![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[আকারে বড় হওয়ার কারনে এই পোষ্টটি ৩(তিন) পর্বে শেষ হবে, বাকী দুই পর্বের জন্য অপেক্ষা করেন]
সন্ধ্যায় হলে ফিরছি, সুর্যসেন হলের দোতলা- তালা খুলে ঘরে ঢুকতেই বিস্ময়। ১৭/১৮ বছরের এক ছেলে পরনে জোব্বা মাথায় টুপি- আমাকে দেখে হাতটা কপালে ছুইয়ে বললো- আস্লামালাইকুম ভাই...
অনেকটা হুমায়ুন আহমেদিয় নাটকের কৌতুক দৃশ্যের মতো- কিন্ত আমি মুগ্ধ হতে পারলাম না…… সারাদিন পরে আস্তানায় ফিরলাম, কিছু জরুরী কাজ সেরে- আবার সারা রাতের মত বাইরে যাব আড্ডা মারতে… এর মধ্যে এই উৎপাত কোথা থেকে।
আমি ছেলেটাকে খুটিয়ে দেখছিলাম- মফঃস্বল থেকে আগত অল্প বয়সের এক সুদর্শন কিশোর, এই মুহুর্তে খুব শান্ত ভাবে ঘরের এককোনে দাড়িয়ে আমাকে লক্ষ্য করছে। চেহারায় তার চাঞ্চল্যের কোন লক্ষন নাই, একহারা নরম হালকা পাতলা চেহারা- যেন সে বহুদিন থেকে এই ঘরেই বসবাস করে এমন ধরনের সাবলীল তার চোখের দৃষ্টি। আমার মনে পড়ে গেল আজ সকালের ঘটনা......
সকাল থেকেই সেদিন ক্যাম্পাস জুড়ে তোলপাড়-- বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টার, সাইন্স এনেক্স থেকে শুরু করে শহিদ মিনার, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের আউটডোর হয়ে বকশীবাজার পর্যন্ত পুরা এলাকা রনক্ষেত্র। সারা রাস্তায় অসংখ্য ছোট ছোট ইটের টুকরা, ভাঙ্গা গাছের ডাল, বিক্ষিপ্ত কিছু জুতা স্যান্ডেল- এখানে ওখানে ছড়ানো। সারা রাস্তা জুড়ে ছুটন্ত মানুষ, রাস্তা থেকে শহীদ মিনার, সিড়ির ধাপ পেরিয়ে-মিনারের লাল সুর্য পেরিয়ে এক পক্ষ ধাওয়া করে নিয়ে যাচ্ছে অপর পক্ষকে, আবার পিছু হটছে পালটা ধাওয়া খেয়ে।
শহীদ মিনারের দিকে যারা- তারা জোটবদ্ধ ছাত্রদের সংগ্রাম পরিষদ আর বকশীবাজারের দিকে যারা তারা ছাত্র শিবিরের কর্মী। ঘটনাকাল ৮৩র ফেব্রুয়ারীর ছাত্র আন্দোলনের কয়েকমাস পরের- জান্তা বিরোধী আন্দোলন তখন মধ্য গগনে। শিক্ষা নীতির বিরুদ্ধে বেশ নিরীহ নির্দোষ গোছের একটা মিছিল বের করেছিল সেদিন শিবির এবং কলা ভবন পর্যন্ত মিছিল নিয়ে যাবার হিম্মতও দেখিয়েছিল।
শিকারী বেড়ালের ইঁদুরের সাথে খেলা করার মতো কৌতুকের দৃষ্টিতে আমরা মিছিলটা লক্ষ্য করছিলাম। ক্যাম্পাসে শিবিরের মিছিল!!! মরনের লাইগ্যা পাখনা গাজাইছে?
