নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আরেকটু ভাল থাকার চিন্তায় আমাদের আর ভাল থাকাটাই হয়ে উঠে না
প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যেভাবে আক্রমণাত্মক মন্তব্য আর মানববন্ধন করছে তাতে ষোড়শ সংশোধনী বৈধ হলে কি করবে ধারণা করা যায়? এত নাটক আর তর্কবিতর্ক লাগতো না তখন।মতের সাথে অমিল হলেই সোজা বাগাড়ে। আর এই পাওয়ারটাই চাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল।
তোমার মতো উকিল এ দেশের চিফ জাস্টিস হতে পারত না
ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন
ভয়ানক একটা ব্যাপার হবে যদি আসলেই বৈধতা পায় ষোড়শ সংশোধনী।দেশ ওই পরিস্থিতিতে নাই ষোড়শ সংশোধনী বৈধতা পেলে তা কোন উপকারে আসবে।বিএনপি ষোড়শ সংশোধনীর অবৈধতা ঘোষণায় এখন বাহবা দিলেও ক্ষমতায় গেলে তারাও চাইবে এমন কিছু বৈধতা পাক।আর এই আশংকা করাই যায় তত্ত্বাবধারক সরকারের ব্যাপারটার সাথে তুলনা করে।বিএনপিই প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করতে চেয়েছিল যার পূর্ণতা আওয়ামীলীগ দিয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলো সবসময়েই চায় নিজেদের পক্ষে ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে।যে দল ক্ষমতায় থাকে সে দলেরই লাভ।তাই বিরোধীদল খুব স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধীতা করে।কিন্তু এই ধরণের সিদ্ধান্ত প্রকৃত ভাবে জনগণের জন্যই সবচেয়ে বড় হুমকি।তাই জনগণকে সোচ্চার থাকতে হবে।যতই জনগণের ক্ষমতায়ানের জন্য ষোড়শ সংশোধোনীর বৈধতা চাওয়া হোক না কেন আদৌত পক্ষে জনগণ সেখানে চোখে ধুলা দেয়ার জন্যে ব্যবহৃত হবে শুধু আর কিছুই না।বিচারপতিরা জনগণের জন্য বেশি ভয়ের নাকি জনপ্রতিনিধি নামক রাজনৈতিক নেতারা সেটা সবার কাছেই পরিষ্কার।
তাছাড়া জনগনের স্বার্থের চেয়ে দলীয় স্বার্থই বড় জনপ্রতিনিধিদের কাছে।আর এটা বুঝা যায় সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ থেকেই। যেখানে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “কোন নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরূপে মনোনীত হইয়া কোন ব্যক্তি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি-(ক) উক্ত দল হইতে পদত্যাগ করেন, অথবা (খ) সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন,তাহা হইলে সংসদে তাঁহার আসন শূন্য হইবে, তবে তিনি সেই কারণে পরবর্তী কোন নির্বাচনে সংসদ-সদস্য হইবার অযোগ্য হইবেন না।”
তার মানে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল চাইলেই নিজেদের স্বার্থে নতুন অনেক কিছুই পাশ করতে পারবে খুব সহজভাবেই।এবার সেটা কতটা ঠিক সামগ্রিকভাবে তা মূল্যায়নের সু্যোগ থাকে না।কোন জনপ্রতিনিধি কোন সিদ্ধান্তের সাথে একমত না হলেও বাধ্য হয়ে স্বাভাবিক ভাবেই হ্যাঁ ভোট দিচ্ছেন। সেই হিসেবে ষোড়শ সংশোধনী বৈধতা পেলে পরিস্থিতি কি হবে ভাবা যায় ?
ষোড়শ সংশোধনী বৈধতা পেলে বিচারপতিরা নিজেদের অবস্থান ঠিক রাখতে স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষমতাসীন সরকারের প্রতি নমনীয় থাকবে।যেটা ন্যায় বিচার নিঃসন্দেহে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:৪৩
জাহিদ শাওন বলেছেন: কোনভাবে বৈধতা পেলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। দেখা যাক খেলা কতক্ষণ স্থায়ী হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:১৮
ফয়েজ উল্লাহ রবি (পারিজাত) বলেছেন: এই কাঁড়া-কাড়িঁতে সাধারণ জনগনের ভাগ্যে কোন পরির্বতন আসবেনা।
শুধু রাজনীতি দল গুলোই এই থেকে লাভবান হবে।