নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

people laugh at me becse i am different and i laugh at them because they all are same.

প্রতিটি আলোর গন্তব্য অন্ধকারে। তই অন্ধকার থেকেই আমার শুরু। আমি তোমার মত নই, আমি আমার মত। তাই আমিই আমার গুরু।

জেসন বেকার

আমি মূলত মিউজিক পাগল একজন মানুষ। নিঃসংগতা গ্রাস করলে, গীটারটাকে সঙ্গী বানিয়ে নেই। সেটা নিয়েই সময় কাটে। তবে বই পড়তে আর লেখা লেখি করতেও খুব ভালো লাগে। আমি একা থাকতে পছন্দ করি সবচেয়ে বেশী। নিজের সাথে নিজে কথা বলতে ভালোবাসি।

জেসন বেকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাম্প্রতিক সময়ে যেসব বাংলা ব্যান্ডের গান মনে ঝড় তুলে দিয়ে গেল

০৬ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:৫৬

ব্লগে এটাই আমার প্রথম পোষ্ট। লেখালেখি প্রচুর করলেও, ব্লগ লিখিনি কখনো। তাই প্রথম পোষ্টে অবাঞ্ছিত কিছু লিখে ফেললে, আমি দুঃখিত, আগেই বলে নিচ্ছি।

:D







বাংলাদেশের ব্যান্ড নিয়ে টুকটাক লিখার ইচ্ছে ছিল অনেকদিন আগে থেকেই। কিন্তু প্রথম পাতায় অ্যাকসেস পাচ্ছিলাম না। আজ পেলাম, তাই ভাবলাম আজই লিখে ফেলি।



বাংলাব্যান্ড – শব্দটি এখন সাধারণ শ্রোতাদের কাছে একটি বিরক্তিকর শব্দ। শুনলেই মনে হয়, এই যে শুরু হল, হাবিজাবি ভারী ভারী শব্দ আর দ্রিম দ্রিম টাইপের আওয়াজ, সেই সাথে কানের বাজলো বারোটা। এল আর বি, জেমস, হাসানের আমলে বাংলা ব্যান্ড ততটা জনপ্রিয় না হলেও ব্যান্ডের একটা গ্রহনযোগ্যতা সাধারণ মানুষের কাছে ছিল। এখন সেই গ্রহনযোগ্যতা সাধারণ মানুষের কাছে তেমন একটা নেই। এখন মিউজিকটা মিউজিশিয়ানদের মাঝেই সীমাবদ্ধ কিংবা যেসব শ্রোতারা ইংলিশ গান অতিরিক্ত শোনেন তাদের কাছে হয়তো বর্তমান বাংলা ব্যান্ড মিউজিকের গ্রহনযোগ্যতা আছে। আমি জানি অনেকেই আমার এই কথাগুলোর বিরোধীতা করবেন। বলবেন, ব্যান্ড মিউজিকে এখন বিপ্লব চলছে। চলছে না, তা বলব না। তবে সেই বিপ্লব কিন্তু মিউজিশিয়ানদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।



কথাগুলো শুনে মনে হতে পারি আমি মনে হয় শুধু জেমস, এল আর বি, মাইলস ইত্যাদির গানই শুনি,বর্তমান ব্যান্ডদের গান শুনি না। ব্যাপারটা তা নয়। আর্টসেল, ব্লাক, নেমেসিস, অর্থহীন, পাওয়ার সার্জ, রেডিও অ্যাকটিভসহ সবই আমার ভালো করে শোনা। কিছু কিছু গান গীটারে তোলাও আছে। প্রথম এসব গান অসম্ভব ভালো লাগতো, সারাদিন শুনতাম। হঠাত করে খেয়াল করলাম, জিনিসগুলোতে কেমন যেন এক ঘেয়েমি চলে এসেছে। প্রতিটা গান শোনার পর মনে হচ্ছে ঘুরে ফিরে সেই একই জিনিস যেটা এল আর বি, মাইলসের গানে ছিল না। তাই আস্তে আস্তে বাংলা ব্যান্ড শোনাই ছেড়ে দিয়েছিলাম।



