (যদিও নিজেরা কট্টর হিন্দুবাদী)।
11. অসম্ভব অসম ও ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ঘাটতি।
12. অসম বাণিজ্য চুক্তি (যদি তা ইন্ডিয়ার ব্যবসায়ীদের অনুকূলে হয়)।
13. আধিপত্যবাদী ইন্ডিয়ান মিডিয়া সিন্ডিকেট।
14. আন্তর্জাতিক ফোরামে লবিং করে স্বার্থসিদ্ধির চাপ।
15. ইন্ডিয়ান মিডিয়ায় বাংলাদেশকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে উপেক্ষা ও অবজ্ঞা।
16. ইন্ডিয়ান সংস্কৃতির চাপিয়ে দেয়া।
17. ইন্ডিয়ার অভ্যন্তরে বাংলাদেশকে একটি ইন্ডিয়া-নির্ভর দেশ হিসেবে প্রচারণা।
18. ইসলামী সংস্কৃতি ও রীতিনীতি দমন-পীড়নে উৎসাহ।
19. উজানে পানি ছিনতাই।
20. উলফা নেতাদের ধরিয়ে দেওয়ার বাহবা।
21. একতরফা স্বার্থ সিদ্ধিতে ক্ষমতাসীনদের কোলাবরেশনের প্রশংসা।
22. ক্রুসেডার – ১০০।
23. ক্ষমতাসীনদের যোগসাজশে গ্রামীণ ব্যাঙ্ক ও ডঃ ইউনুসের বারোটা বাজানো।
24. কানেক্টিভিটির কাঁচকলা।
25. করিডোর।
26. কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের সামনে বঙ্গভূমিওয়ালাদের হুক্কা-হুয়ার মহড়া।
27. কাঁচামালের (পাঁট, চামড়া, জ্বালানী তেল) পাচার বিনিময়ে মাদক, অস্ত্র ও নিম্নমানের পণ্য।
28. কাঁটাতারের বিদ্যুতায়িত বেড়া।
29. খরা।
30. গার্মেন্টস শিল্প নিয়ে ষড়যন্ত্র।
31. গালভরা বুলি - মন গলে যাবার মতো (honeyed words but evil mind)।
32. গায়ের জোর, পেশী প্রদর্শন ও একতরফা সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
33. গুপ্তচরবৃত্তি।
34. গরু, ছাগল ও খেতের ফসল লুণ্ঠন।
35. চাণক্য নীতি।
36. চোরাচালান।
37. চলচ্চিত্রে বাংলাদেশ ও পূর্ববঙ্গকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ।
38. ছল, বল, কূটকৌশল।
39. ট্রান্সশিপমেন্ট।
40. ট্রানজিট ফি না চাওয়ার মত সুসভ্য দালাল (?!)।
41. ট্রানজিট।
42. তিন বিঘা করিডর, বেরুবাড়ীসহ অন্যান্য ছিটমহল গলাধকরণ।
43. তিস্তার পানি-বন্টন চুক্তির নামে প্রতারণা ও পিঠটান।
44. দালাল, ভাদা ও ভাকুর।
45. দহগ্রাম ও অংগরপোতা অপদখল।
46. নিম্নমানের কীটনাশক ও সার।
47. নেপাল-বাংলাদেশ স্থল ট্রানজিটে আপত্তি।
48. নেহরু ডকট্রিন।
49. নৃশংসতা – আন্তর্জাতিক সীমানায়।
50. প্রাতিষ্ঠানিক মিথ্যাচার।
51. প্রতিরক্ষাবাহিনীকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে দমিয়ে রাখার জন্য সার্বিক আবহ তৈরী করা।
52. প্রধানমন্ত্রীকে “মুখ্যমন্ত্রী” উপাধী।
53. পাট শিল্প ধ্বংস।
54. পানি আগ্রাসনে নাব্যতা হ্রাস।
55. পানি-বন্টনের নামে বাটপাড়ি।
56. পরাশক্তির দম্ভ।
57. পররাষ্ট্রনীতিতে ভারতের অযাচিত প্রভাব।
58. পহেলা বৈশাখের নামে অপসংস্কৃতির অণুপ্রবেশ।
59. ফারাক্কা বাঁধসহ অভিন্ন সব (৫৪টি) নদীতে বাঁধ ও বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প।
60. ফেনসিডিল, হেরোইন ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য।
61. ফেলানীর ঝুলন্ত লাশ।
62. ফাঁকা প্রতিশ্রুতি।
63. ব্রাহ্মণ্যবাদী ও হিন্দু সংস্কৃতির ধারক ও বাহক।
64. বানরের পিঠাভাগ (১১০০ একর ভূমি ত্রিপুরাকে দিয়ে ৩০০ একর প্রাপ্তি)।
65. বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জন্মদান ও প্রতিপালন। (শান্তিবাহীনি, বঙ্গভূমি আন্দোলন, বাংলা লিবারেশন অর্গানাইজেশন, লিবারেশন টাইগার্স অব বেঙ্গল, এ্যাকশন ফোরাম, বঙ্গদেশ মুক্তি পরিষদ, বঙ্গসেনা, নিখিল বঙ্গ নাগরিক সংঘ, বঙ্গভূমি সংঘ, সংখ্যালঘু কল্যাণ পরিষদ)।
66. বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ বিরোধী কর্মকান্ড পরিচালনা করা।
67. বিভিন্ন ধরণের বৃত্তির নামে মগজধোলাই।
68. বিরোধী দল নিপীড়নের বিষয়ে মুখে কুলূপ।
69. বুদ্ধিবেশ্যা।
70. বর্ষা মৌসুমে বাড়তি পানি ছেড়ে দেওয়ায় আকস্মিক বন্যা।
71. বহির্বিশ্বে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার।
72. বাংলা একাডেমীতে ইন্ডিয়ান ভূত।
73. বাংলাদেশকে ইন্ডিয়ার বাজারে পরিণত করা (অনেকাংশেই সফল)।
74. বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র পরিণত করা।
75. বাংলাদেশকে গ্রাস করার আর্দ্র-স্বপ্ন (এই স্বপ্ন ভাদা ও ভাকুরদের শিহরিত করে!)
