নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার পরিচয় আমি মানুষ

জু েয়ল

জু েয়ল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আবু জাহল (আমর ইবনে হিশাম)

২৭ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৮


আমর ইবনে হিশাম আবু জা ঃ
আমর ইবনে হিশাম (আরবি: عمرو إبن هشام‎, প্রতিবর্ণী. Amr ibn Hishām‎; ৫৫৬ – ১৩ মার্চ ৬২৪), ধ্রুপদী আরবিতে উমর ইবনে হিশাম, এছাড়াও উপাধিগত দিক থেকে আবু আল-হাকাম (আরবি: أبو الحكم‎‎) অথবা আবু জাহল (আরবি: أبو جهل‎‎) হিসাবেও ডাকা হয়, ছিলেন মক্কার একজন বহুঈশ্বরবাদী পৌত্তলিক বা মূর্তিপূজারী কুরাইশ নেতা, ইসলামের নবী মুহাম্মাদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও মক্কার প্রাথমিক মুসলমানদের ব্যপক বিরোধিতার জন্য তিনি পরিচিত। নবী মুহাম্মদ নবুয়াত ও ইসলাম প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই তিনি ইসলামের ঘোর বিরোধিতা ও ইসলামী অনুসারীদের অকথ্য নির্যাতন শুরু করেন।
জন্ম-৫৫৬ খৃঃ
জন্মস্থান-মক্কা, হেজাজ(বর্তমানে সৌদি আরব)
মৃত্যু-১৩ মার্চ ৬২৪খৃঃ, বদর, হেজাজ, আরব।
মৃত্যুর কারণ-বদর যুদ্ধে শিরশ্ছেদ।
পরিচিতির কারণঃ ইসলামের নবী মুহাম্মাদের বিরোধিতা, কুরাইশদের নেতা।
দাম্পত্য সঙ্গীঃ মুজালিদা বিনতে আমর, আরওয়া বিনতে আবি আল-আস
সন্তানঃ
*ইকরামাহ
*জাহারা
*তামিমি
*শাখরা
*আসমা
*জামিলা
*উম্মে হাকিম
*উম্মে সাঈদ
*জুয়াইরিয়া
*হুনফা
*উম্মে হাবিব।

তিনি উমর ইবনে আবু রাবিয়াহর ভাই এবং উমর ইবনুল খাত্তাব এর মামা। তিনি মুহাম্মাদ সঃ এর অন্যতম ঘোরবিরোধী এবং ইসলাম ও মক্কার প্রাথমিক মুসলমান বিরোধীদের প্রথম সারির পতাকাবাহী। ইসলাম তাকে এতো দূর্ভাব ও শত্রু হিসাবে দেখে যে মুহাম্মাদ সঃ তাকে "এই উম্মতের ফেরাউন" উপাধি দিয়েছিলেন,। মুহাম্মাদ সঃ বলেন, “যে আবু জাহলকে 'আবু হাকাম' বলে ডাকে সে মারাত্মক ভুল করেছে। এজন্য তাঁর উচিত আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।

সাধারণ ভ্রান্ত ধারণার বিপরীতে ইবনে হিশাম মুহাম্মাদ এর চাচা ছিলেন না (যেমন আবু লাহাব ছিলেন) বা অন্যকোনো রক্তের আত্মীয়। মুহাম্মাদ (সঃ) কুরাইশ বংশের বনু হাশিম গোত্রের এবং ইবনে হিশাম কুরাইশের বানু মাখজম গোত্রের। আমর ইবনে হিশাম আসাদ আল-আহলাফ নামেও পরিচিত ছিলেন, কারণ তিনি বিরোধী দলগুলোর সিংহ ছিলেন, যারা ইসলাম ও মুহাম্মাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার শপথ করেছিলেন।

আবু জাহল মুয়াউয়াজ ইবনে আফ্রি এবং মুয়াদ ইবনে আমর ইবনে আল জামুহ কর্তৃক গুরুতরভাবে আহত হন এবং অবশেষে ৬২৪ সালের ১৩ ই মার্চ বদরে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাবস্থায় আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ কর্তৃক নিহত হন।