কিন্তু বাংলা ব্যান্ড থেকে দূরে থাকতে পারলাম কই? কিছু গান আবার আমাকে ফিরিয়ে আনলো। গানগুলো আমার কাছে সাধারণের মধ্যে দারুন অসাধারণ কিছু মনে হয়েছে। সেই গানগুলো নিয়েই এই পোষ্ট। ভাবলাম গানগুলো শেয়ার না করলে বিরাট অন্যায় হয়ে যাবে।



১.



গানঃ আজ রাতে কোন রুপকথা নেই

ব্যান্ডঃ ওল্ড স্কুল

ডাউনলোড লিংক ঃ আজ রাতে কোন রুপকথা নেই









বিবরণঃ গানটি শুনলে মনে হবে ফোক গান জাতিয় কিছু। গানে ড্রামসের বদলে তবলা ব্যবহার করা হয়েছে। গানটির সবচেয়ে শক্তিশালী দিক হচ্ছে লেইরিক্স আর ভোকাল। ব্যান্ডটির ভোকাল হচ্ছেন “মোবাসসের”। তিনি নর্থ সাইথ ইউনিভার্সিটিতে পড়ছেন। এই গানটিতে ভোকালের নৈপূন্য দেখলে হতবাক না হয়ে পারা যায় না। গলার আপ-ডাউনগুলো দারুন বিস্ময়কর যা প্রফেশনালী ট্রেইন্ড ভোকাল ছাড়া গাওয়া অসম্ভব। গানটিতে অন্যান্য ইন্সট্রুমেন্টের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে অ্যাকোষ্টিক গীটার, মাঝখানে ছোট-খাট একটা লীড গীটারের পার্টও আছে। আর লিরক্সটা এ সব কিছুকেও ছাড়িয়ে গেছে। এই গানটিকে বাংলা ব্যান্ডের জগতে একটা বিপ্লবের মত মনে হয়েছে আমার কাছে। তবে ইন্সুট্রুমেন্টালী তেমন আহামরী কিছু নেই গানটিতে।



২.



গানঃ কবে

ব্যান্ডঃ নেমেসিস

ডাউনলোড লিংক ঃ কবে (অফিসিয়াল ভিডিও)







বিবরণঃ গানটি অবশ্য খুব বেশী ইউনিক কিছু না, অনেকটা গতানুগতিক ধারার গানই, গানটিতে ব্লাক (Black) ব্যান্ডের এর কিছুটা প্রভাব রয়েছে। তারপরও কেন এখানে দিলাম গানটি? কারণ হচ্ছে, গানটিতে ভোকালের অংশটি সত্যিই আলাদা কিছু। পুরো গানটি ভোকাল একাই নিয়ন্ত্রন করেছেন। গানের আপ-ডাউনের জন্য সাধারণত ইন্সট্রুমেন্ট দিয়ে ভোকালকে একটা প্লাটফরম বানিয়ে দেয়া হয়, কিন্তু এই গানটা শুনলে মনে হবে গানটা ভোকাল একাই টেনে নিয়ে যাচ্ছে। গানটি নেমেসিসের বেশ আলোচিত একটি গান।



৩.



গানঃ সাদা তুলির আচর

ব্যান্ডঃ টিয়ারস অফ সাইলেন্স

ডাউনলোড লিংক ঃ



@ সাদা তুলির আচড় (গিটার অনলী)



@ সাদা তুলির আচড় (কমপ্লিট)







এটি অনেকটা পপ ধাচের গান। লিরিক্স আর ভোকালও পপ ধাচেরই অনেকটা। ব্যান্ডের স্বাদ অনেকটাই অনুপস্থিত। তবে যে জিনিসটি গানটিকে গতানুগতিক ধারার বাইরে নিয়ে গেছে তা হচ্ছে এ্যাকোস্টিক গীটার। পুরো গানটিই এ্যাকোস্টিক গীটার নির্ভর, সাথে কিবোর্ডের ব্যাক আপ আছে এবং শুনতে অনেক টাচি। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ব্যান্ডের ফেসবুক পেজে গানটির দুটো ভার্সন পেয়েছি আমি। একটা অ্যাকোষ্টিক দিয়ে করা পুরোটাই। সেটার লিংকও দিয়ে দিলাম।



৪.