76. বাংলাদেশী গণমাধ্যম ও চ্যানেলের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা।
77. বাংলাদেশী স্যাটেলাইট চ্যানেল প্রচারে বাঁধা।
78. বাংলাদেশী সন্ত্রাসীদের আশ্রয় প্রশ্রয় ও প্রতিপালন।
79. বাংলাদেশে ইন্ডিয়ান রুপি চালুর প্রস্তাব (শীঘ্রই বাস্তবায়ন হতে পারে)।
80. বাংলাদেশের উপর ইচ্ছামাফিক খবরদারী।
81. বাংলাদেশের টিকে থাকার অধিকার নেই - বলে উপহাস।
82. বাংলাদেশের ঢুকে অন্তর্ঘাতের পরিকল্পনা।
83. বাংলাদেশের প্রতি অঙ্গরাজ্যের মতো মনোভাব।
84. বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী পোষা সীমান্তরক্ষী বাহিনী সীমানার উভয়পার্শে মোতায়েনে সফলতা।
85. বাংলাদেশ-বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান।
86. মিথ্যা আশ্বাস।
87. মিথ্যা বরাভয় - বাংলাদেশের সামরিক শক্তির কোন প্রয়োজন নেই।
88. মৈত্রী আর বন্ধুত্বের নামে দাদাগিরি।
89. মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো ও হেয় প্রতিপন্ন করা।
90. মরুকরণ।
91. রুগ্ন গরু (খেয়ে হৃদরোগ, শেষে ইন্ডিয়াতেই ট্রিটমেন্ট – ডাবল ইনকাম!)।
92. রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প।
93. শাহবাগে ইন্ধন।
94. শিল্পকারখানায় স্যাবোটেজসহ সম্ভাব্য সকল প্রতিবন্ধকতার মিশন বাস্তবায়ন।
95. সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ক্ষেত্র তৈরী।
96. সার্ক-এর স্বপ্ন ছিনতাই ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সর্বসম্মতির দাপটে সার্কের অপমৃত্যু।
97. সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন (পোর্ট নির্মাণে ইন্ডিয়ান টেন্ডার)।
98. সীমান্ত লঙ্ঘন – বিএসএফ প্রায়শই এমনটি করে (মনে হয় রুটিন ওয়ার্ক)।
99. সীমান্তে পুশব্যাক ও পুশ-ইন করে প্রয়োজনমত অস্থিতিশীলতা তৈরী।
100. সীমান্তে লাশের মিছিল।
101. সীমান্তে শতভাগ বাংলাদেশমুখী ফেনসিডিল কারখানা।
102. সেবাদাস।
103. সাংস্কৃতিক বিনিময়ের নামে পাচার ও ষড়যন্ত্র।
104. হাজার সাল কা বদলা।
105. হিন্দুত্ববাদী সংস্কৃতির স্লো-পয়জনিং।
106. হুমকি।
107. হুমকীর সম্মুখীন জৈব্যবৈচিত্র্য।
বাংলাদেশের আলো হাওয়ায় বেড়ে ওঠে এই দেশের বিরুদ্ধে যারা দালালী ও ষড়যন্ত্র করে তাদের মুখোশ আজ হোক বা কাল হোক উম্মোচিত হবে। ইতিহাসের কাঠগড়ায় তাদের বিচার ইহকাল ও পরকালে হবে। “গাদ্দার-এ আবরার” মীরজাফরের ও সহ-ষড়যন্ত্রীদের রক্ত যাদের ধমনীতে প্রবাহমান সেইসব বেঈমান যেন তাদের পূর্বসূরীদের পরিনাম আরেকবার স্মরণ করে।
(চলবে . . . . )
