![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখির অভ্যাসটা আমার সেই ছোট বেলা থেকেই। তবে লেখক বলতে যা বুঝায় আমি তা নই। লিখে লিখে এ পর্যন্ত কলমের কালিই ফুরিয়েছি কেবল, সৃষ্টিশীল কোন কিছু হয়নি আমাকে দিয়ে।
বেড়াতে গিয়েছিলাম গুয়াংঝৌ (চায়না)। যে ক'টা দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখার সৌভাগ্য হলো তার মাঝে আমার মনে সবচেয়ে বেশি দাগ কেটেছে ওখানকার লিয়ানঝৌ আন্ডারগ্রাউন্ড রিভার। তারই কিছু ছবি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
চমৎকার পাহাড়ী পরিবেশ এমনিতেই মনকে প্রশান্ত করে তোলে।
ভাবতে অবাক লাগে এই পাহাড়ের নীচে দিয়েই বয়ে চলেছে দারুন এক নদী।
রোমাঞ্চের স্বাদ নিতে এগিয়ে গেলাম।
নেমে চললাম নীচে।
দিনের আলো পেছনে ফেলে নেমে এলাম আরো নীচে। আরো অন্ধকারে। ভেতরে ভয় জাগানো এক অনুভুতি। এবার কৃত্রিম আলোয় পথচলা।
নামছি তো নামছিই। কত নীচে নেমেছি জানিনা। পেয়ে গেলাম পানির দেখা।
খানিকটা ডোবার মত।
এর পরই সামনে চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য্য।
লাল নীল বেগুনী আলোর উজ্জ্বল আভায় প্রকৃতির বিচিত্র কারুকার্য্যময়তা।
আরো এগুতে অনেক নীচে পানির শব্দ পেলাম। পেলাম বৈঠার আওয়াজ। ক্যামেরা জুম করে ছবি তোলার চেষ্টা করলাম। এলো না কিছুই। শুধু অন্ধকার।
আরো এগুতে সামনে পেলাম চমৎকার মনুষ্য নির্মিত এক ব্রিজ। তার নীচ দিয়ে ঘুটঘুটে কালো অন্ধকারে বয়ে চলেছে প্রাকৃতিক নদী। ভালো করে ঠাহর করতে দেখা গেল ভুতের মত এগিয়ে আসছে একটি নৌকা। হাল ধরে তার পেছনে এক মাঝি।
ওখানকারই আরেকটি ছবি। তবে এটি আমার তোলা নয়। স্বপ্নীল এই ছবিটি ইন্টারনেট থেকে নেয়া।
আরো অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে, তবে মূলতঃ আরো নীচে নেমে অবশেষে পেয়ে গেলাম সেই নদীর দেখা।
পানিতে বেশ শ্রোতের টান।
এসে গেল আমাদের জলপথে ভ্রমনের বাহন নৌকা।
অসাধারন সব দৃশ্য, সামনে পিছে ডাইনে বাঁয়ে। যা শুধু চোখে দেখে ফিজিক্যালি অনুভব করা যায়। ক্যামেরায় ঠিক বন্দি করা যায় না। তবুও কিছু ব্যার্থ চেষ্টা, বলতে পারেন শুধু আপনাদের সাথে শেয়ার করার চিন্তাটা মাথায় রেখেই।
ক্যামেরার ক্ষতি হতে পারে জেনেও মাথার উপর থেকে নেমে আসা চমৎকার এই জলপ্রপাতের ছবি তোলার লোভ সংবরন করতে পারলাম না।
এবং ক্যামেরার বারোটা বাজলো।
প্রায় দেড় কিলোমিটার চলার পর এক যায়গায় আমাদের নামিয়ে দেয়া হলো।
এবার চলো সামনে, ওঠো ওপরে, যতটুকু নেমে এসেছো ঠিক ততটুকুই। যদি পেতে চাও দিনের আলো। পরীক্ষা দাও কার হাঁটুতে কত জোর?
আমি হাঁটছিলাম আর কেবলই ভাবছিলাম বিচিত্র এই পৃথিবী আর তার মহান স্রষ্টাকে।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১১
জামাল হোসেন (সেলিম) বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ঢাকাবাসী। আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগছে।
২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০
আমাবর্ষার চাঁদ বলেছেন: খুবই সুন্দর......
কিন্তু এখানে প্রাকিৃতিক পরিবেশের বড়ই অভাব দেখলাম.....
এত লাল-নীল বাত্তি থাকলে কি আসল পরিবেশ থাকে!!!! (আমার মনে হইলো)
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২১
জামাল হোসেন (সেলিম) বলেছেন: আসল পরিবেশ থাকলে তো ভাই ভয়েই মরে যেতাম।
৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৭
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: এরকম একটা জায়গা দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল লেবাননে ( জেইটা গ্রোটো)। অদ্ভুত শিহরণ জাগায়।
আমাবর্ষার চাঁদ - আমি যতদুর জানি প্রাকৃতিক আলো থাকলে সাধারণত কৃত্রিম আলো রাখা হয় না এ ধরণের জায়গা গুলোতে, তবে বেশীরভাগ জায়গা যেহেতু সূর্যের আলো আসে না বলে অন্ধকার হয়ে থাকে তাই বিভিন্ন রঙ এর আলো দিয়ে একটা মায়াবী পরিবেশ তৈরী করে রাখা হয়।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৩
জামাল হোসেন (সেলিম) বলেছেন: "বেশীরভাগ জায়গা যেহেতু সূর্যের আলো আসে না বলে অন্ধকার হয়ে থাকে তাই বিভিন্ন রঙ এর আলো দিয়ে একটা মায়াবী পরিবেশ তৈরী করে রাখা হয়।"
যুক্তিযুক্ত কথা বলেছেন মুদ্রা সংগ্রাহক। এটাই বাস্তবতা এবং এখানে হয়েছেও তাই।
আমার হয়ে আমাবর্ষার চাঁদকে রিপ্লাই দিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আমাবর্ষার চাঁদ আপনাকেও।
৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৫
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: +++++++++++++++
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৭
জামাল হোসেন (সেলিম) বলেছেন: এতগুলো প্লাস!! সবগুলো আমার জন্যে??
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। অনেক ধন্যবাদ।
৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১২
খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেক সুন্দর পোস্ট ভাই। খুউব ভালো লাগলো।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০০
জামাল হোসেন (সেলিম) বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। পোষ্ট টি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও খুব ভালো লাগছে।
৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৯
এহসান সাবির বলেছেন: চমৎকার।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৭
জামাল হোসেন (সেলিম) বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই এহসান সাবির।
৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪০
জনাব মাহাবুব বলেছেন: আলো আধারীর এক জগতে হারিয়ে গিয়েছিলাম।
সুন্দর পোষ্ট।
আমি হাঁটছিলাম আর কেবলই ভাবছিলাম বিচিত্র এই পৃথিবী আর তার মহান স্রষ্টাকে।
দারুন উপলব্ধি।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৫
জামাল হোসেন (সেলিম) বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রানিত হলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ জনাব মাহাবুব ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
ঢাকাবাসী বলেছেন: সুন্দর জিনিস শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।