নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দর

জীবনে প্রাণ আসুক। প্রতিটা মুহূর্তকে আমরা সুন্দর করে তুলি।

জাহেদ মোতালেব

বই পড়া ও ভ্রমণ

জাহেদ মোতালেব › বিস্তারিত পোস্টঃ

মা তোর বদনখানি

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩

মা তোর বদনখানি

জাহেদ মোতালেব



জামালখানের ছাতিমতলায় চলছে প্রতিবাদ, গর্জে উঠছে বাংলাদেশ। দামাল ছেলেদের গর্জন শুনছে মানুষ। মানুষ দেখছে, ভাবছে, এ রকম হয়! এ কি হয়ে গেল! জেগে গেল!

হ্যাঁ, ছেলেটার হাতে জাগল একটা পোস্টার। পোস্টারে ঐকিক নিয়মের একটা অংক। রাজাকার কাদের মোল্লার হত্যার সংখ্যা আর শাস্তির হিসাব কষে সে দেখিয়েছে, একটা খুনের জন্য তার শাস্তি হয়েছে মাত্র ১৪.৮৫ দিন। পোস্টারে নিচের দিকে সে লিখেছে, আমিও কাদের মোল্লাকে খুন করে ১৪.৮৫ দিন শাস্তি ভোগ করব।

পাশে মশাল আর মোমবাতি জ্বলছে। একদল তরুণ গোলাকার হয়ে নাচছে আর বলছে, ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই/রাজাকারের ফাঁসি চাই। কারো হাতে প্লাস্টিকের বোতল। হাতে বোতলের বাড়ি মেরে নাচছে আর গাইছে বাংলাদেশের গান। আজ বাংলাদেশের হৃদয় হতে এল জোয়ার। খুলে গেল তরুণের প্রাণ। বাংলা আবার জেগে উঠেছে। জেগে ওঠার সুর তরুণে তরুণে ছড়িয়ে পড়ছে। ওই দেখ, শিশুটির চোখে তার ছায়া।

মুক্তিযোদ্ধারা আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে। তরুণদের মধ্যে দেখছে তাদের সেই কালকে। যুদ্ধের সময়কে। রক্ত, আগুন আর স্বপ্ন ঘেরা সেই সময় এখন ফিরে এসেছে। তরুণেরা সেইসব স্বপ্ন নিয়ে আবার মাখছে তাদের মনে, গায়ে, গাছপালায়, আকাশে-বাতাসে।

তাদের মুখে দৃঢ়তা। একজন আঁকে, রাজাকারের মুখে একটা লোক পেশাব করছে। একদল তীর ছুঁড়ছে রাজাকারের মুখে। রাস্তায় লেখা : ক’য়ে কসাই মোল্লা। শুভ বলে, একাত্তরে তাকে সবাই ‘কসাই কাদের’ বলত।

মশালÑজ্বলছে দাউ দাউ

মোমবাতিÑজ্বলছে একাত্তর হয়ে

গানÑজয় বাংলার জয়

স্লোগানÑএকাত্তরের হাতিয়ার/গর্জে উঠুক আরেকবার

মুখরিত প্রিয় বাংলাদেশ।

আমরা সবাই তরুণ মাঝি। বলি, জামায়াত-শিবির রাজাকার/এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়। রাজাকার/আমাদের দেশ ছাড়।

একটা পোস্টারে লেখা : এই রায় ত্রিশ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনকে আবার ধর্ষণ করল।

আরেক জায়গায় লেখা : রাজাকার ইস্যুতে মানবতা মুছে ফেলতে হবে।

বাংলার মানুষের মন থেকে কালো দাগ মুছে ফেলতে জেগে উঠেছে তারা।

ভালো মানুষের মুখ দেখলে আমার মনে পড়ে সুন্দর বয়ে চলা জলভরা বিকেল বেলার এক নদীর কথা। নদী সময়কে ধারণ করে নীরবে বয়ে চলে। ভালো মানুষেরাও এ রকম বয়ে চলে। মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনলে, মুক্তিযোদ্ধাকে দেখলে, তার মুখে হাসি দেখলে, আমি নদী দেখি। বিকেলের হালদা নদীকে দেখি। আমি আবার নদী দেখছি। নদীতে নতুন পানি, মাছেরা যেভাবে খলবল করে, তরুণেরাও সেভাবে খলবল করছে। বয়ে চলা সেই নদীর নাম বাংলাদেশ, রাজাকারমুক্ত সমৃদ্ধ দেশ।

জন্মেছি এই দেশে। জীবন ধন্য হোক মাগো। মা’র উদ্বেগে আকুল মুখ মনে পড়ছে। মা তুমি মুছে ফেল মুখের রেখা। হাস, একটু হাস। আমি চিৎকার করে গাই : মা তোর বদনখানি মলিন হলে আমি নয়ন জলে ভাসি।

নয়নের জল ফোঁটা ফোঁটা জমা হয়ে নদী হয়ে যায়।



৮ ফেব্র“য়ারি, শুক্রবার

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১

মৃন্ময় বলেছেন: আমি চিৎকার করে গাই : মা তোর বদনখানি মলিন হলে আমি নয়ন জলে ভাসি।

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪০

mrikadey বলেছেন:

সাবধান !!!!!!!
সাবধান !!!!!!!
সাবধান !!!!!!!
জামায়াত কিন্তু মুখে মুখে মোটিভেসন চালাচ্ছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.