গানঃ ফেলানী

ব্যান্ডঃ শহরতলী

ভিডিও এর লিংকঃ ফেলানী (ভিডিও)









এই গানটির লিরিক্স শুনে আমার রক্তে এক ধরনের উন্মাদনা অনুভব করেছিলাম। মাঝখানে কিছু কবিতার আবৃতি আছে, সেটা শুনে সত্যিই আমি অনেকক্ষন থমকে ছিলাম, কবিতাটি রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লার “বাতাসে লাশের গন্ধ” কবিতার অংশ বিশেষ। গানটি শোনা শেষ হওয়ার সাথে সাথে লিরিক্সটি যিনি লিখেছেন তার প্রতি অসম্ভব শ্রদ্ধা আসছিল। অনেক অনেক শক্তিশালী একটি লিরিক্স আর গায়কের গলাও অসাধারন।



আরো কয়েকটি গান আমার অসম্ভব ভালো লেগেছে তবে সেগুলোর ডাউনলোড লিংক আমি কালেক্ট করতে পারিনি। ডাউনলোড লিংক পেলেই সেগুলোও শেয়ার করার চেষ্টা করব।



আজকে প্রথম পাতায় অ্যাকসেস পেয়ে দারুন ভালো লাগছে। তারচেয়েও বেশী ভালো লাগছে গানগুলো শেয়ার করতে পেরে।



মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:০৫

বিডি আইডল বলেছেন: এদের কারো গানই শোনা হয় নি :(

০৬ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:২১

জেসন বেকার বলেছেন: ব্রাদার সত্যি বলছি, এই গানগুলো না শুনলে মিস করবেন দারুন। এইগানগুলো শুনে আমার কাছে মনে হয়েছে আমরা অনেকদুর এগিয়ে গেছি মিউজিকে।

শোনার অনুরোধ রইল। স্পেশালী ওল্ড স্কুল, আর টিয়ারস অফ সাইলেন্সের গান দুটো সত্যিই আলাদা কিছু।

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:১১

শফিউল আলম চৌধূরী বলেছেন: ওল্ড স্কুলরে ভাল লাগত। কিন্তু বিশেষ কিছু কারণে ওরা আর ব্যান্ডটা কন্টিনিউ করবে না শুনে খারাপ লাগে। :(

০৬ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৪৩

জেসন বেকার বলেছেন: বলেন কী? শীট! বাংলাদেশে এই এক সমস্যা। সবাই আসলে শখের মিউজিক করে। কিছু একটা হলেই হুট করে ছেড়ে দেয়। শ্রোতার কথা আর ভাবেনা।

৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:১২

মিলটন বলেছেন: তবে আমার রুচীটা একটু ভিন্ন। আমি এখনও সেই ৯০ দশকের ব্যান্ডগুলোর গান শুনে রোমাঞ্চিত হই। তথনকার অবসকিউর, ডিফারেন্টাচ থেকে শুরু করে হাসান, জেমস, বাচ্চুদের গানই আমার ভালো।

তবে ইদানিংকালের গড়ে উঠা ব্যান্ডগুলো কথা সুর তাল কোনটাই আমার ভালো লাগেনা। তবে ইদানিং কিছু সলো শিল্পী আছেন যারা অদ্ভুত কাজ করছে।