২| ২২ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিদেশী প্রভূদের সেবাদাস SHOE-SEALED শ্রেণী, ফরমায়েশখাটা অধিকার কর্মীদের দল, বাগাড়ম্বর-স্তাবক-স্বার্থান্বষী নেতৃবৃন্দ ও পারিতোষিক গণমাধ্যম। সর্বগ্রাসী দূর্ণীতি আমাদের অস্থিমজ্জা ও দেহকোষে যেন ম্যালিগন্যান্ট ক্যান্সারের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। নামসর্বস্ব চেতনাধারী দেশপ্রেমিকদের মেকি আস্ফালন সর্বত্র। এই বিশৃঙ্খলার সুযোগে সাম্রাজ্যবাদী শকুনের শ্যেনদৃষ্টি ও শাণিত নখর আমাদের সার্বভৌমত্বকে ক্ষত বিক্ষত করছে তা কারো বিবেককে ছুঁয়ে যায় না – প্রতিবাদ তো অকল্পনীয় ব্যাপার। আর আমাদের বিভেদ, অবিশ্বাস ও ভাতৃঘাতী মনোভাবের সুযোগে দানবরূপী বিদেশী শত্রুরা আজ ক্রুর হাসি হাসে আর আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন এই বাংলাদেশকে নিয়ে চক্রান্তের খেলায় মেতে ওঠে।
বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদই পারে এই আত্মবিশ্বাসকে পূর্ণ করতে।
তাইতো শহীদ জিয়াকে নির্মম শাহাদাত বরন করতে হয়।
বাঙালী জাতীয়তাবাদের যে ভাঙ্গাচুরা দাবী তা পাবর্ত অঞ্চলেই ঠোকর খেয়ে আজও অস্থিতীশীলতার শেষ হয়নি।
আর ওপারের দাদারা হিন্দি বলতে বলতে মরে যাবে মগর বাংলাদেশে একিভূত হবার স্বপ্ন দেখবেনা, যেমন দেখেনি রবী ঠাকুর সহ সুশিল গং ১৯০৫-এ।
তবে এই সামুতেই পোষ্ট এসেছিল- সেই দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতা যদি আসে
যদি ইউনাইটেড ষ্টেট অব বেঙ্গল ইউ এস এস বি গড়ার প্রত্যয়, ভিশন এবং মটো নিয়ে সাহসের সাথে এগিয়ে সফল হতে পারে, তবেই তাদের প্রকৃত শায়েস্তা করা যাবে।
তা হোক না হোক- আমাদের দেশটা সুরক্ষিত থাকুক। দালালদের খপ্পর থেকে মুক্ত হোক। চেতনার বেপারী কথিত চেতনার দলের রাহু গ্রাস থেকে মুক্ত হোক। সার্বভোমত্ব লঙ্গনের পরও যারা একটা বিবৃতি দিতে পারে না - তাদের হাতে দেশের সার্বভৌমত্ব যে নিরাপদ নয়- তা বাচ্চাও বোঝে।
হে প্রভু- আমাদের দেশটাকে রক্ষা কর। আমাদের সেই নেতা দাও যার হাতে আমরা সার্বিক নিরপত্তা ও নিশ্চয়তা পাব্। সৎ সত্য আর কর্মঠ যে এই দেশকে প্রকৃত সোনার বাংলা বানাতে পারবে।
৩| ২৩ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৬:০০
ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন:
বাঙালির বাংলা
কাজী নজরুল ইসলাম
বাঙালি যেদিন ঐক ̈বদ্ধ হয়ে বলতে পারবেÑ ‘বাঙালির বাংলা’
সেদিন তারা অসাধ ̈ সাধন করবে। বাঙালির মতো জ্ঞান-শ৩ি ও
প্রেম-শ৩ি (বেধন সেন্টার ও হার্ট সেন্টার) এশিয়ায় কেন, বুঝি
পৃথিবীতে কোনো জাতির নেই। কিন্তু কর্মÑশ৩ি একেবারে নেই
বলেই তাদের এই দিব ̈শ৩ি তমসাচ্ছন্ন হয়ে আছে। তাদের কর্ম-
বিমুখতা, জড়ত্ব, মৃতু ̈ভয়, আলস ̈, তন্দধা, নিদধা, ব ̈বসা-বাণিজে ̈
অনিচ্ছার কারণ। তারা তামসিকতায় আচ্ছন্ন হয়ে চেতনা-শ৩িকে
হারিয়ে ফেলেছে। এই তম, এই তিমির, এই জড়ত্বই অবিদ ̈া।
অবিদ ̈া কেবল অন্ধকার পথে ভ্রাšিতর পথে নিয়ে যায়;
দিব ̈শ৩িকে নিে ̄তজ, মৃতপ্রায় করে রাখে। যারা যত সাত্ত্বিক
ভাবাপন্ন, এই অবিদ ̈া তাদেরই তত বাধা দেয় বিঘœ আনে। এই
জড়তা মানবকে মৃতু ̈র পথে নিয়ে যায়। কিছুতেই অমৃতের পানে
আনন্দের পথে যেতে দেয় না। এই তমকে শাসন করতে পারে
একমাত্র রজো ̧ণ, অর্থাৎ ক্ষাত্র-শ৩ি। এই ক্ষাত্রশ৩িকে না
জাগালে মানুষের মাঝে যে বিশ্ব-বিজয়ী বধহ্মশ৩ি আছে তা তাকে
