নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলা ভাষায় প্রথম ও সর্ববৃহৎ আর্টিকেল ডিরেক্টরি ওয়েবসাইট http://www.banglaarticle.com/

মোঃ আলামিন

লেখার মতো যায়গা নেই

মোঃ আলামিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিকা ভাইরাস কি – লক্ষণ ও প্রতিকার

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২

জিকা ভাইরাস কী?

পশ্চিম গোলার্ধের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এলাকায় একটি ভাইরাস জিকা। যা অনেকটা ডেঙ্গুর মতো হলেও তার চেয়ে হালকা প্রভাব ফেলে দেহে। উগান্ডার বনে ১৯৪৭ সালে এটি আবিষ্কৃত হয়। তবে আফ্রিকা ও এশিয়ায় প্রায়ই এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে।

জিকা ভাইরাস নামকরণের ইতিহাসঃ
জিকা নামটি নেওয়া হয়েছে উগান্ডার জিকা বন থেকে। ১৯৪৭ সালে হলুদ জ্বর নিয়ে গবেষণার সময় বিজ্ঞানীরা জিকা বনে একটি খাঁচায় একটি বানর রাখে। পরে বানরটি জ্বরে পড়লে তার দেহে একটি সংক্রামক এজেন্টের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। ১৯৫২ সালে এর নাম দেয়া হয় জিকা ভাইরাস। এরপর ১৯৫৪ সালে নাইজেরিয়ায় এক মানুষের দেহে এই ভাইরাস পাওয়া যায়।

জিকা ভাইরাস এর লক্ষণ সমূহঃ

ক। প্রতি পাঁচ জন অসুস্থ মানুষের মধ্যে ১ জন জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।
খ। জিকা ভাইরাসের সাধারণ লক্ষণ গুলো হল জ্বর, ফুসকুড়ি ওঠা, বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যাথা, চোখ লাল হওয়া। অন্যান্য সাধারণ লক্ষণ গুলো হল মাংস পেশীতে ব্যাথা এবং মাথা ব্যাথা । তবে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রথম দিকে এটিকে সনাক্ত করা যায় না, সনাক্ত করতে বা এর লক্ষণ গুলো বুঝতে কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে।
গ। জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত কেউ বেশী অসুস্থ হন না এবং এই ভাইরাসে আক্রান্ত কেউ মারা যান না ।
ঘ। জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে এই ভাইরাস অবস্থান করে প্রায় এক সপ্তাহ কিন্তু অনেকেরই এই ভাইরাস খুঁজে পাওয়া যায় না ।

জিকা ভাইরাসের চিকিৎসাঃ

ক। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোন টিকা আবিষ্কৃত হয় নই ।
গ। এই ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলে যা যা করবেনঃ
১। বেশী বেশী বিশ্রাম নিন
২। দেহে পানি স্বল্পতা রোধে বেশী করে পানি পান করুন ।
৩। জ্বর ও ব্যাথা কমাতে acetaminophen (Tylenol®) খেতে পারেন ।
৪। aspirin এবং non-steroidal anti-inflammatory জাতীয় ওষুধ থেকে বিরত থাকুন ।
৫। আপনি যদি অন্য কোন স্বাস্থ্য গত সমস্যার জন্য ওষুধ গ্রহণ করে থাকেন তাহলে অতিরিক্ত ওষুধ গ্রহণের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন ।
৬। আপনি যদি জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হন , তাহলে অসুস্থ হওয়ার প্রথম সপ্তাহ মশার কামর থেকে দুরে থাকুন
জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রথম সপ্তাহে এই ভাইরাস পাওয়া যায় রক্তে যা মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়।
৭। একটি জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত মশা এই ভাইরাস ছড়ায় এক জন থেকে আর একজন মানুষের মধ্যে ।
এই লেখাটি আমার লেখা প্রথম প্রকাশ জিকা ভাইরাস

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪

বিজন রয় বলেছেন: সময়োপযোগী পোস্ট।

২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২০

মোঃ আলামিন বলেছেন: ধন্যবাদ বিজন রয় ভাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.