আমি মনে করি বাংলাদেশে ব্যান্ডের ঝান্ডা জেমস, বাচ্চুদের সময় পর্যন্তই। তারপরে যেগুলো এসেছে সেগুলোর গান হয়ত কেউ কেউ শুনছে তবে তাদের কথা কেউ মনে রাখবে না। তাদের সুরে হয়ত ভেরিয়েশন আছে কিন্তু আমার মনে হয় না যে হালজামানার ব্যান্ডগুলোর সুর বেশীদিন লাষ্টিং করবে।

০৬ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:২৩

জেসন বেকার বলেছেন: এই পোষ্টটি আপনার জন্যই তাহলে। এখানে আপনি সেই হারানো দিনের ছোয়া কিছুটা হলেও পাবেন। কমপক্ষে ওল্ড স্কুল, আর টিয়ারস অফ সাইলেন্সের গান দুটোতে তো পাবেনই। আর নেমেসিসের গানটা আপনি একটু চেচামেচি শুনতে অভ্যস্ত না হলে ভালো নাও লাগতে পারে। আর শহরতলীর গানটার লিরিক্স আর কবিতার আবৃতিটা শোনের। আর কিছু লাগবেনা।

৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:১৩

সেভেরাস স্নেইপ বলেছেন: ওল্ড স্কুল এবং শহরতলী'র দেওয়া গান দুটো সত্যি অসাধারণ। নেমেসিস আর টিয়ারস অফ সাইলেন্স এর গান দুটি শীঘ্রই শুনবো আশা করি।

প্রথম পোস্ট হিসেবে অতি চমৎকার লিখেছেন সেটা বলতেই হবে। ভবিষ্যতে আরো আরো ভালো লেখা আশা তো করাই যায়!! :) :) পোস্টে প্লাস।

ওহ লিংকগুলো আরেকটু চেক করে দেখার অনুরোধ রইলো।

০৬ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:২৮

জেসন বেকার বলেছেন: একটা গানের লিংকটা আসছে না ক্লিক করলে। ধন্যবাদ বিষয়টি বলার জন্য। আমি ঠিক করছি।

আপনার মন্তব্য শুনে দারুন ভালো লাগছে

০৬ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৪৪

জেসন বেকার বলেছেন: ব্রাদার লিংকগুলো ঠিক করে দিয়েছি। :)

৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:১৬

বাউন্ডুলে একতারা বলেছেন: আচ্ছা নেমসিস এর গানটা কি " কবে যাব ফিরে বুরিগঙ্গার তীরে " ?

০৬ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৪৫

জেসন বেকার বলেছেন: না ভাই, লাইনটা হচ্ছে, "কবে কথাগুলো গাব সুরে"

৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:১৭

ফথরুল বলেছেন:
গানঃ কবে
ব্যান্ডঃ নেমেসিস
গানঃ ফেলানী
ব্যান্ডঃ শহরতলী
এ দুটা শুনা আছে, আর বাকি গুলোর জন্য ধন্যবাদ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৪৫

জেসন বেকার বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। তবে এই পোষ্টের সবচেয়ে শক্তিশালী গান কিন্তু "আজ রাতে কোন রুপ কথা নেই"। সেটি মিস করবেন না ভুলেও।

৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৫৪

সাকিল আল মামুন বলেছেন: tears of silence ganta to khub i shundor, ami onek din pore ekta valo gaan shunlam, apnake donnobad.

০৬ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:০৩

জেসন বেকার বলেছেন: হ্যা, একদম ঠিক বলেছেন। টিয়ারস অফ সাইলেন্সের এই গানটা সত্যিই বাংলা ব্যান্ডে নতুন একটা ধারা যোগ করেছে। খালি এ্যাকোষ্টিক দিয়ে এত সুন্দর কম্পোজিশন ভাবাই যায় না।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৫৫

জন রাসেল বলেছেন: Brother we are honored.

