![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত কয়েক মাস ধরে আমরা দেশজুড়ে মাত্রাতিরিক্ত মাইকের ব্যবহারে প্রচণ্ড শব্দদূষণের শিকার হচ্ছি। বিশেষ করে ওয়াজ-মাহফিলসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাইকের ব্যবহার একধরনের সাংস্কৃতিক রূপ নিয়েছে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এর উপকারিতা নিয়ে আলোচনা হতে পারে, তবে আশপাশের অপরাধ ও নৈতিক অবক্ষয় দেখে মনে হচ্ছে—ওয়াজ-মাহফিল যত দ্রুত বাড়ছে, তার চেয়েও দ্রুতগতিতে অপরাধ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শুধু ওয়াজ-মাহফিল নয়, প্রতিদিন দোকান উদ্বোধন, মূল্যছাড়ের বিজ্ঞাপন, মৃত ব্যক্তির জানাজার ঘোষণা, হারানো গরুর খবর, রাজনৈতিক মিছিল-মিটিং—এসব কিছুতেই অতিরিক্ত মাইকের ব্যবহার ভয়াবহ যন্ত্রণা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সর্বশেষ, রমজানে সেহরির জন্য মধ্যরাতে উচ্চস্বরে মাইক বাজিয়ে সবাইকে জাগানোর প্রবণতা শুরু হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় ও অযৌক্তিক।
আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি, এই শব্দদূষণের ফলে অসুস্থ মানুষ, শিশু এবং সাধারণ জনগণের ওপর কতটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ে? আধুনিক যুগে প্রায় সবার হাতে মোবাইল ফোন ও অ্যালার্ম ঘড়ি রয়েছে—যারা রোজা রাখবেন, তারা নিজ উদ্যোগেই সময়মতো জেগে নিতে পারবেন। তাহলে এই অতিরিক্ত শব্দসন্ত্রাসের প্রয়োজন কী?
ধর্ম আমাদের শান্তি ও সহমর্মিতার শিক্ষা দেয়। তাই আসুন, অন্যের কষ্টের কথা চিন্তা করে সচেতনভাবে মাইকের ব্যবহার সীমিত রাখি। সভ্য সমাজে শব্দদূষণ কমিয়ে আনা প্রয়োজন, কারণ এটি শুধু বিরক্তিকর নয়, বরং মানবাধিকারের লঙ্ঘনও বটে।
সবার সুস্থতা ও বিবেকবোধের জাগরণের জন্য শুভ কামনা রইল।
২| ১৪ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:২৭
আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: ভয়াবহ দশা। ভোর রাত্রে মাইক ভাড়া করে রিক্সা নিয়ে লোকের ঘুম ভাঙ্গাতে আমি চল্লিশ বছরের জীবনে কখনো দেখিনি।
১৪ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৩
আলীনুর বলেছেন: গতরাত্রে আমার বাসার পাশের বাসার সামনে রিক্সায় করে মাইক নিয়ে এসে ডাকা-ডাকি করছে, তখন রাত ২-৪০ এর মতো হবে, মানে ৩টা তখনো বাজেনি। এই হলো পরিস্থিতি। একটি বারও চিন্তা করেনি ওই বিবেকবান মানুষটা যে এখানে কোন বাসায় শিশুও থাকে এবং আছে অসুস্থ রোগী। এই কোন সমাজ এই কোন মানুষ নামের জীবদের সাথে বসবাস করছি জানিনা। এরা আমার কাছে মানুষ কিনা সন্দেহ আছে আর ধর্ম তো অনেক পরে।
৩| ১৪ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:২৯
কামাল১৮ বলেছেন: মানুষ পাপ বেশি করছে তাই তাদের শওয়াবের প্রয়োজন।
৪| ১৫ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:০২
রাজীব নুর বলেছেন: ঢাকা শহরের মসজিদের অভাব নেই। একসাথে যখন সব গুলো মুসজিদের আযান শুরু হয়, আযানের সুমধুর সুরও কানে যন্ত্রনা দেয়।
৫| ১৫ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১:০৫
শায়মা বলেছেন: ছোটবেলায় মাইক আমার এক আনন্দের উপকরণ ছিলো সে যশোরের মেইন রাস্তা দিয়ে বয়ে চলা রিক্সাতে সিনেমাহলের সম্প্রচার হোক আর আমাদের ঢাকার বাসার সামনে দিয়ে কোনো মানুষের মৃত্যু সংবাদ হোক। আর ওয়াজমাহফিলে কান পেতে চিল্লিয়ে মজার মজার কথাগুলি ঠিক কি বলছে সে সব শোনাও ছিলো আমার এক মহানন্দের কাজ!
কিন্তু আজ সেই ছেলেবেলাও নেই আর নানা কাজ কর্ম দায়িত্ব বেদায়িত্বের মাঝে মাইকের চিল্লানী অসহ্য লাগে। আর সত্যিই এই মাইকের যন্ত্রনা হঠাৎ যেন বেড়ে গেছে মনে হচ্ছে। মাইকে সকাল নেই বিকাল নেই চিল্লানো যে পাবলিক নুইসেন্সের মাঝে পড়ে সেসব আমাদের দেশের লোকজন ভুলে গেলো নাকি!!!
৬| ১৫ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:৫২
নতুন বলেছেন: মাইক ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে।
ওয়াজে স্পিকার ব্যবহার করতে হবে যাতে শুধুই উপস্থিত মানুষই শুনতে পায়, এলাকার সবাইকে সোনানোর দরকার নাই।
আর আমাদের দেশেও জানালাতে দুই স্তরের গ্লাস দিয়ে জানালা বানানো চালু করতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:৩১
নতুন নকিব বলেছেন:
খুবই প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী আলোচনা। ধর্মীয় ও সামাজিক যে কোনো আয়োজনের ক্ষেত্রে সচেতনতা ও ভারসাম্য বজায় রাখা উচিত। মাইকের অতিরিক্ত ব্যবহার শুধু বিরক্তিকর নয়, এটি স্বাস্থ্য ও মানসিক প্রশান্তির জন্যও ক্ষতিকর। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের কথা বিবেচনা করে আমাদের আরও সংবেদনশীল হওয়া উচিত। আশা করি, সবাই এ বিষয়ে সচেতন হবে এবং শব্দদূষণ রোধে ভূমিকা রাখবে।