![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মনের আনন্দে লিখি তাতে কেহ খুশি হতে পারে আবার নাও হতে পারেন তাতে এই অধমের কিছু আসে যায়না।
ঢাকা শহর নিয়ে অনেক কথা বা লেখা আছে অনেকের। এই শহর নিয়ে আছে অনেক কবিতা, আছে অনেক আবেগ, আছে অনেক অনুভূতি, দুঃখ হাসি ভরা অনেক কাব্য। ঠিক তেমনি এই শহর নিয়ে আমারও একখান বাক্য আছে -
"ঢাকা শহর প্রানের শহর
নাপারি ছাড়তে, নাপারি সইতে।"
এই তো সেদিন মনে হলো টাকার শহর ঢাকায় এসেছি। মনে হয় কিছু দিন আগে কিন্তু গুনে দেখি কয়েক মাস বা কয়েক বছরই শুধু নয় দুই দশক পেরিয়ে প্রায় দু'যুগের কাছাকাছি। ২০শে মে ১৯৯৫ সাল যেদিন প্রথম ভাইয়ার সাথে ঢাকায় এসেছি তখন ঢাকাকে এত কর্মব্যস্ত আর যানজটের শহর মনে হয়নি। আর এখন ঢাকাকে কেমন যে অচেনা অচেনা লাগে অথচ এই শহর ঘিরে কেমন যেন এক মায়ার বাঁধন কাজ করে।
ঢাকা নিয়ে চিরকুটের এক অসাধারন গান আছে (যদিও চিরকুটের সব গানই অসাধারন)। গানের কথাগুলো এই রকম - কবি হাসে টাকা ভাসে, গঙ্গাবুড়ীর শহরে
আসমানি তুই কাঁদিছ কেন, অট্টালিকার বাহারে
মিছে হাসি মিছে কান্না, পথে পথে আড়ালে
গ্রীন সিগন্যাল রেড ওয়াইন, দেয়ালে দেয়ালে
এই শহর যাদুর শহর, প্রানের শহর ঢাকারে।
চিরকুটের গান যেন এই আধুনিক শহর নিয়ে নির্মম বাস্তবতারই প্রতিফলন। অট্টালিকায় ভরা এই শহর যেমন কিছু লোকের বিত্ত বৈভবে পরিপূর্ণ ঠিক তেমনি কিছু মানুষের মানবেতর জীবন যাপন। বড়ই অদ্ভুত এই আকাশ পাতাল বৈষম্যের সমাজ ব্যবস্থা। একসময় সবাই শ্রেণী বৈষম্যহীন সমাজের কথা বলতো আর তরুনদের স্বপ্ন দেখাতো সেই স্বপ্ন বিনির্মানে স্বপ্ন-সারথী হওয়ার। আজ সেই মানুষগুলো কোথায় যেন হারিয়ে গেল আর সবাই যেন বৈষম্য বাড়ানোর এক অসুস্থ প্রতিযোগীতায় নেমে গেল।
একসময় কলেজ আর ইউনিভার্সিটিতে পড়া আর থাকার কারনে শহুরে জীবনের এমন যান্ত্রিকতা স্পর্শ করতে পারেনি বা অনুভব করা হয়ে ওঠেনি কিন্তু এখন চাকুরী করা, অফিসে আসা-যাওয়ার পথে দুই আর দুই ঘন্টা করে মোট চার ঘন্টা যখন জীবন থেকে চলে যাচ্ছে তখন ঢের বুঝতে পারি এই শহর আমার, এই মানুষ আমার। তারপরও সেই মোহ, সেই আবেগ পিছু ফেলে এগিয়ে যাই সামনের দিকে, ধূ ধূ মরীচিকার পানে।
২৯.১০.২০১৬
©somewhere in net ltd.