| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জাহিদ শাওন
আরেকটু ভাল থাকার চিন্তায় আমাদের আর ভাল থাকাটাই হয়ে উঠে না
এই ইন্টেরিম কি শুধুমাত্র দায় এড়াতে লোক দেখানো কাজ হিসেবে ওসমান হাদীকে বিদেশে পাঠালো?
আশার বাণী একটাই সারাদেশের মানুষ উপরওয়ালার রহমতের জন্য দোয়া চাচ্ছে।
ইন্টেরিমের দায় এড়ানোর কথা এজন্যই বলা, সনাক্ত করা তিন আসামীর দুইজন আগেই ডাকাতির মামলার আসামি। জামিনও পেয়েছে। পুনরায় জামিনের আবেদন করে আরো এক বছর জামিন পেয়েছে। অস্ত্রসহ ধরা খাওয়ার পরে এটা কিভাবে সম্ভব?
এসবের জন্য স্বরাষ্ট্র, আইন উপদেষ্টা আর তার জামিন যারা করিয়েছে তাদের কিছুই হবে না?
সরাসরি ক্ষতি করার চেয়ে, ক্ষতি করতে দেয়া বেশি ভয়ংকর। যেটা এজেন্সিগুলো, পুলিশ আর দেশপ্রেমিক জলপাই বাহিনীর উর্ধতন এটা ঘটতে দিচ্ছে।
দুপুরে ঢাকায় ঘটনা ঘটিয়ে কিভাবে পার পেয়ে যায়? স্রেফ পার পেতে দিয়েছে।
নির্বাচন বানচালের টার্গেট দিয়ে অরাজকতার জন্য বেছে নিয়েছে, নিবে জুলাইয়ের কন্ঠগুলো।
আর বেকুবে ভরা দুই রাজনৈতিক দল কাঁদা ছোড়াছুড়ি করছে। অথচ এসবের মাঝখানে যদি বাজে কিছু হয়ে যায় তখন সেটার দায় কে নিবে? নাকি পেয়ারা সংবিধানের রাষ্ট্রপতি চুপ্পু আর ওয়াকার সাব নিরাপত্তা দিবে? যদি বাজে কিছু হয়, ইতিহাসে অনেক মানুষ হিরোর বদলে বেইমান হয়েতো থাকবেই সেই সাথে এবার আর ১৭ বছর না, চিরতরে ক্ষমতা থেকে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে।
জাতীয়তাবাদী অনেকে হামলাকারীর আইনজীবীর হয়ে দালালী করছে। এদের নূন্যতম লজ্জা থাকলে কিভাবে লীগের সন্ত্রাসীর অস্ত্রমামলার জামিনের জন্য কাজ করে? এসব লোক আর এদের সমর্থক আছে দেখেই পুরা জাতিকে নিয়ে ১৭ বছর অত্যাচারিত হয়েছে। মুক্তিত গ্রাউন্ড তৈরী করতে পারে নাই।
এরা পারেও বটে। আবরার হত্যাকাণ্ডে কয়েক আসামীর আইনজীবী শিশি মনির হইয়া জাশি যেমন অতি প্রফেশনালিজমের বয়ান তুলেছিলো, তেমন বয়ান তুলছে তথাকথিত জাতীয়তাবাদী অ্যাক্টিভিস্ট। ক্রাইম নিয়ে কথা না বলে, ক্রাইম রিপোর্ট করা ডিসেন্ট নিয়ে আলাপ তোলে! কতটা নির্লজ্জ!
এদিকে গ্রেফতারের পরেও পাইকারী হারে ডাকাত, সন্ত্রাসীদের ছেড়ে দিচ্ছে ইন্টেরিমের অথর্ব স্বরাষ্ট্র আর আইন উপদেষ্টা। নির্বাচনকালীন সময়ে হওয়া সহিংসতাকে আগেই জায়েজ বানাচ্ছে শুয়োরের বাচ্চা নির্বাচন কমিশনার। এদের দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব? ভাব দেখে মনে হচ্ছে গদিতে বসে এরাই নির্বাচন বানচালের ধান্ধায় ব্যাস্ত। সেটা কার জন্য? নিজেরা আরো ক্ষমতায় থাকতে নাকি দেশকে ডিপ স্টেটের হাতে আরো বন্দি করতে?
আইনশৃঙ্খলা ঠিক করছে না, অথচ এমন একটা ক্রান্তিকালে, আনিস আলমগীরের মত একটা থার্ড ক্লাস সাংবাদিককে এই মুহুর্তে প্রাসঙ্গিক কইরা তুললো। অতি সুশীলরা আবার এর জন্য কাঁইন্দা ব্যাপারটা আরো প্রাসঙ্গিক করা পায়তারা চালু রাখছে।
পুলিশ, এজেন্সি আর তথাকথিত মেজিস্ট্রিসি পাওয়ার নিয়া দেশপ্রেমিক জলপাই বাহিনী কার্যত কোন কাজ করছে না আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নের জন্য। এরা করবেও না। কারণ যে কাজ ৫ ই আগস্টের পরপর করে এদের লাইনে আনার দরকার ছিল সেই সুযোগ এখন আর নাই। এরা এদের রিলোকেশন করে মাকড়সার জাল বানিয়ে, হিমু সেজে বসে আছে। এরা কিছু করবে না, শুধু দেখবে।
নির্বাচনের পরেও এরা একই কাজ করবে। মনে হয় না এরা নির্বাচিত সরকারকেও পূর্ণ সহযোগিতা করবে। এরা ভিতর থেকে নির্বাচিত সরাকারের বিরুদ্ধে জনগণকে ক্ষেপিয়ে তুলবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের রাজনীতি নোংরা রাজনীতি।
এখানে যারাই রাজনীতি করবে, তাদের কপালে দুর্ভোগ আছে।