নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের সন্ধানে...............

জানতেএলাম

সত্যের সন্ধানে...............

জানতেএলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

জনগণের প্রতি যদি সরকারের বিন্দুমাত্র দরদবোধ থাকতো, তাহলেও এভাবে তেলের দাম বাড়াতে পারতো না

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৪

সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম মুবারক।

আন্তর্জাতিক বাজারে স্থিতিশীল থাকলেও ২০১৩ সালের শুরুতেই বাড়নো হলো জ্বালানি তেলের দাম। এনিয়ে বর্তমান মহজোট সরকারের সময়ে সাতবার জ্বালানি তেলের দাম বাড়লো।

এই মুহূর্তে জ্বালানি তেলের দাম না বাড়ালেও হতো। অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে সরকার ভর্তুকির চাপ কমাতে পারতো।

বর্তমান পরিস্থিতিতে আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা আনতে এ ধরনের সিদ্ধান্ত ঠিক হয়নি। আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে দেশের অভ্যন্তরে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির হারও সঠিক হয়নি। তাছাড়া এই মুহূর্তে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিনিয়োগের যে অবস্থা তাতে মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

বর্তমানে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে আসলেও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির ফলে এ হার আবারো বেড়ে যাবে। বিশেষ করে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে অনেক বেড়ে যাবে। ধান উৎপাদনে কৃষকরা চলতি আমন মৌসুমে ভালো দাম পায়নি। ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে কৃষকদের বোরো উৎপাদন ব্যয় আরো বেড়ে যাবে। ফলে কৃষকরা ফসল উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হবে। ফলে কৃষি পণ্যের মূল্য আরো বেড়ে যাবে।

ভর্তুকি কমানোর অজুহাতে ২০১৩ সালের শুরুতেই জ্বালানি তেলের দাম আরেক দফা বাড়ানোয় বিভিন্ন মহলের সমালোচনার মুখে পড়েছে সরকার। এদিকে আকস্মিক জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। সব শ্রেণীর মানুষের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষোভ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে আরেক দফা তেলের দাম বাড়ানোয় কৃষি, পরিবহন, শিল্পকারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব ক্ষেত্রেই নৈরাজ্য ও বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। বাড়বে বিদ্যুতের মূল্য। এতে দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে জর্জরিত সাধারণ মানুষ আবারও মূল্যবৃদ্ধির খপ্পরে পড়লো।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ১০০ কোটি ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ১৪ কোটি ১০ লাখ ডলার পেতেই মূলত জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর কারণে সরকারের আয় হবে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। এই অর্থ দিয়ে নির্বাচনী বছরে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায় সরকার।

অথচ নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের ৫ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। প্রচলিত আর্থিক বিধি লঙ্ঘনের মাধ্যমে ১৯ মন্ত্রণালয়ে এ আর্থিক অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে বেশি আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অধীনে। প্রায় ৯৫০ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম ধরা পড়েছে এ মন্ত্রণালয়ে। সরকারের এই আর্থিক অনিয়ম ও লুটপাটের ভয়াবহ চিত্র উদঘাটন হয়েছে সর্বশেষ তৈরি করা কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) অফিসের ৬১টি অডিট রিপোর্টে।

অপরদিকে দেশীয় উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য রফতানী আর প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্স- দুইয়ে মিলে বছরে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয় প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার। এক দিনে তা দাঁড়ায় ১১ কোটি ডলারের কাছাকাছি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এক কিস্তিতে বাংলাদেশকে যে ঋণ দেবে, এর পরিমাণ ১৪ কোটি ডলার। সরকার এই ‘সামান্য’ ঋণ নিতে পঞ্চম দফায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে। আর এর জন্য দেশের ১৬ কোটি মানুষের কাঁধে চাপছে দ্রব্যমূল্য ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির এক বিশাল বোঝা।

অভিযোগ উঠেছে, সরকারি দল সমর্থিত ব্যবসায়ী আর দলীয় নেতাকর্মীদের হাতে অবৈধভাবে তুলে দেয়া শত শত কোটি টাকা সমন্বয় করতেই একের পর এক জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ টাকা সংস্থান অর্থাৎ ভর্তুকি কমানোর অজুহাতে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কথা বলা হলেও বাস্তবে এটা আইওয়াশ। মূলত, মহাজোট সরকারের গত চার বছরে জ্বালানি তেল খাতে ভুর্তকির নামে অবৈধভাবে লুটপাট, পাচার, অনিয়ম, আর দলীয় নেতাকর্মীদের হাতে শত শত কোটি টাকা তুলে দেয়ার ফলে রাজস্ব ভা-ারের যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, সেটা উসূল করতেই জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে।

