![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুপুরে মেহেদীবাগ ন্যাশনাল হসপিটাল গিয়েছিলাম আমার এক আত্মীয়কে দেখতে। চারতলায় রুমে ঢুকেই চোখে পড়ল নয়াদিগন্ত। কারবার দেখ তাদের। হাসি পেল।
আসার সময় নিচে টয়লেটে গেলাম। টয়লেটের দরজায় অসংখ্য লেখা। একটা লেখায় চোখ আটকাল : ৭১ এর পর (আরেক জায়গায় লেখা ৭২ এর পর) যাদের জন্ম তারা রাজাকার না। তাদের সংগঠন ছাত্রশিবির।
খুবই চমৎকার কথা। কিন্তু আমরা কী দেখি? দেখি তারা রাজাকারি মানসিকতাই লালন করে। ইসলাম শান্তির ধর্ম। এখানে কোনো জোর জবরদস্তি চলে না। ইসলামে মানুষের মূল্য, মানবতার মূল্য অনেক ঊর্ধ্বে। হাদিসে আছে : সেই মুসলমানই সেরা মুসলমান, যার হাত ও মুখ থেকে অপর মুসলমান নিরাপদ থাকে।
শিবিরের মধ্যে কি আমরা তা পাই? ছোটবেলা থেকেই তাদের সন্ত্রাস দেখে এসেছি। নানা নামে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী ছিল। মানুষ কোপাতে, রগ কাটতে দেখেছি ও শুনেছি।
চৌদ্দ-পনেরো বছর আগে ঘটনাচক্রে এই শহরে শিবিরের এক টেররের সাথে দুপুরের খাবার খেতে হয়েছিল। নানা ভাবে তাকে দেখেছি। তিনি কারাগারে থেকে এখনো কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছেন।
ধর্মেও আছি, সন্ত্রাসেও আছি-এ রকম কখনো হয়? যদি কারো মধ্যে এ রকম থাকে, তাকে আমরা কী বলি?
সমাজে নানা মত থাকবে, নানা পথও থাকবে। কিন্তু দেশের বিরুদ্ধে কেউ থাকে না। দেশ হলো মা। কেউ ধর্ম পালন করলে তার পক্ষে দেশবিরোধী হওয়া সম্ভব না। দেশের প্রতি, মাটির প্রতি তার প্রগাঢ় ভালোবাসা থাকবেই। আমার মাকে দেখে তা বুঝেছি।
আমি জানি, একজন প্রকৃত মুসলমানের পক্ষে কোনো মানুষকে আঘাত করা, অসম্মান করা সম্ভব নয়। তাহলে এই মিথ্যাচার কেন? ধর্মের নামে, শান্তির নামে অশান্তির কোলে বসে থাকা কেন? এত রগ কাটা, সন্ত্রাসী আর ষড়যন্ত্র? টাকা আর ক্ষমতার জন্য এত লালায়িত কেন?
এই প্রশ্ন কাকে করব? কার মনে পৌঁছবে তা? আম্মা প্রায় বলে, যারা মানুষের প্রতি নিষ্ঠুরতা দেখায় তারা কখনো মুসলমান হতে পারে না।
সন্ত্রাস দিয়ে বিপ্লব হয় কিনা আমার জানা নাই। মানুষের মুক্তি সত্য ও শান্তিতে। মিথ্যা দিয়ে আর যাই হোক বিপ্লব হয় না।
৮ ডিসেম্বর, সন্ধ্যা
©somewhere in net ltd.