নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দ্বিমাত্রিক স্বপ্নগাথাঁ

কীর্তন কানাই

এক গ্লাস স্বপ্নের শরবত আমার ভীষণ দরকার, যেখানে থাকবে একমুঠো ভালোলাগা, এক চিমটি জোছনা আর পরিশেষে থাকবে ভালোবাসাময় তৃপ্তির এক অনিঃশেষ ঢেঁকুর...

কীর্তন কানাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবমূল্যায়ন-১

৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:১১

ভালোবাসাটা কিন্তু একদিন এ সৃষ্টি হয়না আবার এতো জলদি নষ্টও হয় না, কেও কিন্তু চায় না তার ভালোবাসাটা নষ্ট হোক, পরিস্থিতির সাপেক্ষে হয়তো অনেক কিছু করতে হয়! তবে এক্ষেত্রে মানুষ অনেক স্বার্থপর হয়, তার জীবনকে পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে গিয়ে অভিনয় করে যায় প্রতিনিয়ত,কিন্তু হারাতে দেয়না তার ভালোবাসাকে...



ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে হোক আর বিজ্ঞানের বিচার দিয়ে হোক অন্য সবকিছুর সাথে ভালবাসাটাও দিন দিন ধ্বংসের দিকেই যাচ্ছে...স্বামী-স্ত্রী, যুবক-যুবতির প্রেমের সম্পর্ক এই ধরনের ভালোবাসার নিদর্শনগুলোও সময়ের কষাঘাতে দিকভ্রান্ত হয়ে যাচ্ছে। ভালোবাসা হারাচ্ছে তার মৌলিকত্ব। এর জন্যে একমাত্র দায়ী আমাদের স্বার্থবাদী ধ্যানধারণা। মানুষ যদি তার ভালোবাসাকে জৈবিকতার উর্ধ্বে রাখতে পারত তাহলে ভালোবাসার মত পবিত্র বিষয়টা আজ প্রশ্নবিদ্ধ হতোনা। এক্ষেত্রে প্রশ্ন আসতে পারে জৈবিকতা কিছু কিছু সম্পর্কের ক্ষেত্রে তো বৈধ? আমিও বলি বৈধ কিন্তু যদি সেটা সামাজিক নিয়মের মধ্য দিয়ে যায়। মানুষ সামাজিক জীব বলে নিজেকে দাবি করলেও অনেক ক্ষেত্রে সে নিজেকে নিজেই সমাজচ্যুত করে দেয়।



স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক সামাজিকভাবে এবং ধর্মীয়ভাবে বৈধ কিন্ত এক্ষেত্রে পরকিয়া চলে আসে কেন? পরকিয়াই যদি আসবে তাহলে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার তো কোন অর্থ হয় না। সেক্ষেত্রে ভালোবাসার অভাব স্পটভাবেই প্রকাশ পায়। পুরনো প্রেমিক প্রেমিকার প্রতি আকর্ষণ, মা-বাবার ইচ্ছেতে অর্থাৎ নিজের অনিচ্ছায় বিয়ে করা, বর্তমান স্বামী বা স্ত্রীর কাছ থেকে ভালোবাসা না পাওয়া, একাকীত্ব ঘোচানো এসবই মূলত কারণ। তাহলে ভালোবাসাটা আমরা কোথায় পাচ্ছি? এখানে অভিনয়ের ভূমিকা চলে আসছে।



এবার আসা যাক তরুণ সমাজের ভালোবাসার সম্পর্কের দিকে, বয়সের তাড়নায় সংগী খুজতে গিয়ে আমরা প্রেমের সম্পর্কে বাধাঁ পড়ে যাই, সেখান থেকে চলে আসে বিয়ে বহির্ভুত শারীরিক সম্পর্ক । যা আদৌ সামাজিকভাবে স্বীকৃত নয়। তবে স্বীকার করতে হয় তরুনদের মাঝে প্রথম প্রেমে ভালোবাসার কমতি থাকে না তবে যাকে পাওয়ার জন্যে এতো কিছু করা হল শেষ পর্যন্ত যদি সেটা টিকে না থাকে পরবর্তিতে তা দাম্পত্য কলহের কারণ হয়ে দাঁড়ায়... ভালবাসার মানুষটাকে না পেয়ে যখন অন্য একজনের সাথে বিয়ের পিড়িঁতে বসতে হয় সেখানে বিষয়টা লোক দেখানো বা অভিনয়। তখন সেটা নিজের একাকিত্ব দূর করা ছাড়া আর কিছুই নয়...।



মোট কথা আমরা যেখানে বৈধ সেখানে অবৈধের অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছি আর যেখানে অবৈধ সেখানে বৈধের অবমূল্যায়ন করছি।

তবে ভালোবাসাটা টিকে আছে এখনও অনেকের মাঝে অনেকভাবে। আশা করি টিকে থাকবে যুগ যুগ ধরে। ভালোবাসাটা বেঁচে থাক তার সুযোগ্য স্থানে......।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.