টিয়ারস অফ সাইলেন্স আমার ব্যান্ড। আমি টিয়ারস অফ সাইলেন্সের ভোকালিস্ট। এত বড় বড় ব্যান্ডেগুলোর পাশে আমাদের গানটা শেয়ার করেছেন, এটা ভেবেই দারুন শিহরিত হচ্ছি। অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ। পোষ্ট প্রিয়তে। আমাদের পরের গানটি নিয়ে আমার একটা পোষ্ট আছে। শুনে দেখবেন অবশ্যই।

০৬ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:০৮

জেসন বেকার বলেছেন: ও মাই গড !!! আপনি টিয়ারস অফ সাইলেন্সের জন রাসেল ভাই !!! আপনার নিকটা আমি আগেও ব্লগে দেখেছি, বিভিন্ন পোষ্টে আপনার কমেন্ট দেখেছি কিন্তু, একবারও মনে হয়নি কথাটা যে আপনি রিয়েলি সেই ব্যান্ডের ভোকাল। আমি তো ভাবতেই পারছিনা আপনি আমার ব্লগে? তাও আমার প্রথম পোষ্টে আপনার কমেন্ট !!!

ব্রাদার, আজকে দিনটা আমার অনেক লাকি। টিয়ারস অফ সাইলেন্সের "সাদা তুলির আচড়" শোনার পর আমি পুরা পাগল হয়ে গেছিলাম। কতবার শুনেছি গানটা হিসাব নেই।

আপনার ব্লগ থেকে আমি আপনাদের সব গান এখুনি নামাচ্ছি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মাঝে মাঝে সময় পেলে আমার ব্লগে এসে একটু ডু মেরে যাবেন ভাইয়া, প্লিজ।

৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:০১

তূর্য হাসান বলেছেন: @ মিলটন এর সঙ্গে সহমত

আর হ্যাঁ, আজ রাতে কোন রুপকথা নেই ভালা লাগল। ধন্যবাদ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:০৯

জেসন বেকার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

হ্যা, ওল্ড স্কুলের এই গানটির উপরে কোন কথা নেই। সেরাদের সেরা।

১০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:১৩

কাব্য সৈনিক বলেছেন: প্রথমেই জানাই অভিনন্দন । আপনার লেখা পেয়ে আমি একটি গান লোড দিয়ে শুনা শুরু করলাম ভালই লাগছে । :) :)

০৬ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:২১

জেসন বেকার বলেছেন: সবগুলো নামান ভাইয়া। ভালো লাগবে শিওর। খালি নেমেসিসের গানটা একটু চিল্লাফাল্লা বেশী। তাও আশা করি ভালো লাগবে। আর বাকিগুলো শুরু থেকে শেষ অবধি মাইন্ড ব্লোয়িং।

ধন্যবাদ। :) :) :)

১১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:১৩

কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: প্রথম পোস্ট, ভাবাই যায় না। দারুণ লেখা আর একি সাথে বলতেই হবে চমতকার একটী সাবজেক্ট বেছে নিয়েছেন লেখার জন্য। পোস্টে +++++

তবে খুব স্বাভাবিক ভাবেই আপনার প্রথম প্যারার মতামতের সাথে একমত হতে পারলাম না। এখন বাংলা ব্যান্ড বলে কিছু আছে কিনা সেইটা জানতে হলে রীতিমত গবেষণা করতে হয়, এবং করার পর কিছু অসাধারন গান বের হয়ে আসে, যেমন- রূপকথা ।

কিন্তু বাংলা ব্যান্ডের সময়কালের ঠীক আগের ফেজ টার কথা মনে করে দেখুন, কি উন্মাদনা টাই ছিল !! কোন কালের কোন মুরুব্বিই ব্যান্ড সঙ্গীত পছন্দ করতেন না, সুতরাং তাদের কথা না ধরলেও চলবে।

০৬ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:১৭

জেসন বেকার বলেছেন: আসলে ব্যাপারগুলো অ্যাবসোলুট কিছু না তো, তাই মতের পার্থক্য রয়েই যায়। তবে আপনার মন্তব্যকে অবশ্যই আমি শ্রদ্ধা করি।