তম ̧ণের নরকে টেনে এনে প্রায় সংহার করে ফেলে। বাঙালি আজন্ম দিব ̈শ৩িস¤পন্ন। তাদের ক্ষাত্রশ৩ি জাগলো না বলে
দিব ̈শ৩ি কোন কাজে লাগলো নাÑবাঙালির চন্দধনাথের আগ্নেয়গিরি অগ্নি উদগিরণ করলো না। এই ক্ষাত্রশ৩িই দিব ̈ তেজ।
প্রতে ̈ক মানুষেই ত্রি ̧ণান্বিত। সত্ত্ব, রজ ও তম এই তিন ̧ণ। সত্ত্ব ̧ণ, ঐশীশ৩ি অর্থাৎ সৎশ৩ি সর্ব অসৎ শ৩িকে পরাজিত
করে পূর্ণতার পথে নিয়ে যায়। এই সত্ত্ব ̧ণের প্রধান শত্রু তমো ̧ণকে প্রবল ক্ষাত্রশ৩ি দমন করে। অর্থাৎ, আলস ̈, কর্ম-
বিমুখতা, প১⁄২ুত্ব আসতে দেয় না। দেহ ও মনকে কর্মসুন্দর করে। জীবনশ৩িকে চির-জাগ্রত রাখে, যৌবনকে নিত ̈ তেজ-
প্রদীপ্ত করে রাখে। নৈরাশ ̈, অবিশ্বাস, জরা ও ক্লৈব ̈কে আসতে দেয় না। বাঙালির মি ̄তষ্ক ও হৃদয় বধহ্মময় কিন্তু দেহ ও
মন পাষাণময়। কাজেই এই বাংলার অšতরে-বাহিরে যে ঐশ্বর্য পরম দাতা আমাদের দিয়েছেন, আমরা তাকে অবহেলা করে
ঋণে, ব ̈াধিতে, অভাবে, দৈনে ̈, দুর্দশায় জড়িয়ে পড়েছি। বাংলার শিয়রে প্রহরীর মতো জেগে আছে পৃথিবীর শেধষ্ঠতম গিরি
হিমালয়। এই হিমালয়ে পৃথিবীর শেধষ্ঠ মুনি-ঋষিÑযোগীরা সাধনা করেছেন। এই হিমালয়কে তাঁরা সর্ব দৈব-শ৩ির লীলা-
নিকেতন বলেছেন। এই হিমালয়ের গভীর হৃদ- ̧হার অনšত স্নেহধারা বাংলার শত শত নদ-নদী রূপে আমাদের মাঠেÑঘাটে
ঝরে পড়েছে। বাংলার সূর্য অতি তীবধ দহনে দাহন করে না। বাংলার চাঁদ নিত ̈ স্নিগ্ধ। বাংলার আকাশ নিত ̈ প্রসন্ন, বাংলা
বায়ুতে চিরবসšত ও শরতের নিত ̈ মাধুর্য ও শধী। বাংলার জল নিত ̈Ñপ্রাচুর্যে ও শুদ্ধতায় পূর্ণ। বাংলার মাটি নিত ̈-উর্বর।
এই মাটিতে নিত ̈ সোনা ফলে। এত ধান আর কোনো দেশে ফলে না। পাট শুধু একা বাংলার। এত ফুল, এত পাখি, এত
গান, এত সুর, এত কুঞ্জ, এত ছায়া, এত মায়া আর কোথাও নেই। এত আনন্দ, এত হুলে−াড়, আত্মীয়তাবোধ পৃথিবীর আর
কোথাও নেই। এত ধর্মবোধÑআল−াহ, ভগবানের উপাসনা, উপবাস-উৎসব পৃথিবীর আর কোথাও নেই। বাংলার কয়লা
অপরিমাণ, তা কখনও ফুরাবে না। বাংলার সুবর্ণ-রেখার বালিতে পানিতে ̄^র্ণরেণু। বাংলার অভাব কোথায়? বাংলার মাঠে
মাঠে ধেনু, ছাগ, মহিষ। নদীতে
বা১⁄২ালির বাংলা
৭
ঝিলে বিলে পুকুরে ডোবায় প্রয়োজনের অধিক মাছ। আমাদের মাত...ভূমি পৃথিবীর ̄^র্গ, বাঙালির বাংলা নিত ̈ সর্বৈশ্বর্যময়ী।
আমাদের অভাব কোথায়? অতি প্রাচুর্য আমাদের বিলাসী, ভোগী করে শেষে অলস, কর্ম-বিমুখ জাতিতে পরিণত করেছে।
আমাদের মাছ ধান পাট, আমাদের ঐশ্বর্য শত বিদেশি লুটে নিয়ে যায়, আমরা তার প্রতিবাদ তো করি না, উলটো তাদের
দাসত্ব করি; এ লুণ্ঠনে তাদের সাহায ̈ করি।
বাঙালি শুধু লাঠি দিয়েই দেড়শত বছর আগেও তার ̄^াধীনতাকে অক্ষুণœও রাখতে চেষ্টা করেছে। আজ বাংলার ছেলেরা
̄^াধীনতার জন ̈ যে আত্মদান করেছে, যে অসম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে, ইতিহাসে তা থাকবে ̄^র্ণ-লেখায় লিখিত।
বাংলা সর্ব ঐশীশ৩ির পীঠ ̄’ান। হেথায় লক্ষ লক্ষ যোগী মুনি ঋষি তপ ̄^ীর পীঠ ̄’ান, সমাধি; সহসধ ফকির-দরবেশ ওলি-
