![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মনের আনন্দে লিখি তাতে কেহ খুশি হতে পারে আবার নাও হতে পারেন তাতে এই অধমের কিছু আসে যায়না।
সৈয়দ শামসুল হকের "পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়" বইটা পড়লাম। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচিত কাব্যনাটকটি ভালই লেগেছে। এই কাব্যনাটকের বিশেষত্ব এই যে, পড়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত একটা আকর্ষণ থাকে বইটি পড়ে শেষ করার। ভাবার্থ অনেক, তবে আমার কাছে নাটকটির মূল কথা হলো- পাপ বাপকেও ছাড়ে না।
কাব্যনাটক এর সংলাপে উপমা বা তুলনা করতে বিভিন্ন শ্লোক বা প্রবাদ বলা হয়েছে, যা খুবই চমকপ্রদ। তার মধ্যে অন্যতম হলোঃ
ঝড়ের খবর আগে পায় বড় গাছের ডাল
বানের খবর আগে পায় যমুনার বোয়াল
খরার খবর পয়লা জানে ছিলা-শকুনের বাপ
জারের খবর পয়লা জানে আজদাহা সাপ।
মানী মানুষের ইজ্জত করা চাই
বটগাছে যদি কুড়াল মারস, চৈতমাসে তার ছায়া নাই।
খ্যাতে যে কিষাণ হাল দিয়া শস্য করে
-শস্য না দুঃখের দানা ওঠে তার ঘরে।
গহীন গাঙে যে মাঝি জালে মাছ ধরে
-মাছ না নিজের জান বড় জালে পড়ে।
ফলবৃক্ষ যে জননী বাচ্চা কোলে করে
-বাচ্চা না মাটির দিয়া নিভা যায় ঘরে।
যে জোলা রঙীন সুতা দিয়া নকশা ধরে
-নকশা না নিজের ভাইগ্য ভিজাচক্ষে পড়ে।
বুদ্ধিমান নাড়ায় না ডাল যে ডালে নিজেই বসা,
পয়সার দাম নাই যে পয়সা ঘষা।
মানুষ গেলে পথে চিহ্ন থাকে
বানের শেষে পাড়ে চিহ্ন থাকে
মারীর শেষে গায়ে চিহ্ন থাকে
আছে চিহ্ন আছে।
যে দেয় অভয় তার নিজেরই সংসার
কালের ইন্দুর কাটে, করে ছারখার।
যখন চেনেন নাই, পথঘাট চিনায়া দিয়াছি
যখন পারেন নাই, কত লোক ধরায়া দিয়াছি
যখন যোগাড় নাই, দুইবেলা খাবার দিয়াছি
যে মাতব্বর সবসময় মেলেটারীর মন জুগিয়ে চলেছে এবং সর্বকিছু বিলিয়ে দিয়েছে, সেই মেলেটারীর ক্যাপ্টেন যখন মাতাব্বরের মেয়ের দিকে ফনা তুলেছে তখন মাতাব্বর বলে-
সে কি কয়, কারে কয়, ক্যান কয়, কারন দেখি না।
©somewhere in net ltd.