![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেলে দেওয়া আইসক্রিমের কাঠ চুষছিল নূর হোসেন। এরপর তর্জনী দিয়ে পোকায় খাওয়া দাঁত ঘষে। অদূরে ফুটপাতে বসে আছে তার মা। চুল রুক্ষ, গায়ে ছেঁড়া কাপড়। মার কোলে শুয়ে ছোটবোন দুধ খাচ্ছে।
নূর হোসেন হঠাৎ দৌড় দেয়। প্যান্ট শার্ট পরা একজন গাড়িতে উঠবে। তার লাগেজে হাত রেখে বলে, ‘দ্যান, তুইলা দিই।’
‘যা ভাগ।’
চোখ পাল্টে সে ভদ্রলোকের দিকে তাকায়। তারপর মার পাশে এসে চুপচাপ বসে থাকে। খালি গা। বুকে ক’টা হাড় দেখা যায়। ছেঁড়া প্যান্টে সামনের ঘরবাড়ি দেখা যাচ্ছে। কয়েকটা মাছি নাকের সামনে ঘোরে।
এগারোটার কড়া রোদ। মা ঝিমাচ্ছে। বোনটা কোল ছেড়ে নালার দিকে যায়। সে হাত মুঠো করে উল্টে পাল্টে কবজি দেখে। মুখে দৃঢ়তা। দাঁত দিয়ে ঠোঁট কামড়ে ধরেছে। ভাবে, শক্তি আছে।
আরেকজন গাড়িতে উঠবে। দৌড়ে গিয়ে তার সামনে হাত পাতে।
লোকটা পারলে মারে আর কি। বলে, ‘যা, ভাগ শালা।’
সে চারপাশে তাকায়। সূর্যের চোখে চোখ রাখে। চোখে সূর্যের কণা নিয়ে মার কাছে যায়। মাকে কিছু বলে। দু হাত মুঠি করে বাহু দেখায়। তারপর সে রেয়াজউদ্দিন বাজারের দিকে গপগপিয়ে হাঁটে। পাশে তার ছায়া।
২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:০০
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো লাগলো । শুভকামনা
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন , শুভেচ্ছা রইল ।