নাম ও উপাধি সমূহ
সম্পাদনা
তাঁর উপাধিটি ছিল "আবু আল-হাকাম" (أبو الحكم; আক্ষরিক অর্থে "জ্ঞানী বিচারের জনক") কারণ তিনি গভীর জ্ঞানের মানুষ হিসাবে বিবেচিত ছিলেন, কুরাইশের প্রবীণ নেতাদের মধ্যে দক্ষতা ও উপলব্ধির জন্য তারা তাঁর মতামতকে বিশ্বাস করেতেন এবং তাদের সভার একজন অভিজাত সদস্য হিসাবে তারা তাঁর উপর নির্ভর করতেন। এমনকি ত্রিশ বছর বয়সেই তিনি দার-আন-নাদ্বায় অনুষ্ঠিত একটি বিশেষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন, যে বাড়ি হাকিম ইবনে হিজামের মালিকানাধীন, যদিও এই গোপন সম্মেলনে প্রবেশের বয়স ছিল কমপক্ষে চল্লিশ বছর।

‘আমর ইবনে হিশাম মুহাম্মাদ এর প্রতি কঠোরভাবে শত্রুতা প্রদর্শন করেছিলেন এবং তাঁর বাণী প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। অতএব মুহাম্মাদ তাকে "আবু জাহল" (أبو جهل; আক্ষরিক অর্থে "অজ্ঞতার জনক") হিসাবে উল্লেখ করেছেন। আমর ইবনে হিশামকে তাঁর মায়ের দিক থেকে "ইবনে আল-হানাজালিয়া"ও ডাকা হতো।

তথ্যসূত্র ঃ উইকিপিডিয়া।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রসূল (সা) ইসলামকে শক্তিশালী করার জন্য আল্লাহর কাছে হজরত ওমর কিংবা আবু জেহেল যে কোন একজনকে চেয়েছিলেন। আল্লাহতায়ালা হজরত ওমরকে ইসলামের জন্য কবুল করেন।

২| ২৭ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৪০

ধুলো মেঘ বলেছেন: @ সাড়ে চুয়াত্তর, রসূল (সা) কেন দুইজনকেই চাইলেন না? তাহলে তো ইসলাম আরো শক্তিশালী হত, আবু জাহলও বেঁচে যেত।
রাসূল (স) কি আল্লাহ্‌র কাছে সবকিছু চাইলেই পেয়ে যেতেন? তাহলে জীবনভর এত কষ্ট করলেন কেন?

৩| ২৭ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: গার্বেজ পোষ্ট।

৪| ২৭ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০১

কামাল১৮ বলেছেন: ইসলামের প্রথম যোগের কোন ঘটনারই নির্ভর যোগ্য কোন প্রমান নাই।সবটাই তাদের নিজেদের প্রচারণা।যার কোন ঐতিহাসিক সত্যতা নাই।
ঐতিহাসিক সত্যতা পাওয়া যায় ওমাইয়া খলিফাদের আমল থেকে।সেখানেও তারা নিজেদের খলিফা দাবি করে নাই।তারা নিজেদের বলেছে বিশ্বাসীদের কমান্ডার।তারা কখনো মক্কায় বসবাস করেছে এমন কোন প্রমানও নাই।

৫| ২৮ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১১:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ ধুলো মেঘ - রসূল (সা) পৃথিবীর দুঃখ কষ্টকেই বেঁছে নিয়েছিলেন। ওনাদের কাছে দুনিয়া একটা ধোঁকা। তাই সেই ধোঁকায় তারা পা দেন নি। ওনাদের কাছে পরকালটাই মূল জীবন। শুধু নবী রসূল না প্রকৃত পরহেজগার লোকেরা সাধাসিধা জীবন যাপন করেন।

আল্লাহর তরফ থেকে রসূল (সা) জানতেন সবাই মুসলমান হবে না। জাহান্নাম বানানো হয়েছে কাফের, গুনাহগার এবং মুনাফিকদের জন্য। দোয়া আল্লাহ তার প্রজ্ঞা অনুযায়ী কবুল করেন। কখনও হুবহু কবুল করেন, কখনও সেটা নেকি হিসাবে যোগ হয় বা বিকল্প কিছু তাকে দেয়া হয়। আল্লাহর ফয়সালার বিপরীত দোয়া কখনও বাস্তব হবে না। কিছু মুসলমান হেদায়েত পাবে না এটা পূর্ব নির্ধারিত। তাই সব মুসলমানের জন্য দোয়া করলেও সবাই মুসলমান হবে না এটা রসূল (সা) জানতেন। ওমর অথবা আবু জেহেলের একজনকে চেয়েছেন মানে হোল অন্তত একজনকে যেন মুসলমান বানানো হয়। ঐ সময় ইসলামের কঠিন সময় যাচ্ছিল। কে মুসলমান হবে আর কে হবে না এটা রসূল (সা) জানতেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.