নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ সত্য বাকী সব মিথ্যা

মোঃ শওকত হোসেন বিপু

আমি মনের আনন্দে লিখি তাতে কেহ খুশি হতে পারে আবার নাও হতে পারেন তাতে এই অধমের কিছু আসে যায়না।

মোঃ শওকত হোসেন বিপু › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটু বিবেচনা করলে সুন্দরবনকে বাচাঁনো সম্ভব

২২ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:০০

এখন যেমন আমরা ক্রিকেট খেলায় কোন দেশের বিরুদ্ধে সিরিজ জয় বা হোয়াইট ওয়াশের অপেক্ষায় থাকি, সে আমরা কিছু দিন আগেও কোন দেশের বিরুদ্ধে জয় পেলেই (তা শক্তিশালী বা দূর্বল যে কোন দেশ বিরুদ্ধে হোক না কেন) উল্লাসে ফেটে পড়তাম, ক্রিকেটপ্রেমীরা রাস্তায় নেমে পড়তো আর আমরা যখন ইউনিভার্সিটিতে পড়তাম তখন বাংলাদেশ কোন খেলায় জিতলে সবাই হল থেকে হাড়ি পাতিল নিয়ে উপস্থিত হতো টিএসসিতে।

ইউনিভার্সিটি লাইফের কথা (সম্ভবতঃ ২০০৬ কিংবা ২০০৭ সাল) - একদিন বাসে করে মোহাম্মদপুর যাচ্ছি সেদিনই বাংলাদেশ কোন এক দেশের বিরুদ্ধে জয় পেল (কোন দেশের বিরুদ্ধে জয় পেল এখন ঠিক মনে করতে পারছিনা) আর সারা ঢাকা শহর আনন্দে আত্মহারা তখন ঐ বাসের এক যাত্রী বললো একটি খেলায় জয় পেলে এই রকম করার কি আছে?, অন্যরা তো মনে হয় সিরিজ জয় পেলেও এত আনন্দ করেনা। তার উত্তরে আমি বলেছিলাম- অবশ্যই আনন্দ করার আছে কারন স্বাধীনতা উত্তর আমাদের অর্জন উল্লেখ করার মত এমন কিছু নাই যে, আমরা ঘটা করে উদযাপন করতে পারি সুতারাং যারা মাঝে মাঝে এমন সুখকর স্মৃতি আমাদের উপহার দেয় তাদের উৎসাহের জন্যই আমাদের এই আনন্দগুলো উদযাপন করা উচিত নাহলে তারা সামনে এগুবে কিভাবে?

ক্রিকেট যেমন বর্তমানে আমাদের গর্ব করার একটা বিষয় যেটা আমরা পরিশ্রম করে অর্জন করেছি, ঠিক তেমনি আর একটি অহংকারের বিষয় আছে যেটা আমরা ঐশ্বরীকভাবে প্রাপ্ত তাহলো -সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ হিসেবে স্বীকৃত - সুন্দরবন যা বিশ্বের প্রাকৃতিক বিস্মাবলীর অন্যতম। পার্থক্য হচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বে যদি কখনও আমরা অহংকারের জায়গা থেকে হারিয়ে যাই তবে চেষ্টা বা পরিশ্রম করে তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব কিন্তু বিশ্বের সর্ববৃহৎ অখন্ড বনভূমি বা বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃত সুন্দরবন যদি কোন কারনে হুমকিতে পড়ে, তবে তা আর কখনও পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসবেনা।

আমি অবশ্যই চায় যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে নতুন নতুন বিদ্যুৎ প্রকল্প সরকার বা কর্তৃপক্ষ গ্রহন করবে, তা একটা নয় দুইটা নয় তা হবে শত শত প্রয়োজনে আরো বেশী কিন্তু আমাদের গর্বের জায়গা সুন্দরবন হুমকির মুখে রেখে নয়। আমাদের যদি আরো অনেকগুলো সুন্দরবন বা এই রকম বন থাকতো, তাহলে আমরা না হয় একটা প্রকল্পের জন্য ঝুঁকি নিতেই পারতাম কিন্তু আমাদের যে একটাই সুন্দরবন। আর কোন কারনে যদি সুন্দরবন ধ্বংস হয় তাহলে প্রকল্প স্থগিত করা বা প্রকল্প থেকে ফিরে আসা হয়ত যাবে কিন্তু সুন্দরবনকে আর ফিরে পাওয়া যাবেনা সুতারাং একজন নাগরিক হিসেবে আমি আশা করি - যারা এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তারা বিষয়টা গভীরভাবে চিন্তা করবেন।

আর বিদ্যুৎ কেন্দ্র যদি ঐ এলাকায় করতেই হয় তাহলে আমিও ডঃ জাফর ইকবাল স্যারের মত বলতে চাই- প্রকল্পটি বর্তমান অবস্থান থেকে ১০ কিংবা ১৫ কিলোমিটার দূরে কোথাও স্থাপন করুন (যেটা সরকার বা কর্তাব্যক্তিরা ইচ্ছা করলে পারবে বলে আমরা বিশ্বাস করি) তাতে সবার মন থেকে দীর্ঘশ্বাস যেমন দূর হবে তেমনি প্রকল্পটিও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। মনে রাখবেন একটু সংশোধন যদি অনেক ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে, তাতে ক্ষতি কি - বরং জনগন যেমন খুশী হবে, তেমনি লাভবান হবে সরকার। অনেকটা উইন উইন সিচ্যুয়েশান। ধন্যবাদ সবাইকে।

শওকত হোসেন বিপু
২০.০৮.২০১৬

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.