আমি আসলে বলতে চেয়েছি আগের গানগুলোর কম্পোজিশন অনেক সহজ সরল ছিল। দুইতিনটা গতানুগতিক কর্ড দিয়েই বেশীর ভাগ গান করে ফেলা হত তবু গানগুলো হত অনেক বেশী আবেগ নির্ভর। আর এখনকার গান অনেক উচু লেভেলের গ্রামার আনতে গিয়ে কিংবা গীটারে কঠিন কঠিন সলো বাজাতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে সেই আবেগ হারিয়ে যাচ্ছে। এখন ভেবে দেখুন, একজন সাধারণ শ্রোতা কি গ্রামার বুঝে? সে কি বুঝবে, আপনি খুব উচু মানের কিছু বাজাচ্ছেন কিনা? তাই আগের ব্যান্ডগুলোর মত এখনকার ব্যান্ডগুলো সেদিকে গুরুত্ব দিলে আরো অনেক ভালো আউটপু্ট আসতো বলে আমার মনে হয়।

আপনি আমার পোষ্টের ১ আর ৩ নাম্বার গানদুটো শুনুন। গানগুলোতে দুই-তিনটা অতি সাধারণ কর্ডে করা যেগুলোকে বর্তমান সময়ের মিউজিশিয়ানরা "সস্তা কর্ড" বলে। তবু আমি বলব, এই সস্তা কর্ডে গানগুলোর মত রিচ গান বাংলা ব্যান্ডে এখনো হয়নি আর।

আপনি বলেছেন "মুরুব্বিই ব্যান্ড সঙ্গীত পছন্দ করতেন না, সুতরাং তাদের কথা না ধরলেও চলবে।" হ্যা আমি একমত। একটা গোষ্ঠির কাছে ব্যান্ড মিউজিক কোনদিনই গ্রহনযোগ্যতা পাবেনা।

ধন্যবাদ আবারো, বিশ্লেষনধর্মী মতামতের জন্য।

১২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৪০

আফসিন তৃষা বলেছেন: দারুণ :)

০৬ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:১৯

জেসন বেকার বলেছেন: আপনার কমেনটি ছোট একদম, তবে দারুন। :)

গানগুলোও কিন্তু দারুন। শুনতে ভুলবেন না যেন।

১৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৪৯

দুরে গিয়া মর . বলেছেন: মচতকার পোষ্ট :-B

০৬ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:১৯

জেসন বেকার বলেছেন: থ্যাংকু :):):)

১৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৩৩

রুম৭৪ বলেছেন: "ওল্ড স্কুল, আর টিয়ারস অফ সাইলেন্সের গান দুটো সত্যিই আলাদা কিছু।" আমারও তাই মনে হয়েছে। অনেকদিন পরে নতুন ব্যন্ডের গান শুনলাম।

০৭ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:১৩

জেসন বেকার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ব্রাদার। প্রথম পোষ্টটা অনেকেরই ভালো লেগেছে দেখে আমার খুবই ভালো লাগছে। আমি আরো কিছু বাংলা ভালো অথচ অপরিচিত গান নিয়ে পোষ্ট দেব।

১৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৪৮

লিন্‌কিন পার্ক বলেছেন: ওল্ড স্কুলের রূপকথা গানটার ভোকালটা অসাধারণ । আর টিয়ারস অফ সাইলেন্সের ভোকালিস্ট যে ব্লগেরই একজন তা জানতাম না !!

০৭ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:১৬

জেসন বেকার বলেছেন: হ্যা, মোবাসসের ভাই অসাধারণ ভোকাল। গানটা এতটা অসাধারণ হওয়ার পেছনে উনার ভূমিকাই মূখ্য।

আর জন রাসেল ভাইয়ের ব্যাপারটা আমিও জানতাম না। উনার ব্লগে গিয়ে উনার কিছু পোষ্ট দেখে শিওর হলাম। ভালোই লাগছে, ব্লগে এসে দারুন সব মানুষদের পেয়ে যাচ্ছি।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:২২

কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: জেসন ভাই, আপনার কথা ঠিক, তবে আমি কিন্তু টেকনিক্যাল ব্যাপার গুলো নিয়ে কিছু ভাবিনি, কারন আমি একজন সাধারন শ্রোতা। তাই আমার কাছে বিবেচ্য বিষয় হোল, জনপ্রিয়তা, উন্মাদনা কিম্বা যাই বলুন না কেন।

বেশ কয়েক বছর আগেও ঈদে সব গুলো রাস্তার মোড়ে এবি, জেমস, হাসান কিম্বা মাইলস, ফিডব্যাক অথবা আরো আগের সব জনপ্রিয় ব্যান্ড শিল্পি দের গান সারাদিন বাজতেই থাকতো। আর এখন? আবার অই সস্তা হিন্দি গানই ভরসা (!!)

এটা একটা ক্ষুদ্র উদাহরন মাত্র। বামবা যখন কনসার্ট করতো, সেই সময়ের তরূন দের মনে কি উন্মাদনা টাই না জেগে উঠতো !!

যাই হোক, জনপ্রিয়তার মাপকাঠী নিয়ে বিতর্ক সব সময়ি থাকে।

আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা।

০৭ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:২০

জেসন বেকার বলেছেন: এখন? আবার অই সস্তা হিন্দি গানই ভরসা (!!)

ভাই, একদম সত্য কথা বলেছেন। আমার দুঃখটা এখানেই। বাংলাদেশের অনেকেই দেখি বাংলা মিউজিককে নিয়ে বাজে মন্তব্য করে এবং হিন্দিকে সেরা বলে। খুবই দুঃখ লাগে এই ব্যাপারটা। একজন আর্টিস্ট ২-৩ বছর টানা পরিশ্রম করে একটা অ্যালবাম বের করে অথচ কেউ শোনে না। আর হিন্দি ছবির গানগুলো দেখা যাচ্ছে ইংলিশ, চায়নিজ ইত্যাদি ভাষার গানগুলো থেকে কিছু কিছু মিউজিক নিয়ে সফটওয়্যার দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে প্রতিদিন ১০০ টা করে গান বানাচ্ছে। পাব্লিক মূর্খের মত সেগুলোই খাচ্ছে গপগপ করে।

বাংলাদেশের গান, কালচার, সাহিত্য এগুলো নিয়ে কেউ কমেন্ট করলে আমার দারুন কষ্ট লাগে। তবু প্রতিদিন শুনতে হয়।

আপনাকে অসংখ্যা ধন্যবাদ চিন্তাধারা শেয়ার করার জন্য।

১৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:২৫

অদম্য১২৩৪ বলেছেন: প্রিয়তে

০৭ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:২২

জেসন বেকার বলেছেন: প্রিয়তে নিয়ে যাচ্ছেন? তাহলে তো প্রথম পোষ্ট পুরোটাই হিট হয়ে গেল।

:D :D

১৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৩৩

কবি ও কাব্য বলেছেন: প্রথমে বাংলা গান বিষয়ক পোস্ট দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানাই।
বাংলা ব্যান্ড সঙ্গীতে আমরা আজ যতটা এগিয়েছি তাঁর চেয়েও বেশি এগিয়ে ছিলাম গত ৯০ দশকে। বাংলা ব্যান্ড সঙ্গিতের স্বর্ণযুগ বলতে এখনও সেটাই রয়ে গেছে। এখনকার ব্যান্ড গুলোর গান এর মাঝে ২০ টা শুনলে একটা ভালো লাগে আর তখন ২০ শুনলে ১৮/১৯ টাই ভালো লেগে যেতো। তাঁর কারন আগের শিল্পীদের যেমন শ্রোতাদের প্রতি একটা দায়বদ্ধতা ছিল তেমনি শ্রোতাদেরও শিল্পিদের প্রতি দায়বদ্ধতা ছিল যার এখন কিছুই নেই। শিল্পীরা জানে তাদের গান যতই ভালো হোক শ্রোতারা ফ্রি সংগ্রহ করবে আর শ্রোতারাও জানে যখনই বাজারে অ্যালবাম আসবে তখনই ফ্রি পাওয়া যাবে। পয়সা দিয়ে কিনতে হবেনা। তাই গানগুলো এখন আর আগের মতো বছরের পর বছর টিকে থাকেনা।
বাংলা গান নিয়ে কাজ করছি অনেকদিন ধরে এবং বাংলা গান শুনছিও সম্ভবত যে কারো চেয়ে অনেক অনেক বেশী যা নিয়ে এখন একটা বিপ্লব ঘটানোর অপেক্ষায় আছি। বাংলা ব্যান্ড এর গান সম্পর্কে প্রচুর তথ্য ও সংগ্রহ পেটে চাইলে আমার ব্লগে একবার সময় নিয়ে ঘুরে আসার আমন্ত্রন রইলো, আশা করি নিরাশ হবেন না।