গাজির দর্গা পরম পবিত্র। হেথায় গ্রামে হয় আজানের সাথে শঙ্খঘণ্টার ধ্বনি। এখানে যে শাসনকর্তা হয়ে এসেছে সেই
̄^াধীনতা ঘোষণা করেছে। বাংলার আবহাওয়ায় আছে ̄^াধীনতা-মšেত্রর সঞ্জীবনী শ৩ি। আমাদের বাংলা নিত ̈ মহিমাময়ী,
নিত ̈ সুন্দর, নিত ̈ পবিত্র।
আজ আমাদের আলসে ̈র, কর্ম-বিমুখতার পৌরুষের অভাবেই আমরা হয়ে আছি সকলের চেয়ে দীন। যে বাঙালি সারা
পৃথিবীর লোককে দিনের পর দিন নিমšত্রণ করে খাওয়াতে পারে তারাই আজ হচ্ছে সকলের দ্বারে ভিখারি। যারা ঘরের
পাশে পাহাড়ের অজগর, বনের বাঘ নিয়ে বাস করে, তারা আজ নীরব বিদেশির দাসত্ব করে। শুনে ভীষণ μোধে হাত
মুষ্টিবদ্ধ হয়ে ওঠে, সারা দেহমনে আসে প্রলয়ের ক¤পন, সারা বক্ষ মন্থন করে আসে অশ্রু। যাদের মাথায় নিত ̈ স্নিগ্ধ
মেঘ ছায়া হয়ে সঞ্চরণ করে ফিরে, ঐশী আশীর্বাদ অজসধ সৃষ্টিধারায় ঝরে পড়ে, মায়াময় অরণ ̈ যাকে দেয় স্নিগ্ধ-শাšতশধী,
বজেধর বিদু ̈ৎ দেখে যারা নেচে উঠে,- হায় তারা এই অপমান এই দাসত্ব বিদেশি দসু ̈দের এই উপদধব নির্যাতনকে কি করে
সহ ̈ করে? ঐশী ঐশ্বর্যÑ যা আমাদের পথে ঘাটে মাঠে ছড়িয়ে পড়ে আছে তাকে বিসর্জন করে অর্জন করেছি এই দৈন ̈,
দারিদধ ̈, অভাব, লাঞ্ছনা। বাঙালি ক্ষাত্রশ৩িকে অবহেলা করল বলে তার এই দুর্গতি তার অভিশপ্তের জীবন। তার মাঠের
ধান পাট রবি ফসল তার সোনা তামা লোহা কয়লাÑ তার সর্ব ঐশ্বর্য বিদেশি দসু ̈ বাটপাড়ি করে ডাকাতি করে নিয়ে যায়,
সে বসে বসে দেখে। বলতে পারে না এ আমাদের ভগবানের দান, এ আমাদের মাত...-ঐশ্বর্য। খবরদার, যে রাক্ষস একে
গ্রাস করতে আসবে, যে দসু ̈ এ ঐশ্বর্য ̄পর্শ করবেÑ তাকে প্রহারেণ ধনঞ্জয় দিয়ে বিনাশ করব, সংহার করব।
বাঙালিকে, বাঙালির ছেলেমেয়েকে ছেলেবেলা থেকে শুধু এই এক মšত্র শেখাও :
এই পবিত্র বাংলাদেশ
বাঙালিরÑআমাদের।
দিয়া প্রহারেণ ধনঞ্জয়
তাড়াবো আমরা, করি না ভয়
যত পরদেশি দসু ̈ ডাকাত
রামাদের গামাদের।
বাংলা বাঙালির হোক! বাংলার জয় হোক। বাঙালির জয় হোক।
বাঙালির বাংলা
কাজী নজরুল ইসলাম
বাঙালি যেদিন ঐক ̈বদ্ধ হয়ে বলতে পারবেÑ ‘বাঙালির বাংলা’
সেদিন তারা অসাধ ̈ সাধন করবে। বাঙালির মতো জ্ঞান-শ৩ি ও
প্রেম-শ৩ি (বেধন সেন্টার ও হার্ট সেন্টার) এশিয়ায় কেন, বুঝি
পৃথিবীতে কোনো জাতির নেই। কিন্তু কর্মÑশ৩ি একেবারে নেই
বলেই তাদের এই দিব ̈শ৩ি তমসাচ্ছন্ন হয়ে আছে। তাদের কর্ম-
বিমুখতা, জড়ত্ব, মৃতু ̈ভয়, আলস ̈, তন্দধা, নিদধা, ব ̈বসা-বাণিজে ̈
অনিচ্ছার কারণ। তারা তামসিকতায় আচ্ছন্ন হয়ে চেতনা-শ৩িকে
হারিয়ে ফেলেছে। এই তম, এই তিমির, এই জড়ত্বই অবিদ ̈া।
অবিদ ̈া কেবল অন্ধকার পথে ভ্রাšিতর পথে নিয়ে যায়;
দিব ̈শ৩িকে নিে ̄তজ, মৃতপ্রায় করে রাখে। যারা যত সাত্ত্বিক
ভাবাপন্ন, এই অবিদ ̈া তাদেরই তত বাধা দেয় বিঘœ আনে। এই
জড়তা মানবকে মৃতু ̈র পথে নিয়ে যায়। কিছুতেই অমৃতের পানে
আনন্দের পথে যেতে দেয় না। এই তমকে শাসন করতে পারে
