নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

"A little knowledge of science makes man an atheist, but an in-depth study of science makes him a believer in God." Francis Bacon.

জেমসবন্ড

।জ্ঞানের প্রতি বিপুল আগ্রহ । সংগ্রাম মুখর আমার জীবন ।

জেমসবন্ড › বিস্তারিত পোস্টঃ

বণী ইসরাঈলের কাহিনী-৬ (দাউদ (আঃ)- বাইবেলের কিং ডেভিড)

২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:১২

বণী ইসরাঈলীরা ফিলিস্তিন জয় করলেও এলাকাবাসীর উপর নিপীড়ন চালালো না । বাদশাহ তালুত আগেই ঘোষনা দিয়েছিলেন যেই বীর জালেম বাদশাহ জালুতকে হত্যা করতে সক্ষম হবে, তাকে দেয়া হবে এই ফিলিস্তিনের অংশ সহ আমার কন্যাকে অর্থাৎ রাজ্যের একাংশ সহ সহ বাদশাহর জামাতা । সেভাবেই ওয়াদা রক্ষা করে বাদশাহ দাউদ (আঃ)-কে অর্ধেক রাজত্ব ও কন্যার সাথে বিয়ে দিলেন । বাইবেল ও পুরানা নিয়মে দাউদ (আঃ) -কে বলা হয়েছে সন্ট লুইস ডেভিড । দাউদ (আঃ) এর মাজার এখনও আছে যা ইহুদীরা সংরক্ষণ করে রেখেছে । সে মাজারের গেটে এখনও লেখা আছে 'কিং সন্ট ডেভিড' । নীল গিলাফে ঢাকা কম করে ১৮ ফুট দীর্ঘ কবরটি ।এটা জেরুজালেমের শহরতলীতে । বায়তুল মুকাদ্দাস মসজিদের নীচে হযরত সোলাইমান (আঃ) এর মাজার । সেখানেও ইহুদীরা নিরাপত্তা প্রাচীর তুলে রেখেছে ।



হযরত দাউদ (আঃ) হযরত ইয়াকুব (আঃ) এর পুত্র ইয়াহুদার অধঃস্তন বংশধর । তার পিতার নাম ঈশা । অনেক পুত্র সন্তানের মধ্যে দাউদ (আঃ) ছিলেন পিতার কনিষ্ঠ সন্তান । তিনি লম্বা ছিলেন না । বরং সাধারন উচ্চতার চেয়েও বেটেঁ ছিলেন । চোখ ছিলো নীলাভ । দাউদ (আঃ) শুধু নবী ছিলেন না, তিনি আল্লাহর রসূলও ছিলেন । তার উপর একশ পন্চাশ সূরা সম্বলিত 'যাবুর' নামক আসমানী কিতাব নাজিল হয় । যে কোন সিন্ধান্ত দানের জন্য আল্লাহপাক তাকে ওহী পাঠাতেন ।



আল্লাহপাক পবিত্র কুরআনে বলেন, "আল্লাহ দাউদকে বাদশাহী এবং নবুয়ত দান করলেন এবং তিনি যা চেয়েছেন তা শিক্ষা দিয়েছেন । ' সূরা বাকারা । 'হে দাউদ ! আমি আপনাকে পৃথিবীর বুকে খলীফা নির্ধারন করেছি ।' (সূরা -সোয়াদ ) । 'আমি (দাউদ ও সুলায়মানকে) প্রত্যেককে রাজত্ব ও জ্ঞান দান করেছি । (সূরা -আম্বিয়া ) ।



ফিলিস্তিনের একাংশের শাসক থেকে তিনি চারদিকে দ্বীনের দাওয়াত ও সামরিক অভিযান চালাতে থাকেন । তার বীরত্ব, হেকমত, চিন্তাভাবনা, পরিকল্পণা প্রয়োগের কারণে অল্পদিনের মধ্যে তিনি সিরিয়া, ইরাক, জর্দান, কুয়েত, ফিলিস্তিন দখলে নিয়ে আসেন । ভূমধ্যসাগরের পূর্ব উপকূল থেকে ফোরাত আর শাত-ইল-আরব পর্যন্ত বিশাল রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন । তিনি ফয়সালা দিতেন আল্লাহর কাছ থেকে প্রেরিত তথ্য অনুযায়ী । ওহী নাজিলের কারণে তার কাছে কোন মিথ্যা টিকতো না । আল্লাহপাক সূরা সোয়াদ এ বলেন, 'আমি তার রাজত্বকে সুদৃঢ় করেছি এবং তাকে নবুয়ত ও সঠিক ফয়সালা করার যোগ্যতা দিয়েছি ।' যাবুর কিতাবের ১৫০ সূরার প্রতিটি ছিলো মহান আল্লাহ পাকের প্রশংসা ও দোয়ায় ভরপুর । এতে হারাম - হালাল বা শরীয়তী কোন বিধান ছিলো না । ফলে এসব বিধান মানা হতো তৈারাত থেকে । হযরত দাউদ (আঃ) এর কন্ঠ ছিলো সূ-মধুর । রোজ কেয়ামতের মাঠে তিনি সূরা আর-রহমান পাঠ করবেন । মধুর সূরে তিনি যখন যাবুর তেলাওয়াত করতেন, মানুষই শুধু নয় জ্বীন, পশু-পাখি পর্যন্ত চৈতন্য হারিয়ে ফেলতো । হযরত মুসা আশআরীর সুমিষ্ট কন্ঠস্বরে কুরআন পাঠ শুনে হুজুর পাক (দঃ) বলতেন, 'হে আবু মুসা ! আল্লাহপাক তোমাকে দাউদী সুর দান করেছেন ।' যাবুরে হুজুরে পাক (সঃ) এর রাসূল হিসেবে তসরিফ আনয়নের কথা বলা হয়েছে । তৈারাত, যাবুর ও ইন্জিল সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা আছে যে, এগুলো আসমানী কিতাব । আবার সূরা বাকারায় আল্লাহপাক বলেন, "কিছু ইহুদী এমনও রয়েছেন যে, তারা তোরাত, যাবুর ও ইন্জিলের শব্দসমূহ এদের প্রকৃত অবস্হা থেকে পরিবর্তন করে দেয় ।" বণী ইসরাঈলীরা যাবুর কিতাব পরিবর্তন করে তার সূরা সমূহের নাম রাখে 'মযবুর' ।



