![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) বিবি আয়েশা
(রাঃ)
কে ঢেকে জিজ্ঞেস করলেন, -----হে
আয়েশা, আজকে
আমি অনেক খুশি, তুমি আমার কাছে যা
চাইবে তাই
দেব, বল তুমি কি চাও? হযরত আয়েশা (রাঃ)
চিন্তায়
পড়ে গেলেন, হঠাৎ করে তিনি এমন কি
চাইবেন, আর
যা মন চায় তা তো চাইতে পারেন না! যদি
কোন ভুল
কিছু চেয়ে বসেন, নবীজী যদি কষ্ট পেয়ে
যান?? এমন
অনেক প্রশ্নই মনে জাগতে লাগলো! আয়েশা
(রাঃ)
নবীজী কে বললেন, আমি কি আব্বুর কাছ
থেকে কিছু
পরামর্শ নিতে পারি? -----নবীজী বললেন,
ঠিক আছে
তুমি পরামর্শ নিয়েই আমার কাছে চাও।
আয়েশা
(রাঃ) উনির আব্বু হযরত আবুবকর (রাঃ) এর
কাছে
পরামর্শ চাইলেন। আবুবকর (রাঃ) বললেন, যখন
কিছু
চাইবেই, তাহলে তুমি মুহাম্মাদ (সাঃ) এর
কাছে,
মিরাজের রাতে আল্লাহ পাক রাব্বুল
আ'লামীন এর
সাথে হইছে এমন কোন সিক্রেট কথা
জানতে চাও।
আর কথা দাও নবীজী যা বলবেন তা সর্বপ্রথম
আমাকে জানাবে। আয়েশা (রাঃ) নবীজী
(সাঃ) এর
কাছে গিয়ে মিরাজের রাতের কোন এক
গোপন কথা
জানতে চাইলেন, যা এখনও কাউকে বলেন
নি। -----
মুহাম্মাদ (সাঃ) মুচকি হেসে দিলেন,
বললেন বলে
দিলে আর গোপন থাকে কি করে! একমাত্র
আবুবকর
ই পারেনন এমন বিচক্ষণ প্রশ্ন করতে। ----
মুহাম্মাদ (সাঃ) বলতে লাগলেন, হে
আয়েশা আল্লাহ
আমাকে মিরাজের রাতে বলেছেন, "হে
মুহাম্মাদ
(সাঃ) তোমার উম্মাতের মধ্যে যদি কেউ,
কারো
ভাংঙা যাওয়া মন জোড়া লাগিয়ে দেয়
তাহলে আমি
তাহাকে বিনা হিসাবে জান্নাতে
পৌঁছে দেব।
সুবাহানাল্লাহ। প্রতুশ্রুতি মত, আয়েশা
(রাঃ) ইনার
আব্বু হযরত আবুবকর (রাঃ) এর কাছে এসে
নবীজীর
বলে দেওয়া এই কথাগুলো বললেন। শুনে
আবুবকর
(রাঃ) কাঁদতে শুরু করলেন। আয়েশা (রাঃ)
আশ্চর্য
হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, আব্বু আপনি তো কত
ভাংঙা
যাওয়া মন জোড়া লাগিয়েছেন, আপনার
তো সোজা
জান্নাতে যাওয়ার কথা কাঁদছেন কেন?
