নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আরেকটু ভাল থাকার চিন্তায় আমাদের আর ভাল থাকাটাই হয়ে উঠে না
সবাই গভীর আফসোস, ভারী ভারী বক্তব্যে স্মরণ করছে সাগর-রুনি কে।ফেসবুকে আম-সেলেব্রেটি সবাই হোমপেজ সাজিয়েছে তাদের কথা মনে করে। রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ৪৮ ঘন্টার অঙ্গীকার নিতে না পারলেও অঙ্গীকার নিচ্ছে, আবার কেউ কেউ তথাকথিত লজ্জায় ভাসাচ্ছে নিজেকে।সবচেয়ে বড় কথা সবাই গম্ভীরতা নিয়ে স্মরণ করছে সাগর রুনিকে। সরকার, বিরোধিদল, সাবেক বিরোধিদল সবাই শোকায়িত।
কে এই সাগর-রুনি? দুই বছর আগে নৃশংসতার বলি হয়ে যারা শয়নকক্ষেই চির শায়িত হবার জগতে প্রবেশ করে।
৪৮ ঘন্টা ওয়ালা মন্ত্রীর মন্ত্রিত্ব শেষ কিন্তু ২৪ মাসেও অপরাধীর সন্ধানই মিলে নি।
তাদের একমাত্র ছেলে মেঘ।কিন্তু তার দুর্ভাগ্য সে এমন দেশে জন্ম নিয়েছে যেখানে বাবা-মায়ের হত্যার বিচার করতে হলে প্রধানমন্ত্রী হতে হয়। স্বপ্নের জগতেও হয়ত তার স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী হওয়া,নইলে যে বাবা-মায়ের খুনীদের বিচারতো দূরের কথা চেনাই হবে না।
উপরে খামকাই বকলাম। সাগর-রুনির হত্যার প্রতিবাদে,খুনীদের শাস্তির জন্য মানববন্ধন হচ্ছেতো,সমাবেশ হচ্ছেতো, অনশন হচ্ছেতো।। হতে থাকবে.... বিচারের দাবী চাওয়া হচ্ছেতো! হতে থাকবে...... ! এই ফাঁকে আরো অনেক সাগর-রুনি চলে যাবে সাগর-রুনির কাছে। এক সাগর-রুনির আলোড়নে চেপে যাবে আরেক সাগর-রুনি। ওপাড়ে সব সাগর-রুনিররা একসাথে আমাদের চাপাবাজির সুনিপুণতা দেখে মুগ্ধ হবে।
একদিন হয়ত ১১ ফেব্রুয়ারিকে ঘোষনা করা হবে "সাগর-রুনি দিবস "। দিনটিকে স্মরণীয় করতে আমরা বিচার না করে শোকবাতি জ্বালাবো। আবার খুনীরা হয়ত মোমবাতি জ্বেলে কেক কাটবে,উদযাপন করবে "সাগর-রুনি দিবস "।
©somewhere in net ltd.