![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মনের আনন্দে লিখি তাতে কেহ খুশি হতে পারে আবার নাও হতে পারেন তাতে এই অধমের কিছু আসে যায়না।
আজকাল সবাই একটা কথা বলে বিশেষতঃ সমাজের যারা সিনিয়র সিটিজেন হিসাবে খ্যাত বা যারা প্রবীন, তারা বলে - আমাদের সময় এটা ছিল, ওটা ছিল কিন্তু এখন নাই কিংবা আজকের প্রজন্মের সেটা ধরে রাখার যেমন ইচ্ছা নাই তেমনি ধারনও করেনা। আমি মনে করি এটা যথার্থই সত্য, তবে এর দায়ভার একা শুধু আজকের প্রজন্মের না- এর দায়ভার প্রবীন বা মুরুব্বীদেরও বটে কারন তারা তাদের সন্তানতূল্য পরবর্তী প্রজন্মের কাছে না কোন আদর্শ রেখে গেছেন বা নিজেরা কোন আদর্শ ধারন করেন বা সে মতে পরিচালিত হোন, সুতারাং কি দেখে বা কি শুনে আজকের প্রজন্ম অনুপ্রানিত হবে বা আদর্শ হিসেবে বেছে নিবে যা তাদের সামনে চলার পথের দীক্ষা হবে।
ধরুন আপনি একটা পরিবারের প্রধান হিসেবে সকল কার্যক্রম পরিচালিত করেন, সেখানে থাকতে পারে বাজার করা, বাচ্চাকাচ্চার জন্য স্কুল বা শিক্ষক নির্বাচন করা, বাচ্চাদের জন্য জামা কাপড় কেনা বা তাদেরকে বিয়ে শাদী দেওয়া, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য নতুন বাসস্থান নির্বাচন করা। এগুলো সবই পরিবারের কর্তা হিসেবে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা যেমন আপনার আছে, ঠিক তেমনি অর্থের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রক হিসেবে আর্থিক ক্ষমতাও আপনার আছে কিন্তু আপনি যদি এই সব বিষয়গুলো পরিবারের সবার সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে করেন তাহলেই সে পরিবারটি হয়ে উঠে আরো সুন্দর আরো সুশৃংখল এবং পরিবারের যে কোন সদস্য জীবনের যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে তাতে ব্যক্তি যেমন লাভবান হয় তেমনি সমাজ রক্ষা পায় কোন অনাকাঙ্খিত বিপদ থেকে।
আগেরকার একান্নবর্তী বা যৌথ পরিবারগুলো বর্তমানে ভেঙ্গে যাচ্ছে এবং বর্তমানে সবাই একক পরিবারের চিন্তায় মশগুল। এটার প্রধান কারন আমার কাছে মনে হয়-পরিবারের যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহনে পরিবারের কর্তা ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের কর্তৃত্বপরায়ন ভূমিকা বা সিদ্ধান্ত গ্রহনে অংশীদারীত্বের অভাব যার ফলে পারস্পরিক সন্দেহ বা অবিশ্বাস দানা বাধে এবং ফলশ্রুতিতে পরিবারের খন্ডকীকরন।
আমি ছোটবেলা থেকে দেখতাম এবং আমাদের পরিবারের সাথে যাদের জানাশুনা আছে তারা সবাই জানে- আমাদের পরিবারের যে কোন বড় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে (রাজনৈতিক বিষয় বাদে কারন রাজনৈতিক বিশ্বাস একান্তই ব্যক্তিগত) বাবা আমাদের সবাইকে ডাকতেন যেটা এখনও প্রচলন আছে এবং যেটাকে আমরা অভিহিত করি পারিবারিক মিটিং বলে সেখানে বিশেষ কোন বিষয়ে সবার মতামত চাওয়া হয় এবং সে মোতাবেক সিদ্ধান্ত গৃহীত হতো। আমার মনে হয় সবার পরিবারে যদি এই চর্চাটা থাকে তাহলে সে যেমন একটি গনতান্ত্রিক পরিবেশে বেড়ে উঠবে ঠিক তেমনি নিজের মতামতও প্রকাশ করার সুযোগ পাবে তাতে ব্যক্তি যেমন নিজে হবে সহনশীল ঠিক তেমনি যুক্তিবাদী।
শওকত হোসেন বিপু
২০.০৮.২০১৬
©somewhere in net ltd.