![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মনের আনন্দে লিখি তাতে কেহ খুশি হতে পারে আবার নাও হতে পারেন তাতে এই অধমের কিছু আসে যায়না।
এক সাগরও রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলো যারা আমরা তোমাদের ভুলবনা, আমরা তোমাদের ভুলবনা...... কয়েকটি দেশাত্মবোধক গান আছে যেগুলো শুনলে যে কোন মানুষ শিহরিত হয়, আলোড়িত হয় তার মধ্যে গোবিন্দ হালদারের লেখা এবং আপেল মাহমুদের সুর করা এই গানটি অন্যতম যেটা আজকে অনেক জায়গায় মাইকে শুনছিলাম কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো - যে ব্যক্তির কন্ঠ শুনে বা যে ব্যক্তির আহবানে এমন এমন উদ্দীপ্ত গান শিল্পীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গেয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের সময় সে ব্যক্তির কন্ঠেই কী না যাদু ছিল যার জন্য আবাল বৃদ্ধ বনিতা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মুক্তির সংগ্রামে।
সে মহান ব্যক্তিকে যিনি বঙ্গের বন্ধু হিসেবে খ্যাত বঙ্গবন্ধুকে বুঝার জন্য বেশী দূর যেতে হয় না বা বেশী গবেষনারও প্রয়োজন হয়না তাঁকে বুঝার জন্য ৭ই মার্চ এর ভাষন শুনাই যথেষ্ট। ভাবতে অবাক লাগে লিখিত কোন স্ক্রিপ্ট ছাড়া কি এক মোহনীয় শক্তি বলে একটানে কোন প্রকার বিরতি না নিয়ে অবিরাম গেয়ে গেলেন স্বাধীনতার গান, বিজয়ের গান। ভাষনের শব্দ নির্বাচনে বা চয়নে কী নৈপুন্য এবং শব্দের রিদমে কী অস্বাভাবিক সামঞ্জস্যতা বা সমতা যেটা পুরো ভাষন না শুনলে অনুধাবন করা কঠিন।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে কেহ কেহ ভেবেছিল (বিশেষত ঘাতকরা) তার আদর্শকে হত্যা করা যাবে কিন্তু ইতিহাসের শিক্ষা হচ্ছে কাউকে হত্যা করে তাঁর আদর্শ বা বিশ্বাসকে হত্যা করা যায়না হয়ত কিছু দিনের জন্য স্তব্ধ করা যায়। কিন্তু পরক্ষনে তা দ্বিগুন বা আরো অধিক গুনে জনগনের মননে প্রবেশ করে তার জ্বলজান্ত উদাহরন হলো বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর চরিত্রের বৈশিষ্ট্য হলো তাঁর বিশালতা এবং উদারতা, যে তিনি সকলকে উদার হস্তে গ্রহন করতে পারতেন এবং অনেকে যখন তার নিরাপত্তা নিয়ে তাকে সতর্ক করলো তখন তিনি বললেন- বাঙ্গালী কখনও তাঁকে হত্যা করতে পারেনা কিন্তু সেই বাঙ্গালীই তাঁকে হত্যা করলো যাদের মুক্তির জন্য তিনি সারাজীবন লড়াই করে গেছেন।
১৫ই অগাস্ট কারো জন্মদিন থাকতে পারেনা কিংবা ঐ দিন কেহ জন্মগ্রহন করতে পারেনা, আমি এটা মনে করিনা তবে যেহতু ঐ দিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের মহানায়ক দৃশংসভাবে হত্যার স্বীকার হয়েছেন ফলে দিনটি অনেকের কাছে আবেগের বিষয়, বেদনার বিষয় সুতারাং আমাদেরকে অবশ্যই এদিকটা বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। আমি যদি তর্কের খাতিরে ধরে নিই ১৫ অগাস্ট কারো জন্মদিন আছে তাহলে তাদের উচিত অন্যের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো, সেটা হতে পারে ঘরোয়া পরিবেশে কিংবা তারিখ পরিবর্তন করে জন্মদিন পালন করা। আপনি যত যুক্তির কথাই বলুন না কেন যার পরিবারের এতগুলো মানুষ একই দিনে খুন হলো তাকে কি দিয়ে সান্ত্বনা দিবেন কিংবা কি মানবিক আচরন আশা করেন যেখানে আপনিই মানবিক হতে পারেননা। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, অন্যের প্রতি যদি আমার শ্রদ্ধাবোধ না থাকে তাহলে কখনও অন্যের কাছ থেকেও শ্রদ্ধা বা সম্মান আশা করা যায় না।
শওকত হোসেন বিপু
২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:০৩
মোঃ শওকত হোসেন বিপু বলেছেন: আসলেই.... এক কথায় অসাধারন...
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:১৫
কলাবাগান১ বলেছেন: "ভাবতে অবাক লাগে লিখিত কোন স্ক্রিপ্ট ছাড়া কি এক মোহনীয় শক্তি বলে একটানে কোন প্রকার বিরতি না নিয়ে অবিরাম গেয়ে গেলেন স্বাধীনতার গান, বিজয়ের গান। "