নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ সত্য বাকী সব মিথ্যা

মোঃ শওকত হোসেন বিপু

আমি মনের আনন্দে লিখি তাতে কেহ খুশি হতে পারে আবার নাও হতে পারেন তাতে এই অধমের কিছু আসে যায়না।

মোঃ শওকত হোসেন বিপু › বিস্তারিত পোস্টঃ

খোদা, আমি আর সহিতে পারিনা..

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৮

আমি ব্যক্তিগতভাবে যে কোন অপরাধের ক্ষেত্রে শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড সমর্থন করিনা। আমি বিশ্বাস করি বেঁচে থাকা মানুষের জন্মগত অধিকার। মানুষকে সৃষ্টি করেছেন মহান পরাক্রমশালী সৃষ্টিকর্তা সুতারাং মানুষের জীবননাশের বা জীবন কেড়ে নেওয়ার একমাত্র অধিকার তাঁরই। আমরা কেবলমাত্র আমাদের রচিত আইন বা শাসনতন্ত্র অনুযায়ী কোন মানুষের শাস্তি বিধান করতে পারি, যদি সে ব্যক্তি আইন বিরুদ্ধ কোন কাজ করে বা আইন অমান্য করে।

কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমি আমার এই মানসিক বা নৈতিক অবস্থান সবসময় ধারন করতে পারিনা বা অবস্থানের উপর দৃঢ় থাকতে পারিনা। বিশেষতঃ নারী বা শিশুর প্রতি সহিংসতা বা যৌন নিপীড়নকারী এবং বাসার কাজের মেয়ের প্রতি শারীরিক নির্যাতনকারীর অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে ফাঁসি বলবৎ থাকা।

প্রত্যেক মানুষের একটা যৈবিক চাহিদা আছে এবং মানুষ সবসময় যে এটা নিয়ন্ত্রন করতে পারে, তাও নয়। মানুষ দোষের উর্ধ্বেও নয় যে সে তার রিপু বা কামনা বাসনাকে নিয়ন্ত্রন করতে পারবে। কিন্তু সেটা যদি মানুষের মনুষ্যত্বকে হার মানায় কিংবা তার আচার আচরন বা কার্যকালাপ যদি পশুর ন্যায় হয় তাহলে সে মানুষকে তো আর মানুষ বলা যায়না, স্রেফ জানোয়ার ছাড়া।

দিনাজপুরের পাঁচ বছরের শিশুর উপর পাশবিক নির্যাতনকারী সাইফুল ইসলাম (৪২) এবং আফজাল হোসেন কবিরাজ (৪৮) কে জানোয়ার ছাড়া আর কিইবা নামে অভিহিত করা যায়। আরো অবাক করা বিষয় হলো এই জানোয়ারদের বয়স, একজনের বয়স ৪২!! আর একজনের ৪৮!! কি বিকৃত শৌর্য বা বীরত্ব, যে নর পাষুন্ডগুলো ৫ বছরের এক নিষ্পাপ শিশুর উপর এদের পশুত্ব জাহির করে। ছি ছি, ধিক তোদের পৌরুষত্ব, মনুষ্যত্ব। তোদের জন্য মাঝে মাঝে নিজেকে মানুষ হিসেবে পরিচয় দিতে বড় অপরাধী মনে হয়।

এই ধরনের জানোয়ারদের জন্য কি আমরা আমাদের সৃষ্টির সেরাজীব মানুষের জন্য রচিত আইন অনুযায়ী বিচার করবো নাকি তাদেরকে জানোয়ার হিসেবে অভিহিত করে বিচার করবো?? মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশে সবার সামনে প্রকাশ্যে বা উন্মুক্ত পদ্ধতিতে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত অপরাধীর ফাঁসি কার্যকর করা নিয়ে অামাদের অনেকের দ্বিমত বা ভিন্নমত আছে। কিন্তু এই জানোয়ারদের জন্য আমার মনে হয় এই পদ্ধতিতে অতি দ্রুত সময়ে ফাঁসি কার্যকর করা হোক। তাতে জানোয়ারদের ছবি যেমন আমরা দেখতে পারব ঠিক তেমনি জানোয়ারদের চরিত্রের সাথে আমাদের কারোর চরিত্রের সাদৃশ্য থাকলে, শাস্তির ভয়াবহতা দেখে সেও নিজেকে সংশোধন করতে পারবে।