১০ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:৫৮

জেসন বেকার বলেছেন: ধন্যবাদ। আমি ব্লগে একটু ইরেগুলার। তবে আপনার ব্লগে অবশ্যই যাব। গান বিষয়ে জানতে এবং জানাতে আমার অনেক ভালো লাগে।

"আগের শিল্পীদের যেমন শ্রোতাদের প্রতি একটা দায়বদ্ধতা ছিল তেমনি শ্রোতাদেরও শিল্পিদের প্রতি দায়বদ্ধতা ছিল যার এখন কিছুই নেই। শিল্পীরা জানে তাদের গান যতই ভালো হোক শ্রোতারা ফ্রি সংগ্রহ করবে আর শ্রোতারাও জানে যখনই বাজারে অ্যালবাম আসবে তখনই ফ্রি পাওয়া যাবে। পয়সা দিয়ে কিনতে হবেনা। তাই গানগুলো এখন আর আগের মতো বছরের পর বছর টিকে থাকেনা।"

চরম হতাশাজন তবু দারুন সত্যি একটি কথা বলেছেন।

১৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৯

সেলিব্রেটি ব্লগার বলেছেন: সাদা তুলির আচরে, নীল শাড়ির আচলে
একেছি তোমায় এই মনে
রংধনুর রংয়ে, স্বপ্নীল এইক্ষণে
রেখেছি তোমায় গোপনে।

তুমি কাছে এসেছ, ভালোবেসেছ
রেখেছ আমায় জড়িয়ে।

স্বপ্ন হয়েও চলে গেছ
ভাবনা জুড়ে তুমি আছ
তুমি প্রথম সকাল, তুমি ভোরের কুয়াশা
হয়ে আমায় ছুয়েছ

অন্তরালেও তোমার ছবি
অশ্রু দিয়ে একে চলি
তুমি প্রথম উষ্ণতা, তুমি একরাশ শুভ্রতা
হয়ে আমায় ছুয়েছ।

টিয়ারস অফ সাইলেন্সের অসাধারণ একটি গান B-) গানের প্রতিটা লাইন আমার হৃদয় ছুইয়ে গেছে :#>

ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য ;)

১০ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:০৩

জেসন বেকার বলেছেন: আমারো ছুয়ে গেছে। অসম্ভব স্নিগ্ধ একটি গান। প্রথম গানটা শুনেছিলাম এক ফ্রেন্ডের মোবাইলে। শুনে তো পুরা মাথা নষ্ট। পরে ব্যান্ডের ফেসবুক পেজে গানটির ডাউনলোড লিংক পাই। নামিয়ে কতবার শুনেছি হিসাব নেই। কিন্তু গানের লীডটা এখনো ঠিক মত বাজাতে পারি না। :(:(:(:(

তবে এই পোষ্টের অন্যান্য গানগুলোও কিন্তু অসাধারন।

২০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ২:২৫

অসাদুল ইসলাম বলেছেন: শহরতলির গান গুলো আসলেই অসাধারণ।
View this link

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৩৬

জেসন বেকার বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.