জগন্নাথ হল- পাশ দিয়ে সোজা গেলে টি এস সি- শিবিরের মিছিল এগিয়ে যাচ্ছে…… রোকেয়া হলের গেট, পার হয়ে কলাভবনের দিকে যাওয়ার উদ্দ্যোগ নিতেই আমরা গা ঝাড়া দিয়ে উঠে দাড়িয়েছিলাম- ওক্কে, এনাফ ইজ এনাফ।
ঘন্টাখানেকের কিছু বেশি সময় লেগেছিল সেদিন শিবিরের পুলাপাইনরে আলিয়া মাদ্রাসার গেটের ভিতর ঢুকায়া দিয়ে আসতে। এর মধ্যে আহত জনা পঞ্চাশেক- আর ততোধিক আটক যুদ্ধ বন্দী হিসাবে। অধিকাংশদেরই পিটানি দিয়ে সাথে সাথে ছেড়ে দেয়া হলেও--কিছু যুদ্ধ বন্দীকে নিজ হলের নিজস্ব হিফাজতে আটক রাখাই ছিল রেওয়াজ। দিনের শেষে প্রতিপক্ষের সাথে দর কষাকষির অথবা বন্দী বিনিময়ের মতো কোন পরিস্থিতির উদ্ভব হলে—সুবিধা জনক অবস্থানে থেকে প্রতিপক্ষের সাথে দরদাম করা যায়।
সন্ধ্যায় হলে ফিরে আমার ঘরের নিরাপত্তা হেফাজতে থাকা সেদিনের যুদ্ধবন্ধী কিশোরের নিরুদ্বিগ্ন চেহারা দেখে আমি বিস্মিত হয়েছিলাম। আমি তাকে মুক্তি দিয়েছিলাম তার প্রতি এক ধরনের চমৎকৃত মনোভাব থেকে…… আমার মনে হচ্ছিল সারাদিনের লড়াইয়ে আমরা জিতেছি নিরঙ্কুশ সংখ্যাধিক্যে কিন্ত দিনের শেষে এই নবীন কিশোরই জিতে গেল মনোবল আর নৈতিকতার লড়াইয়ে……
হতে পারে মাথা ভর্তি তার ভুল রাজনীতি- চেতনা জুড়ে তার অগনতান্ত্রিকতার দর্শন। তার রাজনৈতিকতার অভিমুখ মানবতা বিরোধী এবং জনগনের বিপক্ষে যুদ্ধ অপরাধে…… লড়াইয়ের ময়দানে আজ তার অবস্থান আমার বিপক্ষে- কিন্ত একই সাথে তার এই ভুল পক্ষ বেছে নেবার প্রশ্নে আমি আমার দায় এড়াতে পারি না।
সন্দেহ নাই আমাদের রাজনীতিতে জামায়াত একটা চরম অগনতান্ত্রিক শক্তি- আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তার রাজনৈতিক অবস্থান অতি অবশ্যই গনবিরোধী এবং আজ পর্যন্ত জামায়াত ১৯৭১ সালে নেওয়া তার রাজনৈতিক অবস্থানের কোন ব্যাখা দেয় নাই- এটা সে ঠিক মনে করে না ভুল মনে করে!! ২৫মার্চের রাত্রের নৃশংশতায় তার অবস্থান কি? এই গনহত্যা- মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ কি জায়েজ?? এমনকি পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষার জন্য তা হলেও??
প্রথম পর্ব সমাপ্ত- দ্বিতীয় পর্বের জন্য অপেক্ষা করেন......
