![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মনের আনন্দে লিখি তাতে কেহ খুশি হতে পারে আবার নাও হতে পারেন তাতে এই অধমের কিছু আসে যায়না।
সম্মান বা অনারড, এই শব্দের সাথে আমরা সবাই পরিচিত এবং অতি আগ্রহের সহিত পরিচিত হতে চাই কারন যে শব্দগুলি বা যেটা আমাদের সবার জন্য সুখকর স্মৃতি বয়ে আনে সেটা আমরা আনন্দের সঙ্গে গ্রহন করি। বাংলা অভিধানে এর অর্থ হচ্ছে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি, খ্যাতির, সমাদর, দক্ষিণা, নজরানা ইত্যাদি ইত্যাদি। সহজ ভাষায় যেটা আমরা বুঝি তাহলো- কোন ব্যক্তিকে আন্তরিকতার সহিত শ্রদ্ধা, ভালবাসা, মান্য করা বা ভক্তি করাকে বলে সম্মান বা কাউকে সম্মান করা।
ছোটকালে আবদুল্লাহ উপন্যাসের একটি বচন আমার খুব মনে ধরে আছে এখনও, তাহলো- "মানুষ ভাবে এক, হয় আর এক"। ভাবছিলাম সম্মান নিয়ে কিছু একটা লিখব- মানুষ কোন ধরনের সম্মান আশা করে, কেন করে, আমরা কাকে সম্মান করবো, কেন করবো, সেটা আন্তরিকতা নাকি জোর পূর্বক সম্মান আদায় ইত্যাদি। কিন্তু আজকে যখন রাত্র ১০:৩০ এবং ১১:০০ টার খবর দেখলাম তখন চিন্তা করলাম - না, আমার লেখার বিষয় হওয়া উচিত "কান্না" অনেকটা উপন্যাসের সেই বচনের মত- চিন্তা করি একটা আর লিখা অন্যটা । আমি পারত পক্ষে চেষ্টা করি অন্তত ফেসবুক বা ব্লগ যেখানে অল্প স্বল্প যা লিখি না কেন, রাজনৈতিক বিষয়গুলো এড়িয়ে যেতে কারন আমাদের রাজনীতিবিদরা অনেকটা জর্জ ডব্লিউ বুশ এর মত- 'হয় তুমি আমার দলে, না হয় বিরোধী দলে'। কোন মানুষেরও যে নিজস্ব একটা চিন্তা, চেতনা, মতামত থাকতে পারে তা অনেকে বিশ্বাস করতে চায়না।
হাসি-কান্না মানুষের সহজাত গুন। হাসির পরে কান্না বা যত হাসি তত কান্না- এই রকম অনেক কথা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রচলন আছে। কিন্তু আমার কাছে অবাক লাগছে বিএনপি এর মত একটি বড় দলের মহাসচিবের এমন কান্না, যে দল তার জন্ম থেকে আজ অবধি বেশীরভাগ সময়, হয় ক্ষমতায় বা ক্ষমতার কাছাকাছি ছিল। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে অনেকে একজন সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে মনে করেন এবং এই বীরমুক্তিযোদ্ধা ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতিতে হাতেখড়ি নিয়েছেন।
কারো কান্নাকে ছোট বা বড় হিসেবে দেখছিনা বরং সবার প্রতি সংবেদনশীল হয়ে যে কথা বলতে চাই- তাহলো রাজনীতির এই অবস্থার জন্য কেহ এককভাবে দায়ী নয় এবং এই রাজনীতি থেকে যদি আমাদের দেশ বা সমাজকে বাচাঁতে হয় তাহলেও এককভাবে কারো পক্ষে সম্ভব নয় বরং সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে শুভ চিন্তা বা পজিটিভ মন নিয়ে এই দূরত্বগুলো দূর করতে হবে। আজকে বিএনপির মহাসচিব যেমন কাদঁছে এর চেয়ে অনেক বেশী কষ্ট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকেও কান্নাকাটি করতে হচ্ছে তাঁর স্বজন হারানোর বেদনায়।সুতারাং আপনার কান্নাকে সবাই গুরুত্ব দিবে যদি আপনি আর একজনের কান্নাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।
সবাইকে মনে রাখতে হবে সবার উপরে দেশ এবং দিন শেষে এই দেশেই আমরা থাকব এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম থাকবে, বসবাস করবে। এই দেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্র, একটি আধুনিক রাষ্ট্র এবং একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে আমাদেরকেই গড়ে তুলতে হবে সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। উপরওয়ালা কিংবা আমেরিকা, লন্ডন এসে আমাদের সবকিছু ঠিক করে দিবে এমন ভাবার কোন কারন নেই। কাউকে না কাউকে বা কোন না কোন রাজনীতিবিদকে তো এগিয়ে আসতে হবে সব ভেদাভেদ ভুলে স্বপ্নিল আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে।
শওকত হোসেন বিপু
২৩.০৮.২০১৬
©somewhere in net ltd.