![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুক্তরাষ্ট্রে ২০০৫ সালে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় ক্যাটরিনার প্রভাবে পাল্টে গেছে নিউ অরলিন্সে হূদরোগে আক্রান্ত (হার্ট অ্যাটাক) হওয়ার ধরন। সম্প্রতি একটি সমীক্ষার ফলাফলের বরাত দিয়ে এ দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা। খবর রয়টার্সের।
যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের তথ্য অনুযায়ী, আগে এ অঞ্চলে একটি নির্দিষ্ট দিনে ও নির্দিষ্ট সময়ে বেশি মাত্রায় হূদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা দেখা যেত। ক্যাটরিনার পর হূদরোগে আক্রান্ত হওয়া মানুষের সংখ্যা তিন গুণ পর্যন্ত বেড়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ক্যাটরিনার ক্ষতচিহ্ন এখনো বয়ে বেড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের নিউ অরলিন্স। পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও ক্যাটরিনার ধ্বংসযজ্ঞের ধকল কাটিয়ে উঠতে পারেনি শহরটি।
২০০৫ সালের আগস্টের শেষ সপ্তাহে আঘাত হানে মহাপ্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ক্যাটরিনা। এতে বিশেষ করে নিউ অরলিন্স শহর লন্ডভন্ড হয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড়-সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে ১৫ ফুট পানির নিচে ডুবে যায় শহরটি। মারা যায় এক হাজার ৮০০ মানুষ। ঘরছাড়া হয় লাখ লাখ বাসিন্দা।
গবেষকদের ভাষ্য, নিউ অরলিন্স এলাকায় সোমবার দিন ও সকালবেলায় হূদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটত বেশি। তবে ঘূর্ণিঝড় ক্যাটরিনার পর সেখানে সোমবারের দিন আর সকালবেলা হূদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা অনেকটাই কমে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘কার্ডিওলজি’ সাময়িকীতে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০০৫ সালের পর থেকে এ অঞ্চলে মানুষের হূদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ার মতো ঘটনা তিন গুণ পর্যন্ত বেড়েছে। আগে যেখানে অধিকাংশ ঘটনায় সোমবার দিন আর সকালবেলা ঘটতে দেখা যেত, সেখানে ক্যাটরিনার পর তা পাল্টে গেছে। ঘূর্ণিঝড়ের আগে ২৩ শতাংশ ক্ষেত্রেই সোমবার দিন হূদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটত। কিন্তু ক্যাটরিনার পর তা ১০ শতাংশের নিচে চলে এসেছে।
গবেষকেরা বলেন, সোমবার দিন সকাল থেকেই কাজের চাপ বাড়তে থাকে। আর এ চাপের কারণেই হূদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে হার্ট অ্যাটাকের ধরন পাল্টে যাওয়াটা আশ্চর্যের। গবেষকেরা ধারণা করছেন, মানুষের চাপের ধরন পাল্টে যাওয়ার ফলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে এ বিষয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান তাঁরা।
Click This Link
©somewhere in net ltd.