মোঃ শওকত হোসেন বিপু
২৭.১০.২০১৬

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৭

সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: একদম আমার মনের কথাটা বলে দিলেন ভাই। আমিও ঠিক এরকমই ভাবি! আমি এমন একটা মেয়ে যে অপরিচিত কারো চোখে কান্না দেখলেও কান্না করে ফেলি। এমনকি সিনেমায় কারো কষ্টের অভনয়টা পর্যন্ত আমায় কাঁদিয়ে দেয়। আমি সকল সৃষ্টিকেই খুব খুব ভালোবাসি। কিন্তু এই জানোয়ারগুলার কথা চিন্তা করলে নিজেকে খুনে কেউ মনে হয়! এক বিন্দু সহানুভূতি কাজ করেনা হৃদয়ে। এবং আমি হলফ করেই বলতে পারব এদেরকে খুন করার সুযোগ যদি আমার হত আমি খুব ভাবলেশহীন ভাবেই এদের পৈশাচিকভাবে খুন করে ফেলতাম। তারপর আমার যা হয় হত। এই আইনটা খুব দরকার আমাদের দেশে! ধর্ষণের সর্বনিম্ন শাস্তিটাই মৃত্যুদন্ড হওয়া উচিৎ। সর্বোচ্চটা কি হতে পারে আমার জানা নেই। আর এই শাস্তি জনগণের সম্মুখে খুব প্রচারণার মাধ্যমেই হওয়া উচিৎ। নইলে এ অপরাধ আর থামবে না।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৪৪

মোঃ শওকত হোসেন বিপু বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। কারো কথার সাথে যদি আমার কথা মিলে যায় তাহলে আমি আসলেই অনেক খুশী।

আপনার আবেগের প্রতি আমি পরিপূর্ণ শ্রদ্ধাশীল, তবে আমরা সর্বোচ্চ বিচার চাইতে পারি কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারিনা। আপনার, আমার মতো অনেকেই এইসব ঘটনায় কষ্ট পায় এবং প্রতিবাদ, প্রতিরোধ বা সচেতনতার মাধ্যমে নিশ্চয়ই এর পরিবর্তন হবে।
আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:১৯

নির্ঝরের_স্বপ্ন বলেছেন: ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি হওয়া উচিৎ পুরুষাঙ্গ কর্তন। যে অঙ্গ কোন মানুষকে জানোয়ারে রুপান্তরিত করে, তা কেটে ফেলাই শ্রেয়। আমাদের পৃথিবীতে মানুষও দরকার, জানোয়ারেরও দরকার - কিন্তু মানুষরুপি জানোয়ারের কোন দরকার নেই।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৫৩

মোঃ শওকত হোসেন বিপু বলেছেন: কথায় বলে যেমন কুকুর তেমন মুগুর। সুতারাং এদের নিকট দূর্বলতার কোন স্থান নাই। শাস্তি চাই আমরা সবাই তবে তার জন্য শুধু তো এই অঙ্গ জড়িত নই, তার মনের কুকামনা বা বিকৃত মানসিকতাও প্রাসঙ্গিক।
আপনাকে ধন্যবাদ।

৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮

কানিজ রিনা বলেছেন: আসলে এসব দেখে শুনে বলার ভাষা হাড়িয়ে
বসে বসে আহাজারী ছারা আর কিছু বলার
নেই। আসলে এদের ধরতে পারলে জনসম্মুখে
পিটিয়ে মেরে ফেলা উচিৎ। আইনের হাতে
তুলে দিলে এদের আর বিচার হয়না।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৪৮

মোঃ শওকত হোসেন বিপু বলেছেন: সামাজিকভাবে ঘৃণা বা চিহ্নিত করাও অনেক বড় শাস্তি। যারা এই সব কাজ করবে বা প্রশ্রয় দেবে তাদেরও সামাজিকভাবে বয়কট করা উচিত। কারন মানুষ সবচেয়ে ভয় পায় তার চারপাশের পরিবেশ।
ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.