১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৩৭
জাতেমাতাল বলেছেন: কোন রাজনৈতিক আদর্শকে রাজনৈতিক-দার্শনিক ভাবে মোকাবেলা না করে তাকে নির্মুল করা বা গলা টিপে ধরতে চাওয়া ফ্যাসিবাদী আচরন। আমি চাই জামায়াত শিবির এদেশে অবাধ ভাবে রাজনীতি করুক।
আর আমি যখন যেভাবে যেখানে সুযোগ পাব, এই কথা প্রচার করবো- জামায়াত শিবির অগনতান্ত্রিক শক্তি। গনতন্ত্রের মুল ভিত্তি মানুষের স্বাধীন ইচ্ছার-তার অধিকারের বাস্তবায়ন। গনতান্ত্রিক সংবিধান মানুষের সেই স্বাধীন ইচ্ছার মুর্তায়ন।
জামায়াত যে সংবিধানের কথা বলে সে সংবিধান মানুষের স্বাধীন ইচ্ছার উপর ভিত্তি করে দাড়িয়ে নাই। দাড়িয়ে আছে অন্য কিছুর ওপর......
২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১২
সাদাচোখ বলেছেন: @ শঙ্খচীল ,
হ্যা, তা তো দিতেই হবে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অগণতান্ত্রিক শক্তিকে তো ক্ষমতায় আনতেই হবে।!
কি বলেন?
১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৪০
জাতেমাতাল বলেছেন: কোন অজুহাতেই আমরা অগণতান্ত্রিক পন্থা অনুশীলন করতে পারি না ......
৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩
প্রশান্ত শিমুল বলেছেন: অগনতন্তিক শক্তি জামায়াত, তাতে শিবিরের কি দোষ?
মানুষের মন জয়ে যে নৈতিক শক্তিই অধিক কার্যকর তার প্রমান পেলাম আপনার লেখায় ।
১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৪২
জাতেমাতাল বলেছেন: শিবিরের দোষ--সে অগনতান্ত্রিক শক্তি জামায়াতের সাথে আদর্শিক ভাবে যুক্ত।
৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:১২
ফালতু মিয়া বলেছেন: জামাত শিবির অগণতান্ত্রিক শক্তি হতে পারে। তবে দেশের এমনকি দেশের বাইরের মিডিয়া তাদের সব সময় নেগেটিভ ভাবেই প্রচার করেছে। তাদের সম্পর্কে সঠিক তথ্য কেউ দেয়নি, এমনকি সেসব প্রচার করতে বিপরীত মূখী অবস্থানে ছিল এখনও আছে দেশের তাবৎ মিডিয়া।
আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে(১৯৯১-১৯৯৮) দেখেছি তারা কি পরিমান অপপ্রচারের শিকার। আমরা যারা গণতন্ত্রের কথা বলি(বর্তমানে সবাই সুশীল সমাজ নামক ভদ্র লোকের গোষ্ঠী) তাদের দেখেছি কি পরিমান মিথ্যা তথ্য দিতে এবং বিরোধীতা করতে।
বিশেষ করে বাম রাজনীতিক ও ছাত্র সংগঠনগুলো সাধারণ ছাত্রদের কিভাবে শোষণ ও জিম্মি করে রেখেছিল, সে সময় শিবির ত্রাণকর্তারূপে আর্বিভূত হয়। বিশাল ছাত্র সমাজের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা ছিল। পক্ষপাতিত্ত্ব না করে এটুকু বলা যায় যে, বাম ও তথাকথিত গণতন্ত্রের ধ্বজাধারীর চেয়ে তারা অনেক ভাল ছিল।
১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৫১
জাতেমাতাল বলেছেন: আপনার কথা অনুযায়ী-- জামাত শিবির যদি অগণতান্ত্রিক শক্তি হতেই পারে তবে তা বাম ও তথাকথিত গণতন্ত্রের ধ্বজাধারীর চেয়ে তারা অনেক ভাল ছিল কি ভাবে??
অগণতান্ত্রিক যে কোন শক্তিকে প্রথম সুযোগেই আমাদের ' না ' বলা উচিত......
৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:২৯
মাহমুদ৬৯ বলেছেন: চালিয়ে যান। অনেক কিছু জানা যাবে মনে হচ্ছে।
১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৫২
জাতেমাতাল বলেছেন: চালিয়ে যাচ্ছি......।
৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৩৭
কুয়াশা বলেছেন: ফালতু মিয়া নিজেরে আজ থেকে রাজাকারের দলের সাথে অন্তর্ভক্ত করে ফেললেন। সব সত্য কথা সবসময় বলতে নেই।
১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৫৫
জাতেমাতাল বলেছেন: আমি বুঝি নাই ... ফালতু মিয়ার কোন কোন কথা গুলা সব সত্য কথা...।
৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৫১
ব্লগই শেষ ঠিকানা বলেছেন:
লক্ষনীয় বিষয় হলো লেখক গনতন্ত্রের দুষমন জামাতশিবিরকে মোকাবিলা করেছেন অগণতান্ত্রিক উপায়ে।
-------------------------------------------------------------------
ঘন্টাখানেকের কিছু বেশি সময় লেগেছিল সেদিন শিবিরের পুলাপাইনরে আলিয়া মাদ্রাসার গেটের ভিতর ঢুকায়া দিয়ে আসতে। এর মধ্যে আহত জনা পঞ্চাশেক- আর ততোধিক আটক যুদ্ধ বন্দী হিসাবে। অধিকাংশদেরই পিটানি দিয়ে সাথে সাথে ছেড়ে দেয়া হলেও--কিছু যুদ্ধ বন্দীকে নিজ হলের নিজস্ব হিফাজতে আটক রাখাই ছিল রেওয়াজ। দিনের শেষে প্রতিপক্ষের সাথে দর কষাকষির অথবা বন্দী বিনিময়ের মতো কোন পরিস্থিতির উদ্ভব হলে—সুবিধা জনক অবস্থানে থেকে প্রতিপক্ষের সাথে দরদাম করা যায়।
-----------------------------------------------------------
দেখুন পেশিশক্তির রাজনীতি কারা করে। কারা একদিকে গণতন্ত্রের পীঠে চাবুক মারে আর অন্যদিকে মুখে গণতন্ত্রের জয়গান গায়।
১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০৬
জাতেমাতাল বলেছেন: জামায়াত শিবিরকে সেদিন মোকাবিলা করার পদ্ধতি সঠিক ছিলো না, সে আত্ম-সমালোচনা আমরা উপলদ্ধি করি।
তবে কোন চিন্তা বাস্তবায়নে বলপ্রয়োগের ভুমিকা অসামান্য। ১৯৭০ এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশভাবে ভোট দিয়েও আমরা ক্ষমতায় যেতে পারিনি, শেখ মুজিবকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসাতে পারিনি, তবে আমাদের ক্ষমতার সপক্ষে একটা মতাদর্শগত আধিপত্ত্ব, নৈতিক ভিত্তি তৈরী করতে পেরেছিলাম মাত্র। পরে বলপ্রয়োগের ক্ষমতা যোগাড় ও অর্জন করে বাংলাদেশ হাসিল করেছিলাম। ফলে যেটা বলপ্রয়োগে অর্জন করার কাজ ওটা শুকনা কথার মতাদর্শগতভাবে অর্জন করা যাবে না, আর যেটা মতাদর্শগতভাবে অর্জন করার কাজ সেটা বলপ্রয়োগে অর্জন করা যাবে না।
৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:০৬
েপচাইললা বলেছেন: প্রথমেই বলে নিই,
আমি জামাত ও শিবিরের রাজনীতির সম্পূর্ণে বিরুদ্ধে।
কিন্তু গণতান্ত্রিক মতবাদের এই কান্ডারীর প্রবণতা দেখে আমি হতভম্ব।
একটা কমনীয় ছেলেকে দেখে তার এলটন জনের কথা মনে হয়েছে। একজন সুস্থ মানুষের এই মানসিকতা কতখানি কাম্য তা ভেবে দেখার বিষয়।