একমাত্র রজো ̧ণ, অর্থাৎ ক্ষাত্র-শ৩ি। এই ক্ষাত্রশ৩িকে না
জাগালে মানুষের মাঝে যে বিশ্ব-বিজয়ী বধহ্মশ৩ি আছে তা তাকে
তম ̧ণের নরকে টেনে এনে প্রায় সংহার করে ফেলে। বাঙালি আজন্ম দিব ̈শ৩িস¤পন্ন। তাদের ক্ষাত্রশ৩ি জাগলো না বলে
দিব ̈শ৩ি কোন কাজে লাগলো নাÑবাঙালির চন্দধনাথের আগ্নেয়গিরি অগ্নি উদগিরণ করলো না। এই ক্ষাত্রশ৩িই দিব ̈ তেজ।
প্রতে ̈ক মানুষেই ত্রি ̧ণান্বিত। সত্ত্ব, রজ ও তম এই তিন ̧ণ। সত্ত্ব ̧ণ, ঐশীশ৩ি অর্থাৎ সৎশ৩ি সর্ব অসৎ শ৩িকে পরাজিত
করে পূর্ণতার পথে নিয়ে যায়। এই সত্ত্ব ̧ণের প্রধান শত্রু তমো ̧ণকে প্রবল ক্ষাত্রশ৩ি দমন করে। অর্থাৎ, আলস ̈, কর্ম-
বিমুখতা, প১⁄২ুত্ব আসতে দেয় না। দেহ ও মনকে কর্মসুন্দর করে। জীবনশ৩িকে চির-জাগ্রত রাখে, যৌবনকে নিত ̈ তেজ-
প্রদীপ্ত করে রাখে। নৈরাশ ̈, অবিশ্বাস, জরা ও ক্লৈব ̈কে আসতে দেয় না। বাঙালির মি ̄তষ্ক ও হৃদয় বধহ্মময় কিন্তু দেহ ও
মন পাষাণময়। কাজেই এই বাংলার অšতরে-বাহিরে যে ঐশ্বর্য পরম দাতা আমাদের দিয়েছেন, আমরা তাকে অবহেলা করে
ঋণে, ব ̈াধিতে, অভাবে, দৈনে ̈, দুর্দশায় জড়িয়ে পড়েছি। বাংলার শিয়রে প্রহরীর মতো জেগে আছে পৃথিবীর শেধষ্ঠতম গিরি
হিমালয়। এই হিমালয়ে পৃথিবীর শেধষ্ঠ মুনি-ঋষিÑযোগীরা সাধনা করেছেন। এই হিমালয়কে তাঁরা সর্ব দৈব-শ৩ির লীলা-
নিকেতন বলেছেন। এই হিমালয়ের গভীর হৃদ- ̧হার অনšত স্নেহধারা বাংলার শত শত নদ-নদী রূপে আমাদের মাঠেÑঘাটে
ঝরে পড়েছে। বাংলার সূর্য অতি তীবধ দহনে দাহন করে না। বাংলার চাঁদ নিত ̈ স্নিগ্ধ। বাংলার আকাশ নিত ̈ প্রসন্ন, বাংলা
বায়ুতে চিরবসšত ও শরতের নিত ̈ মাধুর্য ও শধী। বাংলার জল নিত ̈Ñপ্রাচুর্যে ও শুদ্ধতায় পূর্ণ। বাংলার মাটি নিত ̈-উর্বর।
এই মাটিতে নিত ̈ সোনা ফলে। এত ধান আর কোনো দেশে ফলে না। পাট শুধু একা বাংলার। এত ফুল, এত পাখি, এত
গান, এত সুর, এত কুঞ্জ, এত ছায়া, এত মায়া আর কোথাও নেই। এত আনন্দ, এত হুলে−াড়, আত্মীয়তাবোধ পৃথিবীর আর
কোথাও নেই। এত ধর্মবোধÑআল−াহ, ভগবানের উপাসনা, উপবাস-উৎসব পৃথিবীর আর কোথাও নেই। বাংলার কয়লা
অপরিমাণ, তা কখনও ফুরাবে না। বাংলার সুবর্ণ-রেখার বালিতে পানিতে ̄^র্ণরেণু। বাংলার অভাব কোথায়? বাংলার মাঠে
মাঠে ধেনু, ছাগ, মহিষ। নদীতে
বা১⁄২ালির বাংলা
৭
ঝিলে বিলে পুকুরে ডোবায় প্রয়োজনের অধিক মাছ। আমাদের মাত...ভূমি পৃথিবীর ̄^র্গ, বাঙালির বাংলা নিত ̈ সর্বৈশ্বর্যময়ী।
আমাদের অভাব কোথায়? অতি প্রাচুর্য আমাদের বিলাসী, ভোগী করে শেষে অলস, কর্ম-বিমুখ জাতিতে পরিণত করেছে।
আমাদের মাছ ধান পাট, আমাদের ঐশ্বর্য শত বিদেশি লুটে নিয়ে যায়, আমরা তার প্রতিবাদ তো করি না, উলটো তাদের
দাসত্ব করি; এ লুণ্ঠনে তাদের সাহায ̈ করি।
বাঙালি শুধু লাঠি দিয়েই দেড়শত বছর আগেও তার ̄^াধীনতাকে অক্ষুণœও রাখতে চেষ্টা করেছে। আজ বাংলার ছেলেরা
̄^াধীনতার জন ̈ যে আত্মদান করেছে, যে অসম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে, ইতিহাসে তা থাকবে ̄^র্ণ-লেখায় লিখিত।