পিডিবি’র সূত্র মতে, দেশের ৫৩ শতাংশ মানুষ বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহার করে। বাকি জনগণের নির্ভরতা কেরোসিনের উপর। তুলনামূলক অধিক দরিদ্র এই ৪৩ শতাংশ মানুষ সরকারের বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকির বাইরে। এবার কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ৭ টাকা বেড়ে যাওয়ায় তাদের বাড়তি ব্যয়ের খাঁড়ায় পড়তে হবে।

বিপিসি’র তথ্য মতে, কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ৭ টাকা বাড়ায় বিদ্যুৎবিহীন অঞ্চলে জনগণকে কেরোসিন কেনা বাবদ কমপক্ষে ৩১৬ কোটি টাকা বাড়তি গুনতে হবে। দরিদ্র ও অতিদরিদ্র এ শ্রেণীর মানুষের জীবনযাত্রায় এটা বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

কেরোসিন ব্যবহারকারীরা এমনিতেই সমাজের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী। তাদের আয় খুবই সীমিত। অথচ তারা রাষ্ট্রের কোনো ধরনের সুবিধা পায় না। এর উপর কেরোসিনের দাম বাড়ানো হলে তা তাদের জীবনযাত্রার উপর অন্যায় চাপ হয়ে দেখা দেবে।

অন্যদিকে বাস্তব অবস্থার কারণেই জ্বালানি খাতে ভর্তুকি কমানোর যুক্তি কিন্তু গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ। অবিশ্বাস্য পরিমাণে তথা ৩২ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি গুনতে হচ্ছে আসলে রেন্টাল ও কুইক রেন্টালওয়ালাদের কারণে। ভর্তুকির সম্পূর্ণ অর্থই সাধারণ মানুষের গলায় গামছা বেঁধে আদায় করা হচ্ছে। আপত্তির কারণ হলো, রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল কেন্দ্রগুলোর মালিকদের সবাই আওয়ামী লীগের লোকজন। এই আওয়ামী রেন্টালওয়ালারা একদিকে অযৌক্তিক হারে দাম আদায় করছে, অন্যদিকে জ্বালানি আমদানির নামে ব্যয় করছে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা। কিন্তু এতকিছুর পরও বিদ্যুৎ সঙ্কট থেকে মুক্তি মিলছে না জনগণের। ক্ষমতাসীনরা বরং বুঝিয়ে ছেড়েছে, জনগণ গোল্লায় যাক, তাদের দরকার দলীয় রেন্টালওয়ালাদের পেট ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তোলা।

পাশাপাশি উল্লেখ্য, জনগণের যে টাকা সরকার ইতোমধ্যে খরচ করছে, তার কতটা সদ্ব্যবহার করা হচ্ছে, কতটা দুর্নীতি করা হচ্ছে- তা নিয়ে সরকারের কোনো মাথাব্যাথা বা নজরদারি নেই। অর্থের টান পড়লেই সরকার জনগণের ঘাড়ে বাড়তি ব্যয়ের বোঝা চাপিয়ে দেয়। কিন্তু তা না করে সরকারের উচিত কোন কোন খাতে ব্যয়সঙ্কোচন ও সাশ্রয় করা যায়, তা খতিয়ে দেখা, বিলাসব্যসন কমানো, সিস্টেম লস আর পুকুরচুরি বন্ধ করা। মন্ত্রী, সাংসদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ থেকে শুরু করে অনুৎপাদনশীল খাতগুলোকে শক্তভাবে সঙ্কুচিত করা উচিত। সরকারি পরিবহন পুলের মাধ্যমে যানবাহনের জ্বালানি তেল, খুচরা যন্ত্রাংশ ইত্যাদির পেছনে কত অর্থের অপচয় হয়, সে হিসাবও সরকার রাখে না। অর্থাৎ সরকার যথাযথভাবে কোনো দায়িত্বই পালন করে না। মূলত, জনগণের প্রতি যদি সরকারের বিন্দুমাত্র দরদবোধ থাকতো, তাহলেও এভাবে তেলের দাম বাড়াতে পারতো না।

মূলত, এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত মুবারক তথা ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ মুবারক। যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত হাছিল সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.