আবুবকর
(রাঃ) বললেন, আয়েশা এই কথাটার উল্টা
চিন্তা করে
দেখো, কারো ভাংগা মন জোড়া
লাগালে যেমন
আল্লাহ সোজা জান্নাতে দিবেন, কারো
মন
ভাংঙলে ও আল্লাহ যদি সোজা
জাহান্নামে দিয়ে
দেন, আমি না জানি নিজের অজান্তে
কতজনের মন
ভেংঙেছি। আল্লাহ যদি আমাকে
জাহান্নামে দিয়ে
দেন, সেই চিন্তায় আমি কাদতেছি।
সুবাহানাল্লাহ।
এই হলো আমাদের ইসলাম, দুনিয়ায় থেকে
জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়ার পরেও
এইভাবে চিন্তা
করেন। এইভাবে ইসলাম আমাদেরকে শিক্ষা
দেয়,
কাউকে কষ্ট না দিতে, মানুষের কষ্টে
পাশে দাড়াতে।
মুহাম্মাদ (সাঃ) আরো বলেছেন, যদি
তোমি গোস্ত
রান্না করতে চাও, তাহলে এক গ্লাস পানি
বেশি দিয়ে
দাও, যাতে তোমার গরীব প্রতিবেশীকে
একটু শেয়ার
দিতে পারো। আর যদি না দিতে চাও,
তাহলে এমন
সময় রান্না করবে, যখন প্রতিবেশীর বাচ্চা
ঘুমিয়ে
থাকে, গোস্তের ঘ্রান পেয়ে বাবামাকে
গোস্ত
খাওয়ার কথা না বলে, গরীব বাবা মা,
গোস্ত কিনে
খাওয়াতে পারবে না, মনে অনেক কষ্ট
পাবে। এইভাবে
ইসলাম আমাদের শিক্ষা দিয়েছে, মুহাম্মাদ
(সাঃ)
আমাদের কে শিক্ষা দিয়ে গেছেন।
মানুষের মন না
ভাংঙতে, মানুষকে কষ্ট না দিতে। আল্লাহ
পাক
রাব্বুল আ'লামীন আমাদেরকে মানুষের
কষ্টে পাশে
দাড়ানোর, মানুষকে কষ্ট দেওয়া থেকে,
মানুষের
ভেংঙে যাওয়া মন জোড়া লাগাতে,
অন্যের কষ্ট
শেয়ার করতে তাওফিক দান করুন। আমীন।
(হাদিসে
বুখারি শরিফ
২৪ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১
জহিরুল ইসলাম কক্স বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। কিন্তু এতে যে অনেক গুনাহ হচ্ছে সেটি চিন্তা করতেছেনা
২| ২৪ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫
ওলকচু বলেছেন: ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
২৪ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২
জহিরুল ইসলাম কক্স বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাককেও ধন্যবাদ
৩| ২৪ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭
বুকা ছেলে বলেছেন: ঐসব লোকদের বা তওবা করা নিস্ফল, যারা গুনাহের কাজ চালিয়ে যেতেই থাকে, এভাবেই একদিন যখন তাদের কারো মৃত্যু এসে হাজির হয়, তখন সে বলেঃ ‘আমি এখন তওবা করছি’। আর ঐসব লোকদের তওবাও নিষ্ফল, যাদের মৃত্যু হয় কুফুরিতে নিমজ্জিত থাকা অবস্থায় (সুরা আন নিসাঃ ১৮)
৪| ২৪ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪
ফারুক আহমেদ ফারুক বলেছেন: দারুণ হয়ে ভাই। আমি সত্যই মিরাজের এ ঘটনা আগে জানতাম না। বোঝাই যাচ্ছে বেশ গুরত্ব দিয়েছেন আল্লাহ এর ওপর। ভালো।
২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:০৩
জহিরুল ইসলাম কক্স বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
৫| ২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ১০:২৮
বিলোয় বলেছেন: অনেক হাদিস জাল। এইটাও কি জাল হাদিস?
৬| ২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ১০:৩৯
বিজন শররমা বলেছেন: এই ধরনের পোশট লেখা খুব সোজা । একটা কিছু বানিয়ে লিখে দিলেই হলো । ধর্মান্ধরা বিশ্বাস করবে, জানা লোকেরা প্রশ্ন করবে, বুদ্ধিমানেরা হাসবে যে লিখেচে সে (পাগোলের সুখ মোনে মোনে) ভাববে -আহা কি ডারুন লিকেচি ।
২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:৫৭
জহিরুল ইসলাম কক্স বলেছেন: আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন? ধর্ম অনুুসরণ করা কে ধর্মান্ধতা বলে সেইসব মুর্খ যারা অন্যের কাছ থেকে শব্দটা শিখেছে। এর মানে জানেনা।যাদের তেমন কোন যোগ্যতা নেই।
৭| ২৫ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:০৩
জহিরুল ইসলাম কক্স বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে হাসব না কাঁদবো ভাবতেছি। বানান ভূল অনেকেই করে তবে একজন ব্লগার এর এত বানান ভূল মানায় না।আর একজন হিন্দুর হাদীস নিয়ে মাথা না ঘামানো টা ভাল।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৫:০৯
সাহসী সন্তান বলেছেন: আজকালকরে দিনে মন ভাঙ্গা আর ছেলে খেলাতো প্রায় সমান হয়ে গেছে। এখন প্রতিযোগীতা চলছে কার মন কে কত তাড়া তাড়ি ভাংতে পারবে তার।