বোখারী শরীফে আছে যাবুর কিতাব হযরত দাউদ (আঃ) অতিদ্রুত তেলাওয়াত করতে পারতেন । এমনকি তিনি ঘোড়ার পিঠের গদী বাধতে যে সময় লাগতো , এ সময়র মধ্যেই যবুর তেলাওয়াত করে শেষ করতে পারতেন ।

আল্লাহপাক পাহাড়-পর্বত ও পশু-পাখিকে হযরত দাউদ (আঃ) এর অনুগত করে দিয়েছিলেন । তারা তার সাথে তসবিহ পাঠ করতো । বৃক্ষ, পাথর ও শিলা খন্ড থেকেও তাসবিহ ধ্বনিত হতো । সূরা আম্বিয়ার ৭১ নম্বর আয়াতে আল্লাহপাক এই বর্ণনা দিয়েছেন । 'সাবা' সূরায় বর্ণনা করা হয়, "এবং আমি দাউদকে আমার তরফ থেকে মর্যাদা দিয়েছি । আর আমি আদেশ করেছি যে, হে পাহাড় ও পক্ষীকূল ! তোমরা দাউদের সাথে মিলে তাসবিহ পাঠ ও পবিত্রতা বর্ণনা কর ।"



দেখুন এখানে

দেখুন এখানে



মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৪/-২

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:২০

কাক ভুষুন্ডি বলেছেন: আমাকে যাবুর কিতাব টা দিতে পার্বেন?

২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:৩৫

বেতাল বলেছেন: ব্লগটারে পুরাই মাদ্রাসা বানাইয়া ফেলছেন।

৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:৩৭

বেতাল বলেছেন: ইসলাম গ্রুপ নামে একটা গ্রুপ আছে। সেই জায়গাতে পোস্টগুলো দিলে আর্কাইভ হয়েও থাকে, প্রয়োজনে আমরা সবাই গিয়ে দেখেও আসতে পারি।

৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:৪২

অচেনা বাঙালি বলেছেন: আল্লাহপাক পাহাড়-পর্বত ও পশু-পাখিকে হযরত দাউদ (আঃ) এর অনুগত করে দিয়েছিলেন । তারা তার সাথে তসবিহ পাঠ করতো । বৃক্ষ, পাথর ও শিলা খন্ড থেকেও তাসবিহ ধ্বনিত হতো ।




সেই বৃক্ষ, পাথর ও শিলা খন্ড কি জান্নাতে যাবে?
এখনও কি এগুলান তসবি জপে ?



৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:৪৫

কাক ভুষুন্ডি বলেছেন: আমি দাউদ প্রচারিত ধর্মে দীক্ষা নিতে চাই।

৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:২০

সুপ্ত সবুজ বলেছেন: ভাই আপনার কাছে কি যাবুর কিতাবের বাংলা আছে? কিংবা আপনি কি আমাকে যাবুর কিতাব পাওয়া যায় এমন কোন ঠিকানা দিতে পারেন? যাবুর কিতাবকে এখন কি বলা হয়? যেমন ইঞ্জিলকে বাইবেল। যাবুরের আধুনিক নাম কি?

২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:০৬

জেমসবন্ড বলেছেন: Old Testament

দুঃখিত আমার কাছে নাই । নেটে সার্চ করে দেখেন ।

৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:২৭

বৃত্তবন্দী বলেছেন: Psalms of David (PBUH) its part of the Old Testament/Torah
You can find it anywhere

এইটা আমারে বলসে এক রিলিজিয়াস ফোরামের একজন...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.