আমি যতদূর জানি তাতে আমাদের সমাজে এখঝনও এসব মানসিকতাকে অসুস্থ বলেই ধরা হয় আপনারা পরিবর্তনে বিশ্বাসী। সেজন্য শহীদ মিনারকে লেখেন শহিদ মিনার এবং বাংলা বানানের অবস্থা ছেড়াবেড়া করে ছেড়েছেন, ছাড়ছেন।
১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০৯
জাতেমাতাল বলেছেন: েপচাইললা- আমি দুঃখিত। আপনি আমার এলটন জন সংক্রান্ত মন্তব্যে আঘাত পেয়েছেন বলে। ঠিক আছে আমি বাক্যটি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।
শহিদ মিনার বানান আমার কাছে তো অশুদ্ধ মনে হয়না-- ফলে আগামীতে বাংলা বানানের ছেড়াবেড়া অবস্থার উন্নতির কোন প্রতিশ্রুতি দিতে পারছি নারে ভাই। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৪০
মুসান্না গালিব বলেছেন: জাতে মাতাল বলেই হয়তো নিজের অজ্ঞতা প্রকাশে কার্পণ্য করেন নাই। খোঁজ নিয়ে দেখেন, কারা গনতন্ত্র গনতন্ত্র জিকির তুলে ফ্যাসিবাদী চালাচ্ছে আর কারা গনতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তার চর্চা করছে। বাস্তবতা-বোধসম্পন্ন যে কোন শিবির-মতাদর্শ বিরোধীও অসংকোচে এ সত্যকে স্বীকার করে।
বি:দ্র: অবশ্য গনতন্ত্র বলতে যদি প্রতিপক্ষকে পেশী শক্তি দিয়ে দমন করা বুঝায়- তাহলে আমি মন্তব্যের জন্য দু:খিত।
১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২১
জাতেমাতাল বলেছেন: কারোরই গনতন্ত্রের নামে প্রতিপক্ষকে পেশী শক্তি দিয়ে দমন করা জায়েজ বুঝায় না।
শিবির এবং জামায়াত কেউই গনতন্ত্রকে তাদের আদর্শ বলে মানে না। আজ পর্যন্ত জামায়াত ১৯৭১ সালে নেওয়া তার রাজনৈতিক অবস্থানের কোন ব্যাখা দেয় নাই- এটা সে আজকে কীভাবে দেখে? আজও ঠিক মনে করে না ভুল মনে করে!!
আচ্ছা সুনির্দিষ্ট করে বলি। ২৫মার্চের রাত্রের নৃশংশতাকে সে কীভাবে এখন দেখে বা দেখেছিল? তার অবস্থান কি? রাজারবাগ, পিলখানা, ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের কেন্দ্রগুলো, সংখ্যালঘুদের ঘন আবাসস্হল, সাধারণ নিরস্ত্র জনগণ - কেউ বাদ যায়নি এই ফ্যাসিবাদী গণহত্যার মাতম থেকে। নিজের জনগণের বিরুদ্ধে এই অস্ত্রধারণ, খোদ রাষ্ট্রেরই সংঘটিত অপরাধ কি জায়েজ??
এমনকি পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষার জন্য তা হলেও??
দল হিশাবে ২৬ মার্চ বা এরপরে জামাত কী পাকিস্তান সরকার ও সামরিক বাহিনীর এই ফ্যাসিবাদী আচরনের বিরুদ্ধে নূন্যতম নিন্দা জানিয়ে একটা বিবৃতি দিতে পেরেছিল?
১০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৫১
বর্ণ. বলেছেন: ফালতু মিয়া নাম পরিবর্তন করুন। আপনি মোটেও ফালতু কথা বলেননি।
১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২৯
জাতেমাতাল বলেছেন: ফালতু মিয়া বলেছেন: জামাত শিবির অগণতান্ত্রিক শক্তি হতে পারে।
বর্ণ. বলেছেন: ..................... আপনি মোটেও ফালতু কথা বলেননি।
১১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:২০
এস্কিমো বলেছেন: পড়লাম।
১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২৫
জাতেমাতাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এস্কিমো, পড়ার জন্য......
