![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মনের আনন্দে লিখি তাতে কেহ খুশি হতে পারে আবার নাও হতে পারেন তাতে এই অধমের কিছু আসে যায়না।
ছেলে আমাদের ঘর আলোকিত করে যখন প্রথম পৃথিবীর আলোয় এসেছিল তখন আনন্দে ছিলাম উচ্ছ্বসিত বা পুলকিত এবং সবসময় চাইতাম ছেলের সংস্পর্শ যেমন- ছেলের নরম হাতে আদর দেওয়া, চুমু খাওয়া, বুকের মাঝে জড়াইয়া ধরা ইত্যাদি ইত্যাদি। ছেলের জন্মের পর পর একটা কথা সবসময় বলতাম, তাহলো- ছেলে আমার পড়াশুনা করার দরকার নাই, ছেলে সবসময় আমার পাশে পাশে থাকবে, যেটা শুনে আমার আত্মীয় স্বজনের মধ্যে অনেকে হাসাহাসি করতো আর বলতো, দেখ দেখ - জারারের বাপ কি বলে?? সে নাকি তার ছেলেকে পড়াশুনা করাবেনা, তার কাছে কাছে রাখবে, দেখা যাবে তখন ইত্যাদি।
আমি এই কথাগুলো বলতাম শুধুমাত্র ছেলেকে আমার বা আমাদের পাশে পাওয়ার জন্য নয় সাথে সাথে তথাকথিত মুখস্ত নির্ভর পড়াশুনায় আমার আজীবনের অনাগ্রহের কারনেও। আজকে দেখলাম ইউনিভার্সিটির বড় ভাই শাহাদাত ভাই (Shahadat Hossain) এর একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস যেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, মা-বাপেরা কেন ছোট ছোট বাচ্ছাদের (যারা ক্লাস ওয়ান বা টু এএ পড়ে) পড়াশুনা নিয়ে এত উদ্বিগ্ন কেন?? আমি নিজেও অবাক হই মা-বাবারা কেন এত উদ্বিগ্ন হয় ছোট ছোট বাচ্ছাদের পড়াশুনা নিয়ে, কেন তারা চিম্তা করেন তার বা তাদের ছেলেটি কত পেল? পাশের বাসার ছেলেটি কেন বেশী পেল? তাদের ছেলেটি কেন ওর মত হতে পারলোনা, ইত্যাদি ইত্যাদি।
শুধু আমি কেন, আমরা সবাই আমাদের প্রাইমারী বা হাইস্কুলে এমন এমন ছাত্র বা সহপাঠি দেখেছি যারা এককথায় ছিল তুখোড় কিন্তু কর্মজীবনে একদমই সফল হতে পারেনি আবার এমন এমন ছাত্র বা সহপাঠী দেখেছি যারা ছাত্র জীবনে কোন রকমে টেনেটুনে পাশ করেছে তারা আজ কর্মজীবনে একজন সফল মানুষ হিসেবে অনেকের কাছে অনুসরনীয় বা অনুকরনীয় ব্যক্তিত্ব। সুতারাং এই কথা বলার কোন দরকার নাই বা বিশ্বাস করারও কোন প্রয়োজন নাই যে, আমার বা আপনার সন্তান প্রাইমারী স্কুল বা কিন্ডারগার্টেনে ভাল ছাত্র হলেই কর্মজীবনে বা ব্যক্তিগত জীবনে একজন সফল মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। তার অর্থ এই নয় যে, প্রাইমারী লেবেলে তারা ভাল ছাত্র হবেনা বা ভাল ছাত্র হলে দোষের কিছু বরং তারা অবশ্যই পড়াশুনা করবে এবং তা হতে হবে আনন্দের সহিত, কোন প্রকার চিন্তা বা প্রেসার ছাড়া।
এর অর্থ আবার এই নয় যে, আমরা আমাদের সন্তান বা ছোট ভাই বোনদের পড়ালেখার ব্যাপারে উদাসীন থাকব বা কোন প্রকার খোঁজ খবর রাখবোনা। তাদের পড়ালেখার অবশ্যই খোজ খবর রাখবো, তাদের রেজাল্ট সীটও দেখবো, তাদের উন্নতি বা অবনতি লক্ষ্য রাখবো কিন্তু তারা যদি ৯৯ না পেয়ে ৯০ বা ৯১ পায় তাহলে কিন্তু রাগ করবোনা। তবে একটা জিনিস কঠোরভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে, তারা ঠিক মতে স্কুলে যাচ্ছে কিনা, স্কুল সময়ে বা তার পরবর্তী কাদের সাথে মিশতেছে কিংবা পড়াশুনার বাহিরে খারাপ কোন নেশা বা পেশায় জড়িত হয়ে যাচ্ছে কিনা ইত্যাদি, ইত্যাদি। একটা কথা সব বাবা-মা বা অভিভাবকদের মনে রাখতে হবে যে, একটা ক্লাসে শত শত স্টুডেন্টস থাকতে পারে কিন্তু ফাস্ট বয় বা রোল নং ০১ কেবলমাত্র একজনেরই সুতারাং এটা নিয়ে এত হা-হুতাশ বা বিচলিত হওয়ার কোন কারন নাই।
একটা ছেলে বা মেয়ে যদি প্রাইমারী বা হাই স্কুলে মোটামুটি মিডিয়াম মানের স্টুডেন্ট হয় এবং এসএসসি উর্ত্তীনের পর তার যদি জীবনবোধ সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারনা থাকে বা জীবনের কোন নাই কোন লক্ষ্য থাকে, তাহলে তাকে রুধিবার সাধ্য না কারোর, জীবনে সে সফল হতে বাধ্য, তা হতে পারে কর্মজীবনে সফলতা বা সত্যিকারের মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ার ক্ষেত্রে। সবার আব্বু-আম্মু বা আদরের ছোট ভাই-বোনেরা আনন্দ আর উচ্ছ্বলতার মাঝে বেড়ে ওঠুক, অর্জন করুক মনের আনন্দে শিক্ষা, সফল হোক কর্মজীবনে এবং সমৃদ্ধ হোক, আলোকিত হোক এই বাংলার মা, মাটি আর মানুষ। সবাইকে ধন্যবাদ।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:১৫
মোঃ শওকত হোসেন বিপু বলেছেন: কি আর করব, হাত যে কথা শুনেনা শুধু লিখতে চাই..
তবে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখাটা ১৫ই অগাস্টে ফেসবুকে লিখেছিলাম..... ধন্যবাদ মিসির আলী .....
২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০১
শামচুল হক বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:১৬
মোঃ শওকত হোসেন বিপু বলেছেন: ধন্যবাদ.....আপনাকে....
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৩
আমিই মিসির আলী বলেছেন: ২ সপ্তাহে এত লেখা কেন ভাই!!
একটু কম লিখুন আর অন্যেরটা পড়ুন। কিছু বলুন। সুখী ব্লগার হয়ে উঠুন।