বাংলা সর্ব ঐশীশ৩ির পীঠ ̄’ান। হেথায় লক্ষ লক্ষ যোগী মুনি ঋষি তপ ̄^ীর পীঠ ̄’ান, সমাধি; সহসধ ফকির-দরবেশ ওলি-
গাজির দর্গা পরম পবিত্র। হেথায় গ্রামে হয় আজানের সাথে শঙ্খঘণ্টার ধ্বনি। এখানে যে শাসনকর্তা হয়ে এসেছে সেই
̄^াধীনতা ঘোষণা করেছে। বাংলার আবহাওয়ায় আছে ̄^াধীনতা-মšেত্রর সঞ্জীবনী শ৩ি। আমাদের বাংলা নিত ̈ মহিমাময়ী,
নিত ̈ সুন্দর, নিত ̈ পবিত্র।
আজ আমাদের আলসে ̈র, কর্ম-বিমুখতার পৌরুষের অভাবেই আমরা হয়ে আছি সকলের চেয়ে দীন। যে বাঙালি সারা
পৃথিবীর লোককে দিনের পর দিন নিমšত্রণ করে খাওয়াতে পারে তারাই আজ হচ্ছে সকলের দ্বারে ভিখারি। যারা ঘরের
পাশে পাহাড়ের অজগর, বনের বাঘ নিয়ে বাস করে, তারা আজ নীরব বিদেশির দাসত্ব করে। শুনে ভীষণ μোধে হাত
মুষ্টিবদ্ধ হয়ে ওঠে, সারা দেহমনে আসে প্রলয়ের ক¤পন, সারা বক্ষ মন্থন করে আসে অশ্রু। যাদের মাথায় নিত ̈ স্নিগ্ধ
মেঘ ছায়া হয়ে সঞ্চরণ করে ফিরে, ঐশী আশীর্বাদ অজসধ সৃষ্টিধারায় ঝরে পড়ে, মায়াময় অরণ ̈ যাকে দেয় স্নিগ্ধ-শাšতশধী,
বজেধর বিদু ̈ৎ দেখে যারা নেচে উঠে,- হায় তারা এই অপমান এই দাসত্ব বিদেশি দসু ̈দের এই উপদধব নির্যাতনকে কি করে
সহ ̈ করে? ঐশী ঐশ্বর্যÑ যা আমাদের পথে ঘাটে মাঠে ছড়িয়ে পড়ে আছে তাকে বিসর্জন করে অর্জন করেছি এই দৈন ̈,
দারিদধ ̈, অভাব, লাঞ্ছনা। বাঙালি ক্ষাত্রশ৩িকে অবহেলা করল বলে তার এই দুর্গতি তার অভিশপ্তের জীবন। তার মাঠের
ধান পাট রবি ফসল তার সোনা তামা লোহা কয়লাÑ তার সর্ব ঐশ্বর্য বিদেশি দসু ̈ বাটপাড়ি করে ডাকাতি করে নিয়ে যায়,
সে বসে বসে দেখে। বলতে পারে না এ আমাদের ভগবানের দান, এ আমাদের মাত...-ঐশ্বর্য। খবরদার, যে রাক্ষস একে
গ্রাস করতে আসবে, যে দসু ̈ এ ঐশ্বর্য ̄পর্শ করবেÑ তাকে প্রহারেণ ধনঞ্জয় দিয়ে বিনাশ করব, সংহার করব।
বাঙালিকে, বাঙালির ছেলেমেয়েকে ছেলেবেলা থেকে শুধু এই এক মšত্র শেখাও :
এই পবিত্র বাংলাদেশ
বাঙালিরÑআমাদের।
দিয়া প্রহারেণ ধনঞ্জয়
তাড়াবো আমরা, করি না ভয়
যত পরদেশি দসু ̈ ডাকাত
রামাদের গামাদের।
বাংলা বাঙালির হোক! বাংলার জয় হোক। বাঙালির জয় হোক।
৪| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সময়ের জবাব লেখনির মাধ্যমে
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৩
জাহাজ ব্যাপারী বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬
মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: তথ্য সমৃদ্ধ এক টো পোস্ট, প্রিয়তে নিলাম
২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২২
জাহাজ ব্যাপারী বলেছেন: ধন্যবাদ! শুধু প্রিয়তে নিলেই হবে না, নিজ নিজ অবস্থান থেকে ইন্ডিয়ান আধিপত্যবাদের প্রতিবাদ করতে হবে।
ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫
ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: আমার মাঝে মাঝে মনে হয় শেখ মুজিবরে মাইরা জিয়াউর রহমানরে ক্ষমতায় বসাইছিল ভারত। জিয়াউর রহমান ছিল ভারতের দালাল। কারণ তখন বাঙ্গালি জাতিয়তাবাদের যে জোয়ার উঠছিল, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা না আবার ভারতের হাতছাড়া হয়ে যায়, সে ভয়ে ভারত এইদেশে বাঙ্গালি জাতিয়তাবাদরে যেভাবে পারছে দমাইছে। এইসব ধর্মান্ধ গোষ্ঠী সব ভারতের ইন্ধনেই তৈরী। ভারতের ব্রাহ্মণ্যবাদকে ঠেকাতে হবে বাঙ্গালিত্ববাদ দিয়ে। আওয়াজ তুলুন, আধখানা বাংলা নয়, পুরো বাংলাদেশ চাই। পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা নিয়ে খাটি বাংলাদেশ তৈরী করা হবে। হিন্দুস্তানীদের হাত থেকে বাঙ্গালিকে রক্ষা করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের বাঙ্গালিদের নাকি করুণ অবস্থা, সেখানে নাকি এখন বাংলা চেয়ে হিন্দির জোর বেশী। ভারতরে মোটামুটি নিচের ভাগে ভাগ করা যায়-
হিন্দ বা হিন্দুস্তান
সিন্ধ, এইটাও মোটামুটি হিন্দুস্তান
দ্রাবিড় বা দক্ষিণী
বেঙ্গল
এই তিনটা মেজর জাতি। এখন আমাদের প্রতিপক্ষ হিন্দুস্তানি আর দক্ষিণীরা। তবে দক্ষিণীরা মূল প্রতিপক্ষ নয়, মূল প্রতিপক্ষ হিন্দুস্তানিরা। ভারতের রাজধানি দিল্লী হিন্দুস্তান অঞ্চলে। তাই হিন্দুস্তানীরা ভারতের রাজা। এখন এদের রাজত্ব কেমনে ঠেকাবে বাঙ্গালি?
আমরা ভাল যোদ্ধা ও কূটনৈতিক। ৭১-এ উর্দুভাষী হিন্দুস্তানীদের (পাকিস্তানিরা হিন্দুস্তানী মুসলিম) ঠেকিয়েছি। আমরা ভাল যোদ্ধা। হিন্দুস্তানীদের উপর রণশক্তিতে, সাহসিকতায় বাঙ্গালিদের সুপিরিয়োরিটি আছে। আমরা ভারতীয় উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা। মনে রাখবেন, ইংরেজরা বাংলা দখল করতে সবচেয়ে বেশী সময় নিয়েছিল, বাংলা দখল শেষে ইংরেজরা খুব সহজেই বাকী ভারত দখল করে নেয়। আমরা শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা।
এখন আমাদের দরকার প্রযুক্তি। উন্নত প্রযুক্তি থাকলে উন্নত সমরাস্ত্র তৈরী করতে পারবো। উন্নত প্রযুক্তির বিকাশের জন্য দরকার উন্নত জ্ঞানচর্চা। হিন্দুস্তানীরা, দ্রাবিড়রা যেভাবে উন্নত জ্ঞানের চর্চা করছে, আমাদের তার থেকেও উন্নত জ্ঞানের অধিকারী হতে হবে।
এরপরে ব্রাহ্মণ্যবাদীদের দেখে নেব। উর্দুভাষী হিন্দুস্তানিদের পরে এবার হিন্দিভাষী হিন্দুস্তানীদের সাথে যুদ্ধ হবে। মারাঠাদেরও একটা ভাল ছেচা দিতে হবে। ওরা বাংলায় বহুত লুটপাট করছে, প্রতিশোধ নিতে হবে। বাঙ্গালি জাতিয়তাবাদের বিশাল বিস্তার দরকার। ভারতের বাঙ্গালিদের বুঝাতে হবে হিন্দুস্তানীরা তাদের সাথে বৈষম্য করছে। আমরা উর্দুর সাথে বাংলাকে সমমর্যাদায় রাষ্ট্রভাষা হিসাবে অভিষিক্ত করছিলাম। কোন প্রাদেশিক ভাষা হিসাবে বাংলাকে মানি নাই। তাদেরও হিন্দির সাথে বাংলাকে সমমর্যাদায় অভিষিক্ত করতে হবে বাংলাকে। পশ্চিমবঙ্গ এবং ত্রিপুরায় বাঙ্গালি জাতিয়তাবাদ ছড়িয়ে দিতে হবে। এবং এই কাজটা করতে হবে আমাদের। এরপরে ভারতের শ্রেষ্ঠত্বের শেষ যুদ্ধে বাঙ্গালি তার জাতের উচ্চতা ও অন্যান্য জাত থেকে যে বাঙ্গালিরা শ্রেষ্ঠ তা দেখাবে।