১২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৩৯
১৯৭১ আমার চেতনা বলেছেন: ফালতু মিয়া হক কথা কইছে
১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩৩
জাতেমাতাল বলেছেন: ফালতু মিয়া বলেছেন: জামাত শিবির অগণতান্ত্রিক শক্তি হতে পারে।
১৯৭১ আমার চেতনা বলেছেন: ফালতু মিয়া হক কথা কইছে .........
১৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২৬
১৯৭১ আমার চেতনা বলেছেন: @জাতে মাতাল,
মুখে গণতান্ত্রের কথা বলেন! কাজ করেন অগনতান্ত্রিক!!
পেশী শক্তি দিয়ে শিবিরকে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়া কি গণতান্ত্রের নমুনা!!!
১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩৪
জাতেমাতাল বলেছেন: জামায়াত শিবিরকে সেদিন মোকাবিলা করার পদ্ধতি সঠিক ছিলো না, সে আত্ম-সমালোচনা আমরা উপলদ্ধি করি।
তবে কোন চিন্তা বাস্তবায়নে বলপ্রয়োগের ভুমিকা অসামান্য। ১৯৭০ এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশভাবে ভোট দিয়েও আমরা ক্ষমতায় যেতে পারিনি, শেখ মুজিবকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসাতে পারিনি, তবে আমাদের ক্ষমতার সপক্ষে একটা মতাদর্শগত আধিপত্ত্ব, নৈতিক ভিত্তি তৈরী করতে পেরেছিলাম মাত্র। পরে বলপ্রয়োগের ক্ষমতা যোগাড় ও অর্জন করে বাংলাদেশ হাসিল করেছিলাম। ফলে যেটা বলপ্রয়োগে অর্জন করার কাজ ওটা শুকনা কথার মতাদর্শগতভাবে অর্জন করা যাবে না, আর যেটা মতাদর্শগতভাবে অর্জন করার কাজ সেটা বলপ্রয়োগে অর্জন করা যাবে না।
১৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩৬
১৯৭১ আমার চেতনা বলেছেন: জাতেমাতাল@
আরে মিয়া, আগে নিজে লাইন ঠিক করেন
১৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৩৪
জাতেমাতাল বলেছেন: তার আগে আপনি ঠিক করেন--
*মানুষের তৈরী গনতান্ত্রিক সংবিধান,
*নাকি আল্লার আইন হিসাবে কুরানের সংবিধান-
লাইন হিসাবে কোনটা ঠিক করবেন??
১৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:২৯
ভূপর্যটক বলেছেন: আমার মন্তব্য বড় বলে একটা আলাদা পোষ্টে দিলাম। দেবার ষ্টাইলটা নিয়ে আপনার আপত্তি হবে কি না জানি না। এই পোষ্ট টা আমি লিখলে কেমন হত সেভাবে লেখা। আপনার কাঠামোটাকে বলতে পারেন এডিট করে লিখেছি। আশা করি কিছু মনে করবেন না। ধন্যবাদ।
Click This Link
১৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৩১
খালেদ সময় বলেছেন: জমাতের পোলাপান শিবির ক্যাডাররা কি আপনার ভাড়া ভাতে পানি ঢালছে
নাকি পায়র রগ কাটার চেষ্টা করছে।
তাদের উপর এত অভিমান কেন গো?
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪১
শঙ্খচীল বলেছেন: মুখে সবাই গনতন্ত্রের কথা, বলে বাস্তবে কতটুকু কে মানে ? শিবির কে কয়েকটি ইউনিভার্সিটিতে ব্যান করে রাখা হয়েছে। অথচ শিবিরের দাপট যেখানে সেখানে সব দল ই কাজ করে। কারা গনতন্ত্রে বিশশাস করে ! শিবির কে সবখানেই কাজ করতে দেয়া উচিত। অন্যথায় অনেক রক্ত ঝড়বে। শুধু শিবিরের ই নয়, অন্য পক্ষের ও ।