![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মনের আনন্দে লিখি তাতে কেহ খুশি হতে পারে আবার নাও হতে পারেন তাতে এই অধমের কিছু আসে যায়না।
আজকে আমার ভাগিনা (Ri HAm) আমাকে বললো, মামা আপনি তো লেখালেখি করেন, রিশাকে (রাজধানী ঢাকার উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী) নিয়ে কিছু একটা লেখেন। তার প্রত্যুত্তরে আমি বললাম - না, এইসব বিষয় নিয়ে লেখার মত মানসিক শক্তি আমার নাই কিন্তু রিশার কোমল বা মায়াবী ছবির দিকে তাকিয়ে আর চুপ করে থাকতে পারলাম না। আমরা মানুষ্যরুপী মানুষগুলো মাঝে মাঝে এমন কাজ করি তখন মনে হয়, আমরা কি আসলে মানুষ, নাকি পশু, নাকি মনুষ্যরুপী জানোয়ার।
প্রত্যেক মানুষের চরিত্রের কিছু দূর্বল দিক থাকে যেটা সে ইচ্ছা করলেও কাটিতে উঠতে পারেনা, যেমন আমার ক্ষেত্রে - কোন হরর মুভি দেখতে না পারা, পত্রিকার পাতায় কোন বিভিৎস ছবি বা কোন নারী নির্যাতনের খবর পড়তে না পারা। এটা কি আমার মানসিক শক্তির অভাব নাকি মানবিক গুনাবলী, আমি জানিনা। সেজন্য আমি সবসময় চেষ্টা করি এইসব বিষয়গুলো এড়িয়ে যেতে কারন কোন বিষয় নিয়ে লেখতে হলে আমাকে সে বিষয় সম্পর্কিত লেখাগুলো পড়তে হবে যেটা আমার জন্য কষ্টকর।
মানুষের কিছু সাধারন বৈশিষ্ট্য আছে যেমন- মানুষ হবে মানবিক, তার বিচার বুদ্ধি থাকবে, প্রেম ভালবাসা থাকবে, বিরহ থাকবে, ঝগড়া বিবাদ থাকবে আবার মিল মহব্বত বা আপসরফাও থাকবে কিন্তু তার মধ্যে যদি পশুর মত বুদ্ধি বিবেচনাহীন বৈশিষ্ট্যের লক্ষন দেখা যায় তাকে বর্বর, পাষুন্ড, জানোয়ার, অসভ্য অথবা যে নামেই অবহিত করা হোক না মানুষ হিসেবে তাকে আর সংজ্ঞায়িত করা যায়না। ত্বকী হত্যা বা তনু হত্যার কাহিনীগুলো পড়ার সময় আপনি সুস্থির থাকতে পারবেননা। কি লোমহর্ষক কাহিনী, কিভাবে মারছে, লাশ বস্তায় ভরা এবং পানিতে ফেলে দেওয়া, তনুর শরীরের ব্যবহৃত জিনিসপত্র বিভিন্ন জায়গায় ছড়ানো ছিটানো থাকা, আফসানার লাশ পাওয়া, রিশাকে চুরিকাঘাত এবং আজকে মৃত্যুবরণ। আপনি যদি এদের চেহারাগুলোর দিকে তাকান- ত্বকী, তনু, রিশা এবং একবার ভাবুন - কি নিরাপরাধ মুখগুলো, কি মমতাময় মুখগুলো, এরপর চিন্তা করুন এই ফুলের মত শিশুদের উপর পশুদের নির্যাতন এবং তারপর লাশ হয়ে মা-বাবার কাছে ফেরত যাওয়া। এর চেয়ে দূঃখের, কষ্টের আর কি হতে পারে তাদের পিতা মাতার কাছে।
আমার কথা হলো - এই পশুরা কে কোন দল করে বা কে কার আত্মীয়, এই সব কিছু ভাবার কিংবা বলার কোনই প্রয়োজন নাই। সে একজন অপরাধী, এটাই হোক এখন তার একমাত্র পরিচয় এবং তার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব জানুক সে একজন দানব। সে এই সমাজের কীট এবং সর্বোচ্চ শাস্তিই হোক তার প্রাপ্য। আর যারা কোন প্রকারেই বা ইনিয়ে বিনিয়ে এই দানবদের বা পশুদের বাঁচানোর চেষ্টা করবে বা করে তারা আরো বড় দানব, আরো বড় পশু, তারা এই দানবদের মা, বাপ, চৌদ্দ গোষ্ঠি।
শওকত হোসেন বিপু
২৮.০৮.২০১৬
©somewhere in net ltd.